জার্মান তরুণরা ক্রমশ উগ্র ডানপন্থি দল এএফডির দিকে ঝুঁকছে৷ সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে দেখা গেছে তরুণদের একটা বড় অংশ ভোট দিয়েছে অভিবাসন ও মুসলমানবিরোধী হিসেবে পরিচিত দলটিকে৷ কেন এই পরিস্থিতি?
বিজ্ঞাপন
ছবি: Frank Oppitz/Funke Foto Services/imago images
জার্মানির জাতীয় নির্বাচনে এখন অবধি ভোটার হওয়ার বয়স ১৮ বছর৷ তবে এটা কমিয়ে ১৬ করা যায় কিনা তা নিয়ে নানারকম বিচারবিশ্লেষণ, গবেষণা আর বিতর্কের কথা মাঝেমাঝেই শোনা যায়৷ ইতোমধ্যে ইউরোপীয় সংসদ নির্বাচনে ১৬ বছর বয়সি জার্মানিদেরকেও ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে৷ ভবিষ্যতেজাতীয় নির্বাচনেও হয়ত তাদেরকে অন্তর্ভূক্ত করা হতে পারে৷
নবীন-প্রবীণ সবাইকেই ভোট দিতে উৎসাহিত করে জার্মানির মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো৷ তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে, তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে তরুণ রাজনীতিবিদদেরও সংসদ সদস্য করা হচ্ছে৷
তবে সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে একটি বিষয় ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷ সেটা হচ্ছে, তরুণ এই ভোটারদের একটি বড় অংশ ভোট দিচ্ছে ২০১৩ সালে গঠিত ‘জার্মানির জন্য বিকল্প' বা ‘এএফডি' নামের একটি উগ্র ডানপন্থি রাজনৈতিক দলকে৷
এই দলের সঙ্গে মূলধারার অন্যান্য বড় রাজনৈতিক দলগুলো কোনো জোট না করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে, দলটি এককভাবেই ক্রমশ ভোটের হার বাড়িয়ে চলেছে৷ বর্তমানে জার্মানির সংসদের ৬৩০টি আসনের মধ্যে ১৫২টি তাদের দখলে রয়েছে৷ তারা সংসদের প্রধান বিরোধী দল৷
নির্বাচনে প্রথম ভোটারদের প্রত্যাশার কথা
নির্বাচন নিয়ে সব ভোটারেরই কিছু প্রত্যাশা থাকে৷ পরবর্তী নির্বাচনে এই প্রথম যারা ভোট দেবেন, তারা কী আশা করছেন? কেমন প্রার্থী পছন্দ তাদের? এসব জানতে বিভিন্ন শ্রেণি, পেশার প্রথম ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেছে ডয়চে ভেলে...
ছবি: NurPhoto/IMAGO
নির্বাচন নিয়ে আশাভঙ্গ হবার ইঙ্গিতই পাচ্ছি: ইমরান নাফিস, লেখক ও চাকুরিজীবী
বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ নিয়ে যারাই কাজ করছে বা করবে, আমার ভোটটা তাদেরই দেয়ার চিন্তা করছি। কারণ, নির্বাচিত প্রতিনিধি বাচাই করার মধ্যেই বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নির্ভর করছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্দোবস্তে একটা ব্যাপার খুবই হতাশাজনক, সেটা হলো, এখানে রাজনৈতিক বিশ্বস্ততার ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। সামনের নির্বাচনেও এমন হতে পারে।আমি আগামী নির্বাচন নিয়ে আশাভঙ্গ হবার ইঙ্গিতই পাচ্ছি।
ছবি: DW
পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার সুযোগ চাই: অন্নি ইসলাম, চাকুরীজীবি
একটি স্বাধীন দেশে সরকার নির্বাচিত হবে ভোটের মাধ্যমে। সে দেশের সরকার পরিচালিত হবে আইনের শাসন এবং মেধাবীদের মাধ্যমে। এটিকে রাজনীতি বললে এটাই আমার রাজনৈতিক আদর্শ। আমি মনে করি, আগামী নির্বাচন হবে একটি উৎসবমুখর নির্বাচন, যেখানে দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষজন ভোটকে একটি উৎসব মনে করবে। আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো- দেশের বহুল প্রচলিত এ ধারণাকে আমি লালন করে আমার প্রথম ভোট প্রদান করবো।
ছবি: DW
নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়ে যাচ্ছে: আবির মিনহাজ, আইনজীবী
আমার রাজনৈতিক দর্শন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। কিন্তু শুধু দলীয় আদর্শে জাতীয়তাবাদ থাকা মুখ্য নয়, বরং জাতীয়তাবাদের আদর্শকে ধারণ করে যারা রাজনীতি করবে, তাদের পক্ষেই আমার সমর্থন। আগামী নির্বাচন নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী, কারণ, জীবনের প্রথম ভোট প্রদান করবো একটি ‘নিরপেক্ষ’ সরকারের অধীনে। তবে আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে না পারা, সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়ে যাচ্ছে।
ছবি: DW
আশা করছি আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে: আদিবা সায়মা খান, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
যে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের বৈধতা নিয়ে ফ্যাসিবাদী সিস্টেম চালু করবে না, যে জুলাই গণহত্যার বিচারের নিশ্চিত আস্বাস দিতে পারবে এবং নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং নিপীড়িত শ্রেণির অধিকার লঙ্ঘন করবে না - আমি তাদেরই সাপোর্ট দেবো। আগামী নির্বাচন আশা করছি অংশগ্রহণমূলক হবে এবং নাগরিকরা নিজের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে সঠিক প্রার্থী বেছে নেবে।
ছবি: DW
দলগুলো নিজেদের বিভিন্ন দ্বন্দ্ব নিয়ে ব্যস্ত, তাই এখনো কারো প্রতি আশা রাখতে পারছি না: মোঃ মিরাজুল ইসলাম, শিক্ষার্থী, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক
প্রথমবার ভোটার হিসেবে আমি আশাবাদী। আমার আদর্শ এমন দলকে সমর্থন দেওয়া, যারা খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা খাতে উন্নয়ন করবে, সেই সাথে স্বাধীন বিচার বিভাগ ও বাক স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বাস্তবেই কাজ করবে। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি বা অন্যান্য দলগুলো নিজেদের বিভিন্ন দ্বন্দ্ব নিয়ে ব্যস্ত৷ তারা এখন পর্যন্ত কোনো আশানুরূপ প্রতিশ্রুতি বা বাস্তবায়নের রূপরেখা দেয়নি। তাই এখন পর্যন্ত কারো প্রতি আশা রাখতে পারছি না।
ছবি: DW
নির্বাচন হোক শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ এবং সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতের: ম্যাগনোলিয়া মন্ডল রিয়া, শিক্ষার্থী, নটর ডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
একজন নতুন ভোটার হিসেবে ভোট দেওয়ার সুযোগকে শুধু একটি অধিকার নয়, বরং দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব মনে করি। ভোট দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে আমার অংশগ্রহণের সুযোগ। আমার কাছে রাজনীতি মানে, মানুষের কল্যাণ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। আমি চাই এমন প্রার্থীরা নির্বাচিত হোক, যারা সৎ, যোগ্য এবং সাধারণ মানুষের কল্যাণে এবং দেশের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করবে। নির্বাচন হোক শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ এবং সমান সুযোগ নিশ্চিতের।
ছবি: DW
নির্বাচনে আমরা সকলের রাষ্ট্র বিনির্মাণে আমাদের ভোটাধিকার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে প্রয়োগ করতে পারবো: দনওয়াই ম্রো, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথম ভোটার হিসেবে দেশের বৈচিত্র্যময় জাতিস্বত্বার অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নে আমি ডানে বাম, বামে ডান, তথা মধ্যম পন্থা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী। চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে, দেশের স্থিতিশীলতা অর্জনে নির্বাচন ছাড়া আমাদের আর দ্বিতীয় কোনো পথ নেই। আমি বিশ্বাস করি, বহুলপ্রত্যাশিত নির্বাচনটি হবে এবং আমরা সকলের রাষ্ট্র বিনির্মাণে আমাদের পবিত্র আমানত ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবো।
ছবি: DW
জনগণকে খুশি করাই যে রাজনীতির মূল কাজ, সেটি আশা করছি নেতা এবং নেতা হতে ইচ্ছুকগণ বুঝতে পারবেন: দীপ্তি চৌধুরী, গণমাধ্যম ও উন্নয়ন কর্মী
আমার ধারণা, এবারের নির্বাচন বাংলাদেশের রাজনীতির মোড় ঘোরানো ঘটনা হবে। এখানে চিরকাল রাজনীতিবিদরা এলিট শ্রেণি এবং জনগণ প্রলেতারিয়েত হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।দলীয় নেতা নয়, বরং জনগণকে খুশি করাই যে রাজনীতির মূল কাজ, সেটি আশা করছি নেতা এবং নেতা হতে ইচ্ছুকগণ বুঝতে পারবেন।
ছবি: DW
আশা করি নির্বাচন অবাধ, রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপহীন ও উৎসবমুখর হবে: হাবিবুর রহমান মোল্লা, চোখ হারানো জুলাই যোদ্ধা ও শিক্ষার্থী
যারা চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস করবে না, নিজেদের নতুন করে বাহুবলী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত না করে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করবে, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪-এর জুলাইকে লালন করবে, জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে কাজ করবে, তাদেরকেই বিবেচনায় নেয়া হবে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে, যেখানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকবে না, উৎসবমুখর নির্বাচন হবে বলে আশাবাদী। এর জন্য কমিশনকে নিরপেক্ষ প্রশাসনিক কাঠামোর উন্নয়নে মনযোগী হতে হবে।
ছবি: DW
9 ছবি1 | 9
এককভাবে সরকার গঠন করার মতো বড় পর্যায়ে অবশ্য এখনো পৌঁছাতে পারেনি এএফডি৷ জার্মানির নির্বাচনি কাঠামোতে এককভাবে কোনো দলের পক্ষে সরকার গঠন বেশ বিরল ব্যাপার, দেশটিতে মূলত জোট সরকারই গঠন হয়৷ তবে অন্যান্য দলগুলো মিলে উগ্র ডানপন্থিদের জয়রথ ভবিষ্যতে কতটা রুখতে পারবে, সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে৷
অথচ এই দলের শুরুটা হয়েছিল মূলত প্রবীণদের হাত ধরে৷ শুরুর দিকে তাদেরকেই দেখা যেতো বেশি৷ কিন্তু গত কয়েক বছরে দলটি তরুণদের মন জয়ে ব্যাপক প্রচার, প্রচারণা চালিয়েছে৷ বিশেষ করে টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে৷
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, জার্মানির খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী, সামাজিক গণতন্ত্রী, সবুজ এবং মুক্তগণতন্ত্রী অভিজ্ঞ রাজনীতিবেদরা তরুণদের উদ্বেগ এবং সমস্যার জায়গাগুলো ঠিক ধরতে পারছেন না৷ আর সেই জায়গাটাকেই প্রচারণায় তুলে আনছে এএফডি৷ দলটি বাস্তববাদী তরুণ, যারা তাদের বিবেচনায় বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দ্রুত দেখতে চান, তাদের কাছে এক বিকল্প হিসেবে নিজেকে তুলে ধরছে৷
জার্মান সংসদে এএফডি: হিটলার, ঘৃণা ও গুণ্ডামি ‘পছন্দ করা’ কয়েকজন
আগের বারের তুলনায় জার্মান সংসদ বুন্ডেসটাগে চরম ডানপন্থি দল এএফডির সদস্য সংখ্যা দ্বিগুণ৷ ১৫২জন সংসদ সদস্যের মধ্যে কয়েকজন নানা কারণে বিতর্কিত৷ তাদের নিয়েই এই ছবিঘর...
ছবি: Elisa Schu/dpa/picture alliance
মাটিয়াস হেলফেরিশ
২০২১ সালে ফেসবুকে ফাঁস হওয়া একটি চ্যাটে হেলফেরিশ নিজেকে ‘এনএসের বন্ধুত্বপূর্ণ মুখ’ হিসাবে তুলে ধরেন৷ এনএস, অর্থাৎ ন্যাশনাল সোশালিজম বা নাৎসিবাদী আদর্শ, যে আদর্শের কারণে জার্মানিতে আডলফ হিটলারের হাত ধরে চরম ডানপন্থা ভয়াবহ নৃশংসতাকে বাস্তবায়িত করে৷ খুন হন লাখ লাখ মানুষ৷ ৩৬ বছর বয়সি এই এএফডি রাজনীতিক দলটির অন্যতম চরমপন্থি সদস্য৷
ছবি: Fabian Strauch/dpa/picture alliance
মাক্সিমিলিয়ান ক্রাহ
ইটালির এক সংবাদপত্রকে ক্রাহ বলেন, নাৎসি আমলের আধাসমরিক সংস্থা এসএস বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘তেমন খারাপ’ ছিল না৷ এমন মন্তব্যের পর ইউরোপের অন্যান্য ডানপন্থি দলও ক্রাহকে একটু দূরে রাখতে শুরু করে৷ এএফডিও ২০২৪ সালের প্রচারণার পোস্টার থেকে তার ছবি সরিয়ে নেয়৷ কিন্তু বুন্ডেসটাগে তাকে আলিঙ্গন করে অভ্যর্থনা জানান আলিস ভাইডেল৷
ছবি: Ronny Hartmann/AFP/Getty Images
ইয়ান ভেনজেল শ্মিডট
তার দল এএফডির স্যাক্সনি রাজ্যের সদস্যরাই তার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিং ও মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলেছে৷ তা সত্ত্বেও
বুন্ডেসটাগ সদস্য হয়েছেন এবং একজন নব্যনাৎসি ও ঘোষিত ফ্যাসিবাদপ্রেমীকে তার কার্যালয়ে নিয়োগ দিয়েছেন এএফডির এই তরুণ নেতা৷
ছবি: Klaus-Dietmar Gabbert/dpa/picture alliance
স্টেফান প্রচকা
এএফডির শাখা সংগঠন এবং চরম ডানপন্থি হবার কারণে নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘ডেয়ার ফ্ল্যুগেল’-এর সদস্য ছিলেন প্রচকা৷ হলোকস্টে নিহতদের ছবির অবমাননাকর মন্তব্য করা একটি ফেসবুক গ্রুপ ‘দ্য পেট্রিয়টস’-এরও সদস্য ছিলেন তিনি৷ আনে ফ্রাঙ্ক, যার বিখ্যাত ডায়েরি গোটা বিশ্বের কাছে পরিচিত, তার মুখের একটি ছবি একটি পিৎজা বক্সে বসিয়ে ঠাট্টা করে পোস্ট করে এই গ্রুপটি৷ সাথে ছিল ক্যাপশন ‘ডি ওফেনফ্রিশে’, অর্থাৎ সদ্য চুল্লি থেকে বেরোনো৷
ছবি: Christoph Hardt/Panama Pictures/picture alliance
ডারিও জাইফার্ট
৩১ বছর বয়সি এই এএফডি রাজনীতিক এৱ আগে নব্য নাৎসি সংগঠন ‘ইয়ং ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটস’-এর সদস্য ছিলেন৷ এই সংগঠনের ডানপন্থার ধরন এতটাই চরম যে, খোদ এএফডিও বাধ্য হয়ে তাকে কালো তালিকাভুক্ত করে৷ জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল যে আসন থেকে জিতে এসেছিলেন সংসদে, সেই আসনেই এবার জয়যুক্ত হয়েছেন ডারিও জাইফার্ট৷
ছবি: Bernd Wüstneck/dpa/picture alliance
স্টেফান ম্যুনৎসেনমায়ার
বুন্ডেসটাগে এএফডির ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলা হয় স্টেফান ম্যুনৎসেনমায়ারকে, কারণ, তিনিই আলিস ভাইডেলকে তৈরি করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ব্যক্তি৷ ফুটবল ম্যাচে বিশৃঙ্খলার একটি ঘটনায় তাকে দশ হাজার ইউরো জরিমানা দিতে হয় ২০১৮ সালে৷ ওই ঘটনায় একজনকে গুরুতর শারীরিক আঘাত করার অপরাধে তখন ছয় মাসের জন্য দল থেকে বহিস্কার করা হয় তাকে৷
ছবি: dts-Agentur/picture alliance
6 ছবি1 | 6
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নবীন ভোটারদেরকে কাছে টানতে অন্যান্য দলগুলোকেও এটা দেখাতে হবে যে, তরুণদের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে এবং তাদের মতামত বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিফলিত হচ্ছে৷ পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব ভীতি ছড়িয়ে তরুণদের প্রভাবিত করা হচ্ছে সেদিকেও নজর দিতে হবে৷ প্রয়োজনে স্কুলেই ‘মিডিয়া এডুকেশন' এবং ‘মিডিয়া লিটারেসি' পড়াতে হবে৷
অনলাইনে ভুয়া খবর আর অহেতুক ভয় সৃষ্টির প্রচারনার বিরুদ্ধে লড়ার বিকল্প নেই৷ কারণ সংঘবদ্ধভাবে এসব ছড়িয়ে ভোটারদের উপর প্রভাব সৃষ্টির কৌশল যে বিশ্বের নানা প্রান্তে কাজ করছে তা বেশ দেখা যাচ্ছে৷