1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান নির্বাচনে চ্যান্সেলর প্রার্থী পরিচিতি: ওলাফ শলৎস

১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

জার্মান নির্বাচনে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দল থেকে চ্যান্সেলর পদে লড়ছেন ওলাফ শলৎস৷ তিনি বর্তমানে খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী সিডিইউ-এসপিডি জোট সরকারে একইসঙ্গে ডেপুটি চ্যান্সেলর ও অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন৷

Wahlplakat Olaf Scholz
ছবি: Karina Hessland/imago images

শলৎসের অভিজ্ঞতা নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই৷ সংকট মোকাবিলায় সক্ষম হিসেবেও তিনি পরিচিত৷ তারপরও অনেকে মনে করছেন, কী যেন নেই৷

আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জার্মান নির্বাচনের এক বছরেরও বেশি সময় আগে গতবছর এসপিডির চ্যান্সেলর প্রার্থী হিসেবে শলৎসের মনোনয়ন সবাইকে বেশ অবাক করেছিল৷ কারণ তার মাত্র কয়েকমাস আগেই তিনি দলের প্রধানের পদে লড়ে হেরেছিলেন৷

তবে শলৎস নিজের প্রতি বিশ্বাস ধরে রেখে নিরলসভাবে সরকারে কাজ করে গেছেন৷ নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারেও তিনি অনেক ঝড় মোকাবিলা করেছেন৷

করোনা সংকটের সময় তিনি উজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছেন৷ অর্থমন্ত্রী হিসেবে অর্থনীতি ও ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের সহায়তায় জরুরি তহবিল বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷

২০০৩ সালে তৎকালীন এসপিডি সরকার ‘অ্যাজেন্ডা ২০১০’ নামে একটি শ্রমবাজার সংস্কারের প্রস্তাব এনেছিল৷ বেকার ভাতার নিয়ম আরো কঠোর করার কথা বলায় প্রস্তাবটি নিয়ে সেই সময় বেশ বিতর্ক হয়েছিল৷ সেসময় দলের মহাসচিব ছিলেন শলৎস৷ ফলে প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জোগাড়ের কাজটি ছিল তার৷ এ ব্যাপারে পরে শলৎস বলেছিলেন, ‘‘প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জোগাড়ের কাজটি ছিল আমার৷ আমাকে বেশ নির্দয় ভাব দেখাতে হয়েছিল৷’’

তিনি বলেছিলেন, সেই সময় তার প্রথম কাজ ছিল নিজের মতামতের কথা না ভেবে তখনকার চ্যান্সেলর ও দলের প্রধান গেয়ারহার্ড শ্র্যোডার ও এসপিডির প্রতি ‘পুরো আনুগত্য’ দেখানো৷ ‘‘আমি নিজেকে নয় দলকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম৷’’

কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেলের খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী দল সিডিইউর কাছে চ্যান্সেলরশিপ হারিয়েছিল এসপিডি৷ ওলাফ শলৎসেরও এমন এক ছবি দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, যা থেকে বেরিয়ে আসতে সময় লেগেছে৷

যে বিষয়ে যতটুকু বলা প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই কথা বলতে পছন্দ করেন শলৎস৷ এখন পর্যন্ত এসপিডির মহাসচিব পদ ছাড়াও রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও হামবুর্গের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি৷

এসপিডির রক্ষণশীল অংশের সদস্য বলে শলৎসকে বিবেচনা করা হয়৷ আবার এটাও ঠিক, তিনি বাম নাকি ডানপন্থি, তা বোঝা কঠিন৷ এসপিডির যুবদলের ডেপুটি লিডার হিসেবে তার অনেক বক্তব্য ক্যাপিটালিজমের কট্টর সমালোচনা বলে বিবেচিত হয়েছিল৷

১৯৭৫ সালে হাইস্কুলে পড়ার সময় এসপিডিতে যোগ দিয়েছিলেন শলৎস৷ ১৯৯৮ সালে জার্মান সংসদেনির্বাচিত হন তিনি৷ হামবুর্গে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন৷ ব্যবসায়িক আইন বিষয়ে তার পারদর্শিতা ছিল৷ সে কারণে অর্থনীতি ও ব্যবসা কীভাবে চলে সে সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতা ভালো ছিল৷ সেই অভিজ্ঞতা সরকারি কাজে লাগিয়েছেন শলৎস৷

২০১৯ সালে এসপিডির প্রধান পদে লড়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তার চেয়ে রাজনীতিতে অভিজ্ঞদের কাছে হেরে গিয়েছিলেন শলৎস৷ তারপরও দমে না গিয়ে অর্থমন্ত্রী ও ডেপুটি চ্যান্সেলর হিসেবে নিবিড়ভাবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন৷

তার পুরস্কার হিসেবে চ্যান্সেলর পদে তাকে বেছে নিয়েছে এসপিডি৷ এক বছর আগে এই মনোনয়ন পাওয়ার পর তার জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে৷ এছাড়া তার কারণেই এসপিডি দলেরও জনপ্রিয়তা বাড়ছে৷

সাবিনে কিনকার্ৎস/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ