ইউক্রেন যুদ্ধ জার্মান সেনাবাহিনীকে বাস্তবতার কঠিন জমিনে আছড়ে ফেলেছে৷ সরকার অনুধাবন করেছে সেকেলে অস্ত্র আর সরঞ্জাম নিয়ে জার্মানির মতো দেশের সেনাবাহিনী চলতে পারে না৷ চাই দ্রুত আধুনিকায়ন৷ কিন্তু দ্রুত কি আদৌ সম্ভব?
বিজ্ঞাপন
দীর্ঘদিন ধরে অপর্যাপ্ত এবং পুরোনো সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে কাজ করছে জার্মানির সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং নৌ-বাহিনী৷ বড় কোনো অভিযানে যাওয়ার উপযোগী ট্যাঙ্ক, হেলিকপ্টার, বডি আর্মার, ব্যাকপ্যাক, এমনকি রাতের গভীরে নিরাপদে চলাফেরার জন্য ভালো নাইট-ভিশন গিয়ারও নেই তাদের৷ একটা সময় পর্যন্ত শীতে পরার উপযোগী অন্তর্বাসটা অন্তত পর্যাপ্ত ছিল৷ ইস্টার্ন ফ্রন্টে ন্যাটোর সঙ্গে যোগ দেয়ার সময় দেখা গেল অন্তর্বাসও প্রায় শেষ!
এ অবস্থা থেকে জার্মানির সেনাবাহিনীকে যুগোপযোগী করে তোলার জন্যই ১০০ বিলিয়ন ইউরোর বিশেষ তহবিল ঘোষণা করেছে জার্মান সরকার৷ তহবিল গড়তে ঋণ করতে হচ্ছে ৷ তাতে অবশ্য ওলাফ শলৎসের সরকারের কোনো আপত্তি নেই৷ সেনাবাহিনীর আধুকায়ন হবে- সরকারের কাছে এ মুহূর্তে এটাই আসল কথা৷
কিন্তু তহবিল ঘোষণা করলেই কি আধুনিকায়ন দ্রুত নিশ্চিত করা সম্ভব? দ্রুত না হলে কি যখন হবে তখন আর সদ্য পাওয়া সামরিক সঞ্জামে সজ্জিত সেনাবাহিনীকে আধুনিক বলা যাবে? জার্মান সেনাবাহিনীর যে কোনো পণ্য কেনার প্রক্রিয়া এত মন্থর যে, বিশেষজ্ঞদের মনে আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের বিষয়েও দীর্ঘসূত্রতার আশঙ্কা বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে৷ আশঙ্কাটা অমূলকও নয়, কারণ, অতীতে অনেক ক্ষেত্রেই কালক্ষেপন মানুষের কল্পনাকেও ছাড়িয়ে গেছে৷
সেনাবাহিনীর যে কোনো পণ্য ক্রয়ের বিষয়টি দেখভাল করে দ্য ফেডারেল অফিস অব বুন্ডেসভের ইকুইপমেন্ট, ইনফর্মেশন টেকনোলজি অ্যান্ড ইন-সার্ভিস সাপোর্ট (বিএআইএনবিডাব্লিউ)৷ তাদের প্রধান কার্যায় জার্মানির কোবলেনৎ্স শহরে৷ সেখানে কাজ করেন অন্তত সাড়ে ছয় হাজার কর্মী৷ সারা দেশে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে থাকা ১১৬টি কার্যালয় মিলিয়ে মোট কর্মী অন্তত ১১ হাজর জন৷ কিন্তু এত অফিস, এত কর্মী সেনাবাহিনীর ক্রয় কার্যালয়কে যে খুব সক্রিয় করেছে তা কিন্তু নয়৷ বরং তাদের কাজ এত মন্থর যে অনেক ক্ষেত্রেই তা লোক হাসাচ্ছে৷
১০ বছরেও কেনা যায় না হেলমেট!
বিএআইএনবিডাব্লিউ-এর আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সামান্য একটা কাজে অসামান্য বিলম্বের সাক্ষী হয়ে আছে সেনাবাহিনীর প্যারাশুটিস্টরা৷ তাদের জন্য হেলমেট কেনার চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছিল ১০ বছর আগে৷ সেই হেলমেট এখনো কেনা হয়নি৷ বুন্ডেসটাগের সংসদীয় কমিশনার ইফা হ্যোগল জানিয়েছেন, বিএআইএনবিডাব্লিউ নাকি কোন হেলমেট কিনবে সেটা মোটামুটি ঠিক করে ফেলেছে, কিন্তু ‘জার্মান স্ট্যান্ডার্ডের' হেলমেট বেছে নিতে গিয়েই দেখা দিয়েছে সমস্যা৷ বিএআইএনবিডাব্লিউ ঠিক করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাসদস্যরা যে হেলমেট পরে সেটাই কেনা হবে৷ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সেই হেলমেট জার্মানির আবহাওয়ায় ব্যবহার করা কতটা ভালো হবে তা বুঝতে পারছেন না বলে ১০ বছরেও কেনা হয়নি হেলমেট৷
জার্মান সেনাবাহিনীর যত কেলেঙ্কারি
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মতে, ২০১৭ সাল ভয়ঙ্কর, বিভৎস, ভয়াবহ এবং খারাপ বছর৷ নিজের সেনাবাহিনীকে সমর্থন না করে বরং তাদের কেলেঙ্কারি তুলে ধরে ক্ষোভের মুখে পড়েছেন তিনি৷ জেনে নিন জার্মান সেনাবাহিনীর কেলেঙ্কারির কথা৷
ছবি: picture alliance/akg-images
এক ভুয়া শরণার্থী
সিরীয় শরণার্থী সেজে এক জার্মান সেনা কর্মকর্তা সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল৷ সমান্তরাল এক দ্বিতীয় জীবন শুরু করেছিলেন ফ্রাংকো৷ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সিরীয় শরণার্থী হিসেবে নথিভুক্ত হন তিনি৷ তার লক্ষ্য ছিল শরণার্থীদের উপর হামলার দোষ চাপানো৷ ২০১৪ সাল থেকেই ফ্রাংকো’র ডানপন্থি আচরণের কথা জানতেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা৷ এাই ফ্রাংকো ধরা পড়ার থেকে জার্মান সেনাবাহিনিকে শুরু হয় বিতর্ক৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Rumpenhorst
বাড রাইশেনহাল পর্বতে রেঞ্জার ইউনিটে হয়রানি
ডানপন্থি সন্ত্রাসী আচরণের অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য সেনাবাহিনী বর্তমানে ২৭৫ টি মামলার তদন্ত করছে৷ চলতি বছরের মার্চে জনগণ একজন ল্যান্স করপোরালের কথা জানতে পারেন, যিনি কয়েক মাস ধরে বাভেরিয়া পর্বতের রেঞ্জার ইউনিটে হয়রানির শিকার হয়েছেন৷ নির্যাতিত ব্যক্তি জানিয়েছেন, ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে যৌন নীপিড়ন করা হয়েছে৷ এ ঘটনার জন্য ১৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Hoppe
নারীদের পোল ড্যান্সে বাধ্য করা
প্রতিরক্ষামন্ত্রী সবচেয়ে বড় যে কেলেঙ্কারির কথা বলেছেন তাহলো, ফুলেনডর্ফে স্টাওফের সেনাঘাঁটির ভয়াবহ ঘটনা৷ জানুয়ারিতে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের নগ্ন করা ও যৌনতা প্রকাশ পায় এমন আচরণ করতে বাধ্য করেছিলেন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, সেগুলো ভিডিও করা হয়েছিল৷ সদ্য নিয়োগ পাওয়া নারীদের ‘এনট্র্যান্স পরীক্ষা’র অংশ হিসেবে পোল ড্যান্সে বাধ্য করা হয়েছিল৷ একারণে সেনাবাহিনীর শীর্ষ প্রশিক্ষক কমান্ডারকে বরখাস্ত করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Warnack
ডানপন্থি সন্ত্রাসবাদের অনেক ঘটনার তদন্ত চলছে
জার্মান সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টারি কমিশনারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সাল জার্মান সেনাবাহিনীর জন্য মোটেই ভালো বছর ছিল না৷ ডানপন্থি সন্ত্রাসবাদ বা ‘জার্মানির মুক্ত গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক চেতনার লঙ্ঘন’ এর মোট ৬০টি অভিযোগের ঘটনা পাওয়া গেছে৷ এমনকি সেনারা নিজেদের নাৎসি চেতনা নিয়ে একে অপরের সাথে আলোচনা করে, নাৎসি সংগীত শোনে ও নাৎসি স্যালুটও দেয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Sauer
জাহাজে মৃত্যু
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার আগ পর্যন্ত এসব কেলেঙ্কারি নিয়ে কোনো মাথা ঘামায়নি সেনাবাহিনী৷ ২০১০ সালের একটি ঘটনা জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করে, তা হলো, গর্ক ফক-এ নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণের সময় ২৫ বছরের এক সদস্যের মৃত্যুর ঘটনা৷ প্রশিক্ষণের সময় ঐ নারী জাহাজের পাল থেকে নীচে পড়ে মারা যান৷ ফলে অন্যান্য ক্যাডেটরা পালে উঠতে আর রাজি হননি৷ পরে ঐ প্রশিক্ষণ বাতিল করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Rehder
জার্মান সেনাবাহিনীর জন্ম
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি সেনাবাহিনী রাখার পক্ষে ছিল না৷ পশ্চিম জার্মানিতে সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৫ সালে৷ পুনরেকত্রীকরণের পর পূর্ব জামানির সেনাবাহিনী থেকে ২০ হাজার সদস্য নেয় কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনী৷ ১৯৯৯ সালে যখন জার্মান সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক সংঘাতে (কসোভো যুদ্ধ) জড়িয়ে পড়ে, তখন এতে বড় ধরনের পরিবর্তন হয়৷ এর আগ পর্যন্ত কেবল বিদেশে শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের অংশগ্রহণ ছিল৷
ছবি: picture alliance/akg-images
বাধ্যতামূলক সেবা নয়
বর্তমানে জার্মান সেনাবাহিনীতে সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৭৮ হাজার ২০০৷ ২০১৭ সালের মার্চের হিসেব অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর মোট সদস্যের ১১.৪ শতাংশ নারী৷ ২০১১ সাল পর্যন্ত জার্মান সেনাবাহিনীতে পুরুষদের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক ছিল৷ এই মেয়াদকাল ছিল ৯ থেকে ১৮ মাস৷ বর্তমানে তরুণদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়৷ তবে সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির কারণে এই আবেদনে তাদের সাড়া দেয়াটা সত্যিই কঠিন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Sauer
7 ছবি1 | 7
৩০ বছরের পুরোনো রেডিও ইকুইপমেন্ট!
ইফা হ্যোগল ট্যাঙ্ক ব্যাটালিয়নের সদস্যদেরও দীর্ঘদিনের একটা আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন৷ তিনি জানান, ট্যাঙ্ক ব্যাটালিয়ন যে রেডিও ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করছে তা ৩০ বছর আগের৷ অনেক বছর ধরেই নতুন ইকুইপমেন্ট কেনার কথা ভাবা হচ্ছে, কিন্তু ভাবনা অনুযায়ী কাজ আর হচ্ছে না৷.
সাত বছর ধরে ভালো অ্যাসল্ট রাইফেলের অপেক্ষা
জার্মানির সেনা সদস্যদের জি৩৬ অ্যাসল্ট রাইফেলটি একটুতেই খুব গরম হয়ে যায়৷ ২০১৫ সালে প্রথম ধরা পড়ে এই সমস্যা৷ জার্মানির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন নতুন অ্যাসল্ট রাইফেল কেনার উদ্যোগ নেন৷ কিন্তুএখনো তা কেনা হয়নি৷
‘আমলাতন্ত্র দানবের মতো'
সেনাবাহিনী যে এখনো মান্ধাতার আমলের সরঞ্জাম এবং অস্ত্র ব্যবহার করছে তার জন্য কি আমলাতন্ত্রই মূলত দায়ী? গবেষক জাওয়ার নিঃসঙ্কোচে বললেন, ‘‘তা তো অবশ্যই, বিশেষ করে জার্মানির প্রতিরক্ষা আমলাতন্ত্র তো চূড়ান্ত রকমের দানবীয়৷''
অবস্থা পরিবর্তনে জরুরি উদ্যোগ
১০০ বিলিয়ন ইউরোর আধুনিক অস্ত্র-সরঞ্জাম ক্রয়কে ত্বরান্বিত করতে সম্প্রতি একাধিক জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানির সংসদ৷ নতুন নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জরুরি প্রয়োজনের পণ্যগুলো এখন থেকে সরাসরি কেনা যাবে৷ বিশেষ করে যেসব পণ্যের দাম ১০০০ ইউরোর কম, সেগুলো এখন থেকে সরাসরিই কেনা হবে৷
সেনাবাহিনী ছাড়া দেশ
বিশ্বে এমন কিছু দেশ আছে যাদের কোনো সেনাবাহিনী নেই৷নিজস্ব কোনো সেনাবাহিনী ছাড়াই দিব্যি আছে তারা৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: picture-alliance/dpa/Z. Kurtsikidze
নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিল বলে!
মধ্য অ্যামেরিকার দেশ কোস্টারিকায় ১৯৪৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে খুব কারচুপি হয়েছিল৷ নির্বাচন না মেনে বিদ্রোহিরা ক্ষমতা দখল করে নেয়৷ তারপর সেনাবাহিনীও বিলুপ্ত ঘোষণা করে তারা৷ ১৫৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৪টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে সেই দেশে৷ সাবগুলোই হয়েছে শান্তিপূর্ণ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রাষ্ট্রের ব্যয় কমাতে সেনাবাহিনী বাদ
মধ্য ইউরোপের দেশ লিশ্টেনস্টাইনে সেনাবাহিনী নেই ১৮৬৮ সাল থেকে৷ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় সেনাবাহিনীর পেছনে আর ব্যয় না করার সিদ্ধান্ত থেকেই তা বিলুপ্ত করা হয়েছিল৷
ছবি: Fotolia/S.A.N.
প্রতিবেশীর আশ্বাসে আস্থা রেখেছে সামোয়া
নিউজিল্যান্ড থেকে ১৯৬২ সালে আলাদা হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে সামোয়া৷ তখন থেকেই তাদের সেনাবাহিনী নেই৷ নিউজিল্যান্ড বলেছিল, যে-কোনো বিপদে পাশে দাঁড়াবে৷ সেই ভরসায় আর সেনাবাহিনী গড়েনি সামোয়া৷
ছবি: picture-alliance/DUMONT Bildarchiv
ফ্রান্স আর স্পেন আছে তাই
ইউরোপের দেশ অ্যান্ডোরা স্বাধীন ভূখণ্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ১২৭৮ সালে৷ স্পেন আর ফ্রান্স আশ্বাস দিয়েছে, অ্যান্ডোরার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে এগিয়ে আসবে৷ এমন বন্ধু থাকলে সেনাবাহিনীর কী দরকার!
ছবি: picture-alliance/Thomas Muncke
ছোট দেশ টুভালু
টুভালুর ক্ষেত্রফল মাত্র ২৬ বর্গ কিলোমিটার৷ এখনো সেনাবাহিনীর দরকার মনে করেনি সেই দেশের সরকার৷
ছবি: AP
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ
ইটালির রাজধানী রোমের ভেতরে হলেও ভ্যাটিকান কিন্তু স্বাধীন ভূখণ্ড৷ ক্ষেত্রফল মাত্র শূন্য দশমিক ৪৪ বর্গ কিলোমিটার৷ ভ্যাটিকানেরও কোনো সেনাবাহিনী নেই৷
ছবি: picture-alliance/Arco/Schoening
৩৬ বছর কেটে গেল
৩৬ বছর হলো গ্রেনাডার নিয়মিত কোনো সেনাবাহিনী নেই৷ একটি বড় এবং ছয়টি ছোট দ্বীপ নিয়ে গড়া এই দেশটির ক্ষেত্রফল ৩৪৪ বর্গকিলোমিটার৷
ছবি: shaggyshoo/nd
নাউরুর দায়িত্ব অস্ট্রেলিয়ার
প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপদেশ নাউরুর নিরাপত্তার দায়িত্ব সত্যি সত্যিই নিয়ে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া৷ ২১ দশমিক ১০ বর্গকিলোমিটার ক্ষেত্রফল এবং ১০ হাজার অধিবাসীর এই দেশটিতেও তাই সেনাবাহিনী নেই৷