জার্মান সেনাবাহিনী আফগানিস্তান ছাড়বে, তবে অবস্থা বুঝে
১৩ জানুয়ারি ২০১১মেয়াদ বাড়ানোটা বড় কথা নয়, বড় কথা হল, এই প্রথম জার্মান সেনাবাহিনীর আফগানিস্তান পরিত্যাগের একটা বাস্তব রূপরেখা যেন ধীরে ধীরে ফুটে উঠেছে৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে বলেছেন, তা এ'বছরই শুরু হতে পারে:
‘‘আমাদের বিশ্বাস যে, আমরা এ'বছরের শেষেই আফগানিস্তানে জার্মান সৈন্যসংখ্যা প্রথম বারের মতো কমাতে পারব, কেননা আমরা আগামী বসন্ত থেকেই প্রথম বারের মতো আঞ্চলিক নিরাপত্তার দায়িত্ব আফগানদের হাতে তুলে দিতে শুরু করব৷''
২০১১'র শেষ থেকে আফগানিস্তানে জার্মান সৈন্যদের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হবে৷ বর্তমানে ঐ সৈন্যসংখ্যা প্রায় ৪,৬০০, এবং প্রয়োজনে তা বাড়িয়ে ৫,৩৫০ করার সনদ রয়েছে৷ কিন্তু পূর্ণাঙ্গ সৈন্যাপসারণের কোনো তারিখ উল্লেখ করা হয়নি - আপোষটা সেখানেই৷ কমানো হবে, কিন্তু পরিস্থিতি বুঝে, বলেছেন ভেস্টারভেলে৷
তার একটা কারণ হয়তো এই যে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্ল-থেওডোর সু গুটেনবের্গ কোন নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করাটাকে নির্বুদ্ধিতা বলে মনে করেন:
‘‘সৈন্যাপসারণ হবে মানানসই নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুযায়ী৷ আমরা একটি অঞ্চল স্থায়ীভাবে পরিত্যাগ করব এবং তার কিছুদিনের মধ্যেই পরিস্থিতির নাটকীয়ভাবে অবনতি ঘটবে, এ'টা কারোরই কাম্য হতে পারে না৷ কাজেই আমাদের বুঝে-সুঝে অগ্রসর হতে হবে৷''
তবে জার্মান সৈন্যরাই যে সব শেষে আফগানিস্তান পরিত্যাগ করবে না, এ'টা নিশ্চিত৷ অর্থাৎ তারা অন্যরা আফগানিস্তান পরিত্যাগ করার পর সেখানে থাকবে না৷ ওদিকে মার্কিনিরা এবং অন্যান্য মিত্ররা চলতি বছরেই সৈন্যাপসারণ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে৷ ফলে জার্মান সরকারও কিছুটা চাপে পড়েছেন৷ ভেস্টারভেলে ২০১৪ সালের মধ্যে যুদ্ধসৈনিকদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে আপাতত পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন৷
সরকারের এই সর্বাধুনিক আপোষী সনদে বিরোধী সামাজিক গণতন্ত্রীদের সায় থাকবে৷ সবুজরা অতো ভাসা ভাসা প্রস্তাবে সন্তুষ্ট নয়৷ বামদল চায় অবিলম্বে সৈন্যাপসারণ৷ কাজেই আগামী ২৮শে জানুয়ারি সংসদে যেমন বিতর্ক, তেমনই ভোটাভুটি, দু'টোই চাঞ্চল্যকর হবে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই