1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জৈব-চাষের ধুম

রাশেল বাইগ / আরবি২৪ মে ২০১৩

জার্মান সুপারমার্কেটে জৈবিক পদ্ধতিতে উত্পাদিত শাক সবজি, ফল মূলের প্রাচুর্য চোখে পড়ে৷ এসব উত্পাদনে রাসায়নিক সার ও ওষুধ ব্যবহার করা হয়নি৷ কিন্তু ভালো করে লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে যে, এর বেশিরভাগই এসেছে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে৷

ILLUSTRATION - Ein Einkaufswagen mit Lebensmitteln wird am Mittwoch (04.05.2011) durch einen Edeka-Supermarkt in Hannover geschoben (Aufnahme mit langer Verschlusszeit). Die größte Edeka-Regionalgesellschaft, Edeka Minden-Hannover, stellt am Donnerstag (05.05.2011) die Zahlen zum Geschäftsjahr 2010 vor. Foto: Julian Stratenschulte dpa/lni pixel
ছবি: picture-alliance/dpa

আম ও কলার মতো ফলফলারি জার্মানিতে উত্পন্ন হয় না৷ তাই জৈবিক পদ্ধতিতে এসব ফলের চাষ সম্ভব নয়৷ কিন্তু শুধু এই ধরনের ফলমূলই নয়, জৈব বা বায়ো আলু, আপেল, কলা, শশা, শুয়োরের মাংস, দুগ্ধজাত খাদ্য ইত্যাদিও অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা হয়৷ বন ইউনিভার্সিটির এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বায়ো আপেলের প্রতি দুটির একটি বিদেশ থেকে আনা৷ বাজারে জৈব খাদ্যদ্রব্যের চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চলেছে৷ কিন্তু সেই সাথে তাল মিলিয়ে কৃষিজমি বাড়ছে না৷ সমগ্র আবাদি জমির মাত্র ৬.৩ শতাংশতে জৈব ফসল উত্পন্ন হয়৷ বায়ো ফসলের ধুম জার্মান চাষিদের পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে৷ এর ফলে কৃষি অর্থনীতিতে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে৷ বিনষ্ট হচ্ছে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র গড়ে ওঠার সম্ভাবনাও৷

লাভজনক হচ্ছে না চাষিরা

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের সাহায্য সহযোগিতার অভাবে বায়ো-উত্পাদন ব্যাহত হচ্ছে একথা বলা যায় না৷ কিন্তু কোথাও যেন উন্নয়নটা বিঘ্ন হচ্ছে৷ চাষিরা জৈব উত্পাদনের ব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন৷ তাঁরা মনে করেন এতে কী কোনো লাভ হবে? সরকারের আশ্বাস কতটা নির্ভরযোগ্য? ইত্যাদি ইত্যাদি৷ জার্মানির কয়েকটি রাজ্য সরকার জৈব উত্পাদন খাতে তাদের অনুদানের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে৷ কেউ কেউ একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে৷ এছাড়া সাধারণ ও জৈব পণ্যের মধ্যে দামের পার্থক্যও অনেকটা কমে গিয়েছে৷ তাই ব্যয়বহুল বায়োচাষ করে তেমন লাভ হচ্ছে না চাষিদের৷

বেশ কয়েক বছর ধরেই জৈব পদ্ধতিতে ফসল উত্পাদনের জন্য বরাদ্দ কৃষিজমির পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে না৷ অনেক কৃষকই পরিবেশ বান্ধব চাষাবাদ থেকে আবার গতানুগতিক পদ্ধতির চাষাবাদে ফিরে এসেছেন৷ এই প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায় জার্মানির উত্তরের দুটি রাজ্য লোয়ার স্যাকসনি ও শ্লেসভিগ হলশ্টাইন-এ৷

বাকিটুকু পড়তে ক্লিক করুন এখানে...

ফলন কম

জার্মান সুপারমার্কেটে জৈবিক পদ্ধতিতে উত্পাদিত শাক সবজি, ফল মূলের প্রাচুর্য চোখে পড়েছবি: DW/L. Schadomsky

এর প্রধান কারণ, যা আগেই বলা হয়েছে, জৈবপণ্য ও প্রচলিত পণ্যের দামের মধ্যে পার্থক্য কমা৷ আর একটি কারণ হলো, জৈব পদ্ধতিতে উত্পাদন করলে কম ফলন পাওয়া যায়৷ ‘‘লক্ষ্য করা গেছে, গতানুগতিক পদ্ধতি থেকে জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করার প্রথম কয়েক বছর উত্পাদন কমে যায়৷'' বলেন জৈব চাষাবাদ আন্দোলনের আন্তর্জাতিক ফেডারেশন-এর মুখপাত্র মার্কুস আর্বেনৎস৷

জৈবিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে চাইলে কিছু কিছু বিষয় মেনে চলতে হয়৷ যেমন জীবজন্তুগুলিকে বড় খামারে রাখতে হয়৷ সুযোগ দিতে হয় চড়ে বেড়ানোর৷ সারের ব্যবহারও তুলনামূলক কম করতে হয়৷ রাসায়নিক সার ওষুধপত্র ব্যবহার করা যায় না৷

জার্মানি পিছিয়ে

গত কয়েক বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে জৈব পদ্ধতিতে উত্পাদনের জমির পরিমাণ ৫০ শতাংশ বেড়েছে৷ ফ্রান্সে জৈব-খেতের পরিমাণ ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ পোল্যান্ডও এদিক দিয়ে পিছিয়ে নেই৷

জার্মানির প্রতিবেশীরা বায়োচাষের ব্যাপারে এগিয়ে গিয়েছে৷ গতানুগতিক পদ্ধতির চেয়ে জৈবিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে খাটনি বেশি৷ তাই যে সব দেশে শ্রমের মজুরি কম, সে সব দেশ এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে৷ এছাড়া, আবহাওয়ারও একটা বড় ভূমিকা রয়েছে এখানে৷ কারো যদি শীতকালে টমেটো বা কুমড়া খেতে ইচ্ছা হয়, তাহলে তাকে ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলের মতো দেশগুলি থেকে আমদানি করা সবজিগুলির দিকেই হাত বাড়াতে হবে৷ কেননা শীতকালে জার্মানির খেতে এই সবজি উত্পন্ন হয় না৷

বাকিটুকু পড়তে ক্লিক করুন এখানে...

অস্ট্রিয়া এগিয়ে

জৈবিক পদ্ধতিতে উত্পাদনের দিকে দিয়ে ইইউ-এর দেশগুলির মধ্যে অস্ট্রিয়া সবার আগে রয়েছেছবি: picture-alliance/dpa

জৈবিক পদ্ধতিতে উত্পাদনের দিকে দিয়ে ইইউ-এর দেশগুলির মধ্যে অস্ট্রিয়া সবার আগে রয়েছে৷ ২০১০ সালে দেশটির সমগ্র কৃষিজমির ১৩ শতাংশ পরিবেশ বান্ধব বলে সার্টিফিকেট পেয়েছে৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র৷ কমিউনিজমের পতনের পর দ্রুতই দেশটি জৈবিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের দিকে এগিয়ে গেছে৷ গড়ে তুলেছে বায়ো অ্যাসোসিয়েশন এবং প্রয়োজনীয় কাঠামো৷ এর ফলে এক্ষেত্রে লাভবান হচ্ছে দেশটি৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরেও জৈবিক চাষ ও শিল্প-কারখানার প্রসার ঘটছে৷ যেমন আর্জেন্টিনা, ইথিওপিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, চীন, ভারত ও পেরুতে জৈব চাষের ব্যাপারে আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ