1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আল-কায়েদা সদস্যের বিচার

৮ মে ২০১২

আল-কায়েদা জঙ্গি গোষ্ঠীর জার্মানিতে হামলা পরিকল্পনা একাধিকবার ব্যর্থ করতে সক্ষম হয়েছে জার্মান গোয়েন্দা বাহিনি৷ সন্ত্রাসী হামলার আগেই তাদের আটক করে বিচারের মুখোমুখি করেছে জার্মানি৷

Der Angeklagte Ahmad S. (r) wird am Montag (19.03.2012 ) in den Gerichtssaal des Koblenzer Oberlandesgerichts geführt. Dem 37-jährigen Deutsch-Afghanen wird die Mitgliedschaft im Terrornetz Al-Kaida und in der Islamischen Bewegung Usbekistan (IBU) vorgeworfen. Ahmad S. wurde laut OLG im Juli 2010 in Afghanistan festgenommen und kam in US-Gewahrsam. Im April vergangenen Jahres wurde er nach Deutschland überstellt und sitzt seitdem in Untersuchungshaft. Foto: Thomas Frey dpa/lrs/lno
কোবলেন্সের আদালতে সিদ্দিকিছবি: picture-alliance/dpa

এবার এক জার্মান-আফগান নাগরিকের বিচার চলছে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে৷

৩৭ বছর বয়সি জার্মান-আফগান নাগরিক আহমাদ ওয়ালি সিদ্দিকি৷ জার্মানিসহ এর আশেপাশের কিছু শহরে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে৷ ২০১০ সালের জুলাই মাসে মার্কিন সৈন্যরা আফগানিস্তান থেকে তাকে আটক করে৷ এরপর আটকাবস্থায় জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে সিদ্দিকি৷ সে জানিয়েছে, ইউরোপের কিছু শহরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল আল-কায়েদা৷ এ তথ্য জানার পরই জার্মানি সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছিল৷

জার্মান কর্তৃপক্ষের ভাষ্য মতে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সন্ত্রাসী হামলার প্রশিক্ষণ নিতে ২০০৯ সালে জার্মানির বন্দর নগরী হামবুর্গ থেকে প্রায় এক ডজন চরমপন্থী মুসলমান তরুণ ঐ অঞ্চলে যায়৷ তাদেরই একজন এই সিদ্দিকি৷ এই দলটির অপর সদস্য জার্মান-সিরীয় নাগরিক রামি মাকানেসি৷ আল-কায়েদার সদস্য হওয়ার দায়ে গত বছর ফ্রাঙ্কফুর্টের এক আদালতে তার চার বছর নয় মাস কারাদণ্ড হয়েছে৷ মাকানেসিকে ২০১০ সালের জুন মাসে পাকিস্তানে আটক করা হয়েছিল৷ এরপর তাকে জার্মানির কাছে হস্তান্তর করা হয়৷

জার্মান শহর কোবলেন্সের আদালতে কৌঁসুলি ব্যার্ন্ড শ্টয়ডেল বলেন, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহই নেই যে, সিদ্দিকি প্রথমে উজবেকিস্তানের ইসলামি আন্দোলনে যোগ দেয়৷ পরে সে আল-কায়েদার সদস্য হয়৷ এছাড়া সে ধর্মযুদ্ধ বা জিহাদে অংশ নিতে চেয়েছিল৷ তবে সিদ্দিকি আদালতকে বলেছে, পাকিস্তানে গিয়ে সে কিছু কম্পিউটার মেরামত করেছিল, বাস্কেটবল খেলতো এবং তার হাটুর সমস্যা সারিয়ে তোলে৷ অবশ্য সিদ্দিকির এমন কথার জবাবে ঊর্ধ্বতন কৌঁসুলি উলরিশ শুলথেস বলেন, ‘‘আল-কায়েদা মুমূর্ষুদের স্বাস্থ্যনিবাস নয়৷''

এছাড়া গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, সিদ্দিকি মুনির আল মোতাসাদেকের বন্ধু ছিল৷ এই মুনির এগারোই সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় সহযোগিতা করেছিল বলে ২০০৬ সালে জার্মান আদালতে অভিযুক্ত হয়৷ ঐ সন্ত্রাসী হামলায় চারটি জেট বিমানের মোট ২৪৬ জন বৈমানিক ও যাত্রী নিহত হয়েছিল৷ মুনির এবং সিদ্দিকি হামবুর্গের একটি মসজিদে প্রায়ই যেত বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর৷

কোবলেন্স আদালতে সিদ্দিকির বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ কৌঁসুলিদের দাবি, সিদ্দিকির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই (এপি)
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ