জার্মান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত
২৩ অক্টোবর ২০১৪
বুধবার জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, জন কেরির সঙ্গে বৈঠকে যেসব বিষয় আলোচিত হয়েছে বলে জানান, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের আড়ি পাতার বিষয়টির উল্লেখ নেই৷ ম্যার্কেল বলেন, ‘‘দু দেশ এখন ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে – এটা আনন্দের৷ (ম্যার্কেল এবং কেরি) দুজনে একসঙ্গে যেটুকু সময় কাটাবো সে সময়টা (ব্যস্ততায়) ঠাসা থাকবে৷'' ম্যার্কেল জানান, দু দেশের আলোচনায় আফগানিস্তান থেকে শুরু করে ইবোলা ভাইরাস পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিষয়ই গুরুত্ব পাবে৷
এ সময় জন কেরি জানান, চলতি বিশ্বের কিছু সংকট নিরসনের বিষয়ে আলোচনা করাই তাঁর এ সফরের মূল উদ্দেশ্য৷ আফগানিস্তানের সঙ্কট নিরসনে জার্মানির ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘আফগানিস্তানের জনগণের হাতে নিজেদের ভবিষ্যৎ স্থির করার ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার কাজে জার্মানি আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার৷''
এর আগে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার-এর সঙ্গে বৈঠক করেন জন কেরি৷ সেখানে ইউক্রেন-সংকটই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে৷ এ প্রসঙ্গে কেরি বলেন, ‘‘রাশিয়ার ক্রাইমিয়া নিয়ন্ত্রণে নেয়া এবং পূর্ব ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন দেয়াটা সার্বভৌমত্বের সীমা লঙ্ঘনের শামিল৷'' তিনি জানান, রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সংঘাত চায়না৷ অদূর ভবিষ্যতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিরসনে রাশিয়াকে সঙ্গে নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে বলেও জানান তিনি৷
ইরাকে সব পক্ষের প্রতিনিধিত্বের সরকার ক্ষমতায় আসার বিষয়টি দু দেশের দৃষ্টিতেই ইতিবাচক পরিবর্তন৷ তবে ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস-এর তৎপরতা নিয়ে দু দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ স্টাইনমায়ার জানান, আইএস-কে কী ভাবে রোখা যায় – এ বিষয়েও জন কেরির সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর৷
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরে এনএসএ-র গোয়েন্দাদের আড়ি পাতার বিষয়টির ন্যূনতম গুরুত্ব পাওয়ারও লক্ষণ নেই৷ বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটা দু দেশের সম্পর্কোন্নয়েরই লক্ষণ৷
এসিবি/এসবি (ডিপিএ)