1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে বাংলাদেশির সাফল্য

৬ জুলাই ২০১২

জার্মানির ম্যোনশেনগ্লাডবাখ শহরে অবস্থিত নিডাররাইন ফলিত বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়৷ সেখানে টেক্সটাইল ও ক্লোদিং ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রিতে রেকর্ড পরিমাণ নম্বর পেয়েছেন বাংলাদেশি ছাত্র মো. আসলাম হোসেন৷

Md Aslam Hossain, Student aus Bangladesch studiert jetzt an der Hochschule Niederrhein, Deutschland. Copyright: privat Juni, 2012
আসলাম হোসনছবি: privat

দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয় স্বজন সব ছেড়ে জার্মানির ম্যোনশেনগ্লাডবাখ শহরে পড়াশোনা করছেন আসলাম হোসেন৷ তবে নিজ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে৷ নিডাররাইন ফলিত বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেকর্ড পরিমাণ ৯৫ শতাংশেরও বেশি নম্বর নিয়ে বিএসসি (সম্মান) পাশ করেছেন তিনি৷ ইংরেজি মাধ্যমে পরিচালিত এই শিক্ষা কার্যক্রমে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশেষ পদক দিয়েছে৷

ডিডাব্লিউ'এর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে আসলাম হোসেন বলেন, ‘‘আসলে সবকিছুই এখানে একটি নিয়মমাফিক চলে৷ নিয়মিত পড়াশোনা, শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি, লেকচার নোট করা - এসব কিছু করেছি৷ এছাড়া শিক্ষকদের সাথেও ভালো যোগাযোগ ও আলোচনা করার সুযোগ, গ্রুপ স্টাডি, এখানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা এবং দেশ থেকে বাবা-মা'র উৎসাহ আমাকে এমন সাফল্য অর্জন করতে সহায়তা করেছে৷ তবে জার্মান ছাত্র-ছাত্রীরা যেভাবে সুন্দর করে নোট করে এবং বিভিন্ন রঙের কালি ব্যাবহার করে যত্নের সাথে অধ্যয়ন করে - সেগুলো খুব ছোট ছোট বিষয় হলেও সেগুলো যে বেশ সহায়ক ভালো ফল করার ক্ষেত্রে, তা আমি লক্ষ্য করেছি৷ পাশাপাশি আমি ব্যাচেলর থিসিস যেটা করেছি সেটাও আমাকে অনেক এগিয়ে দিয়েছে৷''

ম্যোনশেনগ্লাডবাখ শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ছবি: HS Niederrhein

তিনি জানান, জার্মানিতে ব্যাচেলর পর্যায়ে তিনি কোনো বৃত্তি পাননি৷ তবে পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর ‘টিউশন ফি' মওকুফ করে দিয়েছিল৷ অবশ্য এখন মাস্টার্স পর্যায়ে তিনি বৃত্তির জন্য আবেদন করেছেন এবং বৃত্তি পাবেন বলে আশা করছেন৷

জার্মানিতে বৃত্তি ছাড়া যারা লেখাপড়া করতে আসে, তারা পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করে নিজের খরচ চালানোর সুযোগ কতটা পায় - এমন প্রশ্নের উত্তরে আসলাম বলেন, ‘‘এখানে এসে প্রথম দুই তিন মাস কাজ পাওয়া মুশকিল৷ তবে তারপর কাজ পাওয়া যায়৷ এক্ষেত্রে ইউরোপের অন্যান্য দেশে যে অবস্থা তার চেয়ে জার্মানিতে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কাজের সুবিধা বেশি রয়েছে৷ এছাড়া এখানে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ভালোভাবে যোগাযোগ রাখলে বিশ্ববিদ্যালয়েই বেশকিছু কাজের সুযোগ পাওয়া যায়৷ আর সেক্ষেত্রে একই ক্যাম্পাসে কাজ এবং পড়ালেখা দু'টোই হলে একটু বেশই সুবিধা হয়৷ এএসটিএ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক দপ্তরের সাথে যোগাযোগ রাখলে এ ধরণের কাজের খোঁজ পাওয়া সহজ৷''

তাঁর কৃতিত্বের জন্য আসলাম হোসেনকে অভিনন্দিত করেন রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নানছবি: privat

আসলাম হোসেন জার্মানি আসার আগে বাংলাদেশে পুরান ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করেন৷ এরপর ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে মেডিকেল কলেজে ভর্তির চেষ্টা করেন৷ কিন্তু মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন পড়াশোনা করেন তিনি৷ তবে সেখানে পড়াশোনা শেষ না করেই জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ হলে তিনি এখানে এসে ব্যাচেলর ডিগ্রি করেন৷

সাক্ষাৎকার: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ