1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান নির্বাচন ২০১৩

জানেট সাইফার্ট / এসি২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩

নির্বাচন সমাপ্ত হল, প্রাথমিক কম্পিউটার জরিপে ক্ষমতাসীন জোট তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে৷ কিন্তু নতুন সরকারকে যে সমস্যাগুলোর মোকাবিলা করতে হবে, সেগুলো হলো ইউরো সংকট, বাজেট ঘাটতি, সামাজিক ন্যায় এবং ভবিষ্যতের জ্বালানি৷

Hinter einem Verkehrsschild "Achtung Baustelle" wirbt am 06.09.2013 in Stralsund (Mecklenburg-Vorpommern) ein Wahlplakat der CDU mit der Bundeskanzlerin Merkel für die Bundestagswahl. Kanzlerin Merkel tritt zur Bundestagswahl an der Ostseeküste in Vorpommern als Direktkandidatin an. Am 22.09.2013 wird in Deutschland ein neuer Bundestag gewählt. Foto: Stefan Sauer/ZB
ছবি: picture-alliance/ZB

নির্বাচনি প্রচারের মজাই হলো এই যে, সেখানে রাজনীতি নিয়ে অনেক কথা হয়, কিন্তু বাস্তব রাজনীতি বলতে কিছু করা হয় না৷ নির্বাচনের আগে সরকারের নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত শিকেয় তোলা থাকে৷ কিন্তু নির্বাচন শেষ হলেই সেগুলো আবার মাথাচাড়া দেয়, অন্তত গলাখাঁকারি দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয়৷

ধরা যাক ইউরো সংকট৷ সেটা যে আপাতত খানিকটা বিশ্রাম নিচ্ছে, নির্বাচনের পরেই আবার গণমাধ্যমের শীর্ষক জুড়ে বসবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ ইউরোপের কয়েকটি সংকট পীড়িত দেশের অর্থনীতি ইতিমধ্যে নিরাময়ের দিকে না হলেও, অন্তত উপশমের দিকে৷ তবে গ্রিস সম্ভবত একা তার ব্যাধি সামাল দিতে পারবে না: দেশটির সরকারি ঋণের পরিমাণ হল ত্রিশ হাজার কোটি ইউরো৷

জার্মান অর্থমন্ত্রী ভল্ফগাং শয়েবলে-কে কিছুদিন আগেও বলতে শোনা গেছে: ‘‘গ্রিসের জন্য আরো একটি ত্রাণ কর্মসূচি লাগবে৷ সেটা জার্মান সংসদেও একাধিকবার বলা হয়েছে৷'' ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিকে বছর শেষ হবার আগেই সেই নতুন ত্রাণ কর্মসূচির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ কাজেই সেটা নতুন জার্মান সরকারের প্রথম মাথাব্যথাগুলির মধ্যে পড়বে৷

ইউরো সংকটের প্রতিবাদে মাদ্রিদে বিক্ষোভছবি: Reuters

বাজেট ঘাটতি

অর্থনীতির ক্ষেত্রে অধিকাংশ ইইউ দেশের চেয়ে জার্মানির অবস্থা ভালো: উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্য, রফতানি ভালোই চলেছে; সেই সঙ্গে কর থেকে সরকারি আমদানিও তুঙ্গে চড়েছে৷ তা সত্ত্বেও জার্মানির সরকারি ঋণ ২ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ইউরোর বেশি, এবং বছরের পর বছর সরকারের আমদানির চেয়ে সরকারি ব্যয় বেশি৷ একাধিক প্রদেশ কিংবা রাজ্যও বিপুলভাবে ঋণগ্রস্ত৷ বহু নগর ও পৌর কর্তৃপক্ষ বস্তুত দেউলিয়া৷ প্রায় সব রাজনৈতিক দলই এই পরিস্থিতির পরিবর্তন চায়৷

কিন্তু সেটা হবে কী ভাবে? ব্যয়সংকোচ করে, নাকি কর বৃদ্ধি করে? এসপিডি এবং সবুজরা ঘোষণা করেছে, তারা অন্তত যাদের আয় বেশি, এমন মানুষদের কাছ থেকে আরো বেশি কর দাবি করবে৷ সিডিইউ এবং এফডিপি তার সম্পূর্ণ বিরোধী৷ যুগপৎ প্রায় সব দলই তাদের পেটোয়া পরিকল্পনা-প্রকল্পগুলোর জন্য দরাজ হাতে ব্যয় করতে চায়৷ সিডিইউ চায় আগের প্রজন্মের মায়েদের জন্য বর্ধিত অবসর ভাতা; এসপিডি এবং সবুজরা চায় শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও একেবারে কচিকাঁচাদের জন্য নার্সারিতে জায়গা বাড়াতে, যাতে এ প্রজন্মের মায়েরা কাজে যেতে পারেন৷ ওদিকে জার্মানিকে ২০২০ সালের মধ্যে ব্যালান্সড বাজেটের ব্যবস্থা করতে হবে৷

সামাজিক ন্যায়

নির্বাচনের পরেও সামাজিক ন্যায়ের প্রশ্নটি তার গুরুত্ব হারাবে না৷ প্রথমেই আসবে শিক্ষাক্ষেত্রে সকলের সমান সুযোগ: প্রতিটি শিশু যাতে জীবনে একই সুযোগ পায়, যে সমানাধিকারের সূচনাই বিদ্যায়তন থেকে৷ কিন্তু জার্মানিতে আজ একটি শিক্ষিত পরিবারের শিশুর স্কুলের শিক্ষা সমাপ্ত করার যে সম্ভাবনা, কোনো অল্পশিক্ষার পরিবারের শিশুর সে সম্ভাবনা অনেক কম৷

স্ত্রী-পুরুষের, পূর্ব-পশ্চিমের একই বেতন; একই কাজের জন্য একই মজদুরি বা পারিশ্রমিক, সেই সঙ্গে ন্যূনতম মজদুরির প্রশ্নগুলি নির্বাচনের আগেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, নির্বাচনের পরেও গুরুত্বপূর্ণ থাকবে৷ জার্মান স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও অনেক জার্মানের চোখে অন্যায়, কেননা তাতে বেসরকারি স্বাস্থ্য বিমার সদস্যরা নানা ধরনের বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন৷ এছাড়া দেশের জনসংখ্যাগত বিকাশের প্রশ্নটাও থাকছে: ক্রমেই আরো কমসংখ্যক নবীনদের আরো বেশি সংখ্যক প্রবীণদের চিকিৎসার খরচ টানতে হবে৷

জার্মানির মোট বিদ্যুৎ খরচের ২৩ শতাংশ আসে সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি এবং বায়োগ্যাস থেকেছবি: picture-alliance/dpa

জ্বালানি ও অন্যান্য সমস্যা

বছর দুয়েক আগে জার্মানি জ্বালানি ক্ষেত্রে ‘‘মোড় ফেরানোর'' সিদ্ধান্ত নেয়৷ সে যাবৎ জার্মানির মোট বিদ্যুৎ খরচের ২৩ শতাংশ আসে সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি এবং বায়োগ্যাস থেকে৷ ২০১৫ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অনুপাতকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা রয়েছে৷ কিন্তু সমস্যা হল ট্রান্সমিশন বা ওভারহেড তারের মাধ্যমে উপকূল থেকে দেশের অভ্যন্তরে, উত্তর থেকে দক্ষিণে বিদ্যুতের পরিবহন নিয়ে৷

দ্বিতীয়ত, জ্বালানি ক্ষেত্রে এই ‘‘অয়নের'' খরচের একাংশ আসছে বিদ্যুতের দামের উপর একটি সারচার্জ চাপিয়ে৷ এবং যতো বেশি নবায়নযোগ্য, পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সৃষ্টি হবে, ততোই এই সারচার্জের পরিমাণ বাড়বে৷ এছাড়া বহু শিল্প প্রতিষ্ঠান এই সারচার্জ দেওয়া থেকে ছাড় পেয়ে থাকে, যা সকলের মনঃপূত নয়৷

সবশেষে আসছে সিরিয়া থেকে উদ্বাস্তুদের সাময়িকভাবে জার্মানিতে আশ্রয় দেবার প্রশ্ন৷ এ ক্ষেত্রে জার্মান সরকার ইতিমধ্যেই পাঁচ হাজার সিরীয় উদ্বাস্তুকে লেবানন থেকে জার্মানিতে নিয়ে আসা শুরু করেছেন, কিন্তু জার্মানির আয়তন ও জনসংখ্যার তুলনায় তা পর্যাপ্ত নয়, বলে অনেকে মনে করেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ