1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তান পরিস্থিতি

নাবিলা কারিমি-আলেকোজাই/এসি৮ অক্টোবর ২০১৩

প্রায় দশ বছর ধরে জার্মান সৈন্যরা উত্তর আফগানিস্তানের কুন্দুসে একটি সুপরিচিত দৃশ্য৷ এবার তারা বিদায় নিচ্ছে, এই চিন্তাটা কুন্দুসের বহু মানুষের কাছে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা কি আবার ফিরে আসবে?

জার্মান সেনাবাহিনীর বিদায় উপলক্ষ্যে কুন্দুসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী টোমাস দেমেজিয়েরছবি: Reuters

শহরের বাইরে কয়েকটি জেলায় তালেবান ইতিমধ্যেই নিজেদের জাহির করছে বলে প্রকাশ৷ এছাড়া কিছু সশস্ত্র অপরাধী গোষ্ঠীও নাকি তাদের কার্যকলাপ চালাচ্ছে৷ এই প্রদেশে জার্মান সৈন্যদের আগমনটাই ছিল কুন্দুসবাসীদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা৷ তাদের ধারণা হয়েছিল, যতদিনের জন্যই হোক, এবার তারা নিরাপদে বাস করতে পারবে, জীবনধারণ করতে পারবে, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে পারবে৷

German military leaves Kunduz camp

01:24

This browser does not support the video element.

জার্মান সেনাবাহিনীর উপস্থিতির পাশাপাশি চলেছে পুনর্নির্মাণের কাজ: রাস্তাঘাট তৈরি, স্কুলবাড়ি মেরামত, শিক্ষক এবং মজদুর-কারিগরদের প্রশিক্ষণ৷ জার্মান সৈন্যরাও স্থানীয় দোকানবাজার থেকে কেনাকাটা করেছে, যা ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের অর্থ উপার্জনের একটা নির্ভরযোগ্য উৎস৷ কিন্তু প্রায় এক বছর আগে থেকেই কুন্দুসের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করেছে, যার ফলে জার্মান সৈন্যরাও তাদের ছাউনি ছেড়ে বাইরে আসা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে৷

সহযোগিতা বনাম নিরাপত্তা

জার্মান সেনাবাহিনী কুন্দুস ছাড়ছে বলেই যে জার্মানি কুন্দুসকে পরিত্যাগ করছে, এমন নয়৷ জার্মানির রাষ্ট্রায়ত্ত ‘আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সমিতি' বা জিআইজেড আগের মতোই উত্তর আফগানিস্তানে সক্রিয় থাকবে৷ জিআইজেড-এর নতুন নিরাপত্তা নীতির ভিত্তিপ্রস্তর হবে স্থানীয় জনগণের আস্থা৷ এভাবেই জিআইজেড অন্তত ২০১৬ সাল অবধি আফগানিস্তানের এই প্রত্যন্ত প্রদেশে কাজ চালিয়ে যাবে৷

ছবি: picture alliance / JOKER

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আসল উদ্বেগ যাদের, তারা হলো জার্মান সেনাবাহিনীর স্থানীয় আফগান সহকারী ও কর্মচারীদের৷ ‘বুন্ডেসভেয়ার' কুন্দুস পরিত্যাগ করার অর্থ, তাদের চাকুরির অন্ত – এবং শুধু তা-ই নয়: তাদের এবং তাদের পরিবারবর্গের জীবনাশঙ্কা পর্যন্ত রয়েছে৷ আইসাফ-এর হয়ে যারা কাজ করেছে, তারাই তালেবানের চোখে ‘দুশমন'৷ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীরাও কোনো আফগানের ‘বিদেশিদের' সঙ্গে সহযোগিতা করা বরদাস্ত করবে না৷

জার্মান সরকার এই সব মানুষদের আসন্ন বিপদ সম্পর্কে সচেতন৷ জার্মান সেনাবাহিনীর পশ্চাদপসারণের পর যাদের জীবন বিপন্ন হতে পারে, তারা জার্মানিতে বসবাসের ভিসার আবেদন করতে পারবে৷ কিন্তু সেই আবেদন মঞ্জুর হবে কিনা, তা প্রতিক্ষেত্রে পৃথকভাবে বিবেচনা করে দেখা হবে৷ শুধু জার্মান সেনাবাহিনীর সঙ্গেই নয়, অন্যান্য জার্মান ফেডারাল মন্ত্রণালয় কিংবা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যে সব স্থানীয় আফগান করেছেন, তারা সকলেই এই ভিসার আবেদন করার সুযোগ পাবেন৷

কৈশোরের অন্ত

অপরদিকে জার্মান সেনাবাহিনীর পক্ষে কুন্দুস এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে৷ যাকে ‘‘কুয়ো খোঁড়া থেকে সশস্ত্র যুদ্ধ'' বলেছেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী টোমাস ডি মেজিয়ের৷ এখানেই জার্মান সেনাবাহিনী তাদের কৈশোর হারিয়েছে, এখানেই তারা জীবন দিতে এবং জীবন নিতে শিখেছে৷ তার দু'টি দৃষ্টান্ত: কুন্দুসের কাছেই একটি তেলের ট্যাংকারের উপর ন্যাটোর বিমান হানায় শতাধিক বেসামরিক আফগানের মৃত্যু ঘটেছে; সেই বিমান হানার নির্দেশ দিয়েছিলেন জার্মান সেনাবাহিনীর এক কর্নেল৷ অন্যদিকে এই কুন্দুসে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৪ জন জার্মান সৈন্য৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ