1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডিডাব্লিউ-র মুখোমুখি স্টাইনমায়ার

২১ মে ২০১৪

এ পর্যালোচনা সরকারিভাবেই জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শুরু হয়েছে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার ডয়চে ভেলের সাক্ষাৎকারে সে কথাই জানালেন৷ যার দৃষ্টান্ত হিসেবেই উঠে এলো চলতি ইউক্রেন সংকটের প্রসঙ্গ৷

Deutschland Deutsche Welle Review 2014 DW-Interview mit Frank Walter Steinmeier
ছবি: DW

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আগামী রবিবার ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যাপারে আপনি আশাবাদী কি না?

স্টাইনমায়ার বললেন: ‘‘আমরা সকলেই সে জন্য কাজ করেছি, বিশেষ করে ওইসিডি৷ পূর্ব ইউক্রেনের অধিকাংশ মানুষও ভোট দেবার সুযোগ পাবেন বলে আমি আশা করবো৷ এ সপ্তাহেই দোনেৎস্কে একটি গোলটেবিল আলাপ-আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে, যা বোঝানোর চেষ্টা করবে যে, এই নির্বাচন নতুন বৈধতা এনে দিতে পারে৷ এই নির্বাচন থেকে এমন একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন, যিনি দেশের পূর্বাঞ্চলেও স্বীকৃত হবেন৷''

রাশিয়ার বিরুদ্ধে উত্তরোত্তর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রসঙ্গে স্টাইনমায়ার বললেন, তার প্রয়োজন পড়বে কিনা, সেটা পরিস্থিতি অনুযায়ী বোঝা যাবে – আপাতত নির্বাচন হওয়াটাই বড় কথা৷ তাঁর মতে, নির্বাচন হবে বৈধকরণের পথে প্রথম পদক্ষেপ; তার পরে আসবে সাংবিধানিক সংস্কার; সরকারি ক্ষমতা কতোটা বিকেন্দ্রিক হবে ইত্যাদি প্রশ্ন৷ তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করা৷ এবং এ সব চ্যালেঞ্জ শুধু ইউক্রেনের জন্য নয়, আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজের জন্যও বটে৷

Center stage or in the wings?

12:06

This browser does not support the video element.

একদিকে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা, অন্যদিকে ন্যাটোর তরফ থেকে সদস্য দেশগুলির প্রতি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর আহ্বান৷ এ বিষয়ে স্টাইনমায়ারের মনোভাব হলো: পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতির ক্ষেত্রে তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কে মাত্রাধিক আশাবাদ পোষণ করাটাও ভুল৷ ‘‘বর্তমান ইউক্রেন সমস্যার সমাধান করতে পারলেও আমরা ৮০-র দশকে ফেরত যেতে পারব না৷ বিশ্ব আর দুই জোটের মধ্যে মুখোমুখি বৈরিতার বিশ্ব নয়৷ ইউরোপীয় নিরাপত্তার কাঠামো সম্পর্কে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে৷

জার্মান পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য কী, এ প্রশ্নের উত্তরে স্টাইনমায়ার বলেন: ‘‘লক্ষ্য হলো, আমরা যে পরিমাণ দায়িত্ব নিতে পারি, আমরা সেই পরিমাণ দায়িত্ব নেব এবং পালন করবো৷'' স্টাইনমায়ারের নিজের অভিজ্ঞতা হলো, জার্মানির কাছ থেকে বিশ্বের প্রত্যাশা ক্রমশ বেড়েই চলেছে, যার একটা কারণ হলো জার্মানির অর্থনৈতিক শক্তি৷ জার্মানি যে সাম্প্রতিক এবং অতীতের একাধিক সংকট নিজের ক্ষমতায় সামলে নিতে পেরেছে, সেটাও বিশ্বের নজর এড়ায়নি৷ এছাড়া জার্মান পররাষ্ট্রনীতিতে একটা ভারসাম্য আছে, সেটা বিশ্বের অজ্ঞাত নয়৷ কাজেই একদিকে যেমন জার্মানির কাছে বিশ্বের প্রত্যাশা, অন্যদিকে তেমন জার্মানদের বহির্বিশ্বের ঘটনাবলীতে বেশি জড়িয়ে পড়তে আপত্তি৷ বলতে কি, ৬০ শতাংশ জার্মান বহির্বিশ্বে জার্মানির বৃহত্তর ভূমিকা নেওয়ার বিরোধী, জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বয়ং৷ কাজেই এক্ষেত্রে জার্মান রাজনীতির কাজ হলো, স্বদেশবাসীকে উপলব্ধি করানো যে, শুধু অর্থনীতির ক্ষেত্রেই নয়, অপরাপর ক্ষেত্রেও জার্মানি ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বে ‘সংশ্লিষ্ট'৷

অপরদিকে ইউক্রেন সংকটে জার্মানির কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও ইউরোপীয় আঙ্গিকে ঘটেছে, স্টাইনমায়ার স্মরণ করিয়ে দিলেন, যেমন ফ্রান্স, পোল্যান্ড ও জার্মানির পরারষ্ট্রমন্ত্রীত্রয়ের ইউক্রেন সফর৷ তবে ইউরোপ অথবা বিশ্বে একটি নেতৃস্থানীয় ভূমিকা নেওয়ার পরিস্থিতিতে জার্মানি বর্তমানে আছে বলে স্টাইনমায়ার মনে করেন না৷ জার্মানির রাজনৈতিক ভূমিকা তার অর্থনৈতিক শক্তির অনুপাতে হওয়া উচিত, এই ফর্মুলাও তিনি পুরোপুরি মানতে রাজি নন৷ তাঁর মতে জার্মানিকে নিজেই আবার ভেবে দেখতে হবে, তার পক্ষে কতটা দায়িত্ব নেওয়া উচিত এবং সম্ভব৷

সাক্ষাৎকার: সেবাস্টিয়ান কাৎসার/এসি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ