1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংসদের ছবি তোলার ফরমায়েশ

সুজানে ডাউজ/এসি২৯ এপ্রিল ২০১৬

বুন্ডেস্টাগ বা জার্মান সংসদের ছবি তুলেছেন সান ফ্রান্সিসকোর শিল্পী ক্যারমিট ব্যার্গ বুন্ডেস্টাগেরই ফরমায়েশে৷ নিও-রেনেসাঁস শৈলী থেকে শুরু করে ব্রিটিশ স্টার স্থপতি নর্মান ফস্টারের কাচের গম্বুজ, সব কিছুর ছবি৷

জার্মান সংসদ
ছবি: Fotolia/Stefan Delle

শুধুমাত্র যখন সংসদের অধিবেশন চলছে না, তখন ছবি তুলতে পারতেন৷ এমনকি সংসদকক্ষ পুরোপুরি খালি থাকলেও ছবি তোলার অনুমতি ছিল না৷ তবে অন্যান্য অনেক স্বাধীনতা ছিল৷ ব্যার্গ স্মৃতিচারণ করলেন, ‘‘স্বচ্ছন্দে অনুমতি পাওয়া যেত, যেমন এই দেওয়ালটার পিছনে রয়েছে সাংসদদের ভোট দেওয়ার কার্ড – আমার জন্য দেওয়ালটা খোলা হয়েছিল৷ আমি সেই খোলা দেওয়ালের যে ছবি তুলি, পরে বুন্ডেস্টাগ সেটা কিনেছে৷''

বুন্ডেসটাগ এককালে ছিল রাইখস্টাগ৷ বাইরেটা নিও-রেনেসাঁস শৈলীর, পরে তার উপর একটি কাঁচের গম্বুজ যোগ করেন ব্রিটেনের প্রখ্যাত স্থপতি নর্মান ফস্টার৷ ভেতরের কক্ষগুলো আধুনিক ও স্বচ্ছ৷ ১৯৬৯ সাল যাবৎ জার্মান সংসদ শিল্পকলা সংগ্রহ করে চলেছে: রাইখস্টাগের দেওয়াল আর সাংসদদের অফিসের জন্য কিনেছে ছবি আর ভাস্কর্য৷ এ কাজের দায়িত্বে রয়েছেন আন্দ্রেয়াস ক্যার্নবাখ৷

এমন ছবি, যা সংসদেরও মনে ধরে

04:19

This browser does not support the video element.

ক্যার্নবাখ মন্তব্য করলেন, ‘‘স্বভাবতই আমরা এমন সব শিল্পকলা খুঁজি, সংসদ ও রাজনীতির সঙ্গে যার কোনো একটা সংযোগ রয়েছে৷ ক্যারমিট ব্যার্গ-এর ক্ষেত্রে তা বিশেষভাবে প্রযোজ্য: সংসদের শিল্প উপদেষ্টা পরিষদ তাঁকে এমন সব ছবি তুলতে বলেছে, যা-তে এই সংযোগ স্পষ্ট হয়ে ওঠে৷ আমাদের আশা ছিল যে, তিনি সংসদের কাজকর্ম, স্থাপত্য, পরিবেশ, সব কিছু নতুন চোখ দিয়ে দেখে এবং দেখিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্রের আদর্শকে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন৷''

যা সাধারণত চোখেই পড়ে না

বুন্ডেস্টাগ ইতিমধ্যেই ব্যার্গের দশটি ছবি কিনেছে৷ এই লাউডস্পিকারটিও ব্যার্গকে মুগ্ধ করেছে৷ সবাই যখন চোখে পড়তে আকুল, তখন তিনি এমন সব জিনিসের ছবি তোলেন, যেগুলো সাধারণত চোখেই পড়ে না৷ ব্যার্গের মতে, ‘‘ওরা যদি আমার ছবি নিয়ে মাথা ঘামায়, তাহলে ওরা এই পরিবেশ সম্পর্কে বিশদ একটা ধারণা পাবে – যেখানে ওরা সাধারণত এই পরিবেশের একটা ভাসা ভাসা ধারণা পায়, যার কোনো কিছুই ঠিকমতো মনে থাকে না; ওরা কোনো খুঁটিনাটি দেখেনি, কোনো আলোছায়া দেখেনি; যা কিছু এই ঘরটাকে জীবন্ত করে তুলেছে, তার সব কিছুই ওদের নজর এড়িয়ে গেছে৷''

৬৪ বছর বয়সি ক্যারমিট ব্যার্গ রাইখস্টাগে এলে কিছুই ছাড়েন না৷ শেষমেষ এমন একটা ঘর খুঁজে পেয়েছিলেন, যা অধিকাংশ মানুষের অজ্ঞাত৷ এটা হলো সংসদের রেফারেন্স লাইব্রেরি৷ সংসদ মানেই ভাষণ৷ কাইজারের আমল থেকে ভাইমার প্রজাতন্ত্র হয়ে হালআমল পর্যন্ত যাবতীয় সংসদীয় বিতর্কের প্রোটোকল নথিবদ্ধ করা আছে এখানে৷ ব্যার্গ জানালেন, ‘‘জায়গাটা ঠান্ডা নয়, বরং আতিথেয়তাপূর্ণ; কিন্তু উপস্থাপনায় পুরোপুরি নান্দনিক৷ তারপর আমি পড়তে শুরু করি, এই সব বইতে কি আছে, তাদের উপজীব্য, তাদের ইতিহাস৷ আমি জার্মানির ইতিহাস সম্পর্কে বিশেষভাবে আগ্রহী৷ আমিও এসেছি জার্মান পটভূমি থেকে৷''

বার্লিন প্রাচীরের পতনের পর গোলটেবিল বৈঠকের নথিপত্র সম্পর্কে ক্যারমিট ব্যার্গ আরো জানতে আগ্রহী, কেননা পূর্ব জার্মানির জনগণ তাতে অংশগ্রহণ করেছিল৷

ছবি তোলার বিষয় খুঁজতে গিয়ে ব্যার্গ অন্যান্য শিল্পীদের কাজও আবিষ্কার করেন, যেমন ‘‘জার্মান সাংসদদের মহাফেজখানা'' নামের একটি ইনস্টলেশন৷ ফরাসি শিল্পী ক্রিস্তিয়ঁ বোলতানস্কি পাঁচ হাজার লোহার বাক্স দিয়ে ইনস্টলেশনটি সাজান৷ অথবা ক্রিস্টিয়ানে ম্যোবুস-এর রেসিং বোটগুলি – এটিও একটি ইনস্টলেশন, নাম ‘‘ওঠাপড়া আর যাত্রা''৷

ক্যারমিট ব্যার্গ সব জায়গাতেই তাঁর নিজের ছাপ রেখে যান, রাইখস্টাগের বাইরেও৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ