বেয়াটে উহসের প্রখ্যাত সেক্স চেইন একটি দেউলিয়া ত্রাণ পরিকল্পনা দাখিল করেছে৷ যুদ্ধপরবর্তী জার্মানি তথা ইউরোপে সংস্থাটি যে বিপ্লব আনে, দৃশ্যত তার সঙ্গে তাল রাখতে পারেনি বেয়াটে উহসে৷
বিজ্ঞাপন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বৈমানিক হিসেবে কাজ করেছেন বেয়াটে উহসে, এমনকি স্টান্ট পাইলটও ছিলেন৷ এই অসমসাহসী মহিলার আরেকটি সাহসের কাজ ছিল যুদ্ধ শেষ হবার পরেই ১৯৪৬ সালে তাঁর সেক্সশপ চেইন প্রতিষ্ঠা করা৷ যৌনকামনা ও যৌন উদ্দীপনায় আজীবন বিশ্বাসী বেয়াটে উহসে ও তাঁর বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড জার্মানদের যৌনজীবনকেই বদলে দিয়েছে, বলে সমাজতাত্ত্বিকরা দাবি করে থাকেন৷ ২০০১ সালে পরলোকগমন করেন বেয়াটে উহসে৷ তার দু'দশকের মধ্যেই কি তাঁর ‘ইরোটিক' সাম্রাজ্য অস্ত যেতে বসেছে? গত শুক্রবার ফ্লেন্সবুর্গে হোল্ডিং কোম্পানি ‘বিইউ' দেউলিয়া হওয়ার নোটিশ দাখিল করে – তবে নিজের নিয়ন্ত্রণে ও আদালতের তত্ত্বাবধানে থেকে৷
যৌন খেলনার ইতিহাস
বর্তমান যুগে সেক্স টয় বা যৌন খেলনা, যেমন ভাইব্রেটরের মতো টয়গুলো কেবল একটা উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হয়, আর তা হলো আনন্দ৷ যদিও ভাইব্রেটরের আবিষ্কার হয়েছিল নারীদের যৌনতার ওপর পুরুষদের নিয়ন্ত্রণের জন্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Spata
সবই প্রাকৃতিক: বিশ্বের প্রথম ডিলডো
কাঁচা কলা হোক বা উটের শুকনো গোবর- প্রাচীন কালে গ্রিস ও মিশরের মানুষ এগুলোর ওপর পিচ্ছিল পর্দার্থের প্রলেপ দিয়ে যৌন খেলনা বানিয়ে নিত৷ এছাড়া আরও বিকল্প ছিল বাঁকানো পাথর, চামড়া বা কাঠের বস্তু৷ বিশ্বের প্রথম ‘ডিলডো’ কিন্তু জার্মানিতেই আবিষ্কার হয়েছিল, তাও আবার ২৮,০০০ বছর আগে৷ ২০ সেন্টিমিটার লম্বা এই পাথরটি কেবল যে ‘সেক্স টয়’ হিসেবে ব্যবহৃত হতো তা-ই নয়, আগুন জ্বালানোর কাজেও ব্যবহৃত হতো৷
ছবি: Phallus von der Hohle Fels/J. Lipták/Universität Tübingen
খুলে দাও
ডিলডো শব্দটি প্রথম এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘ডিলাটারে’ থেকে, ১৪০০ শতাব্দিতে৷ এর মানে হচ্ছে খুলে দাও৷ আর ইতালিতে দিলেত্তো মানে খোল৷ ইতালীয় রেনেঁসার একশ বছর পর চামড়া ও অলিভ অয়েল দিয়ে যৌন খেলনা তৈরি হতো৷ তবে ইতিহাস বলে শুনতে যতটা আনন্দদায়ক হওয়ার কথা খেলনাটি ততটা ছিল না৷
ছবি: Vassil
নারীর আকাঙ্ক্ষা?
দীর্ঘদিন ধরে সহবাস মানেই ছিল পুরুষের চরম উত্তেজনাপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছানো৷ পুরুষ শাসিত সেসব সমাজে নারীদের ‘অরগাজম’ বা তাদের তৃপ্তি দেয়াটাকে অবহেলা করা হতো৷ যেসব নারীর যৌন চাহিদা বেশি থাকত, তাদের হিস্টিরিয়া রোগী মনে করত পুরুষরা৷ তাদের জন্য নানা ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি ছিল৷
ছবি: Fleury/Siegfried Giedion
নারীদের যৌন চাহিদার চিকিৎসা
নারীদের এ ধরনের ‘হিস্টিরিয়া’ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল৷ একটা নির্দিষ্ট বয়সে প্রায় সব নারীর মধ্যেই দেখা যাচ্ছিল৷ এর ফলে কখনো কখনো অনেকের জ্বরও হতো৷ এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তাররা এই টেবিলে যোনী ম্যাসাজের পরামর্শ দিতেন৷ কেননা, সেসময় হস্তমৈথুন ছিল নিষিদ্ধ৷
ছবি: George Henry Taylor
ডিলডো যখন ভাইব্রেটরে পরিণত হলো
ধনী নারীদের যে কোনো রোগের চিকিৎসা ছিল, কেননা, ডাক্তাররা অনেক অর্থ পেতেন৷ আর তাই তারা কাজে লেগে গেলেন কীভাবে তাদের যৌন হিস্টিরিয়ার চিকিৎসা করা যায়৷ ১৮৮০-র দশকে ভিক্টোরিয়ার আমলে ড. জোসেফ মরটিমার প্রথম ইলেকট্রো ম্যাকানিকেল ভাইব্রেটর আবিষ্কার করেন৷ এই যন্ত্রের ফলে ১০ মিনিটেই চরম উত্তেজনায় পৌঁছে যেতেন নারীরা৷
ছবি: Collections of The Bakken Museum, Minneapolis, USA
সুখী গৃহিনীরা
বিংশ শতাব্দিতে বিভিন্ন কোম্পানি ভাইব্রেটর বানানো শুরু করে৷ স্বাস্থ্য সেবা হিসেবে বিজ্ঞাপন ছাপা হতে লাগলো বিভিন্ন ম্যাগাজিনে৷ ডাক্তাররা এতে মোটেও খুশি হননি৷ অনেকের মনে হলো, অরগাজমের জন্য নারীদের বুঝি আর পুরুষ সঙ্গীর প্রয়োজন থাকবে না৷
ছবি: picture alliance/dpa/P. Grimm
6 ছবি1 | 6
‘বিইউ'-এর কর্মীসংখ্যা এখন মাত্র ১০, কিন্তু ইউরোপ জুড়ে তাদের যে ৪৩টি সেক্সশপ আছে – কোম্পানির প্রশাখাগুলি যে সব বিপণী চালিয়ে থাকে – সেখানে আজও প্রায় ৩৪৫ জন কর্মী নিযুক্ত৷
‘বিইউ' হোল্ডিং-এর মূল সমস্যা হলো বিনিয়োগকারীদের হাতে কোম্পানির প্রায় তিন কোটি ইউরো মূল্যের বন্ড বা কাগজ, যা ২০১৯ সালের মধ্যেই ফেরত দিতে হবে৷ ওদিকে কোম্পানি ২০১৬ সালে ১০ কোটি ইউরোর বেশি আয় করলেও, লোকসান হয়েছে সাকুল্যে প্রায় ৬২ লাখ ইউরো৷
শেয়ারের ওঠানামা
১৯৯৯ সালে বেয়াটে উহসে কোম্পানির শেয়ার যখন প্রথম বাজারে আসে, তখন তার মূল্য ছিল শেয়ার প্রতি ৭ ইউরো ২০ সেন্ট৷ পরে সেই শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছিল ২৮ ইউরো ২০ সেন্টে৷ ২০০৫ সালেও বেয়াটে উহসে কোম্পানি সবচেয়ে বেশি আয় করে৷ তা সত্ত্বেও ২০০৮ সালের মধ্যে কোম্পানির শেয়ারের মূল্য গিয়ে দাঁড়ায় ৫৮ সেন্টে৷ গত সপ্তাহান্তে সেই শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে মাত্র পাঁচ সেন্টে৷
শুধু একটি ভুলে?
কেন এভাবে গ্রাহক খোয়াল বেয়াটে উহসে? বিশ্লেষকরা বলছেন, কোম্পানিটি ই-কমার্সের প্রবণতা ঠিক উপলব্ধি করতে পারেনি; সেই অবকাশে ‘আইস.ডিই' বা ‘আমোরেলি'-র মতো নবাগত কোম্পানিরা বিশেষ করে মহিলা ও দম্পতিদের জন্য অভিনবত্বের পসরা খুলে তাদের ‘‘তরতাজা আবেদনের'' জোরে বাজার মাত করেছে৷
যৌন মিলনের আগে যেসব কাজ করা ঠিক নয়
যৌন মিলনের আগে কিছু ছোট ছোট বিষয় নজর না রাখলে সব আনন্দ নষ্ট হতে পারে৷ তাই কিছু বিষয়ের দিকে আগে নজর রাখা উচিত৷ দেখে নিন যৌন মিলনের আগে কি কি একেবারেই করা ঠিক নয়৷
ছবি: Fotolia/fotogestoeber
প্রস্রাব করা
সঙ্গমের পর প্রস্রাব করলে ব্যাকটিরিয়া প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়৷ কিন্তু যদি আগে করেন, তাহলে নারীদের ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন বা মূত্রনালীতে সংক্রমণ হতে পারে৷ এমনটাই জানিয়েছেন ইউরোলজিস্টরা৷
ছবি: imago/mm images/Berg
অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধ
অ্যালার্জি দূর করতে অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ গ্রহণ করতে হয়৷ যেমন সর্দি হলে তা বন্ধ করার জন্য৷ কিন্তু এই ওষুধ গ্রহণ করলে যোনী শুষ্ক হয়ে যায়৷
ছবি: Sony World Photography Awards/S. Hoyn
মাদকদ্রব্য গ্রহণ
কিছু কিছু মাদকদ্রব্য আছে যেগুলো কাম উদ্দীপনা বাড়িয়ে দেয়, কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত মাদক গ্রহণ করলে পুরুষদের জন্য তা মোটেও ভালো কিছু নয়, তাই এড়িয়ে চলাই ভালো৷
ছবি: Fotolia/eyetronic
ছোট না বড় কন্ডোম
যৌন নিরাপত্তা খুব জরুরি৷ কিন্তু কি ধরনের কন্ডোম ব্যবহার করবেন সেটাও জানা উচিত৷ ভুল সাইজের কন্ডোম আপনার বিপদ ডেকে আনতে পারে৷ আনন্দ পুরোপুরি মাটি করে দিতে পারে৷
ছবি: Fotolia/Sergejs Rahunoks
যৌনাঙ্গের আশপাশে শেভিং
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, সহবাসের আগে গোপনাঙ্গ শেভ করা উচিত হয়৷ এ থেকে ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণ সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ তাই এ থেকে সাবধান৷
ছবি: Fotolia/PhotographyByMK
যৌন খেলনা পরিষ্কার করা
আপনি যদি যৌন খেলনা ব্যবহার করেন, তবে তা ব্যবহারের আগে অবশ্যই ভালোমতো পরিষ্কার করতে হবে৷ আর সহবাসের আগে নিজেকে পরিষ্কার রাখাটাও জরুরি, এতে আপনি এবং আপনার সঙ্গী দুজনেরই রোগ সংক্রমণের ভয় থাকে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
6 ছবি1 | 6
স্টান্ট পাইলট
বেয়াটে উহসে তাঁর স্টান্ট পাইলটের লাইসেন্স পান ১৯৩৮ সালে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনি জার্মানির হয়ে মেসারস্মিট জঙ্গিবিমান চালিয়েছেন৷ ১৯৪৬ সালে তাঁর প্রথম বাণিজ্যিক উদ্যোগ ছিল মহিলারা কিভাবে গর্ভবতী হওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন, সে বিষয়ে একটি প্রচারপত্রিকা৷ তাঁর মেইল অর্ডার ব্যবসা খুব ভালোই চলতে থাকে; ফলে বেয়াটে উহসে-র ‘‘বৈবাহিক স্বাস্থ্যবিধি প্রতিষ্ঠানের'' প্রথম বিপণীটি খোলে ১৯৬২ সালে, ফ্লেন্সবুর্গে – যেখানে মহিলাদের অন্তর্বাস ও গর্ভনিরোধক বিক্রি করা হতো, নৈতিকতা নিয়ে চিন্তিত নাগরিকদের দায়ের করা বহু মামলা সত্ত্বেও৷ সত্তরের দশকে জার্মানি যখন অবশেষে তার পর্নোগ্রাফি আইন শিথিল করে, ততদিনে বেয়াটে উহসের নাম জার্মানির সব প্রাপ্তবয়স্কের জানা হয়ে গিয়েছে৷
বেয়াটে উহসের সাম্রাজ্যে একটি টেলিভিশন সেক্স চ্যানেলও বাদ যায়নি৷ ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাকারের পতনের পর সাবেক পূর্ব জার্মানির বাসিন্দারাও বেয়াটে উহসের খদ্দের হন, যার ফলে তাঁর ‘ইরোটিক' পণ্যের বিক্রি বাড়ে দারুণভাবে৷ কিন্তু বেয়াটে উহসে সংস্থার একাধিপত্যে প্রথম আঁচড় কাটে ইন্টারনেট ভিত্তিক নিখর্চার ভিডিও ক্লিপ – যার সঙ্গে ইন্টারনেট ভিত্তিক মেইল অর্ডার যুক্ত হয়ে যৌন পণ্য সংক্রান্ত ব্যবসায়ের ধারাপ্রকৃতিই বদলে যায়৷
বেয়াটে উহসে যে সময়ের সঙ্গে পা মিলিয়ে চলার চেষ্টা করেনি, এমন নয়৷ ২০০৪ সালে সংস্থাটি হামবুর্গে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য তাদের প্রথম সেক্সশপ খোলে, এমনকি কোম্পানির লোগো-তেও নারীসুলভ ছোঁয়া আনে৷ কিন্তু এ সব সত্ত্বেও হয়তো ‘ডেয়ার স্পিগেল' পত্রিকার আশঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে: যে মহিলা ‘‘প্রায় একাই'' জার্মানীর যৌন মানচিত্র বদলে দিয়েছিলেন, তাঁর সাধের সংস্থাটিকে এই অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করা খুব সহজ হবে না৷
মানবিক সম্পর্কে হতাশা, পুরুষ ঝুঁকছে পুতুলে
জাপানের অনেক পুরুষের মাঝে মানবিক সম্পর্কে হতাশা দেখা দিয়েছে৷ তাঁদের অনেকে ঝুঁকছেন পুতুলের দিকে৷ কেউ ঘর ভেঙে নতুন এই সম্পর্কে জড়াচ্ছেন৷ আবার কারো ঘর ভাঙছে এই সম্পর্কে জড়ানোয়৷
ছবি: Getty Images/B.Mehri
মাসায়ুকি ওজাকির ভালোবাসা
ছবিটি দেখে হঠাৎ মনে হতে পারে, কোনো ব্যক্তি তাঁর অসুস্থ্য স্বজনকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন৷ ছবিতে দেখা যাওয়া মাসায়ুকি ওজাকি পরম মমতায় যাকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাঁকে তিনি স্বজনই মনে করেন৷ তবে হুইল চেয়ারে করে নারীকে দেখা যাচ্ছে, তিনি কোনো কারণে অসুস্থ্য নন৷ কোনো দুর্ঘটনায় তাঁর চলার ক্ষমতা শেষ হয়ে যায়নি৷ এভাবেই তাঁকে তৈরি করা হয়েছে৷ হ্যাঁ, তাকে তৈরিই করা হয়েছে৷ নারীমূর্তিটি বাস্তবে একটা পুতুল৷
ছবি: Getty Images/B.Mehri
মায়ুর সঙ্গে যাত্রা
ওজাকি পুতুলটির নাম রেখেছেন মায়ু৷ কোনো এক শো রুমে দেখে পছন্দ হয়ে যাওয়া মায়ু ধীরে ধীরে ওজাকির জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে৷ নিজের জায়গা করে নিয়েছে পরিবারের অন্যদের মাঝেও৷ ‘রাবার রোমান্সে’-র এই সঙ্গীকে নিয়ে ড্রাইভেও বের হন ওজাকি৷
ছবি: Getty Images/B.Mehri
হতাশ ওজাকি ফিরতে চান না মানবিক সম্পর্কে
মানবিক ভালোবাসায় হতাশ ওজাকি দাবি করেছেন, তাঁর নতুন এই প্রেম ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইটে’-র মতো৷ তিনি আর ফিরতে চান না মানবিক সম্পর্কে৷ যদিও তিনি তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানের সঙ্গে এখনো একই ছাদের নীচেই বাস করছেন৷
ছবি: Getty Images/B.Mehri
পরিবারে অশান্তি-বিভেদ
যেহেতু এই পুতুল ব্যবহার হয় যৌনতায়ও৷ তাই এটা অনেকের পারিবারিক জীবনে অশান্তি ডেকে আনছে৷ ৬২ বছর বয়স্ক সেনজি নাকাজিমার জীবনেও তাই ঘটেছে৷ তাঁর পুতুল প্রেমিকার নাম সাওরি৷ সাওরিকে নাকাজিমার ছেলে মেনে নিলেও মেয়ে মানতে পারেনি৷ পারিবারিক বাসায় সাওরির প্রবেশ নিষিদ্ধ৷
ছবি: Getty Images/B.Mehri
পুতুল-মানবী
সার্ফিংয়ের জন্য সৈকতে নেয়ার পূর্বে সাওরিকে প্রস্তুত করছেন তিনি৷ এভাবেই জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে পুতুল মানবী৷
ছবি: Getty Images/B.Mehri
নতুন জাপানী-প্রবণতা
কেবল ওজাকি নয়, নতুন এই সম্পর্কে ঝুঁকছেন দেশটির বিপুর সংখ্যক পুরুষ৷ প্রতি বছর দুই হাজার এ রকম পুতুল বিক্রি হচ্ছে জাপানে৷ এই পুতুলগুলের দাম ৬ হাজার মার্কিন ডলারের মতো৷ পুতুলের আঙুল প্রয়োজন ও পছন্দ মতো নেয়া যায়৷ আলাদা করা যায় মাথা ও যৌনাঙ্গও৷ অর্থাৎ মনে না ধরলে মুখ এবং যৌনাঙ্গ পাল্টে ফেলা যায় অচিরেই৷
ছবি: Getty Images/B.Mehri
সত্যিকারের স্পর্শ মেলে?
পুতুল প্রস্তুতকারক ওরিয়েন্ট ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিডেও সুচিয়া বলেন, ৭০-এর দশকের পর এ পণ্য উৎপাদনে প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে গেছে৷ এখন এটা অনেকটা বাস্তবের মতোই মনে হয়৷ ছুঁয়ে দেখলে মনে হবে, আপনি সত্যিকারের মানুষের ত্বকই স্পর্শ করছেন৷ অনেক বেশি পুরুষ এখন এটা কিনছে৷ কারণ তাঁরা এর সঙ্গে সত্যিকারের যোগাযোগ করতে পারছেন বলে মনে করছেন৷