1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন ধরন নিয়ে বিতর্ক

১১ ডিসেম্বর ২০১১

জার্মান বিদ্যালয় ব্যবস্থা বহুমুখী এবং ক্ষেত্রবিশেষে জটিল৷ এই ব্যবস্থায় কিছু তরুণ-তরুণী যেমন অল্প বয়সেই ‘ইয়াং সাইন্টিস্ট কম্পিটিশন’এ অংশ নেওয়ার উপযোগী হয়ে ওঠে, তেমনি বাকিরা স্নাতক পর্যায়ও সম্পন্ন করতে পারে না৷

Eine Gruppe Schueler begibt sich auf den Weg nach Hause am 2. April 2003 in Frankfurt am Main. (AP Photo/Michael Probst)
বিদ্যালয়ের পথে জার্মান শিশুরাছবি: AP

জার্মানিতে শিশুদের শিক্ষা জীবনের প্রথম ধাপ শুরু হয় কিন্ডারগার্টেন'এ৷ মাত্র তিন বছর বয়সেই জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের ৭৪ শতাংশ এবং পূর্বাঞ্চলের প্রদেশগুলোর ৯০ শতাংশ শিশু কিন্ডারগার্টেন'এ ভর্তি হয়৷ সরকারি, বেসরকারি -- দুই ধরনের কিন্ডারগার্টেনই রয়েছে এই দেশে৷ শিশুদের এসব স্কুলে এখন অনেক বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ কিছু স্কুল খুব ছোটবেলা থেকেই বিদেশি ভাষা শিক্ষার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে, বাকিরা মনোযোগী হচ্ছে সৃজনশীল বিষয়ের প্রতি৷

উপযুক্ত শিক্ষা

শিশুদের বয়স যখন পাঁচ বা ছয় বছর, তখন তাদের গন্তব্য প্রাথমিক বিদ্যালয়৷ সেখানে চার বা ছয় বছর অধ্যায়নের পর একটি বড় প্রশ্নের সম্মুখীন হয় শিক্ষার্থীরা৷ সেটি হচ্ছে, ভবিষ্যতে তার জন্য কোন ধরনের শিক্ষা উপযুক্ত?

তিন ধরনের ব্যবস্থা

জার্মানিতে মোটামুটি তিন ধরনের স্কুলশিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে৷ এগুলো হচ্ছে হাউপ্টশুলে, রেয়ালশুলে এবং গিমনাজিউম৷ এই তিন ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা মিলিয়ে আবার একটি পদ্ধতি চালু আছে, যাকে বলা হয় গেজাম্টশুলে৷ তবে এটি খুব বেশি প্রচলিত নয়৷

জার্মানির এই স্কুল ব্যবস্থা সম্পর্কে হানোফার শহরের একটি বিদ্যালয়ের কাউন্সিলর শরাফ আহমেদ বলেন, ‘‘যে ছেলেরা সবচেয়ে বেশি মেধাসম্পন্ন তাদেরকে পাঠানো হয় গিমনাজিউমে৷ তারপরের মেধাসম্পন্নদের জন্য রেয়ালশুলে৷ এবং তারচেয়েও নিচের দিকের মেধাসম্পন্নদের জন্য হাউপ্টশুলে''৷

লিন্স আম রাইনের একটি বিদ্যালয়ছবি: DW

বিতর্ক

হাউপ্টশুলেতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত রয়েছে৷ কিন্তু যারা এই পর্যায়ে স্কুলত্যাগ করে তাদের ভবিষ্যৎ অনেক কঠিন হয়ে ওঠে৷ এই পর্যায়ের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী পরবর্তী প্রশিক্ষণ ব্যবস্থায় সহজে প্রবেশের সুযোগ পায় না৷ ফলে অধিকাংশ অভিভাবক চেষ্টা করেন, তাদের সন্তানকে রেয়ালশুলে অথবা গিমনাজিউমে ভর্তি করাতে৷ জার্মান এই শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বির্তকও শোনা যায় প্রায়ই৷ শরাফ আহমেদ বলেন, ‘‘অনেকেই মনে করছেন এটা একটা সঠিক পদ্ধতি৷ আবার অভিভাবকদের একটা ব্যাপক সংখ্যা গরিষ্ঠ অংশ মনে করেন, না এটা ঠিক নয়৷ পঞ্চম শ্রেণিতে এসেই একজন শিক্ষার্থীর মেধা যাচাইয়ের সঠিক সময় নয়৷''

শিক্ষার্থীদের অবসর সময়

জার্মান বিদ্যালয়গুলো মূলত শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়কেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়৷ শিক্ষার্থীরা অবসর সময় কাটানোর জন্য তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্কুলের বাইরের খেলাধুলার ক্লাব কিংবা নাচগানের স্কুলকে বেছে নেয়৷ এই দেশে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রকম কর্মকাণ্ডে নিজেদের ব্যস্ত রাখে৷ মার্ক কখ্ ইন্সটিটিউটের এক সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে, ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সি ৮৪ শতাংশ শিক্ষার্থী সপ্তাহে অন্তত একদিন খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে৷ তবে অবসর কাটানোর ক্ষেত্রে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়াটাই তাদের প্রথম পছন্দ৷ শরাফ আহমেদ অবশ্য জানান, অবসর সময় কাটানোর জন্য জার্মান বিদ্যালয়গুলোতেও শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক ব্যবস্থা রয়েছে৷

সামাজিক যোগাযোগ

বলাবাহুল্য, ইন্টারনেটের কারণে বর্তমানে শিশু-কিশোরদের সামাজিক কর্মকাণ্ড অনেকটাই চার দেয়ালে আটকা পড়ে গেছে৷ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার জন্য ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো বেছে নিচ্ছে তারা৷ ফলে মাঠের কোণের আড্ডা ক্রমশ হারিয়ে যেতে বসেছে৷

জার্মান শিক্ষার্থীদের ক্রমশ রাজনীতিবিমুখও হয়ে পড়েছে৷ সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে মাত্র এক তৃতীয়াংশ তরুণ-তরুণী রাজনীতির প্রতি আগ্রহী৷ অথচ আশির দশকে এই হার বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি ছিল৷ তখন অবশ্য জার্মানি ছিল দুই ভাগে বিভক্ত৷ শীতল যুদ্ধও চলছিল পুরোদমে৷ সেসব কিছু এখন আর নেই৷ পরিবর্তনটাও তাই চোখে পড়ার মতো৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ