1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান নির্বাচনে চ্যান্সেলর প্রার্থী পরিচিতি: আরমিন লাশেট

২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী সিডিইউ দল থেকে এবার চ্যান্সেলর প্রার্থী হয়েছেন আরমিন লাশেট৷ বর্তমানে তিনি জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷

Berlin CDU-Kanzlerkandidat Armin Laschet
ছবি: Michael Sohn/AP/picture alliance

জার্মানির মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশের বাস এই রাজ্যে৷ ২০১৭ সাল থেকে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী লাশেট৷ তাই তিনি প্রায়ই বলেন, ‘‘এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের রাজ্য পরিচালনাকারী মুখ্যমন্ত্রী চ্যান্সেলর হতে পারেন৷'' দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি আটজন চ্যান্সেলর পেয়েছে৷ এর মধ্যে শুধু প্রথম চ্যান্সেলর কনরাড আডেনাউয়ার (১৯৪৯-১৯৬৩) এই রাজ্যের ছিলেন৷

সাবেক আইনজীবী ও সাংবাদিক লাশেটের স্থানীয়, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নির্বাচনে (১৯৯৪-১৯৯৮) জয়লাভ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ এমনকি ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত তিনি ইউরোপীয় সংসদেরও সদস্য ছিলেন৷ এই হিসেবে ম্যার্কেল যখন চ্যান্সেলর হয়েছিলেন তার চেয়েও বেশি রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আছে লাশেটের৷

অনেকদিন ধরেই ম্যার্কেলের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হিসেবে পরিচিত লাশেট৷ ২০১৫ সালে ম্যার্কেল যখন শরণার্থীদের জন্য জার্মানির দরজা খুলে দিয়েছিলেন তখন নিজ দলের অনেক নেতার সমর্থন না পেলেও লাশেট ম্যার্কেলের পক্ষে ছিলেন৷ তবে সাম্প্রতিক করোনা সংকটের সময় ম্যার্কেল থেকে তাকে একটু দূরে থাকতে দেখা গেছে৷ এরপরও চলতি বছরের জানুয়ারিতে লাশেট যখন সিডিইউ দলের প্রধান নির্বাচিত হন তখন তাকে ম্যার্কেলের নীতি চালিয়ে যাওয়ার মূল ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়েছে৷

১৯৬১ সালে বেলজিয়াম সীমান্তের কাছে জার্মানির আখেন শহরে জন্মগ্রহণ করেন লাশেট৷ তার দাদা-দাদি দুজনই বেলজিয়ামের৷ লাশেট ফরাসি ভাষায় পারদর্শী৷ ফ্রান্সের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও তার ভালো সখ্য রয়েছে৷

অবশ্য সবশেষ জরিপে লাশেটের সিডিইউ দল সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের চেয়ে পিছিয়ে আছে৷ গত জানুয়ারিতে লাশেট সিডিইউর দায়িত্ব নেয়ার পর প্রায় ১৫ বছর পর সিডিইউর জনসমর্থন কমে এসপিডির পেছনে চলে গেছে৷

এর অন্যতম কারণ এসপিডির চ্যান্সেলর প্রার্থী ওলাফ শলৎসের ক্যারিশমা হলেও সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা লাশেটের জনসমর্থন কমিয়েছে৷ যেমন গত জুলাইতে নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া এবং আরেক রাজ্যে বন্যায় ১৮০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান৷ অনেকেই সবকিছু হারান৷ সেই সময় উপদ্রুত এলাকা সফরে গিয়ে জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন৷ এই সময় পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা লাশেটকে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঠাট্টা করতে দেখা যায়৷ এরপর সমালোচনা শুরু হলে লাশেট বেশ কয়েকবার ক্ষমা চান৷

এখানে শেষ নয়৷ বন্যার কারণ জলবায়ু পরিবর্তন কিনা, তা নিয়ে যখন আলোচনা চলছে তখন একদিন লাশেট বলে বসেন, ‘‘এরকম মাত্র একদিনের ঘটনার জন্য আমরা পুরো অ্যাপ্রোচে কোনো পরিবর্তন আনব না৷''

এই মন্তব্য করার কয়েকদিন পর তিনি তার বক্তব্য পরিবর্তন করে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়তে যা করা প্রয়োজন তা করা হবে৷

লাশেটের এমন আচরণে অনেকে মনে করছেন তিনি খুব দ্রুত তার নীতি ও সিদ্ধান্ত বদলান৷

ক্রিস্টোফ স্ট্রাক/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ