স্বাস্থ্যসেবার মান কীভাবে আরও উন্নত করা যায় তা শিখতে জার্মানির হাইডেলব্যার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে একটি মাস্টার্স কোর্স৷ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা সেখানে পড়ালেখা শিখে নিজে দেশে গিয়ে তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন৷
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীদের সবার স্বপ্ন এক – চিকিৎসক, শিক্ষক, গবেষক কিংবা প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি করা৷ নিজ দেশের স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যার সমাধান করতে তাঁরা কীভাবে প্রকল্প তৈরি ও বাস্তবায়ন করতে হয় তা শিখেছেন৷
একজন শিক্ষার্থী আলেসান্দ্রা বুসালেও কাভেরো জানালেন, ‘‘আমি দক্ষিণ অ্যামেরিকার পেরুর অ্যামাজন অঞ্চলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকদের নিয়ে কাজ করি৷ এশিয়ায় দুর্যোগ আর আফ্রিকায় মায়েদের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন মানুষও আমাদের সঙ্গে আছে৷ ফলে আপনি সারা বিশ্ব থেকেই কিছু না কিছু শিখতে পারেন, সফলতার গল্প জানতে পারেন এবং সেগুলো আপনার দেশেও কাজে লাগাতে পারেন৷''
হবু মায়েদের জন্য ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
‘মা’ ডাক শোনার স্বপ্ন প্রতিটি নারীর আর একজন নারী হয়ত পূর্ণতা পান মাতৃত্বেই৷ কিন্তু মা হতে যে দশ মাসের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়! এই পথকে সহজ করা এবং সুস্থ সন্তানের জন্ম দেওয়ার কিছু সহজ উপায় নিয়েই এই ছবিঘরে৷
ছবি: DW
হবু মায়ের অনুভূতি
‘মা’ – এটি একটি মাত্র শব্দ, যার সাথে মিশে আছে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা৷ সন্তানের কাছ থেকে কিছু পাওয়ার আশা না করেই সন্তানকে মা পরম যত্নে বড় করে তোলেন, সেই গর্ভাবস্থা থেকেই৷ পৃথিবীতে একমাত্র মা-ই জানেন সন্তানকে গর্ভে ধারণ করার কষ্ট, ধৈর্য আর আনন্দের অনুভূতিটুকু৷
ছবি: imago/CTK Photo
স্বামী ও পরিবারের অন্যান্যদের সহযোগিতা
গর্ভবতী মায়েদের শরীরে হরমন পরিবর্তনের কারণে এ সময়ে তাঁদের অনেকেই কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে থাকে৷ আর এ কথাটি স্বামীসহ পরিবারের সকলকেই মনে রাখতে হবে৷ তাঁকে খুশি রাখার চেষ্টা করতে হবে, কারণ এতে পরিবারের অনাগত সদস্যটিরই মঙ্গল৷ শারীরিক এবং মানসিকভাবে মা সুস্থ থাকলে তার প্রভাব যে পড়ে শিশুটির ওপরও৷
ছবি: fotolia/diegoa8024
হবু মায়ের দিনের শুরু
‘‘সকালে উঠেই কুসুম গরম পানিতে গোসল সেরে নিন৷ তারপর পুরো শরীরে আস্তে আস্তে অলিভ অয়েল মাসাজ করে নিন৷ অন্য তেলও অবশ্য মালিশ করা যেতে পারে, তবে অলিভ অয়েলে সন্তান জন্মের পর সাধারণত পেটে আর কোনো দাগ থকে না৷’’ এমনটাই বলেন জার্মান ধাত্রী হাইকে শোয়ার্ৎস৷
ছবি: Fotolia/Subbotina Anna
সুন্দর ত্বক
গর্ভকালীন সময়ে শরীরে হরমনের পরিবর্তনের কারণে হবু মায়ের ত্বকেও দেখা দেয় নানা সমস্যা, বিশেষকরে মুখমণ্ডলে৷ তাই সপ্তাহে একবার ‘মাস্ক’ ব্যবহার করতে পারেন৷ যেমন একটি পাকা অ্যাভোকাডোর সাথে দু’চামচ ছানা মিশিয়ে চোখ ছাড়া পুরো মুখে লাগিয়ে দশ মিনিট পর গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন৷ তারপর ভালো কোনো ‘সানস্ক্রিন’ লাগিয়ে ফেলুন৷
ছবি: Fotolia/studiovespa
গর্ভকালীন হালকা ব্যায়াম
ঘরের মেঝেতে পা মুড়ে বসুন এবং হতের তালু সামনে নিয়ে বুকের কাছে রাখুন৷ খুবই মনোযোগ দিয়ে আস্তে আস্তে গভীরভাবে নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিন এবং পেটে থেকে নিঃশ্বাস ছাড়ুন আর ভাবুন – ‘‘এই নিঃশ্বাসের মধ্য দিয়ে আমার সন্তানের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে৷’’ ব্যায়াম কোনো গ্রুপের সাথে করতে পারলে আরো ভালো লাগবে৷
ছবি: Fotolia/Robert Kneschke
হালকা খাবার
এই সময়টাতে অনেকেরই সকালে বেশ খারাপ লাগে বা বমিভাব হয়৷ তাই এক কাপ ভেষজ চা পান করতে পারেন সাথে একটা টোস্ট বা বিস্কুট৷ ধাত্রী হাইকে বলেন, ‘‘এ সময় অনেকেই সকালে গরম নাস্তা পছন্দ করেন৷ আসলে নিজের যা ভালো লাগে সেটাই খাবেন৷ তবে লক্ষ্য রাখবেন যে, সেই খাবার যেন ফাইবার বা আঁশযুক্ত হয়৷ এছাড়া তার সঙ্গে অবশ্যই ফল খেতে ভুলবেন না৷’’
পানি
একজন সুস্থ গর্ভবতীর দিনে কম পক্ষে দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করা উচিত৷ তাই মাঝে মাঝেই অল্প অল্প পানি পান করে নেবেন৷ এতে শরীরটা সারা দিন ঝরঝরে লাগবে এবং রক্ত ঘনও হয়ে যাবে না৷
ছবি: Fotolia/photo 5000
চুলের যত্ন
সাধাণত গর্ভবতী মায়েদের মাথার চুল তেমনভাবে ঝরে না৷ তবে কারো কারো চুলের আগা শুকিয়ে যায়৷ তাই তাঁরা বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন, এতে চুল নরম থাকে৷ তাছাড়া চুলকে সুন্দর ও ঝরঝরে রাখতে সপ্তাহে একদিন রান্নাঘর থেকে দুই টেবল চামচ অলিভ অয়েল, দুই চামচ সাদা দই এবং একটি ডিমের কুসুম মিশিয়ে মাথায় দিয়ে দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন৷
ছবি: Fotolia/Masson
মুক্ত বাতাস সেবন
‘‘শরীর এবং মনকে সুস্থ রাখতে এবং দুটোর মধ্যে সমতা রক্ষা করতে এই বিশেষ সময়টিতে মুক্ত বাতাস সেবন খুবই জরুরি৷ হাঁটাহাঁটি খুব ভালো, তবে গায়ে জোড় দিয়ে কোনোরকম ব্যায়াম করা উচিত নয়৷ এতে হিতে বিপরিত হতে পারে৷ অন্য ব্যায়াম, অর্থাৎ যাঁরা সাঁতার জানেন তাঁদের জন্য কিছুক্ষণ পানিতে থাকা কোমর এবং পিঠে বেশ আরাম দেয়৷’’ বলেন ধাত্রী হাইকে শোয়ার্ৎস৷
ছবি: imago/emil umdorf
দাঁত ব্রাশ
গর্ভবতী মাকে যেন সব সময় আকর্ষণীয় লাগে, সেজন্য দিনে অন্তত দু’বার দাঁত ব্রাশ করতে হবে, তবে নরম ব্রাশ দিয়ে৷ এ সময় অনেকের মাড়ি নরম হয়ে রক্ত ঝরতে পারে৷ তাই দাঁতের মাড়ি শক্ত রাখতে ক্যামেলিয়া চা দিয়ে কুলি করতে পারেন৷ এছাড়া প্রথম ছয় মাস নিয়মিত দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত বলে জানান ধাত্রী শোয়ার্ৎস৷
ছবি: imago/CHROMORANGE
হোম স্পা
‘‘সন্ধ্যায় বাথটবে কুসুম কুসুম গরম পানি ভর্তি করে তাতে এক গ্লাস দুধ ঢেলে দিন, যা ত্বককে মসৃণ করবে৷ কিছুক্ষণ টবে থাকার পর উঠে গায়ে তেল মালিশও করতে পারেন৷ চাইলে বাথটবে হবু মায়ের সঙ্গী বা কোচ হতে পারেন হবু বাবা৷’’ বলেন হাইকে৷
ছবি: Fotolia/Ariwasabi
পায়ের যত্ন
গর্ভবতী মায়ের জন্য সবচেয়ে বেশি ভারী বোধ হয় তাঁর পা দুটো৷ তাই সকালে বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থাতেই দুই পা খানিকটা উঁচু করে একটু একটু করে ঘোরাবেন৷ এতে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়৷ রাতে যদি পা দুটোকে ভারী মনে হয়, তাহলে একটি বাটিতে ঠান্ডা পানি দিয়ে সামান্য লেবুর রস দিন৷ এতে ছোট টাওয়েল ভিজিয়ে পানিটা চিপে উঁচু করা পায়ে দুই মিনিট পেচিয়ে রাখুন৷
ছবি: superfood - Fotolia.com
ডাক্তারি ‘চেকআপ’
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পেটের সন্তানটি যেন ভালোভাবে বড় হতে পারে সেজন্য চাই যথেষ্ট সবুজ শাক-সবজি এবং আয়োডিন৷ আরো দরকার আয়রন এবং ক্যালসিয়াম৷ তাই এ সবের কোনোটারই যেন ঘাটতি না থাকে৷ সুতরাং শারীর আর মনের যত্নের পাশাপাশি প্রয়োজন নিয়মিত ডাক্তারি ‘চেকআপ’-ও৷
ছবি: DW
13 ছবি1 | 13
শিক্ষার্থীদের এই জ্ঞান তাঁদের দেশের মানুষদের জন্য সত্যিই কাজে দেয়৷ বিভিন্ন দেশের সরকার, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এবং গবেষকদের সঙ্গে কাজ করে হাইডেলব্যার্গ বিশ্ববিদ্যালয়৷
লেয়াবেল ওয়ালুসুনা ও সান্ড্রা গেভাল্ট কেনিয়ায় গর্ভবতী মা ও নবজাতকদের স্বাস্থ্য নিয়ে পড়ালেখা করেছে৷ সেখানে একটা বড় সমস্যা হলো, সরকারি হাসপাতালে সেবিকা সংকট৷ কাজের পরিবেশের খারাপ অবস্থা এবং অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে অনেক নার্স কাজ ছেড়ে দেন৷
লেয়াবেল ওয়ালুসুনা জানান, কেনিয়ার সরকারি হাসপাতালে কখনও কখনও তিন মা একটিমাত্র বেড শেয়ার করেন৷ সরকারি স্বাস্থ্যসেবার এটাই স্বাভাবিক অবস্থা৷ মায়েরা যখন সন্তানের জন্ম দেন তখন বাচ্চাদেরও তাঁদের সঙ্গে রাখা হয়৷ ফলে এক বিছানায় তিন মা ও তিন শিশুকে একসঙ্গে থাকতে হয়৷
কেনিয়ার তিনটি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা মা ও শিশুদের নিয়ে কাজ করেছেন সান্ড্রা গেভাল্ট৷ তাঁর কাছে থাকা তথ্য বলছে, হাসপাতালে কর্মীর সংখ্যা বাড়িয়ে ও জরুরি জেনারেটরের ব্যবস্থা করে মৃত্যুর সংখ্যা কমানো যায়৷ সান্ড্রা গেভাল্ট বলেন, ‘‘যখন আপনার কাছে এমন এক রোগী আসবেন যিনি এইচআইভি পজিটিভ, যিনি বাচ্চার জন্ম দেবেন, যাঁর শরীরে সেলাই করতে হবে, কিন্তু আলো নেই, তখন আপনি কীভাবে সেলাই করবেন? বেশিরভাগ সময় হ্যান্ডগ্লভসও থাকে না৷ ডাক্তার ও ধাত্রীরা এমন সব রোগী নিয়ে কাজ করেন যাদের শরীরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, যেখানে আঘাত রয়েছে৷ তাঁদের সেলাই করতে হবে, কিন্তু হ্যান্ডগ্লাভস নেই, আলোর ব্যবস্থা নেই৷ তখন তাঁরা কী করেন? তখন তাঁরা স্মার্টফোনের আলো দিয়ে কাজ করেন৷''
রুটিন চেকআপ করুন, দীর্ঘজীবী হোন
প্রায়ই শোনা যায় রোগী ডাক্তারের কাছে যেতে দেরি করে ফেলায় আর কিছু করার নেই৷ তাই অনেক ক্ষেত্রে আগে থেকে সতর্কতা অবলম্বন করা বা নিয়মিত প্রয়োজনীয় ডাক্তারি ‘চেকআপ’ করালে সুস্থভাবে দীর্ঘজীবী হওয়া সম্ভব৷
ছবি: Fotolia/E. Kharichkinan
জার্মানদের গড় আয়ু বেড়েছে
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে জার্মান পুরুষদের আনুমানিক গড় আয়ু ৭২ আর নারীদের গড় আয়ু ৭৮ বছর ছিল৷ ২০১২ সালে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পুরুষদের ৭৮ বছর আর মহিলাদের ৮৩ বছর৷ এই গড় আয়ু বাড়ার কারণের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর খাবার, ডাক্তারি চেকআপ, সচেতনতা এবং আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা৷
ছবি: Alexander Raths/Fotolia.com
সচেতনতা না শনাক্তকরণ?
আগে থেকে সচেতন হলে কঠিন অসুখ হওয়ার প্রবণতা কমে৷ অন্যদিকে রোগ দ্রুত শনাক্ত করা গেলে, অর্থাৎ সময় থাকতে ডাক্তারের কাছে গেলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়৷ অনেক অসুখের ক্ষেত্রেই আগে থেকে চেকআপের ব্যবস্থা রয়েছে, যা সত্যিই উপকারে আসে৷
ছবি: MSF
জার্মানির স্বাস্থ্যবীমা
জার্মানিতে যাঁদের স্বাস্থ্যবীমা রয়েছে, তাঁদের, অর্থাৎ নারী-পুরুষ সকলেরই ‘‘চেকআপ ৩৫’’ বা পুরো শরীর চেকআপ করানোর অধিকার আছে৷ এর জন্য বছরে অন্তত একবার পারিবারিক ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন৷ রক্ত, ব্লাড প্রেশার, ইসিজি, কিডনি, ডায়বেটিস, ক্যানসার ইত্যাদির পরীক্ষা তিনিই করিয়ে দেন৷
ছবি: Max Tactic - Fotolia.com
অন্ত্র বা পাকস্থলীর সতর্কতামূলক চেকআপ
৫৫ বছর বয়স থেকে প্রতিটি মহিলা এবং পুরুষদের পুরো অন্ত্রের পরীক্ষা করানো প্রয়োজন৷ ‘কোলোনোস্কোপি’ নামক এই পরীক্ষাটি একমাত্র পরীক্ষা, যা গোটা অন্ত্রের, অর্থাৎ বৃহদান্ত্র এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের কোনো সমস্যা থাকলে তা ধরতে সাহায্য করে৷
ছবি: Fotolia/Sebastian Kaulitzki
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
ফ্রাংকফুর্ট আম মাইনের ইয়োহান ভল্ফগাং গ্যোটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসার ডাক্তার ফ্যারদিনান্দ এম গ্যারলাখ বলেন, ‘‘অন্ত্রের ক্যানসার হওয়ার আগে ছোট্ট ‘পলিপ’ দিয়ে শুরু হয়, যা আগে ধরা পড়লে তা কেটে ফেলে ক্যানসারের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়া যায়৷ অবশ্য পাশাপাশি প্রতি দুই বছর অন্তর মলও পরীক্ষা করা উচিত৷’’
ছবি: picture alliance/dpa
স্তন ক্যানসার
মেয়েদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা দিনদিনই বাড়ছে৷ এর নিদিষ্ট কোনো কারণ এখনও জানা না গেলেও জন্ম নিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেট, হরমন সেবন বা পরিবারের কারো ব্রেস্ট ক্যানসার থাকলে – স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে৷ তবে যে মা শিশুকে বুকের দুধ পান করান, তাঁর ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কিছুটা কম৷
ছবি: Fotolia/evgenyatamanenko
মেমোগ্রাফি চেকআপ
জার্মানিতে ৩০ বছরের বেশি বয়সের মেয়েদের জন্য স্তন ক্যানসারের চেকআপ রুটিন চেকআপের মধ্যে পড়ে৷ স্ত্রী বিশেষজ্ঞের কাছে প্রতি ছ’মাস অন্তর বিনা খরচে এই পরীক্ষা করা যায়৷ এছাড়া ৫০ থেকে ৬৯ বছর বয়সি নারীদের মেমোগ্রাফির পরীক্ষার জন্য বিশেষভাবে চিঠি লিখে মনে করিয়ে দেওয়া হয়৷
ছবি: picture alliance/CHROMORANGE
অনেক নারীরই অজানা
অনেক মহিলাই জানেন না যে মেমোগ্রাফি সচেতনতা নয়, স্তন ক্যানসার শনাক্ত করার অন্যতম উপায়৷ সময়মতো মেমোগ্রাফি করানো হলে এবং তাতে ক্যানসারে আক্রান্ত টিউমার সময়মতো ধরা পড়লে, মৃত্যুর ঝুঁকি কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব৷ তাই নিয়মিত চেকআপ করাকে হাল্কাভাবে না নেওয়ারই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পুরুষদের প্রস্টেট চেকআপ
পুরুষদের ক্ষেত্রে ৪৫ বছরের বেশি বয়েস হলে অবশ্যই ইউরোলজিস্টের কাছে প্রস্টেট ক্যানসারের পরীক্ষা করা উচিত৷ তবে যাঁদের পরিবারে প্রস্টেট ক্যানসারের ইতিহাস রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে অবশ্যই আরো আগে থাকতে চেকআপ করানো উচিত৷
ছবি: picture alliance / dpa
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ
আজকের এই যান্ত্রিক জীবনযাত্রায় মানুষের রয়েছে নানা রকম স্ট্রেস বা মানসিক চাপ৷ তাই শরীরে কোনো অসুবিধা বোধ না করলেও, বছরে একবার পুরো শরীরের ‘রুটিন চেকআপ’ করানো আগের তুলনায় অনেক বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে৷