সেক্সিস্ট, অর্থাৎ যৌনতামূলক বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করতে চান জার্মান আইনমন্ত্রী হাইকো মাস৷ তবে এটাই শ্রেষ্ঠ পন্থা কিনা, সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা একমত নন৷
বিজ্ঞাপন
কথায় বলে, ‘সেক্স সেল্স', অর্থাৎ যৌনতা দিয়ে দুনিয়ার সব কিছু বেচা যায় – অন্তত বিজ্ঞাপনের জগতে কথাটা যেমন প্রচলিত, তেমনই সত্য বলে মনে হতে পারে৷ হাইকো মাস নাকি সেক্সিস্ট অ্যাডভার্টাইজিং-এর পরিবর্তে একটি ‘মডার্ন জেন্ডার ইমেজ' সৃষ্টি করতে চান৷ জার্মানির জনপ্রিয় সংবাদ সাপ্তাহিক ‘ডেয়ার স্পিগেল' জানাচ্ছে, মাস নাকি নিউ ইয়ার্স ইভে কোলোনের মুখ্য রেলওয়ে স্টেশনের সামনে মহিলাদের পক্ষে অবমানাকর যে সব ঘটনা ঘটেছে, তার কথাও ভেবেছেন৷
কিন্তু অ্যাডভার্টাইজিং কোম্পানির এগজিকিউটিভরা বলছেন, কোনো বিজ্ঞাপন যৌনতামূলক কিনা, তা কে নির্ধারণ করবে? তবে কি প্রতিটি বিজ্ঞাপনের খসড়া প্রথমে একটি রিভিউ বোর্ডে পাঠিয়ে বোর্ডের সার্টিফিকেট নিতে হবে? ওভাবে কাজ করাই সম্ভব নয়৷ তবে জার্মানিতে বাস্তবিক এ ধরনের একটি কর্তৃপক্ষ আছে, যার কাছে আপত্তিকর বা অসঙ্গত বিজ্ঞাপন সম্পর্কে অভিযোগ করা যায়; কর্তৃপক্ষের নাম, দ্য জার্মান কাউন্সিল ফর অ্যাডভার্টাইজিং স্ট্যানডার্ডস, অর্থাৎ বিজ্ঞাপনের মান সংক্রান্ত জার্মান পরিষদ৷
জার্মানির যেখানে নগ্ন ঘুরতে বাধা নেই
জার্মানির কিছু কিছু জায়গায় একেবারে নগ্ন হয়ে ঘোরাফেরা করা যায়৷ হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন৷ এ সব জায়গায় নারী, পুরুষ স্বেচ্ছায় নগ্ন হয়ে থাকেন৷ এতে নাকি স্বাস্থ্যও ভালো থাকে৷ চলুন দেখি ঠিক কোথায় কোথায় প্রকাশ্যে নগ্ন হতে বাধা নেই৷
ছবি: AP
নুড স্পোর্টস ক্লাব
জার্মানিতে ‘নুড স্পোর্টস ক্লাব’ বা নগ্ন ক্রীড়াসংঘের সংখ্যা কম নয়৷ এ সব ক্লাব ফ্রি বডি কালচারে বিশ্বাসী, অর্থাৎ একান্ত দরকার না হলে শরীর কাপড়ে ঢেকে রাখার পক্ষে নয় তারা৷ বিভিন্ন বয়সের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ নগ্ন ক্রীড়াসংঘের সদস্য৷ তারা নিয়মিত জার্মানিতের বিভিন্ন শহরে মিলিত হন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সাওনায় সবাই নগ্ন থাকেন
সাওনা বা স্টিম বাথ জার্মানিতে বেশ জনপ্রিয়৷ প্রায় সব শহরেই সাওনার ব্যবস্থা রয়েছে৷ আর সেখানে নারী, পুরুষ একসঙ্গে, নগ্ন অবস্থায় স্টিম বাথ নেন৷ তবে কেউ চাইলে শুধু নারী বা শুধু পুরুষের সাওনাও ব্যবহার করতে পারেন৷ এটা ব্যক্তিস্বাধীনতার ব্যাপার!
ছবি: Fotolia/Kzenon
নিজের বাগান বা বারান্দায়
না, খোলা রাস্তায় হঠাৎ করে নগ্ন হয়ে হাঁটাহাটি জার্মানিতে চালু নেই৷ তবে নিজের বাড়ির বাগানে বা বারান্দায় নগ্ন হয়ে ঘোরাফেরায় বাধা নেই৷ বাড়ি যদি রাস্তার পাশে আর সেই রাস্তা দিয়ে যদি আপনাকে বারান্দায় দেখা যায়, তাহলে জার্মান আইনে সেটা যারা দেখছে তাদের সমস্যা, আপনার নয়৷ বারান্দা আপনার, নগ্ন থাকার স্বাধীনতাও আপনার৷
‘নগ্ন বিচ’
জার্মানিতে কিছু সমুদ্রতট আছে, যেখানে পুরোপুরি নগ্ন হয়ে থাকা যায়৷ অর্থাৎ বিকিনি বা শর্টস পরারও কোনো বাধ্যবাধ্যকতা নেই৷ এ সব বিচে ‘এফকেকে’ লেখা থাকে৷ যে কেউ সেখানে যেতে পারেন৷ তবে অসংখ্য নগ্ন মানুষের মধ্যে পোশাক পরা কাউকে দেখতে খানিকটা বেমানান লাগে৷ তাই সেখানে যেতে চাইলে, নগ্ন হয়ে গেলেই উত্তম৷
ছবি: sabelfoto13 - Fotolia.com
নুড পার্ক
শুধু সমুদ্রতট নয়, নগ্নতায় বিশ্বাসীদের জন্য আছে পার্কও৷ মিউনিখের ইংলিশ গার্ডেন এবং বার্লিনের টিয়ারগার্ডেনের কিছু অংশে নগ্নভাবে ঘোরাফেরা করা যায়৷ তাই গ্রীষ্মে সেখানে নগ্নদের দেখলে বিস্মিত হবেন না৷ তবে সব পার্কে নগ্ন হয়ে ঘোরা যায় না৷ এ সংক্রান্ত সাইন দেখার পর কাপড় খুললে উত্তম৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
প্রাইম-টাইমে নিষিদ্ধ
জার্মান টেলিভিশনে প্রাইম-টাইমে নগ্ন কিছু প্রদর্শন কার্যত নিষিদ্ধ৷ তবে কথা আছে, যদি কোনো সিনেমার কাহিনির প্রয়োজনে একান্তই স্তনবৃত্তসহ নগ্ন স্তন প্রদর্শন প্রয়োজন পড়ে, তবে সেটা সম্ভব৷ সেসব সিনেমার আগে অবশ্য কোন বয়সিরা তা দেখতে পারবে, তা জানানো হয়৷ আর রাত এগারেটা থেকে সকাল ছ’টা অবধি ‘সফট পর্ন’ টিভিতে প্রচারে বাধা নেই, তবে বাড়াবাড়ি কিছু দেখানো যাবে না৷
ছবি: AP
6 ছবি1 | 6
দক্ষিণ জার্মানির ছোট্ট ট্রিব্যার্গ শহরে এই নিয়ে সম্প্রতি একটা ছোটখাট ঝড় বয়ে গেছে৷ শহরের মেয়র দু'টি গাড়ি পার্কিং-এর জায়গাকে ‘‘মেনস পার্কিং'' হিসেবে চিহ্নিত করতে চেয়েছিলেন – কিন্তু সংশ্লিষ্ট ছবিতে একটি নগ্ন নারীর সিলুয়েট দেখা যাচ্ছিল; তলায় লেখা ছিল – ট্রিব্যার্গের প্রাকৃতিক দৃশ্যের যা বিশেষত্ব – ‘‘উঁচু উঁচু পাহাড়, গভীর উপত্যকা''৷ ইঙ্গিতটি এতই স্পষ্ট ও আপত্তিকর যে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে ও ছবিটির উপর রং করে সেটিকে মুছে দিতে হয়৷
আখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যাপক ও মিডিয়া বিশেষজ্ঞ স্ভেন কমার বলেন, যে সব বিজ্ঞাপনে মহিলাদের যৌন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানো হয়, কিশোর-তরুণদের মনে তা মহিলাদের সম্পর্কে ভুল ধারণা সৃষ্টি করতে পারে৷ বিজ্ঞাপন ও বিপণন আজকের দুনিয়ায় জীবন ও জগৎ সম্পর্কে মানুষের ধারণা গড়েপিটে দেয়৷ ‘‘কাজেই আমাদের ভাবতে হবে, আমরা কি ধরনের বিশ্বদর্শন প্রচার করতে চাই৷''
যৌনতা: অনন্তকাল ধরে বিতর্কিত
‘সেক্স’ কথাটা উঠলেই বিতর্ক শুরু হয়ে যায়৷ সেক্স নিয়ে যেমন বহু কেলেঙ্কারি, সেভাবেই যৌনতা নারীমুক্তির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ বন শহরের একটি প্রদর্শনীতে জার্মান সমাজে যৌনতা নিয়ে বিভিন্ন ঝড়ঝাপটার একটা খতিয়ান দেওয়া হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘নিষিদ্ধ’ বিষয়
গত শতাব্দীর ষাটের দশকে যৌনতা সংক্রান্ত মনোবৃত্তিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে৷ জার্মানিতে ‘ব্রাভো’-র মতো টিনেজার ম্যাগাজিনগুলিতে খোলাখুলি সেক্স সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়৷ এর আগে ফিল্মেও যা ‘নিষিদ্ধ’ বিষয় ছিল, তাই নিয়েই তৈরি হয় ১৯৬৮ সালের হিট ছবি ‘সুয়র জাখে, শ্যাটসেন’ বা ‘পথে এসো, প্রেয়সী’৷ এখানে ছবির নায়ক-নায়িকা ভ্যার্নার এঙ্কে ও উশি গ্লাস; মাঝের মহিলাটি হলেন পরিচালিকা মাই স্পিল্স৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মা যা ছিলেন
পঞ্চাশের দশকেও দুনিয়াটা ‘ঠিকঠাক’ ছিল – অন্তত নবীন পশ্চিম জার্মানির নীতি-নৈতিকতা যাদের দায়িত্বে, তাদের চোখে৷ নারীর স্থান ছিল গৃহে, সংসারে, পতিব্রতা স্ত্রী, স্নেহময়ী জননী, নিপুণা গৃহকর্ত্রী হিসেবে৷ কাজে যেতেন শুধু পুরুষরা৷ জনসমক্ষে সেক্স নিয়ে কথা বলা কিংবা রাস্তায় চুমু খাওয়া চলত না৷ ব্যক্তিগত জীবন ও নৈতিকতা ছিল গির্জা বা সরকারের তাঁবে৷
ছবি: DW/H. Mund
আদম ও হবার কাহিনি
১৯৫১ সালের জার্মান ছবি ‘দি জ্যুন্ডারিন’ বা ‘পাপিনী’ জার্মান ফিল্ম জগতে কেলেংকারির অবতারণা ঘটায়৷ রক্ষণশীল চ্যান্সেলর কনরাড আডেনাউয়ার-এর আমলে এ ধরনের ‘নোংরামি’ সেন্সর করা উচিত, এই ছিল অধিকাংশ মানুষের অভিমত৷ ‘পাপিনী’ ছবির যৌনোদ্দীপনামূলক দৃশ্যগুলো ছিল অতি সংক্ষিপ্ত, তা সত্ত্বেও ছবিটিকে কেন্দ্র করে নৈতিকতা ও প্রকাশ্য যৌনতা নিয়ে বিপুল তর্ক শুরু হয়ে যায়৷
ছবি: ullstein - Thomas & Thomas
নারীমুক্তি
শেরিং কোম্পানি যখন ১৯৬১ সালে প্রথম গর্ভনিরোধক ‘পিল’ বাজারে ছাড়তে শুরু করে, তখন জার্মানির গির্জায় গির্জায় ‘যুবসমাজের নৈতিক অধোপতন’ সম্পর্কে ভাষণ শোনা গেছে৷ পিল নেওয়ার ফলে মহিলাদের যৌন আসক্তির খবর বেরোয় পত্রপত্রিকায়৷ সব সত্ত্বেও, গর্ভনিরোধের নতুন উপায়গুলি মহিলাদের স্বনির্ধারণে সাহায্য করে৷
ছবি: DW/H. Mund
ছাত্র বিপ্লব, যৌন বিপ্লব
ষাটের দশকের শেষে জার্মানিতে যে ছাত্র বিপ্লব দেখা দেয়, তার সঙ্গে তথাকথিত ‘কাউন্টার কালচার’ বা বিকল্প সংস্কৃতিরও যোগ ছিল৷ সেই বিকল্প সংস্কৃতি – হিপি আমলের রূপরেখা অনুযায়ী – খোলা এবং স্বাধীন যৌনতায় বিশ্বাস করত, যার একটা প্রমাণ পাওয়া যায় ‘কমিউন ওয়ান’-এর মতো কুখ্যাত কলোনিতে স্ত্রী-পুরুষের একসঙ্গে বাস ও সহবাসে৷ যে কারণে রাইন্যার লাংহান্স এবং উশি ওবারমায়ার-এর মতো চরিত্র আজও অবিস্মৃত৷
ছবি: picture-alliance/KPA TG
যৌনশিক্ষা
৬৮-র ছাত্র বিপ্লব পশ্চিমে পরিবারজীবনের সংজ্ঞাই বদলে দেয়৷ তরুণ বাবা-মায়েরা নিজেদের ‘বাবা’ কি ‘মা’ বলে অভিহিত না করে, নাম ধরেই ডাকতে শুরু করেন৷ ১৯৬৯ সালে স্কুলের জীববিজ্ঞান ক্লাশে একটি যৌনশিক্ষার ‘মানচিত্র’ চালু করা হয়৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অর্থানুকুল্যে সৃষ্ট ‘হেলগা’ নামধারী একটি যৌনশিক্ষার ফিল্ম দেখতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বাসে করে নিয়ে যাওয়া হতো৷
ছবি: DW/H. Mund
মেইল-অর্ডার যৌনতা
‘বেয়াটে উজে’ বললেই জার্মানির শতকরা ৯৮ ভাগ মানুষ আজও বোঝেন: মেইল-অর্ডার সেক্স-শপ৷ যদিও সে-ধরনের দোকানে বাস্তবিক ঢোকার মতো সাহস আজও সকলের নেই – লোকলজ্জা বলে একটা কথা আছে তো৷ বেয়াটে উজে-র বাণিজ্যিক সাফল্যের সূচনা ১৯৪৮ সালে, যখন তিনি মহিলাদের গর্ভনিরোধের পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করার জন্য একটি ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেন৷ তার পরে আসে তাঁর মেইল-অর্ডার সেক্স-শপ৷
ছবি: imago
পশ্চিমের আগে পুব
সাবেক পূর্ব জার্মানির মানুষরা তাদের পশ্চিমের সতীর্থদের চেয়ে অনেক বেশি যৌন স্বাধীনতা ভোগ করেছেন৷ গোটা পূর্ব জার্মানি জুড়ে ছিল নিউডিস্ট ক্লাব৷ যৌনতার বিচারে পুবের মেয়েরা পশ্চিমের মেয়েদের চেয়ে বেশি ‘স্বাধীন’ ছিলেন, বাচ্চাদের সরকারি ডে-কেয়ারে জমা করে প্যান্ট-শার্ট পরে কাজে যেতেন৷ স্বাধীনতার অপরপীঠে ছিল রাষ্ট্রের নির্দিষ্ট বাধ্যবাধকতা৷ যেমন এই সাইনটিতে পূর্ব জার্মানির মায়েদের ‘ধন্যবাদ’ জানানো হচ্ছে৷
ছবি: DW/H. Mund
‘বিকারগ্রস্ত সমাজ’
যে সব চিত্রপরিচালক সর্বপ্রথম সমকামিতা নিয়ে ছবি তৈরি করেন, রোজা ফন প্রাউনহাইম ছিলেন তাঁদের অন্যতম৷ ১৯৭১ সালে তিনি একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেন, যার বক্তব্য ছিল: সমকামী নিজে বিকারগ্রস্ত নয়, বিকারগ্রস্ত হল তার সমাজ৷ এভাবেই তিনি জার্মানির ‘গে’ এবং ‘লেসবিয়ান’ সম্প্রদায়ের জন্য সম্মান ও সমানাধিকার আন্দোলনের পথ প্রশস্ত করে দেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
যুগ-যুগান্তের সংস্কার
জার্মানিতে সমকামিতা ছিল একটি বিতর্কিত বিষয়, রাজনীতিকরাও যা নিয়ে কথা বলতে ভয় পেতেন৷ আইনের যে সূত্র – ১৭৫ নং অনুচ্ছেদ – দু’টি পুরুষের মধ্যে যৌন সম্পর্ককে দণ্ডনীয় অপরাধ বলে ঘোষণা করেছিল, সেই অনুচ্ছেদটি ১৯৬৯ সালে কিছুটা নরম করার পর, ১৯৯৪ সালে পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়৷ কিন্তু – বিশেষ করে খেলাধুলার জগতে – সমকামীদের প্রতি বৈষম্যমূলক মনোভাব আজও পুরোপুরি উধাও হয়নি৷
ছবি: DW/H. Mund
নারী না পুরুষ?
ট্র্যান্সভেস্টাইট আর্টিস্ট, ২০১৪ সালের ইউরোভিশন সং কনটেস্ট বিজয়ী কনচিটা ভুয়র্স্ট ওরফে টম নয়ভির্থ আজ একজন সেলিব্রিটি৷ দাড়ি-সম্বলিত, ইভনিং গাউন পরিহিতা কনচিটা ২০১৫ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতায় উপস্থাপিকা ছিলেন৷ তা-তে কারো কোনো আপত্তি দেখা যায়নি – আপাতদৃষ্টিতে৷...
ছবি: DW/H. Mund
ইতিহাস
জার্মানির ‘ড্র্যাগ কুইন’ তথা টিভি হোস্ট লিলো ভান্ডার্স এই প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন৷ ‘নির্লজ্জ? পরিবর্তনের মুখে যৌন নৈতিকতা’ প্রদর্শনীটি চলবে ২০১৬ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি অবধি, বন শহরের ‘হাউড ডেয়ার গেশিস্টে’ বা ইতিহাস ভবনে৷