জাহাজ থেকে তেল ছড়িয়ে দূষণ মুম্বই উপকূলে
৯ আগস্ট ২০১০মুম্বই বন্দরের অদূরে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে তেল নিঃসরণের ফলে পরিবেশ দূষণে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংও৷ এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন তিনি জাহাজ চলাচল মন্ত্রণালয়ের কাছে চেয়েছেন এবং এর কারণ কী, তা খুঁজে বের করতে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন৷ বিষয়টি আজ সংসদেও ওঠে৷ পরিবেশমন্ত্রী জয়রাম রমেশ সংসদে বলেন, জাহাজের মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ মহারাষ্ট্র দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ইতোমধ্যেই আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে৷ কংগ্রেস সাংসদ ওই এলাকার বিপন্ন মত্সজীবীদের সমস্যার দিকে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার এবং জাহাজের চালকদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান৷
ভারতের উপকূল রক্ষী ও নৌ-বাহিনী দূষণ রোধে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে৷ উপকূল রক্ষী বাহিনীর ছয়টি জলযান ও হেলিকপ্টার থেকে দূষণ নিরোধক স্প্রে করা হচ্ছে৷ কিন্তু তেল তিঃসরণ এখনো বন্ধ হয়নি, বরং সমুদ্রের আরো বেশি এলাকায় তা ছড়িয়ে পড়ছে৷ এ পর্যন্ত প্রায় ৫০-৬০ টন তেল সাগরের জলে মিশেছে৷ ঘণ্টায় তিন থেকে চার টন তেল লিক করছে৷ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কন্টেনার জাহাজ ‘চিত্রা' প্রায় ৮০ ডিগ্রি হেলে যাওয়ায় সেখান থেকে তেল ছড়াচ্ছে বেশি৷ ওই জাহাজের ১২০০ কন্টেনারে ছিল ২৭০ টন তেল৷ ৩০০টি কন্টেনার ইতোমধ্যেই গড়িয়ে পড়েছে সমুদ্রে৷ তেল লিক করার আসল জায়গাটা চিহ্নিত করা যায়নি৷
জানা গেছে, তেল ছাড়াও সমুদ্রে ভাসতে দেখা গেছে কন্টেনারের বিপজ্জনক রাসায়নিক সোডিয়াম পার অক্সাইড, যা সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক৷ তেল নিঃসরণ বন্ধ করার জন্য মুম্বই পোর্ট ট্রাস্ট নিয়োগ করেছে নেদারল্যান্ডের এক বিশেষজ্ঞ দলকে৷ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী অশোক চৌহান এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন৷ আর এই কারণে মুম্বই বন্দরে জাহাজ চলাচল আপাতত কমানো হয়েছে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ