1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান তরুণদের ভোট যাচ্ছে উগ্র ডানপন্থিদের ঝুলিতে, কারণ কী?

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জার্মান তরুণরা ক্রমশ উগ্র ডানপন্থি দল এএফডির দিকে ঝুঁকছে৷ সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে দেখা গেছে তরুণদের একটা বড় অংশ ভোট দিয়েছে অভিবাসন ও মুসলমানবিরোধী হিসেবে পরিচিত দলটিকে৷ কেন এই পরিস্থিতি?

ছবি: Frank Oppitz/Funke Foto Services/imago images

জার্মানির জাতীয় নির্বাচনে এখন অবধি ভোটার হওয়ার বয়স ১৮ বছর৷ তবে এটা কমিয়ে ১৬ করা যায় কিনা তা নিয়ে নানারকম বিচারবিশ্লেষণ, গবেষণা আর বিতর্কের কথা মাঝেমাঝেই শোনা যায়৷ ইতোমধ্যে ইউরোপীয় সংসদ নির্বাচনে ১৬ বছর বয়সি জার্মানিদেরকেও ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে৷ ভবিষ্যতেজাতীয় নির্বাচনেও হয়ত তাদেরকে অন্তর্ভূক্ত করা হতে পারে৷ 

নবীন-প্রবীণ সবাইকেই ভোট দিতে উৎসাহিত করে জার্মানির মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো৷ তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে, তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে তরুণ রাজনীতিবিদদেরও সংসদ সদস্য করা হচ্ছে৷

তবে সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে একটি বিষয় ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷ সেটা হচ্ছে, তরুণ এই ভোটারদের একটি বড় অংশ ভোট দিচ্ছে ২০১৩ সালে গঠিত ‘জার্মানির জন্য বিকল্প' বা ‘এএফডি' নামের একটি উগ্র ডানপন্থি রাজনৈতিক দলকে৷

এই দলের সঙ্গে মূলধারার অন্যান্য বড় রাজনৈতিক দলগুলো কোনো জোট না করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে, দলটি এককভাবেই ক্রমশ ভোটের হার বাড়িয়ে চলেছে৷ বর্তমানে জার্মানির সংসদের ৬৩০টি আসনের মধ্যে ১৫২টি তাদের দখলে রয়েছে৷ তারা সংসদের প্রধান বিরোধী দল৷

এককভাবে সরকার গঠন করার মতো বড় পর্যায়ে অবশ্য এখনো পৌঁছাতে পারেনি এএফডি৷ জার্মানির নির্বাচনি কাঠামোতে এককভাবে কোনো দলের পক্ষে সরকার গঠন বেশ বিরল ব্যাপার, দেশটিতে মূলত জোট সরকারই গঠন হয়৷ তবে অন্যান্য দলগুলো মিলে উগ্র ডানপন্থিদের জয়রথ ভবিষ্যতে কতটা রুখতে পারবে, সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে৷  

অথচ এই দলের শুরুটা হয়েছিল মূলত প্রবীণদের হাত ধরে৷ শুরুর দিকে তাদেরকেই দেখা যেতো বেশি৷ কিন্তু গত কয়েক বছরে দলটি তরুণদের মন জয়ে ব্যাপক প্রচার, প্রচারণা চালিয়েছে৷ বিশেষ করে টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে৷

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, জার্মানির খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী, সামাজিক গণতন্ত্রী, সবুজ এবং মুক্তগণতন্ত্রী অভিজ্ঞ রাজনীতিবেদরা তরুণদের উদ্বেগ এবং সমস্যার জায়গাগুলো ঠিক ধরতে পারছেন না৷ আর সেই জায়গাটাকেই প্রচারণায় তুলে আনছে এএফডি৷ দলটি বাস্তববাদী তরুণ, যারা তাদের বিবেচনায় বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দ্রুত দেখতে চান, তাদের কাছে এক বিকল্প হিসেবে নিজেকে তুলে ধরছে৷  

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নবীন ভোটারদেরকে কাছে টানতে অন্যান্য দলগুলোকেও এটা দেখাতে হবে যে, তরুণদের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে এবং তাদের মতামত বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিফলিত হচ্ছে৷ পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব ভীতি ছড়িয়ে তরুণদের প্রভাবিত করা হচ্ছে সেদিকেও নজর দিতে হবে৷ প্রয়োজনে স্কুলেই ‘মিডিয়া এডুকেশন' এবং ‘মিডিয়া লিটারেসি' পড়াতে হবে৷

অনলাইনে ভুয়া খবর আর অহেতুক ভয় সৃষ্টির প্রচারনার বিরুদ্ধে লড়ার বিকল্প নেই৷ কারণ সংঘবদ্ধভাবে এসব ছড়িয়ে ভোটারদের উপর প্রভাব সৃষ্টির কৌশল যে বিশ্বের নানা প্রান্তে কাজ করছে তা বেশ দেখা যাচ্ছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ