শীর্ষ জার্মান আইনপ্রণেতারা তুরস্কে ইইউ’র অর্থ সহায়তা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন৷ নতুন শুল্ক ইউনিয়ন নিয়ে দেশটির সাথে আলোচনাও বন্ধ করতে চান তাঁরা৷ এক জার্মান নাগরিককে আটকে রেখেছে তুরস্ক, খবর পাওয়ার পর এলো এমন প্রতিক্রিয়া৷
বিজ্ঞাপন
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান দেশটিতে স্বৈরশাসন চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন জার্মানির সামাজিক গণতন্ত্রীদের নেতা মার্টিন শুলৎস৷ দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ চান তিনি৷
তিনি বলেন, ‘‘এমন এক প্রেসিডেন্টকে কিভাবে সহ্য করা যেতে পারে? নিজের দেশ তো বটেই, তিনি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও সব ধরনের সংযমের মাত্রা অতিক্রম করেছেন৷'' জার্মানির পাবলিক ব্রডকাস্টার এআরডি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘নির্দোষ জার্মান নাগরিকরা একটি স্বৈরচারী দেশের কারাগারে যন্ত্রণা ভোগ করছে, এ আমরা কিভাবে সহ্য করবো?''
তুরস্কের শিল্পীদের আঁকা ব্যঙ্গচিত্র
যে দেশে সংবাদপত্রের স্বধীনতার মুখ চেপে ধরা হয়েছে, সে দেশে কার্টুনিস্টরা কতদূর যেতে সাহস করেন? জার্মানির কাসেল শহরের কারিকাটুরা গ্যালারিতে তুর্কি ব্যঙ্গচিত্রের কিছু নমুনা প্রদর্শিত হচ্ছে৷
ছবি: Caricatura/Ramize Erer
‘আমি কোথায়?’ ভাবছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল
২০১৫ সালে তুরস্কের ‘লেমান’ ব্যঙ্গপত্রিকার প্রচ্ছদে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে দেখানো হয় ‘সুলতান’ এর্দোয়ানের পাশে বসা অবস্থায়৷ ‘এ আমি কোথায় এসে পড়লাম?’ ভাবছেন ম্যার্কেল; তাঁর পরনেও মধ্যযুগীয় অভিজাত জার্মান মহিলাদের বাস৷ ইস্তানবুলের তিনটি নেতৃস্থানীয় ব্যঙ্গপত্রিকার মধ্যে ‘লেমান’ অন্যতম৷ তুর্কি প্রধানমন্ত্রী দাভুতোগলু একবার পত্রিকাটিকে ‘‘নীতিবিগর্হিত’’ বলে অভিহিত করেছিলেন৷
ছবি: LeMan/Caricatura
বুদ্ধিমানেরা সবাই জেলে
২০১৬ সালের জুলাই মাসের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর তুরস্কে দেড় লাখ মানুষকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে ও ৪০ হাজার মানুষকে জেলে পোরা হয়েছে – তাদের মধ্যে বহু সাংবাদিক, লেখক ও আন্দোলনকারী৷ ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে আঁকা এই কার্টুনটিতে ৬৬ বছর বয়সি কার্টুনিস্ট ইজেল রোজেনটাল দেখাচ্ছেন, বন্দিরা কীভাবে একটি অশোভন মুদ্রা প্রদর্শন করছে আর প্রহরীরা বলছে, তারা এই ‘বেজন্মা’ বুদ্ধিজীবীদের কি পরিমাণ ঘৃণা করে৷
ছবি: Rozental/Caricatura
গুলেন সর্বত্র
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনরত ফেতুল্লাহ গুলেন ও তাঁর সমর্থকরা জুলাইয়ের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের জন্য দায়ী, বলে এর্দোয়ানের অভিযোগ এবং বহু তুর্কি নাগরিক সত্যিই তা বিশ্বাস করেন৷ কার্টুনিস্ট ইগিট ওয়েজগুর-র ব্যঙ্গচিত্রে এক তুর্কি বলছেন: ‘‘৯০ শতাংশ তরমুজ নাকি গুলেনের শিষ্য৷’’ সঙ্গের তুর্কিটি বলছেন: ‘‘হতেই পারে৷’’
ছবি: Özgür/Caricatura
এর্দোয়ানের বিপক্ষে গেলেই বিপদ
গত এপ্রিল মাসের গণভোটে ৫১ দশমিক তিন শতাংশ ‘হ্যাঁ’ ভোটে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবটি গৃহীত হয় ও প্রেসিডেন্টের প্রভূত ক্ষমতা বাড়ে৷ ভোটের আগে মিডিয়াকে বিরোধীদের হয়ে ‘হায়ির’ বা ‘না’ ভোটের সপক্ষে আন্দোলনের খবর খোলাখুলিভাবে প্রচার করতে দেওয়া হয়নি৷ তাই মার্চ মাসে ইপেক ওয়েজসুসলু এই কার্টুনটি আঁকেন: জলের মিস্ত্রির পশ্চাদ্দেশে ‘হায়ির’ উল্কিটা বেরিয়ে পড়েছে৷
ছবি: Özsüslu/Caricatura
ট্রাম্পও বাদ যাননি
এর্দোয়ানই তুর্কি ব্যঙ্গচিত্রশিল্পীদের একমাত্র লক্ষ্য নন৷ বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্র যাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কার্টুনিস্টদের বিরাগভাজন হয়েছেন৷ ছবির কার্টুনটিতে বন্দুকধারী মার্কিন সৈন্যের পিছনে একটি ছেলে তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করছে, ‘ওদের আমরা শেষমেষ কবে তাড়াব, বাবা?’ বাবা বলছেন, ‘আমাদের তেল ফুরোলে৷’
ছবি: Karabulat/Caricatura
সেক্স যেখানে টাবু
তুরস্কে যৌনতা নিয়ে প্রকাশ্যে আলাপ-আলোচনা চলে না – বিশেষ করে মহিলাদের যৌনতা নিয়ে তো নয়ই৷ মহিলা কার্টুনিস্ট রামিজে এরার-এর মোটাসোটা ‘ব্যাড গার্ল’ রক্ষণশীল সমাজের ধার ধারে না৷ ছবিতে সেই ব্যাড গার্ল পরপুরুষের সঙ্গে রাত কাটানোর পর সেল্ফি তুলছে; প্রেমিক বেচারা ভয়ে জড়োসড়ো: তার গিন্নি যদি ঐ ছবি ফেসবুকে দেখে ফেলেন?
ছবি: Caricatura/Ramize Erer
দুনিয়াদারি
কার্টুনিস্ট মেহমেত চাগচাগ-এর দৃষ্টিতে দুনিয়ার অবস্থা আজ একটি ছবি দিয়েই বোঝানো যায়: বাগদাদ থেকে এথেন্স, বার্লিন থেকে প্যারিস অবধি এক পর্যায় ঘড়ি, আবহাওয়া অফিসে, পত্রিকার নিউজরুমে, হোটেল অথবা এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে যেরকম থাকে – প্রতিটি ঘড়ি আসলে একটি টাইম বোমা, প্রত্যেকটির পিছনে ডায়নামাইট বাঁধা রয়েছে৷ শুধু কোনটা যে কখন ফাটবে, সেটা জানা নেই৷
ছবি: Cagcag/Caricatura
7 ছবি1 | 7
জার্মানির সরকারি তথ্যমতে, অন্তত ৫৪ জন নাগরিক তুরস্কের কারাগারে আছেন, এর মধ্যে ১০ জন আটক আছেন রাজনৈতিক কারণে৷ আটকদের মধ্যে আছেন দুই হাইপ্রোফাইল বন্দি – সাংবাদিক ডেনিস ইয়ুসেল এবং মানবাধিকারকর্মী পেটার স্টয়েড্টনার৷
সেপ্টেম্বরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বর্তমান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং তাঁর খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী শুলৎস৷ তিনি মনে করেন, এর্দোয়ান সহযোগিতা করতে রাজী না হলে, জার্মানির উচিত নিজের মতো করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া৷
শুলৎস বলছেন, তুরস্কের সাথে শুল্ক ইউনিয়ন নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তা এখনই বন্ধ করে দেয়া উচিত৷ তুর্কি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আরো বেশি মুক্ত বাণিজ্যের সুবিধা দিতে ১৯৯৫ সালের চুক্তির সংশোধন চায় তুরস্ক৷
এখনই সময়
বাভারিয়া অঞ্চলে খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দলের সহযোগী দল খ্রিষ্টীয় সামাজিক ইউনিয়ন (সিডিইউ)-এর নেতা হ্যোর্স্ট জেহোফার তুরস্কের সাথে সব ধরনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান জানিয়েছেন৷ জার্মানির ফুঙ্কে মিডিয়া গ্রুপকে তিনি বলেন, ‘‘তুরস্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের জন্য প্রস্তুত করতে যে অর্থ খরচ করা হচ্ছে, তা এখনই বন্ধ করা উচিত৷'' প্রতি সপ্তাহেই আঙ্কারা নতুন নতুন হুমকি সৃষ্টি করছে বলেও মনে করেন তিনি৷
২০১৪ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে তুরস্কের সাড়ে চার বিলিয়ন ইউরো অর্থসাহায্য পাওয়ার কথা৷ ইইউ-র সদস্য হওয়ার আগে তুর্কি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইউরোপের মানে উন্নীত করাই এই সহায়তার লক্ষ্য৷
ব্যর্থ অভ্যুত্থান দিবসে তুরস্কের দুই চিত্র
ব্যর্থ অভ্যুত্থানের বছর পূর্তিতে তুরস্কের সব পথই ছিল প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান সমর্থকদের দখলে৷ তবে ডয়চে ভেলের ডিয়েগো কুপোলো আঙ্কারায় এর্দোয়ান সমালোচকদের সভয় উপস্থিতিও দেখেছেন৷ কুপোলোর তোলা ছবি নিয়েই আজকের ছবিঘর....
ছবি: DW/D. Cupolo
এক বছর পর
শনিবার ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার বর্ষপূর্তি উদযাপন করেছে তুরস্ক৷ গত বছরের ১৫ জুলাই সেনাবাহিনীর একাংশের অভ্যুত্থানের প্রয়াসকে রুখতে গিয়ে যে ২৫০ জন প্রাণ দিয়েছিলেন, তাঁদের স্মরণ করা হয়েছে শ্রদ্ধাভরে৷ দেশের প্রায় সব শহরের রাস্তায়ই নেমে এসেছিল প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানের অগনিত সমর্থক৷ সবচেয়ে বড় জমায়েত দেখা গেছে ইস্তান্বুলের বসফরাস ব্রিজ এবং আঙ্কারার কেন্দ্রস্থলে৷
ছবি: DW/D. Cupolo
ব্যর্থ অভ্যুত্থান-পরবর্তী অস্বাভাবিকতা
শনিবারের গণজমায়েতে এমন অনেকেই ছিলেন, অভ্যুত্থান চেষ্টা রুখতে যাঁরা প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছেন৷ নির্বাচিত সরকারকে অপসারণের চেষ্টা রুখতে তাঁদের কেউ কেউ সরাসরি সেনা সদস্যদের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন৷ সেদিন এর্দোয়ান-বিরোধীরা মূলত ঘরে বসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করেছেন৷ এক বছর ধরে চলমান জরুরি অবস্থার মধ্যে শনিবারও পরিস্থিতি প্রায় সেরকমই ছিল৷
ছবি: DW/D. Cupolo
গণতন্ত্রের প্রতি সজাগ দৃষ্টি
আঙ্কারার সমাবেশে একটি ব্যানারে লেখা, ‘‘আমরা গণতন্ত্রের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রেখে চলেছি৷’’ এক বছর আগে এর্দোয়ান সমর্থকদের বিশাল জমায়েতের দিকে ইঙ্গিত করেই লেখা হয়েছে বাক্যটি৷ এর্দোয়ান সমর্থকরা মনে করেন, দেশান্তরী ইসলামি নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন এখনো অভ্যুত্থানের পাঁয়তারা করছেন৷ এক বছর আগের কথিত অভ্যুত্থান প্রয়াসের জন্য গুলেন এবং তাঁর সমর্থকদেরই দায়ী করে এর্দোয়ান সরকার৷
ছবি: DW/D. Cupolo
‘শুদ্ধি অভিযান’
অভ্যুত্থান চেষ্টার পর থেকেই তুরস্কে চলছে ব্যাপক ধরপাকড় এবং গণছাঁটাই৷ গত এক বছরে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে কারাবন্দি এবং দেড় লাখের মতো মানুষকে চাকরিচ্যুত করেছে এর্দোয়ান সরকার৷ ‘গুলেন সমর্থক’ হিসেবে চিহ্নিত করে চালানো হচ্ছে এই গ্রেপ্তার ও ছাঁটাইয়ের অভিযান৷ বলা হচ্ছে, গণতন্ত্রকে দীর্ঘজীবী করার জন্য এই ‘শুদ্ধি অভিযান’ দরকার৷
ছবি: DW/D. Cupolo
লাগাতার জরুরি অবস্থা এবং শঙ্কা
২০১৬ সালের ১৫ জুলাইয়ের সেই অভ্যুত্থান-চেষ্টা ব্যর্থ হবার পর থেকেই চলছে জরুরি অবস্থা৷ শনিবারে সমাবেশে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুণ বলছিলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন, কেননা, এখন সৈন্যদের যা খুশি তা-ই করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে৷ আমি মনে করি, জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে যদি কোনো গণভোট হতো, তাহলে অধিকাংশ নাগরিকই মেয়াদ বাড়ানোর বিপক্ষে ভোট দিতো৷ ’’
ছবি: DW/D. Cupolo
‘জনগণ আপনার সাথে আছে’
সমাবেশে যোগ দেয়া এক এর্দোয়ান সমর্থকের হাতের ব্যানারে লেখা, ‘‘শক্ত থাকুন, জনগণ আপনার সঙ্গে আছে৷’’
ছবি: DW/D. Cupolo
‘আমরা অনেক অধিকার হারিয়েছি’
তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শহর সিরমাকের মানবাধিকার আইনজীবী সেয়মা উর্পার৷ এর্দোয়ান-বিরোধী এবং সমালোচকদের দুরবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘অভ্যুত্থানের পর আমার পৌরসভার প্রায় সব কর্মীকেই ছাঁটাই করা হয়৷মেয়রের জায়গায় কাজ চালাচ্ছে সরকার নিযুক্ত ট্রাস্টি৷ আমরা অনেক অধিকার হারিয়েছি৷ আমার পক্ষে কাজ করা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে৷’’
ছবি: DW/D. Cupolo
‘আমাদের দেশ যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী’
এরল কানমাজ এর্দোয়ান সমর্থক৷ অভ্যুত্থান চেষ্টার সময় প্রতিরোধ গড়তে গিয়ে তাঁর এক সন্তান সেনাবাহিনীর গুলিতে আহত হয়৷ এর্দোয়ানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘‘আজ রাতে এখানে এসেছি আমার জন্মভূমিকে রক্ষা করতে৷ গুলেনপন্থি বিশ্বাসঘাতকরা সেনাবাহিনীকে দ্বিধাগ্রস্থ করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু এখন আমাদের দেশ অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী৷’’
ছবি: DW/D. Cupolo
‘প্রাণ দিতে বললে প্রাণ দেবো’
সুরেয়া কালায়াচি নামের এক এর্দোয়ান সমর্থকের (বাম দিকে) টি-শার্টে লেখা, ‘‘একটা ডাকই যথেষ্ট৷ ডাকুন আমাদের, আমরা চলে আসবো৷ মৃত্যু বরণ করতে বলুন, আমরা মৃত্যুকে বরণ করে নেবো৷’’
ছবি: DW/Diego Cupolo
‘আমরা অটোমানদের নাতি-নাতনি’
এর্দোয়ানের আরেক ভক্ত তুলে ধরেছেন, ‘আমরা অটোমানদের নাতি-নাতনি’ লেখা ব্যানার৷
ছবি: DW/D. Cupolo
10 ছবি1 | 10
শাপে বর?
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েলও আঙ্কারার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন৷ কিন্তু পাশাপাশি কঠোর পদক্ষেপ উলটো এর্দোয়ানের হাতই শক্তিশালী করবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি৷ বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইইউতে তুরস্কের অন্তর্ভূক্তির আলোচনা একেবারে বন্ধ করা উচিত হবে না৷ কারণ, গাব্রিয়েল মনে করেন, ‘‘ঠিক এর জন্যই অপেক্ষা করছেন এর্দোয়ান৷''
‘‘তিনি তখন এটা প্রমাণ করতে পারবেন যে, তুরস্ক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছে ইউরোপ৷ তার নিজের ঘরে এত বিবাদ যে তাকে এখন বিদেশে শত্রু খুঁজতে হচ্ছে৷''
তবে এরই মধ্যে জার্মান সরকার তুরস্কের ব্যাপারে কিছুটা সতর্কতামূলক অবস্থান নিয়েছে৷ জার্মান নাগরিকদের তুরস্ক ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে সরকার৷ জার্মান প্রতিষ্ঠানগুলোকেও তুরস্কে বিনিয়োগ ও ব্যবসা করার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবেই নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে৷