1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তরুণ ভোটাররা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

জাতীয় নির্বাচনের ভোট এখনো শুরু হয়নি৷ তবে তরুণ ভোটাররা এই নির্বাচনে খুব কমই প্রভাব রাখবে তা নিশ্চিত৷ কেননা, তাদের চেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ভোটারের সংখ্যা বেশি৷ প্রশ্ন উঠেছে, তরুণদের জন্য এই নির্বাচন কতটা অনুকূলে রয়েছে?

Würfelspiel um Deutschland Symbolfoto Angela Merkel Martin Schulz
ছবি: picture-alliance/U. Baumgarten

জার্মানিতে কে সরকার গঠন করবে তা নির্ধারণের ক্ষমতা মূলত প্রবীণ প্রজন্মের হাতে রয়েছে৷ আর ত্রিশ বছরের চেয়ে কম বয়সি ভোটারদের ভূমিকা অনেকটা ছোট বিরোধী দলের মতো৷নির্বাচনে প্রভাব ফেলার মতো ক্ষমতা তাদের নেই৷ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জার্মানিতে ষাট বছরের বেশি বয়সি ভোটারের হার ৩৬ শতাংশ, আর ত্রিশের কম বয়সি ভোটার মাত্র ১৫ শতাংশ৷

জার্মানির ভোটারদের এই পরিসংখ্যান দেখে বিশেষজ্ঞরা দেশটির গণতন্ত্রকে ‘অবসরভোগীদের গণতন্ত্র' হিসেবেও আখ্যা দিচ্ছেন৷ গত নির্বাচনের সময় দেখা গেছে ভোটারদের অর্ধেকের বেশির বয়স পঞ্চাশ বছরের বেশি৷ অথচ ১৯৮০ সাল অবধি নবীন এবং প্রবীণ ভোটারদের সংখ্যা প্রায় সমান ছিল৷

ছবি: picture-alliance/dpa/C. Charisius

ভবিষ্যতে প্রবীণ ভোটারের সংখ্যা বেড়ে গেলে জার্মান রাজনীতি যে প্রবীণ বান্ধব হয়ে উঠবে তা আগেই আঁচ করেছিলেন সাবেক জার্মান প্রেসিডেন্ট রোমান হ্যারৎসগ৷ ২০০৮ সালে অবসরভাতা হঠাৎ করে বাড়ানো হলে তিনি জার্মানির রাজনীতিকে ‘অবসরভোগীদের গণতন্ত্র' আখ্যা দিয়ে জানান যে, রাজনৈতিক দলগুলো সামঞ্জস্যহীনভাবে বৃদ্ধ ভোটারদের নিয়ে খেলছেন৷

বিভিন্ন গবেষণায় অবশ্য দেখা গেছে যে, প্রবীণ ভোটাররা ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে বর্তমানের চেয়ে ভবিষ্যতের কথাই বেশি চিন্তা করেন৷ ফলে তারা ভোট দেয়ায় নবীনদের একেবারেই স্বার্থরক্ষা হচ্ছে না, এমন যারা মনে করেন তাঁরা ভুল করছেন৷ বরং পরিবার এবং নবীন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ কীভাবে সুন্দর হবে সে চিন্তা প্রবীণ ভোটারদেরও রয়েছে৷

প্রবীণ ভোটারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডি, বিরোধী দল সবুজ দল এবং বাম দল এক নতুন পন্থার কথা ভাবছে৷ তারা চাচ্ছেন ভোটারদের সর্বনিম্ন বয়স আঠারো থেকে কমিয়ে ষোল করা হোক৷ দলগুলোর যুক্তি হচ্ছে, জার্মান সংসদে অনেক সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যা তরুণদের জীবনে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে৷ ফলে ষোল বছরে ভোট দেয়ার অধিকার পেলে তাদের জন্য তা ইতিবাচক হবে৷

কেউ কেউ অবশ্য শিশু-কিশোরদেরকেও ভোট দেয়ার অধিকার দেয়ার পক্ষে৷ তাদের একজন লেখক ভল্ফগাং গ্রুনডিগারের মতে, প্রত্যেক শিশু কিশোরের তারা যখন চাইবে তখন ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়া উচিত৷ তাঁর কথা হচ্ছে, যেহেতু প্রবীণ ভোটারদের কোনো বয়স সীমা নেই, নবীন ভোটারদেরও থাকা উচিত নয়৷

সান্দ্রো শ্র্যোডার/এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ