1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মহিলা অধ্যাপক’ কর্মসূচি

৭ আগস্ট ২০১২

জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি৷ কিন্তু শিক্ষক থেকে শুরু করে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য অবধি যতই ওঠা যাবে, মহিলাদের ভাগ ততই কমে আসবে৷ এর বিরুদ্ধেই এই কর্মসূচি৷

Bilder zur Auswahl zum Internettext der TU Dresden: Die Fotos werden der DW kostenfrei zur Verfügung gestellt. Foto 2/ Hörsaalzentrum Foto4/Patentinformationszentrum TU Dresden Patentinformationszentrum Bildnachweis: Foto TUD/Eckold zugestellt durch: Monika Werner am 04.06.2012
ছবি: TUD/Eckold

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকতা পেশায় সফল হতে গেলে শুধু কাজ করলেই চলে না, সেটা দেখানোরও দরকার পড়ে৷ এবং দৃশ্যত ঠিক এখানেই মহিলা অধ্যাপকরা তাদের পুরুষ সহকর্মীদের মতো এতটা অগ্রসর নন - কেউ কেউ হয়তো বলবেন, আগ্রাসী নন৷ জার্মানির যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মহিলা অধ্যাপক' কর্মসূচি চলেছে, তাদের মধ্যে ফ্রাঙ্কফুর্ট বিশববিদ্যালয়ও পড়ে৷ সেখানকার আইন বিভাগের অধ্যাপিকা আস্ট্রিড ভালরাবেনস্টাইন বললেন:

‘‘আমি নিজেই লক্ষ্য করেছি যে, ধীরে ধীরে পুরুষদের আচরণ ও ব্যবহার পাল্টায়৷ বিশেষ করে পেশাগত যোগ্যতা সংগ্রহ করার সময়, যখন তারা ২২ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে৷ ঐ সময়ে আবার মহিলাদেরও আচরণ বদলায়৷ অধ্যয়ন শুরু করার সময় দু'তরফেরই আচরণ এক: ক্লাসে বার বার হাত তোলা, আলোচনায় যোগ দেওয়া, দু'পক্ষই সমান ভালো কিংবা খারাপ৷ কিন্তু সেটা পরে বদলে যায়৷''

পুরুষরা যখন তাদের জ্ঞান এবং অন্যান্য গুণ দেখাতে, অর্থাৎ জাহির করতে শুরু করে, তখন অনেক মহিলা বিনয়ের বশে চুপচাপ থাকেন৷ আস্ট্রিড ভালরাবেনস্টাইন কিন্তু চুপচাপ থাকেননি এবং সেই অনুযায়ী ক্যারিয়ারও করেছেন৷ আইন পড়ার পর ডক্টরেট, তারপর গিসেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা, জার্মানে যাকে বলে ‘হাবিলিটাৎসিওন' এবং অধ্যাপনা বৃত্তির জন্য যা অত্যাবশ্যক৷ শেষ পর্যন্ত তিনি ফ্রাঙ্কফুর্টের ইওহান গ্যোটে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যাপনার, অর্থাৎ প্রফেসর হবার ডাক পান৷ এবং তাঁর এই যাত্রাপথে তাঁকে সাহায্য করেছে ‘প্রোপ্রফেসুর', জার্মান সরকারের মহিলা অধ্যাপক কর্মসূচি৷

‘‘এটা একটা খুব ভালো কর্মসূচি বলে আমার মনে হয়৷ এই কর্মসূচি আমাকে ভাবতে শিখিয়েছে, অধ্যাপনা পেশাটির সঙ্গে কি কি বিষয় যুক্ত: ইন্টারভিউ দেওয়া, আবেদনপত্র লেখার প্রশিক্ষণ; অধ্যাপক সতীর্থদের মহলে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় এবং আরো অনেক কিছু৷''

ছবি: Goethe-Universität Frankfurt

৪২ বছর বয়সী অধ্যাপিকা আজও সেই কোচিং কর্মসূচির নানা খুঁটিনাটি থেকে উপকৃত হন৷ তিনি যখন কোনো কনফারেন্সের আয়োজন করেন, তখন তিনি শুধু তাঁর পুরুষ সতীর্থদের কথা না শুনে নিজের উদ্যোগে মহিলা বিশেষজ্ঞদের সেই সম্মেলনে যোগদানের আহ্বান জানান৷

মহিলা অধ্যাপক কর্মসূচিটি হেসে রাজ্যের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু, যার মধ্যে ফ্রাঙ্কফুর্টের গ্যোটে বিশ্ববিদ্যালয়ও পড়ে৷ গ্যোটে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কর্মসূচি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন আরেক আস্ট্রিড, আস্ট্রিড ফ্রানৎসকে৷ জার্মান শিক্ষকতা পেশায় মহিলাদের সাহায্য প্রয়োজন, বলে তিনি মনে করেন৷

‘‘এর পিছনে রয়েছে আমাদের অভিজ্ঞতা যে, এই গোষ্ঠী, অর্থাৎ মহিলাদের উৎসাহ প্রদান অত্যাবশ্যক, কেননা শিক্ষকতায় সর্বোচ্চ পদগুলিতে উত্তরণের পথে বহু উচ্চশিক্ষিত মহিলা হাল ছেড়ে দেন৷''

মহিলাদের আচরণই তার শুধু একমাত্র কারণ নয়৷ শিক্ষাপ্রণালীটাও তার একটা কারণ, বলে ফ্রানৎসকে মনে করেন৷

‘‘আমার দৃষ্টিকোণ থেকে মহিলা শিক্ষকরা সত্যিই বর্তমান শিক্ষাপ্রণালীতে অসুবিধায় পড়েন৷ অধ্যয়ন, গবেষণা, শিক্ষকতা, এই পেশায় ১৫০ শতাংশ উপস্থিত থাকা, সব কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকা চাই৷ সেজন্য পারিবারিক এবং অপরাপর ক্ষেত্রে সাহায্য এবং যোগাযোগের প্রয়োজন, মহিলাদের ক্ষেত্রে যা সবসময় থাকে না৷''

এবং মহিলা অধ্যাপক কর্মসূচি ঠিক সেটাই বদলাতে চায়৷ কোচিং প্রোগ্রাম ছাড়াও সরাসরি ফেডারাল অর্থানুকুল্যে ফ্রাঙ্কফুর্টের গ্যোটে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি অধ্যাপিকার পদ সৃষ্টি করা হয়েছে৷ তবে মহিলাদেরও যেটা আরো প্রয়োজন, সেটা সম্ভবত, পুরুষদের মতোই, তাদের নিজস্ব ‘নেটওয়ার্ক'৷

প্রতিবেদন: বিয়াঙ্কা ফন ডের আউ / এসি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ