1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান সরকারও এবার ‘গণহত্যার' কথা বলতে চলেছে

২৩ এপ্রিল ২০১৫

বার্লিনের একটি গির্জায় প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক-এর বহুল প্রত্যাশিত বক্তৃতা এবং বার্লিনে জার্মান সংসদে সরকারি স্মারক মুহূর্তের বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই এই প্রবণতা দেখছে জার্মানির বিভিন্ন পত্রপত্রিকা৷

Armenien Völkermord
ছবি: picture-alliance/AP Images

গত মঙ্গলবারেই ‘দি টাগেসসাইটুং' স্পষ্ট লেখে:

‘‘ঘটনাটা ঘটবে আগামী শুক্রবার৷ দ্বিপ্রহর নাগাদ জার্মান সংসদ একশো বছর আগে আর্মেনীয়দের উপর গণহত্যার ব্যাপারে জোট সরকারের আনীত প্রস্তাবটি বিবেচনা করবে৷ নতুন হল, এ যাবৎ শুধু বামদলের প্রস্তাবেই ‘গণহত্যা' শব্দটি শীর্ষকে ব্যবহার করা হচ্ছিল; এসপিডি এবং ইউনিয়ন দলগুলি ‘বিতাড়ন ও হত্যাকাণ্ড', এই বর্ণনাই বেছে নিয়েছিল৷ গত সোমবার যাবৎ সে পরিস্থিতি বদলে গেছে৷

‘‘তীব্র বিতর্কের পর সরকারি জোটের রাজনৈতিক দলগুলির সংসদীয় গোষ্ঠীসমূহ শেষমেষ প্রস্তাবের বয়ান বদলানো সম্পর্কে একমত হতে পেরেছে৷ নতুন বয়ানে বলা হচ্ছে, ১৯১৫ সালে তৎকালীন তুর্কি সরকার দশ লক্ষের বেশি আর্মেনীয়কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করতে শুরু করে৷ ‘যে সব ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, জাতিগত বিতাড়ন ও গণহত্যা বিংশ শতাব্দীর ইতিহাসকে নিদারুণভাবে চিহ্নিত করেছে, (আর্মেনীয়দের) ভাগ্য তার একটি নিদর্শন৷ এ ক্ষেত্রে আমরা জানি যে, হলোকস্টের সঙ্গে তার তুলনা চলে না, যে হলোকস্টের অপরাধ এবং দায়িত্ব পুরোপুরি জার্মানির উপর৷'''

পোপ ফ্রান্সিসছবি: Solaro/AFP/Getty Images

এর আগের দিনই জার্মানির ‘আইজেনাখার প্রেসে' নামধারী দৈনিক লিখেছিল:

‘‘(শুধু) তুরস্ককে অপরাধী করা শোভা পায় না, কেননা জার্মান কাইজার-রাজের সঙ্গে অটোমান সাম্রাজ্যের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল৷ কিন্তু যা পুরোপুরি স্পষ্ট, জার্মান-তুর্কি সম্পর্কের খাতিরে সেটা আর এড়িয়ে চলাটাও ভুল হতো৷ জার্মান আর তুরস্কের উচিত এবার সত্যকে মেনে নিয়ে স্পষ্ট স্বীকারোক্তি দেওয়া৷''

সেই সোমবারেই ‘স্যুডভেস্ট প্রেসে' পত্রিকার মন্তব্য:

‘‘জার্মান রাজনীতি আর্মেনীয়দের উপর গণহত্যার অধ্যায়কে স্বীকৃতি দিতে বড় বেশি সময় নিয়েছে – যা লজ্জাকর৷ ইতস্তত করার নানা কারণ ছিল৷ কিন্তু এই দ্বিধার অর্থনৈতিক কারণ আছে বলেও ধরে নেওয়া যায়৷ জার্মানি আংকারার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত, এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান কোনো বিদেশি রাষ্ট্র তুর্কি রাজনীতি সম্পর্কে অপ্রীতিকর মন্তব্য করলে কাজে তার জবাব দিতে বেশি দেরি করেন না৷ আর্মেনীয়দের কথা উঠলেই আংকারা যেন আর কিছু শোনে না, দেখে না৷ নীতি বদলানোর মূল্য যে দিতে হতে পারে, বার্লিনকে সে ঝুঁকি নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে৷ সততার জন্য সেটুকু ক্ষতি স্বীকার করতে হলে আপত্তি নেই৷''

এসি/এসবি (ডিডাবলিউ, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ