1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘জার্মান নির্বাচনে কে জিতবে তা এখনো অনিশ্চিত’

Sanjiv Burman১০ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিদায়ী চ্যান্সেলর ম্যার্কেল জনমত সমীক্ষার স্পষ্ট প্রবণতা সত্ত্বেও নিজের রাজনৈতিক শিবিরের পরাজয় আশঙ্কা মানতে প্রস্তুত নন৷ শিবিরের প্রার্থী লাশেট এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে নিজের ভাবমূর্তির উন্নতির চেষ্টা করেন৷

Deutschland Bundestag Fragestunde Coronavirus Angela Merkel
ছবি: Annegret Hilse/REUTERS

জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচনের আর প্রায় দুই সপ্তাহ বাকি৷ জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী ভোটারদের মনোভাবে এখনো কোনো মৌলিক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না, বরং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতা সম্পর্কে বদ্ধমূল ধারণা আরও জোরালো হচ্ছে৷ বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবিরের জনপ্রিয়তা ধারাবাহিকভাবে কমে চলেছে৷ অন্যদিকে বিদায়ী জোট সরকারের ছোট শরিক এসপিডি দল আরও বেশি ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে৷ এমন পরিস্থিতির কারণ হিসেবে মূলত দুই শিবিরের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীর ভাবমূর্তি তুলে ধরা হচ্ছে৷ আরমিন লাশেট এমনকি নিজের রাজনৈতিক শিবির ও সমর্থকদেরও দ্বিধাহীন সমর্থন আদায় করতে পারছেন না৷ অন্যদিকে ক্যারিসমার অভাব সত্ত্বেও পোড়খাওয়া ও অভিজ্ঞ রাজনীতিক হিসেবে ওলাফ শলৎস আরো বেশি মানুষের আস্থা অর্জন করছেন৷

এমন প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার খোদ ম্যার্কেল বলেছেন, যে জার্মানিতে এবারের নির্বাচনের ফলাফল এখনো অনিশ্চিত৷ তাঁর মতে, নির্বাচনি প্রচারে সত্যিকারের সংঘাত দেখা যাচ্ছে৷ নির্বাচনের দিনেই আসল ফয়সালা হবে৷ জনমত সমীক্ষার বদলে সেই ফলাফলকেই গুরুত্ব দিতে চান ম্যার্কেল৷ তবে দীর্ঘ ১৬ বছর দেশের নেতৃত্বের পর ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে আবার ভোটারদের আস্থা অর্জন করা যে কঠিন, ম্যার্কল সে কথাও স্বীকার করেন৷ ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চ্যান্সেলর পদ ধরে রাখা যায় না৷

ম্যার্কেল এখনো নিজের শিবিরের জয়ের সম্ভাবনা দেখলেও বাভেরিয়ার মুখ্যমন্ত্রী ও সিএসইউ দলের নেতা মার্কুস স্যোডার বলেছেন, আসন্ন সপ্তাহান্তের মধ্যে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে ইউনিয়ন শিবিরের পক্ষে আগামী সরকারের নেতৃত্ব দেবার সম্ভাবনা আরও কমে যাবে৷ এদিকে ‘ডেয়ার স্পিগেল' পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিএসইউ দলের সাধারণ সম্পাদক মার্কুস ব্লুমে বলেন, লাশেটের বদলে স্যোডার ইউনিয়ন শিবিরের প্রার্থী হলে এমন অবস্থা হতো না৷

সিডিইউ ও সিএসইউ দলের কোণঠাসা প্রার্থী আরমিন লাশেট বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে নানা কঠিন ও অপ্রিয় প্রশ্নের জবাব দিয়ে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করেন৷ বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ক্যামেরার সামনে হাসির ঘটনাকে নিজের ভুল হিসেবে আবার স্বীকার করেন তিনি৷

নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হবার পর ইউনিয়ন ও এসপিডি দলের মধ্যে আসনসংখ্যায় তেমন ফারাক না থাকলে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তিই যে আগামী সরকারের নেতৃত্ব দেবে, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই৷ ১৯৭৬ সালে এমন পরিস্থিতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে উদারপন্থি এডিপি দলের নেতা ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার এবারেও ‘কিংমেকার' হিসেবে নিজের দলের সম্ভাব্য ভূমিকার ইঙ্গিত দিয়েছেন৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ