1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারীরা এখনো অনেক পিছিয়ে

১২ মার্চ ২০১৬

কর্মক্ষেত্রে জার্মান নারীরা এখনো বৈষম্যের শিকার৷ সরকারি পরিসংখ্যান থেকে বেরিয়ে আসছে এমন তথ্য৷ জানা গেছে, জার্মানিতে এখনো উচ্চপদে নারীদের উপস্থিতি কম, পুরুষের তুলনায় নারীদের বেতনও কম৷

Frau Arbeit mit Laptop und Papier
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Kalaene

সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জার্মানিতে নারী শিক্ষার হার বাড়ছে৷ জার্মানির কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, এ মুহূর্তে ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সি কর্মজীবী নারী ও পুরুষদের মধ্যে অন্তত ৩৫ ভাগ নারী কলেজ বা সর্বোচ্চ পর্যায়ের লেখাপড়া শেষ করেছেন৷ পুরুষদের মধ্যে এই হার শতকরা ৩১ ভাগ৷

তবে উচ্চশিক্ষার প্রবণতা বাড়লেও কর্মক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তিতে জার্মান নারীরা এখনো বৈষম্যের শিকার৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জার্মানির বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত নারীরা পুরুষদের চেয়ে সার্বিকভাবে ২১ দশমিক ৬ ভাগ বেতন কম পান৷ সমপর্যায়ে কর্মরত নারী-পুরুষদের মধ্যে বেতনের এই ব্যবধান শতকরা ৭ ভাগ৷ অর্থাৎ পদ এক, কাজও এক, তবু নারীর বেতন পুরুষের চেয়ে ৭ শতাংশ কম৷

নারী-পুরুষে এই বেতনের ব্যবধান অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশেও আছে৷ ব্যবধান সবচেয়ে কম ইটালিতে৷ সেখানে গড়পড়তা কর্মজীবী নারীর চেয়ে কর্মজীবী পুরুষের বেতন শতকরা ৬ দশমিক ৫ ভাগ বেশি৷

এই মাপকাঠিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে এস্টোনিয়ার নারীদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ৷ সে দেশে সমপর্যায়ে কর্মরত পুরুষ তাঁর নারী সহকর্মীর চেয়ে ২৮ দশমিক ৩ ভাগ বেতন বেশি পান৷

জার্মানিতে নারীদের পদোন্নতির সুযোগও পুরুষদের তুলনায় কম৷ ২০১৪ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, জার্মানিতে ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে কাজ করছেন মাত্র ২৯ ভাগ নারী৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশ মিলিয়ে ওই পর্যায়ে কর্মরত নারী আছে শতকরা ৩৩ ভাগ৷

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি সুযোগ পাচ্ছে লাটভিয়ার নারী৷ সেখানে এই হার শতকরা ৪৪ ভাগের মতো৷

জার্মানিতে ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে কর্মরত নারী ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানদণ্ডে কম হলেও ইউরোপের কয়েকটি দেশে কর্মজীবী নারীর অগ্রগতি আরো সীমিত৷ সব চেয়ে খারাপ অবস্থা সাইপ্রাসের নারীদের৷ সেখানে ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে নারী আছে মাত্র ১৭ ভাগ৷

চাকুরিতে জার্মান নারীদের পদোন্নতির সুযোগ কম কেন? এ জন্য কে বা কারা দায়ী? পরিসংখ্যান বলছে, নারীই সবচেয়ে বেশি দায়ী৷ দেখা গেছে, পারিবারিক এবং পারিপার্শ্বিক কিছু কারণে জার্মান নারীরা স্বাস্থ্যসেবা বা বিপণিবিতানের খণ্ডকালীন, স্বল্প বেতনের কাজই বেশি পছন্দ করেন৷ এ সব কাজে পদোন্নতির সুযোগও কম৷ তাই নারীদের তুলে আনার জন্য পুরুষদেরই জীবনের কোনো পর্যায়ে পূর্ণ সময়ের কাজ কম করার অনুরোধ জানিয়েছে জার্মানির ট্রেড ইউনিয়ন৷

এসিবি/ডিজি (ডিপিএ, ইপিডি, ইউরোস্ট্যাট)

কর্মক্ষেত্রে নারীদের এগিয়ে আনার জন্য পুরুষদেরই সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে৷ এভাবে নারীদের এগিয়ে আনার ভাবনা কতটা বাস্তবসম্মত? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ