1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে পড়াশোনা

কর্নেলিয়া বরমান/জেডএইচ৩ ডিসেম্বর ২০১৫

স্বাস্থ্যসেবার মান কীভাবে আরও উন্নত করা যায় তা শিখতে জার্মানির হাইডেলব্যার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে একটি মাস্টার্স কোর্স৷ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা সেখানে পড়ালেখা শিখে নিজে দেশে গিয়ে তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন৷

Symbolbild - Stethoskop
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul

শিক্ষার্থীদের সবার স্বপ্ন এক – চিকিৎসক, শিক্ষক, গবেষক কিংবা প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি করা৷ নিজ দেশের স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যার সমাধান করতে তাঁরা কীভাবে প্রকল্প তৈরি ও বাস্তবায়ন করতে হয় তা শিখেছেন৷

একজন শিক্ষার্থী আলেসান্দ্রা বুসালেও কাভেরো জানালেন, ‘‘আমি দক্ষিণ অ্যামেরিকার পেরুর অ্যামাজন অঞ্চলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকদের নিয়ে কাজ করি৷ এশিয়ায় দুর্যোগ আর আফ্রিকায় মায়েদের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন মানুষও আমাদের সঙ্গে আছে৷ ফলে আপনি সারা বিশ্ব থেকেই কিছু না কিছু শিখতে পারেন, সফলতার গল্প জানতে পারেন এবং সেগুলো আপনার দেশেও কাজে লাগাতে পারেন৷''

শিক্ষার্থীদের এই জ্ঞান তাঁদের দেশের মানুষদের জন্য সত্যিই কাজে দেয়৷ বিভিন্ন দেশের সরকার, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এবং গবেষকদের সঙ্গে কাজ করে হাইডেলব্যার্গ বিশ্ববিদ্যালয়৷

লেয়াবেল ওয়ালুসুনা ও সান্ড্রা গেভাল্ট কেনিয়ায় গর্ভবতী মা ও নবজাতকদের স্বাস্থ্য নিয়ে পড়ালেখা করেছে৷ সেখানে একটা বড় সমস্যা হলো, সরকারি হাসপাতালে সেবিকা সংকট৷ কাজের পরিবেশের খারাপ অবস্থা এবং অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে অনেক নার্স কাজ ছেড়ে দেন৷

লেয়াবেল ওয়ালুসুনা জানান, কেনিয়ার সরকারি হাসপাতালে কখনও কখনও তিন মা একটিমাত্র বেড শেয়ার করেন৷ সরকারি স্বাস্থ্যসেবার এটাই স্বাভাবিক অবস্থা৷ মায়েরা যখন সন্তানের জন্ম দেন তখন বাচ্চাদেরও তাঁদের সঙ্গে রাখা হয়৷ ফলে এক বিছানায় তিন মা ও তিন শিশুকে একসঙ্গে থাকতে হয়৷

কেনিয়ার তিনটি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা মা ও শিশুদের নিয়ে কাজ করেছেন সান্ড্রা গেভাল্ট৷ তাঁর কাছে থাকা তথ্য বলছে, হাসপাতালে কর্মীর সংখ্যা বাড়িয়ে ও জরুরি জেনারেটরের ব্যবস্থা করে মৃত্যুর সংখ্যা কমানো যায়৷ সান্ড্রা গেভাল্ট বলেন, ‘‘যখন আপনার কাছে এমন এক রোগী আসবেন যিনি এইচআইভি পজিটিভ, যিনি বাচ্চার জন্ম দেবেন, যাঁর শরীরে সেলাই করতে হবে, কিন্তু আলো নেই, তখন আপনি কীভাবে সেলাই করবেন? বেশিরভাগ সময় হ্যান্ডগ্লভসও থাকে না৷ ডাক্তার ও ধাত্রীরা এমন সব রোগী নিয়ে কাজ করেন যাদের শরীরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, যেখানে আঘাত রয়েছে৷ তাঁদের সেলাই করতে হবে, কিন্তু হ্যান্ডগ্লাভস নেই, আলোর ব্যবস্থা নেই৷ তখন তাঁরা কী করেন? তখন তাঁরা স্মার্টফোনের আলো দিয়ে কাজ করেন৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ