1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোনিন্দুক দল কায়েম হচ্ছে

প্রতিবেদন: বেন নাইট/ এসি১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪

মাত্র গতবছর যে দলের জন্ম, সেই ‘জার্মানির জন্য বিকল্প’ বা এএফডি দল প্রথমে ইউরোপীয় সংসদের নির্বাচনে, তারপর জার্মানির তিনটি রাজ্যের বিধানসভায় দারুণ ফলাফল করেছে৷ এরপরেও অবশ্য তারা ‘‘প্রতিবাদী দল'' ছাড়া আর কিছু নয়৷

Landtagswahlen in Sachsen 2014 AfD Lucke
ছবি: picture-alliance/dpa

গত মে মাসে ইউরোপীয় সংসদের নির্বাচনে জার্মানির ৯৬টি আসনের মধ্যে সাতটি আসন জয় করে এএফডি৷ স্যাক্সনির রাজ্য নির্বাচনে তারা ভোট পেয়েছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ৷ রবিবার ব্রান্ডেনবুর্গ আর থুরিঙ্গিয়ার নির্বাচনে তারা ভোট পেয়েছে ১২ দশমিক দুই এবং ১২ দশমিক চার শতাংশ৷ অথচ মাত্র ১৯ মাস আগে হেসে রাজ্যের একটি ছোট্ট শহরে জন্ম নেয় জার্মানির সর্বাধুনিক – এবং সফল – রাজনৈতিক দল৷

অথচ এই সাফল্য গোড়া থেকেই আসেনি৷ গতবছরের সেপ্টেম্বর মাসে জার্মানির সংসদীয় নির্বাচনে ন্যূনতম পাঁচ শতাংশ ভোটের বেড়া পার হতে পারেনি এএফডি৷ কাজেই তারাও ‘পিরাটেন' অর্থাৎ ‘পাইরেটস' বা ‘জলদস্যু' দলের মতো একবার জ্বলে উঠেই আকাশে মিলিয়ে যাবে, বড় দলগুলি এ' আশা করে থাকতে পারে৷ জার্মানির ঐ ‘জলদস্যুরা'-ও এসেছিল ‘নেট', অর্থাৎ ইন্টারনেট ও তরুণ প্রজন্মের উপর নির্ভর করে, নেটের স্বাধীনতার বুলি মুখে নিয়ে৷ বাস্তব রাজনীতি তাদের শীঘ্রই ধরে ফেলেছে৷ এবং ‘জার্মানির জন্য বিকল্প'-কেও শীঘ্রই গিলে ফেলবে, ভবিষ্যদ্বাণী করছিলেন পণ্ডিতেরা৷

এএফডি'র উৎপত্তি এবং বিকাশ ম্যার্কেলের রক্ষণশীল দলের অসন্তুষ্ট ও বিদ্রোহী সদস্যদের নিয়েছবি: picture-alliance/dpa

ইউরো-নিন্দুক

ইউরোপের আর্থিক সংকটের পটভূমিতে ইউরো'কে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে ডয়েচমার্ক'কে ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন থেকে যে দলের জন্ম, সেই আর্থিক সংকট নিয়ে আজ জার্মানিতে খুব কম মানুষই মাথা ঘামিয়ে থাকেন৷ রক্ষণশীল চিন্তাধারার অর্থনীতিবিদরাই এই নতুন দলের প্রতিষ্ঠাতা, যেমন তাদের বর্তমান প্রধান ব্যার্ন্ড লুকে৷ লুকে প্রমুখ চিন্তাবিদরা চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের আর্থিক নীতি নিয়ে বিশেষ সুখী ছিলেন না৷ এমনকি এএফডি'র গোড়ার দিকের একটি ইশতাহারে বলা হয়েছিল: ‘‘ইউরো মুদ্রা এলাকা বিশেষ টেকসই প্রমাণিত হয়নি৷ প্রতিযোগিতার মুখে দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলি আরো দরিদ্র হয়ে পড়েছে৷ একাধিক দেশ দেউলিয়া হবার মুখে৷''

অপরদিকে লোকের কানে এবং মনে লাগার মতো স্লোগানের অভাব ছিল না এএফডি'র, সেকালেও নয়, একালেও নয়, যেমন: ‘‘গ্রিকরা ভুগছে; জার্মানরা তার দাম চোকাচ্ছে; ব্যাংকরা মুনাফা করছে৷''

নয়তো এএফডি'তে কিন্তু জাতীয়তাবাদের কোনো স্পর্শ পাওয়া যাবে না৷ তারা ব্রিটেনের ইউকেআইপি কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের টি পার্টি আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা পছন্দ করে না৷ এমনকি তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও বিরোধী নয়: তারা শুধু ইউরোপে ক্ষমতার উত্তরোত্তর কেন্দ্রীকরণের বিরুদ্ধে৷

রক্ষণশীল চিন্তাধারার অর্থনীতিবিদরাই এই নতুন দলের প্রতিষ্ঠাতাছবি: Reuters

নিও-কনজারভেটিভ?

বস্তুত এএফডি'র উৎপত্তি এবং বিকাশ ম্যার্কেলের রক্ষণশীল দলের অসন্তুষ্ট ও বিদ্রোহী সদস্যদের নিয়ে৷ এএফডি চায় জার্মানির গণতান্ত্রিক প্রণালীর বুনিয়াদি সংস্কার - এবং সুইজারল্যান্ডের পদ্ধতিতে বড় বড় প্রাসঙ্গিক ইস্যুগুলিতে গণভোটের ব্যবস্থা৷ যেখানে এএফডি ডান থেকেও ডান-ঘেঁষা হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটা হলো অভিবাসনের প্রশ্নে৷

পূর্ব ইউরোপের দেশগুলি থেকে ইইউ'এর নতুন নাগরিকরা জার্মানিতে আসছে এখানকার সামাজিক ভাতার সুবিধা নিতে - এ'ধরনের মনোভাব, বলতে কি, উগ্র দক্ষিণপন্থিদের মধ্যেও বিরল নয়৷ অথচ গতবছর ব্যার্ন্ড লুকে স্বয়ং এই নবাগতদের এক ধরনের ‘‘সামাজিক তলানি''-র সঙ্গে তুলনা করেছেন৷ কাজেই এএফডি যদি স্যাক্সনি'তে নব-নাৎসি এনডিপি দলের সমর্থকদের কাছ থেকে বেশ কিছু ভোট টেনে থাকতে পারে, তাহলে আশ্চর্য হবার কিছু নেই৷ অবশ্য ব্রান্ডেনবুর্গ এবং থুরিঙ্গিয়ায় দেখা গেছে যে, এএফডি যেমন সিডিইউ, তেমনই এসপিডি, বামদল কিংবা সবুজদের কাছ থেকেও ভোটার টেনেছে৷

তবুও তারা আজও এবং এ যাবৎ একটি ‘‘প্রতিবাদী দল'' ছাড়া আর কিছু নয়৷ রাজ্যশাসন ও সরকারি নীতির ক্ষেত্রে তাদের অনেক শিক্ষানবিশি বাকি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ