1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যৌন অপরাধে ‘বহিষ্কার’

৮ জানুয়ারি ২০১৬

নববর্ষের প্রাক্কালে কোলোন ক্যাথিড্রালের বাইরে মহিলাদের যৌন হয়রানির যে অভিযোগ উঠেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে জার্মান আইনমন্ত্রী হাইকো মাস প্রয়োজনে আক্রমণকারীদের দেশ থেকে বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছেন৷

Deutschland Köln Proteste nach sexuellen Übergriffen
ছবি: Reuters/W. Rattay

হাইকো মাস জার্মান মিডিয়া গ্রুপ ‘‘ফুঙ্কে''-কে বলেছেন যে, অপরাধীদের জার্মানি থেকে বহিষ্কার করার কথা ‘‘পুরোমাত্রায় কল্পনা করা যায়''৷ যে সব মহিলাদের উপর যৌন হামলা চালানো হয়েছে, তাঁরা তাঁদের আক্রমণকারীদের ‘‘আরব বা উত্তর আফ্রিকার বাসিন্দাদের মতো দেখতে'', বলে বর্ণনা করেছেন৷

এক্ষেত্রে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদেরও এক বছর অবধি কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে, বলেছেন মাস৷ অবশ্য মাস সহ সব কর্মকর্তারাই সাবধান করে দিচ্ছেন যে, কোলোনের অপরাধীরা উদ্বাস্তু বা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ছিল কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷

আইনমন্ত্রীর মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের জার্মানিতে যাঁরা বাস করেন, তাঁদের সবার প্রতি নারী-পুরুষের সমানাধিকারকে শ্রদ্ধা করে চলার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনিও বিদেশি অপরাধীদের বহিষ্কার করার ভয় দেখিয়েছেন: ‘‘কেউ যদি কোনো গুরুতর অপরাধ করে, তাহলে তাকে জার্মানি থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার সম্ভাবনার কথাও ভাবতে হবে – তা তার পরিস্থিতি যাই হোক না কেন'' – অর্থাৎ সে উদ্বাস্তু বা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী, যাই হোক না কেন৷ এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ আভাসও দেন যে, আইন বদলে অপরাধীদের জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া রোধ করা হতে পারে৷

সেকাল আর একাল

কোলোন, হামবুর্গ, স্টুটগার্ট – নববর্ষের রাত্রিতে জার্মানির বিভিন্ন শহরে একই ধরনের দৃশ্য ও মহিলাদের উপর একই ধরনের যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে৷ ফলে জার্মানি জুড়ে এখন বিতর্ক চলেছে, ২০১৫ সালে প্রায় দশ লক্ষ উদ্বাস্তু-রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের আগমনের সঙ্গে এই সব ঘটনার সম্পর্ক কোথায়, বা আদৌ কোনো সম্পর্কে আছে কিনা – থাকলে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ‘‘মুক্ত দুয়ার'' নীতি তার জন্য কতটা দায়ী৷

এই পরিবেশে কোলোনের নতুন মেয়র হেনরিয়েটে রেকার আবার বলে বসেছেন যে, মহিলাদের ‘‘অপরিচিত পুরুষদের থেকে'' কিছুটা দূরে থাকাই বাঞ্ছনীয়৷ এমনকি বর্ষপালনের মতো উৎসবে মেয়েরা একসঙ্গে থাকলেই ভালো ও তাদের বেশি হাসাহাসি করা উচিত নয় – কেননা সেটাকে যৌন আবেদন বলে ভুল করা যেতে পারে৷

রেকার যা ভেবেই এই সব মন্তব্য করে থাকুন, একটি মুক্ত ও নারী-পুরুষের সাম্যবাদী, আধুনিক সমাজে যে মেয়েদের কিভাবে চলতে-বলতে হবে, বা সাজগোজ করতে হবে, সে বিষয়ে অনুশাসন জারি করার বা উপদেশ দেওয়ার অধিকার যে কারো নেই – সেটা তাঁর জানা থাকা উচিত ছিল৷ ফলে নারীবাদীরা বিশেষ করে খড়গহস্ত৷

ডয়চে ভেলের সাংবাদিক ডানা রেগেভ মহিলা হিসেবে প্রশ্ন তুলেছেন, মহিলাদের চেহারা, পোশাকআশাক, সাজগোজ বা আচরণের সঙ্গে যৌন হামলার কোনো সম্পর্ক আছে কিনা৷ নয়ত বিভিন্ন রক্ষণশীল সমাজেও নিত্যনৈমিত্তিক ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে কী করে?

ডানার মতে, সালটা ২০১৬৷ এতদিনে অন্তত বোঝা উচিত যে, ধর্ষণকারীদের ধর্ষণ না করা শেখানো প্রয়োজন; যারা তাদের শিকার হতে পারত, তাদের আর লুকোতে শেখার দরকার নেই৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি, এপি)

শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থীরা কারুর যৌন হয়রানির কারম হলে তাকে জার্মানি থেকে বহিষ্কার করা কি যুক্তিযুক্ত? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ