1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে ‘শারিয়া-পুলিশ’

১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪

ইদানীং কট্টরপন্থি সালাফিস্টরা জার্মানির ভুপার্টাল শহরে স্বঘোষিত পুলিশ হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছেন৷ বিরক্ত, বিচলিত করছেন জনগণকে৷ জার্মান সরকার এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে এখন৷

Screenshot Sharia Polizei in Wuppertal Facebook
ছবি: Shariah-Polizei-Germany/Facebook

বেশ কিছুদিন ধরে ভুপার্টাল শহরের কেন্দ্রে কিছু তরুণকে রাতের দিকে বিশেষ করে তুর্কি দোকানপাট, ক্যাফে বা গেমরুমের সামনে টহল দিতে দেখা যাচ্ছে৷ তাদের পরনে কমলা রঙের ওয়েস্ট কোট, যাতে লেখা ‘শারিয়া পুলিশ'৷ অ্যালকোহল, মাদক, পর্নোগ্রাফি, জুয়াখেলা, সংগীত, কনসার্ট ইত্যাদি চলবে না, ইত্যাদি লেখা লিফলেট বিলি করেন তাঁরা৷

সালাফিস্টরা তাদের এই কর্মকাণ্ডের ভিডিও তৈরি করেছেন৷ যার মূল প্রতিপাদ্য: ‘‘ঈশ্বরের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন কাটাতে হবে৷''

ইতোমধ্যে অন্যান্য শহরেও শারিয়া পুলিশ নিয়োগ করা হবে বলে জানান এই গোষ্ঠীর অনুসারীরা৷ রাস্তাঘাটে ডিসকোথেকের সামনে তরুণদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা৷ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে ও মসজিদে যেতে অনুপ্রাণিত করেন৷

‘‘জার্মানির মাটিতে শারিয়াকে বরদাস্ত করা হবে না৷ এইভাবে পুলিশের সুনাম নষ্ট হতে দেওয়া হবে না৷'' বলেন জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস দেমেজিয়ের৷ তাঁর কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে আইনমন্ত্রী হাইকো মাস জানান, ‘‘বিচার ও আইন চালানোর দায়িত্ব একমাত্র রাষ্ট্রের হাতে৷ স্বঘোষিত শারিয়া পুলিশের হাতে নয়৷ পাশাপাশি একটি বেআইনি বিচারালয় সহ্য করা হবে না৷''

এক্ষেত্রে আইনগত স্পষ্ট দিক নির্দেশনা নেই বলে ভুপার্টালের নিরাপত্তারক্ষা বাহিনী সমস্যায় পড়েছে৷ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সভা আইনভঙ্গ করায় তদন্ত করা হচ্ছে৷ ডিসকোথেক, গেমরুম বা সান স্টুডিওতে ঢোকার পথে বাধা দিলে সেটা নিগ্রহ বলে গণ্য করা হবে কিনা কিংবা শারিয়া লেখা ওয়েস্ট কোট পরা বেআইনি কিনা সেটাও একটা প্রশ্ন৷

শহরটিতে পুলিশের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ জনসাধারণকে অনুরোধ করা হয়েছে সন্দেহজনক কিছু লক্ষ্য করলে জরুরি নম্বরে ফোন করতে৷ নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব একান্তই রাষ্ট্রের হাতে৷ আতঙ্ক জাগানো বা বিরক্ত করা সহ্য করা হবে না৷ বলেন ভুপার্টালের পুলিশ প্রেসিডেন্ট বির্গিটা রাডারমাখার৷

কট্টরপন্থি সালাফিস্টরা ভুপার্টাল শহরে ‘শারিয়া পুলিশ’ হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছেনছবি: Shariah-Polizei-Germany/Facebook

উল্লেখ্য, ইসলামি আইন-কানুনকে আরবি ভাষায় শারিয়া বলা হয়৷ কোরান ও হাদিসের ওপর ভিত্তি করেই চলে এই নিয়ম কানুন৷ পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জীবনযাপনের এক দিক নির্দেশনা এটি৷

আরবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ, ইপিডি, কেএনএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ