জার্মানির রেগেন্সবুর্গ শহরের সেইন্ট ভল্ফগাং গির্জা থেকে হাজার বছরের পুরনো মমি চুরি হয়ে গেছে ৷ পুলিশ চোরকে ধরার চেষ্টা করছে৷
বিজ্ঞাপন
সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ জার্মানির রেগেন্সবুর্গের মধ্যযুগীয় গির্জা থেকে হাজার বছরের পুরনো সেইন্টের দেহাবশেষ চুরি হয়ে গেছে৷ গির্জার ভেতরে ঢুকে কে বা কারা চুরি করেছে তা জানার জন্য সাক্ষী খুঁজছে পুলিশ৷ বুলেটপ্রুফ গ্লাস এবং স্টিলের তৈরি কফিনের শক্ত ঢাকনা ভেঙে মমিটি চুরি করা হয়েছে এবং যে ক্ষতি পূরণ করা আর কখনো সম্ভব নয় বলে জানায় গির্জা কর্তৃপক্ষ৷
দেহাবশেষটি চুরি হলো ঠিক ৩১ অক্টোবর সেইন্ট ভল্ফগাং দিবসের কয়েকদিন আগে৷ সেন্ট ভল্ফগাং মারা গেছেন ৯৯৪ সালে, তিনি ছিলেন রেগেন্সবুর্গের প্রথম বিশপ৷ ১০৫৬ সালে ভ্যাটিকান তাঁকে স্বীকৃতি দেয়৷ মৃত্যুর পর তাঁর দেহের কিছু অঙ্গ বিভিন্ন স্থানে সমাহিত করা হয়েছিলো৷ যার মধ্যে রয়েছে রেগেন্সবুর্গের বেসেলিকা চার্চ এবং সেইন্ট ভল্ফগাং চার্চ৷ দেহাবশেষের কিছু অংশ অস্ট্রিয়া ও পর্তুগালে সংরক্ষিত আছে৷
পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভল্ফগাংয়ের দেহাবশেষ চুরির তদন্তের ব্যাপারে যে কোনো তথ্য কাজে লাগতে পারে, তাই কেউ কিছু জেনে থাকলে তাদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করা হয়েছে৷
জেমস ফ্র্যানি/এনএস
বাংলাদেশের কিছু গির্জা
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় আছে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বেশ কিছু গির্জা৷ যীশু খৃষ্টের জন্মোৎসব ‘বড়দিন’ উপলক্ষ্যে এ সব গির্জায় থাকে নানান আয়োজন৷ বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য কিছু গির্জা নিয়ে এ ছবিঘর৷
ছবি: bdnews24.com
আর্মেনিয়ান গির্জা
পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় অবস্থিত প্রাচীন গির্জা৷ আর্মেনীয়রা সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরুর পর এ গির্জাটি নির্মিত হয়েছিল ১৭৮১ খ্রিষ্টাব্দে৷ গির্জাটি লম্বায় সাড়ে ২৭ ফুট৷ এর পাশেই ছিল একটি ঘড়িঘর৷ এটি নির্মাণ করেছিলেন জোহানস কারু পিয়েতে সার্কিস৷ ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ঘড়িঘরটি ভেঙে যায়৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman
সেন্ট থমাস চার্চ
ঢাকার পুরোনো গির্জাগুলির মধ্যে অন্যতম একটি সেন্ট থমাস চার্চ৷ শাঁখারি বাজরের পূর্ব পাশে এবং বাহাদুর শাহ পার্কের উত্তর পাশে অবস্থিত এটি৷ ১৮১৯ সালে ঢাকা জেলের কয়েদিদের শ্রমের বিনিময়ে নির্মিত হয়েছেল এ গির্জা৷ প্রধান আর্কষণ হলো চূড়ায় অবস্থিত বড় আকারের একটি ঘড়ি৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman
হোলি রোজারিও চার্চ
রাজধানীর ফার্মগেইটের কাছেই তেজগাঁও এলাকায় হোলি রোজারিও চার্চ৷ নতুন এবং পুরোনো, দু’টি গির্জা এখানে আছে৷ পুরোনোটি ১৬৭৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পর্তুগিজরা৷ আর নতুনটি তৈরি করা হয় ১৯৯৭ সালে৷ এটি ক্যাথলিক চার্চ৷
ছবি: bdnews24.com
সেন্ট মেরিস ক্যাথিড্রাল
ঢাকার ১ নং কাকরাইল সড়কে অবস্থিত সেন্ট মেরিস ক্যাথিড্রাল গির্জা৷ এটি নির্মিত হয়েছিল ১৯৫৬ সালে৷ বড়দিন উপলক্ষ্যে এ গির্জাটি সাজানো হয় আকর্ষণীয়ভাবে৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman
সেন্ট সিকোলাস চার্চ
গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী গ্রামে সাধু নিকোলাসের গির্জা৷ ১৬৬৩ সালে নির্মিত হয়েছিল৷ এখানকার সবচেয়ে পুরোনো যে গির্জা ভবনটি আছে, সেটির নির্মাণ কাল ১৬৯৫ সাল৷ এরপরে বেশ বড় আকারে আরেকটি গির্জা ভবন তৈরি করা হয় ২০০৯ সালে৷ ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়েছে হস্ত প্রসারিত যীশুর দণ্ডায়মান মূর্তি৷ এই এলাকায় আরও একটি গির্জা আছে, নাম সেন্ট অ্যান্টোনিস চার্চ৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman
অক্সফোর্ড মিশন চার্চ
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের এ উপসনালয়টি বরিশাল শহরের বগুড়া সড়কে অবস্থিত৷ খোলা প্রান্তরের মাঝে বিশাল আকারের এ গির্জা সহজেই সবার দৃষ্টি কাড়ে৷ গ্রিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত গির্জার ভেতর আছে সুবিশাল প্রার্থনা কক্ষ৷ নির্মাণকাল ১৯০০ সাল৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman
আওয়ার লেডি অফ দ্য হোলি রোজারিও ক্যাথিড্রাল চার্চ
চট্টগ্রাম শহরের পাথরঘাটা এলাকার বান্ডেল সড়কে অবস্থিত আওয়ার লেডি অফ দ্য হলি রোজারিও ক্যাথিড্রাল চার্চ৷ চট্টগ্রাম শহরের অন্যতম প্রধান এ গির্জাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৬০০ সালে৷