ষাঁড়কে বশ মানানোর খেলা ‘জালিকাট্টু' নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের যে রায়, তাকে খারিজ করতে অধ্যাদেশ আনছে তামিলনাড়ু এবং কেন্দ্র, দুই সরকারই৷
ছবি: UNI
বিজ্ঞাপন
দক্ষিণ ভারতের রাজ্য তামিলনাড়ুর রাজধানী শহর চেন্নাইয়ের মেরিনা সৈকতে জালিকাট্টুর সমর্থনে বিক্ষোভ সমাবেশ চলছে গত দু'দিন ধরে৷ কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মীরা নন, এই সমাবেশে সামিল হাজার হাজার তরুণ, যুবক, যাঁরা মনে করছেন, ষাঁড়কে বশ মানানোর খেলা ‘জালিকাট্টু' তামিল সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ৷ প্রতি বছর নবান্ন উৎসব ‘পোঙ্গল'-এর আগে এই খেলার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু বছরের ‘ফার্টিলিটি কাল্ট'৷ কাজেই পশুদের প্রতি মানবিক আচরণের দাবিতে সোচ্চার সংগঠন ‘পেটা'-র আর্জিতে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত জালিকাট্টু নিষিদ্ধ করার যে রায় দিয়েছিল, তাকে বাতিল করতে হবে৷ গত বুধবার থেকে চেন্নাইতে এই নিয়ে যে জনসমাবেশ, তা শুক্রবার আরও ব্যাপক চেহারা নেয়৷ বহু ছেলে-মেয়ে, যাঁরা অনেকেই বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী, তাঁরা অফিস ছুটি নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দেন৷ তাঁদের অনেকেই বলতে থাকেন, তথাকথিত ‘আরব বসন্ত'-এর মতোই বৈপ্লবিক এই স্বতঃস্ফূর্ত গণবিক্ষোভ, যা সামাল না দিলে বিদ্রোহের চেহারা নেবে!
পশ্চিমবঙ্গের গরুর দৌড়
প্রতি বছর জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গ্রামে গরুর দৌড় হয়৷ সম্প্রতি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গরুর দৌড় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে৷ কিন্তু লোকজন যেভাবে গরুর দৌড় নিয়ে উৎসাহিত তাতে কি এটা আদৌ বন্ধ করা যাবে?
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বর্ষার আগমনি উদযাপন
প্রতি বছর জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গ্রামে গরুর দৌড় হয়৷ বর্ষার আগমন উদযাপন করতে চালু হয়েছিল এই প্রথা, যেহেতু বর্ষা কৃষিকাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
ইতিহাস
যদিও গ্রামের বয়স্করা বলেন, প্রখর গ্রীষ্মে শুকিয়ে যাওয়া জমির উপরিভাগ একটু ভেঙে নিলে বৃষ্টির জল ভিতরে ঢুকতে পারবে এবং পরে লাঙল দিতে সুবিধে হবে - সেই তাগিদ থেকেই শুরু হয়েছিল গরুর দৌড়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
এখন শুধুই বিনোদন
কিন্তু এখন চাষের কাজে যন্ত্রচালিত লাঙলই ব্যবহার হয়৷ গরুর দৌড় তাই থেকে গিয়েছে একটা ক্রীড়া এবং বিনোদন হিসেবে৷ আর গবাদি পশুর মালিকদের কাছে এটা এখন একটা সম্মানের লড়াই৷ অন্যদিকে দৌড়বাজ গরুর উপর বাজি ধরেন সাধারণ দর্শক৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
মনোযোগি দর্শক
কাজেই কিছু দর্শকের নিবিষ্ট চাহনি দেখেই বোঝা যায়, দৌড়ের কোনও অংশ তাদের নজর এড়িয়ে যায় না৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
সবার প্রিয়
গ্রামের কিশোর, তরুণরাও সকাল থেকে ভিড় জমায় রেসের মাঠে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
নিরাপদ দূরত্ব
গ্রামের কিশোরী, তরুণী এবং মহিলারা আর প্রবীণরা একটু নিরাপদ দূরত্বে থেকেই মজা দেখেন৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
মাদকের প্রভাব
এই নিরাপদ দূরত্ব রাখাটা জরুরি, কারণ গরুগুলো দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছোটে৷ সম্ভবত ওরা কোনও মাদকের প্রভাবে উত্তেজিত থাকে৷ মাদকের মধ্যে সবথেকে সহজলভ্য কোল্ড ড্রিঙ্ক আর ব্যথা কমানোর ওষুধের মিশ্রন৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
গরুকে ঠান্ডা করা
যে কারণে একেকটা দৌড় যেই শেষ হয়, রাখালেরা গিয়ে একেকজন একেকটা গরুকে সামলাবার দায়িত্ব নিয়ে নেয়৷ জোর করে ওদের নিয়ে যায় সামান্য গভীর জলে, যাতে গরুগুলো একটু ঠান্ডা হয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
নিষিদ্ধের রায়
তবে পশু অধিকার সুরক্ষা সংগঠনগুলোর অভিযোগ পেয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গরুর দৌড় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কারণ গরু দৌড়োবার উপযুক্ত প্রাণি নয় এবং তাদের নিয়ে প্রতিযোগিতার কারণে নানাভাবে তাদের কষ্ট দেওয়া হয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বন্ধ হবে কি?
কিন্তু লোকে যেভাবে গরুর দৌড় নিয়ে উৎসাহিত, অদূর ভবিষ্যতে এই দৌড় বন্ধ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই, সে আদালত বা পশুপ্রেমীরা যা-ই বলুন না কেন!
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
10 ছবি1 | 10
এর পরই শনিবার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ও. পনিরসেলভম আর্জি জানালেন, বিক্ষোভ বন্ধ করে সবাই যেন ঘরে ফিরে যান৷ কারণ সুপ্রিম কোর্টের ঐ রায়ের বিপক্ষে গিয়ে রাজ্য সরকার অর্ডিন্যান্স বা অধ্যাদেশ জারি করে জালিকাট্টুকে বৈধ ঘোষণা করবে৷ আগামী দু'দিনের মধ্যে এই অধ্যাদেশ জারি হবে৷ বুধবার রাতের খবর ছিল, কেন্দ্র সরকারও এই প্রশ্নে তামিলনাড়ু সরকারের পাশেই থাকছে৷ তামিল মানুষের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার প্রশ্নে একমত নরেন্দ্র মোদীর সরকারও৷ কাজেই রাজ্য সরকার অধ্যাদেশ জারি করলে তাতে কেন্দ্র সরকারের সায় থাকবে৷ এ প্রসঙ্গে শনিবার ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি জানালেন, এমনও হতে পারে যে কেন্দ্র সরকারও সমধর্মী একটি অধ্যাদেশ জারি করল৷ এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, তামিলনাড়ু সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো অধ্যাদেশ জারি করলে তাতে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সম্মতি প্রয়োজন৷ রাষ্ট্রপতি এই মুহূর্তে কলকাতা সফরে৷ তবে শুক্রবার রাতেই তিনি রাজধানী ফিরে যাচ্ছেন৷ সম্ভবত সেই কারণেই অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, এক দিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে৷
তামিলনাড়ুর মানুষেরও দাবি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক৷ কারণ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কারণে গত বছরও রাজ্যে জালিকাট্টু নিয়ে সমস্যা হয়েছিল৷ এ বছরও পুলিশ জালিকাট্টুর কয়েকজন উদ্যোক্তাকে গ্রেপ্তার করে, যার থেকে এত প্রতিবাদ, বিক্ষোভের শুরু৷ তামিল জনতার নয়নমনি, তামিল ছবির সুপারস্টারও এদিন নীরব প্রতিবাদে সামিল হন৷ অস্কারজয়ী সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার এ আর রহমানও জানান, তিনি দিনটি উপবাসে কাটিয়ে প্রতিবাদ জানাবেন৷ আন্তর্জাতিক দাবার প্রাক্তন গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দও জানিয়েছেন যে, তিনি জালিকাট্টুর পক্ষে৷ এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা যে অমান্য হবেই, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ তামিলনাড়ুর ক্ষমতাসীন এডিএমকে দলের বরিষ্ঠ নেতা এম থাম্বিদুরাই দলীয় সাংসদদের নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন৷ তিনি এদিন জানালেন, খুব সম্ভবত রবিবারই অধ্যাদেশ জারি হয়ে যাবে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পনিরসেলভামকে জানিয়েছেন, তামিল ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাতেই কেন্দ্রের সায় আছে৷
যেসব তারকা প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করেন
বিশ্বব্যাপী প্রাণীদের অধিকার নিয়ে কাজ করছে বেশ কিছু সংগঠন৷ তাদের কার্যক্রমে মানুষকে আকৃষ্ট করতে তারকাদের সহায়তা নেয় এসব সংস্থা৷
ছবি: AP
রায়ান গোসলিং
ক্যানাডীয় অভিনেতা ও সংগীত শিল্পী গোসলিং ২০০৩ সালে কেএফসির কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন৷ মুরগি পালন ও জবাইয়ের ক্ষেত্রে আরেকটু মানবিক হতে কেএফসিকে তিনি আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ পরবর্তীতে ম্যাকডোনাল্ডসকেও একইরকম বার্তা পাঠান গোসলিং৷
ছবি: picture-alliance/dpa/G. Horcajuelo
এলেন ডিজেনেরাস
মার্কিন এই কমেডিয়ান টেলিভিশনে প্রচারিত তাঁর জনপ্রিয় শো-তে নিয়মিতভাবে প্রাণী অধিকারের বিষয়টি তুলে আনেন৷ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৯ সালে তাঁকে ‘ওমেন অফ দ্য ইয়ার’ খেতাব দেয় প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা বিশ্বের অন্যতম বড় সংগঠন ‘পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অফ অ্যানিমেল’ (পেটা)৷
ছবি: Getty Images/K. Winter
ক্রিস্টেন বেল
মার্কিন অভিনেত্রী ও সংগীত শিল্পী বেল ১১ বছর বয়স থেকেই ভেজিটেরিয়ান৷ পেটা ২০০৬ সালে তাঁকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে যৌনআবেদনময়ী ভেজিটেরিয়ান’-এর খেতাব দেয়৷ প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনকে তিনি আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকেন৷ মাঝেমধ্যে তাঁদের কার্যক্রমেও অংশ নেন বেল৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Sanchez-Gonzales
কেশা
২৮ বছর বয়সি মার্কিন এই সংগীত শিল্পী সীল, সিংহ ও হাঙরের মতো প্রাণীর অধিকারের জন্য তাঁর জনপ্রিয়তা কাজে লাগাচ্ছেন৷ কসমেটিকস তৈরিতে বিভিন্ন প্রাণী নিধনের বিরুদ্ধেও তিনি সোচ্চার৷ এ ধরনের কাজের জন্য তিনি স্বীকৃতিও পেয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ভিওলা ডেভিস
সার্কাসের হাতিদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা বাধ্য করে আইন করতে যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড স্টেটের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন মার্কিন অভিনেত্রী ভিওলা ডেভিস৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
ডেমি মুর
সার্কাসের হাতিদের প্রশিক্ষণে অঙ্কুশ ব্যবহারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রাণীদের প্রতি তাঁর অনুভূতির জানান দেন ডেমি মুর৷
ছবি: Getty Images
পল ম্যাকার্টনি
নিজেদের পালিত একটি ভেড়াকে জবাইয়ের পর নিজেদের প্লেটে মাংস হিসাবে রূপান্তরিত হতে দেখে ভেজিটেরিয়ান হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিটলসখ্যাত পল ও তাঁর স্ত্রী লিন্ডা ম্যাকার্টনি৷ সেই থেকে এই দম্পতি পেটা সহ অন্য আরেকটি প্রাণী অধিকার বিষয়ক সংগঠনকে সহায়তা করে থাকে৷ তাঁরা বলেন, ‘‘যদি কসাইখানাগুলোর দেয়াল কাচের হতো তাহলে সবাই ভেজিটেরিয়ান হয়ে যেত৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Scheidemann
প্যামেলা অ্যান্ডারসন
বেওয়াচখ্যাত অভিনেত্রী প্যামেলা অ্যান্ডারসন পেটা-র হয়ে অনেকগুলো কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন৷ যেমন ২০০৩ সালে তিনি পেটা-র ‘পশুর চামড়া দিয়ে তৈরি পোশাক পরার পরিবর্তে আমি নগ্ন হয়ে থাকব’ কর্মসূচিতে অংশ নেন৷ ২০০১ সালে তিনি কেএফসি-র বিরুদ্ধে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘প্রতিবছর কেএফসি সাড়ে সাতশ মিলিয়ন মুরগির সঙ্গে যা করে তা গ্রহণযোগ্য নয়৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa
বলিউড তারকারাও সোচ্চার
বেশ কয়েকজন বলিউড তারকাও প্রাণী অধিকারের পক্ষে বিভিন্ন সময়ে তাঁদের অবস্থান জানিয়েছেন৷ এঁদের মধ্যে আছেন হেমা মালিনি, মাধুরী দীক্ষিত, জন আব্রাহাম, সেলিনা জেটলি, শিল্পা শেঠী, অর্জুন রামপাল ও শাহেদ কাপুর৷
ছবি: UNI
9 ছবি1 | 9
এদিকে পশু অধিকার সুরক্ষা সংগঠন ‘পেটা'-কে নিষিদ্ধ করারও দাবি উঠেছে তামিলনাড়ুতে৷ কিন্তু পেটা নিজেদের অবস্থানে অনড়৷ তাদের আপত্তি, খ্যাপা ষাঁড়কে পোষ মানানোর এই প্রচলিত রীতিতে, ষাঁড়কে খ্যাপানোর জন্য তার চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে, ধারালো জিনিস দিয়ে খোঁচা মারা, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা, কিছুই বাদ থাকে না৷ এবং সহজে যাতে ষাঁড়কে বশে আনা যায়, তার জন্য মাদক ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় ষাঁড়গুলিকে৷ জালিকাট্টু আদতে একটি বর্বর, মধ্যযুগীয় প্রথা ছাড়া আর কিছুই নয়৷ পেটা এদিন জানিয়েছে, গত ৭ জানুয়ারি বন্যপ্রাণ মন্ত্রকের তরফ থেকেও এক বিজ্ঞপ্তিতে জালিকাট্টুকে ছাড় দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল৷ তার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পেটা৷ এবারও যদি অধ্যাদেশ জারি হয়, তার বিরুদ্ধে ফের আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে৷
আপনার কী মনে হয়? ‘জালিকাট্টু' কি সত্যিই নিষিদ্ধ করা উচিত? লিখুন নীচের ঘরে৷