1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান নির্বাচনেও যুক্তরাষ্ট্রের মতো আশঙ্কা!

২৯ নভেম্বর ২০১৬

মার্কিন নির্বাচনে সোশ্যাল বটস থেকে পাঠানো ‘ফেক নিউজ' ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জিততে সাহায্য করেছে বলে শোনা গেছে৷ আগামী বছর জার্মান নির্বাচনেও তা ঘটতে পারে বলে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও আশঙ্কা করছেন৷

DW Shift Troll Coach Bary
ছবি: Twitter.com/TrollcoachBary

ম্যার্কেল তাঁর খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দলের কার্যনির্বাহী পরিষদকে এই বিপদ সম্পর্কে অবহিত করার জন্য একজন ডাটা ও সফ্টওয়্যার বিশেষজ্ঞকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ প্রফেসর জিমন হেগেলিশ মিউনিখের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে পলিটিক্যাল ডাটা সায়েন্স বিষয়ের অধ্যাপক৷ সিডিইউ দলের নির্বাহী কমিটিকে তিনি সোশ্যাল বটস ও তার ব্যবহার সম্পর্কে জানাবেন৷

এই নতুন ধরনের সফ্টওয়্যার সবে দেখা দিতে শুরু করেছে৷ ‘সোশ্যাল বট' মানে সোস্যাল রোবট, যারা মানুষের আচরণ অনুকরণ করে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোতে মেসেজ দিতে বা অন্যের পোস্ট লাইক করতে পারে৷ সোশ্যাল বটস ব্যবহার করে ভুল খবর ছড়ানো যায় বা রাজনৈতিক বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা যায়৷

সত্যের অপলাপ

জিমন হেগেনিশের বক্তব্য হলো, এই নতুন প্রযুক্তি প্রথাগত জার্মান রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধেও প্রয়োগ করা সম্ভব৷ এবং তাঁর বক্তব্য হলো, খবর, তা ঠিক হোক বা ভুল, তা মানুষের মত বদলানোর ক্ষমতা রাখে৷ এ বিষয়ে হেগেলিশ গত বৃহস্পতিবার জার্মান জেডডিএফ টেলিভিশনকে বলেছেন, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর ‘সোশ্যাল বট'-দের প্রভাব এখনও পুরোপুরি গবেষণা করে দেখা হয়নি৷

চ্যান্সেলর ম্যার্কেল সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলির জন্য একটি নীতিমালা বা আচরণবিধির কথা বলেনছবি: Getty Images/C. Koall

জার্মান রাজনৈতিক মহল, বিশেষ করে একাধিক মন্ত্রীর দুশ্চিন্তা হলো এই যে, পপুলিস্ট বা লোক-খেপানো এএফডি দল সোশ্যাল বটসের ব্যবহার থেকে লাভবান হতে পারে - যদি এএফডি দল তা সরাসরি ব্যবহার না-ও করে৷ কিছু বিশেষজ্ঞের আবার বিশ্বাস যে, জার্মানির বাইরে থেকে ম্যার্কেল ও তাঁর মিত্রদের দুর্বল করার চেষ্টা চলতে পারে৷ মার্কিন ও জার্মান গুপ্তচর সংস্থাগুলি উভয় দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের সম্ভাব্য প্রচেষ্টার কথা বলেছে৷ অপরদিকে সব জার্মান রাজনৈতিক দল প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তারা নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার জন্য সোশ্যাল বট ব্যবহার করবে না৷

সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ?

গত রবিবার ম্যার্কেল ঘোষণা করেন যে, তিনি চ্যান্সেলর হিসেবে একটি চতুর্থ কর্মকালের জন্য দাঁড়াচ্ছেন৷ এর তিন দিন পরে সংসদে প্রদত্ত একটি ভাষণে তিনি ফেক নিউজ, বটস, ট্রলস প্রভৃতি কিভাবে জনমত প্রভাবিত করে, সে বিষয়ে বিতর্কের দাবি জানান৷ ‘‘আমাদের এই ব্যাপারটার মোকাবিলা করতে হবে; প্রয়োজনে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে,'' বলেন ম্যার্কেল৷ এই প্রসঙ্গে ম্যার্কেল সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলির জন্য একটি নীতিমালা বা আচরণবিধির কথা বলেন৷

এসি/এসিবিন (রয়টার্স, ইপিডি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ