1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধর্মও আলোচনার বিষয়

বিয়াঙ্কা শ্র্যোডার / এসি১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩

বিদেশ থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রী, বিজ্ঞানী-অধ্যাপকদের ভিড়ে নানা ধর্মের মানুষ৷ কাজেই ধর্ম নিয়ে আলোচনা হবেই৷ মুসলিম, ইহুদি, খ্রিষ্টান বা হিন্দু, সব ধর্মমতের মানুষকেই পাওয়া যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে৷

Fastenbrechen im Kreis der Kommilitonen: Leila Younes El-Amaire genießt die Gemeinschaft in der Muslimischen Hochschulgruppe. (Bianca Schröder, 5.7.13, Berlin)
ছবি: Bianca Schröder

২২ বছর বয়সের লায়লা ইউনেস আমাইরে বার্লিনের ‘ফ্রাইয়ে উনিভার্সিটেট' বা মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মুসলিম ছাত্রী৷ শৈশব ও স্কুলজীবন কেটেছে বার্লিনের পূর্বাঞ্চলে৷ কিন্ডারগার্টেন, প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল, সর্বত্রই তিনি ছিলেন সংখ্যালঘুদের একজন৷ শেষমেষ বার্লিন মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়া শুরু করার পর তিনি নিজের জায়গা, নিজের সমাজ বলে কিছু একটা খুঁজে পেয়েছেন: মুসলিম কলেজ গোষ্ঠী৷

কলেজ গোষ্ঠী

বার্লিনের মুসলিম কলেজ গোষ্ঠী হল মুসলিম ছাত্র-ছাত্রী ও অধ্যাপক পরিষদের অংশ৷ বার্লিনের মতো সারা জার্মানিতে ৩০টি কলেজ গোষ্ঠীর সমিতি হল এই পরিষদ৷ কলেজ গোষ্ঠীগুলি বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে: রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা থেকে শুরু করে রমজানের শেষে ইফতার অবধি৷ কলেজ গোষ্ঠীগুলি সমাজে পরিবর্তন আনায় সক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট হতে চায়, যেমন শিক্ষাক্ষেত্রে কিংবা মুসলিমদের জার্মান সমাজের অঙ্গ করে তোলার ব্যাপারে৷ এক্ষেত্রে লায়লার বিশেষ উৎসাহ এবং উদ্যোগ: ‘‘আমার যখন ৫০ বছর বয়স হবে, তখন আমি বলতে চাই না যে, ছাত্রজীবনে আমি শুধু পড়াশুনা করেছি, ব্যস, আর কিছু করিনি৷ আমি যেন বলতে পারি, আমি সক্রিয় ছিলাম আর তার থেকে কিছু একটা কাজও হয়েছে৷''

নানা ভাষা, নানা মত

লায়লা ইউনেস আল-আমাইরে বাকি সতীর্থদের সঙ্গে একত্রে রমজানের ইফতার করতে ভালোবাসেন৷ ইওনাস ফেগার্টের কাছে ইহুদিদের আলোক উৎসব হানুকা-য় অন্যান্য ইহুদি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মোমবাতি জ্বালানোটাই হল ছাত্রজীবনের একটা স্মরণীয় মুহূর্ত৷ তিন বছর আগে ফেগার্ট যখন এখানে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়তে শুরু করেন, তখন কোনো ইহুদি কলেজ গোষ্ঠী ছিল না৷ সেই কারণে তিনি নিজেই উদ্যোগ নেন: ‘‘ইহুদি গ্র্যামার স্কুল থেকে পাস করার পর আমি আর আমার এক বন্ধুর চিন্তা হয়: স্কুল ছাড়ার পর আমরা (ইহুদিরা) কী করব? তারপর অন্যদের খোঁজ করি, যাদের আমাদের মতোই অবস্থা৷ তারপর আমরা এই ইহুদি কলেজ গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করি৷''

নাম রাখা হয় ‘স্টুডেন্টিম'৷ বার্লিনে ইহুদি ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগ, তাই নামটিও হিব্রু এবং হিব্রু ভাষায় তার অর্থটিও খটোমটো কিছু নয়৷ ‘স্টুডেন্টিম' মানে হল ছাত্রমহল৷ সদস্যরা ধর্মীয় উৎসবে কিংবা ফিল্ম কি আলোচনাসভায় মিলিত হন৷ ইসরায়েল বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ইহুদি পড়ুয়ারাও নাকি গোষ্ঠীতে যোগদান করতে ইচ্ছুক৷

‘স্টুবে' মানে ‘ঘর'

অন্যান্য ধর্মের ছাত্রছাত্রীরা এখনও তাদের নিজস্ব কলেজ গোষ্ঠী গড়ে তুলতে পারেননি৷ তবে তারা ‘স্টুবে' নামধারী অপর একটি সংগঠনের দ্বারস্থ হতে পারে৷ ‘স্টুবে' বলতে ‘এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন অ্যামেরিকা থেকে আগত আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের জন্য পাঠক্রমের সহযোগী কর্মসূচি'-র আদ্যক্ষর৷ ‘স্টুবে'-র কর্মসূচি বার্লিনের এভাঞ্জেলিকাল, অর্থাৎ প্রোটেস্ট্যান্ট কলেজ গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হলেও সব ধর্মের ছাত্রছাত্রী এখানে স্বাগত৷ নেপাল থেকে আসা রোদিনা আচার্য এখানে সহজেই বন্ধু খুঁজে পেয়েছেন৷

রোদিনা যেমন স্টুবে'র বিদেশি-বহিরাগতদের মধ্যে বন্ধু করে নিয়েছেন, তেমন তিনি খ্রিষ্টধর্ম সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন৷ অপরদিকে তিনি সম্প্রতি তাঁর সেই বিদেশি, বিধর্মী বন্ধুদের বার্লিন-নয়ক্যোল্ন পাড়ার নতুন হিন্দু মন্দিরটি দেখাতে নিয়ে যান৷ মজার কথা, রোদিনার নিজেরও সেই প্রথম ঐ মন্দিরে ঢোকা৷

রোদিনা যেমন স্টুবে'র বিদেশি-বহিরাগতদের মধ্যে বন্ধু করে নিয়েছেন, তেমন তিনি খ্রিষ্টধর্ম সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেনছবি: Bianca Schröder

রোদিনা ব্যক্তিগত পর্যায়ে যা করছেন, ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের কলেজ গোষ্ঠীগুলি প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে তাই করে থাকে৷ বার্লিনের মুসলিম কলেজ গোষ্ঠী সম্প্রতি পটসডামের কলেজ সমিতির সঙ্গে একটি যৌথ উৎসবের আয়োজন করে৷ নাম রাখা হয়েছিল ‘হালাল ও কোশার'৷ একটি প্রোটেস্টান্ট গির্জায় মুসলিম ইফতার ও ইহুদি সাবাথ উৎসবের যুগ্ম আয়োজন করা হয়েছিল৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন এক ক্যাথলিক সাইকোথেরাপিস্ট৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ