1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান রাজনীতিতে উদ্বেগ

২১ নভেম্বর ২০১৭

জার্মানিতে নতুন সরকার গঠনে প্রাথমিক আলোচনা ব্যর্থ হবে, এটা ভাবা যায়নি৷ আর এখন সংখ্যালঘু সরকার অথবা নতুন নির্বাচন, কোনোটাই অসম্ভব নয়৷ তবে এটা পরিষ্কার: ম্যার্কেলের জন্য এটা একটা বড় ধাক্কা, লিখছেন ডয়চে ভেলের ইনেস পোল৷

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler

ব্রেক্সিট, ট্রাম্পের জয়ের পর হয়ত এটাই বাকি ছিল৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হওয়া৷ জার্মানি একটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীল এবং সফল দেশ, ইউরোপের হৃদয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইঞ্জিন বা চালিকাশক্তি৷ এমন একটি দেশে সরকার গঠন এখন একেবারে অনিশ্চিত!

রবিবার মধ্যরাতে মুক্ত গণতন্ত্রী বা এফডিপি দলের নেতা ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার ঘোষণা দেন যে, জোট গঠনে প্রাথমিক আলোচনা ভেস্তে গেছে৷ তিনি জানান, ভুলভাবে সরকার পরিচালনার চাইতে বরং সরকার গঠন না করাই ভালো৷

জোট সরকার গঠন নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহের দীর্ঘ আলোচনার পর লিন্ডনার এই কঠিন কথাগুলো বলেন৷ মূলত প্রতিটি দলের ভিন্ন মতাদর্শের কারণে চাওয়া-পাওয়ায় অসংগতি ছিল৷ আর সে জন্যই এবারের আলোচনা সফল হয়নি৷

কট্টরপন্থি দল এএফপি সংসদে

এবারই প্রথমবারের মতো অলটারনেটিভ ফর জার্মানি বা কট্টরপন্থি এএফডি দল জার্মান সংসদে প্রবেশ করেছে৷ নির্বাচনে তাদের জয় জোট সরকার গঠনে প্রধান প্রতিবন্ধকতা বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ আসলে যে সংসদে সাতটি দল প্রতিনিধিত্ব করছে, সেখানে একটা সহজ সমাধান আশা করা যায় না৷ এসডিপি নতুন জোটের অংশ হতে প্রত্যাখ্যান করার পর, ম্যার্কেল ১২ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যেন ক্ষমতাধর হয়েও ক্ষমতার প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন৷

সেপ্টেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে তাঁর দলের খারাপ ‘পারফর্মেন্স'-এর পরই বোঝা গিয়েছিল যে, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আলোচনায় এবার ব্যর্থ হতে পারেন ম্যার্কেল৷ যদিও ম্যার্কেলকে নতুন দিকনির্দেশনা দিয়ে নতুন ধারার জোট গঠনে সাহায্য করতে চাচ্ছে, কিন্তু শুধু তাদের চাওয়ায় এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়৷

ইনেস পোল, ডয়চে ভেলের প্রধান সম্পাদকছবি: DW/P. Böll

ম্যার্কেলের শরণার্থী নীতি যখন প্রতিবন্ধকতা

নতুন সরকার গঠনের ক্ষেত্রে সবসময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ৷ শরণার্থী ইস্যুতে ম্যার্কেলের নিরপেক্ষ নীতি নাৎসিপন্থি দল এফডিপিকে শক্তিশালী করেছে, আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পেছনেও যা অন্যতম কারণ৷ তার মানে আমি এটা বলছি না যে, যেসব মানুষের সাহায্য দরকার তাদের সাহায্য না করা৷ কিন্তু এটাও ঠিক যে অন্যকে সাহায্য করার আগে নিজের কথা ভাবতে হবে, আগে নিজেকে বাঁচাতে হবে৷

জোট সরকার গঠনে এই আলোচনা ভেস্তে যাওয়া এটাই প্রমাণ করে যে অর্থনৈতিক সাফল্য জনগণের মন থেকে শরণার্থীদের নিয়ে জার্মানির ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার শঙ্কা মুছে ফেলতে পারছে না৷

জোট সরকারের আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় সোমবার সকালে কেবল জার্মানরাই উদ্বিগ্ন হননি, উদ্বেগ দেখা দিয়েছে পুরো ইউরোপে৷ কেননা এই সমস্যার সমাধান হতে কয়েক সপ্তাহ না কয়েক মাস, কত সময় লাগবে, তা কারো জানা নেই৷

ইনেস পোল/এপিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ