1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
উদ্ভাবনসুইডেন

জিঞ্জারব্রেড দিয়ে তৈরি চলচ্চিত্রের ভীতিকর চরিত্র

৯ মার্চ ২০২৩

বাইরে ভয়ংকর রূপ, ভেতরটা মিষ্টি৷ এক সুইডিশ শিল্পী চলচ্চিত্রের ভীতিকর চরিত্রদের নিয়ে ভোজ্য শিল্পকর্ম তৈরি করে বিস্ময় জাগাচ্ছেন৷ সেগুলি স্থায়ী হয় না বলে মানুষ কদর করে বেশি৷

কারোলিন এরিকসন
কারোলিন এরিকসনছবি: DW

শিল্পী কারোলিন এরিকসনের বৈঠকখানা হরর ও কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্রের ‘মনস্টার' বা দৈত্যে ভরা৷ তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই, সেগুলি সব জিঞ্জারব্রেড দিয়ে তৈরি৷ কারোলিন বলেন, ‘‘কাঠামো জিঞ্জারব্রেডের ওজন ধরে রাখতে পারবে কিনা, সেটাই আমার সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ৷ না পারলে ভেঙে মেঝের উপর পড়বে৷ তখন আমার সব কাজ হারিয়ে যাবে৷ সত্যি আশা করি, এমনটা ঘটবে না৷''

দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অসলো-ভিত্তিক এই সুইডিশ শিল্পী মার্কিন অতিপ্রাকৃত ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস' সিরিজের মনস্টার ‘ডেমোগর্গন' নিয়ে কাজ করছেন৷ জিঞ্জারবেডের উচ্চতা এক মিটার বিশ সেন্টিমিটার, ওজন প্রায় ১৫ কিলো৷

স্টার ওয়ার্সের ডার্থ ভেডার, এলিয়েন চলচ্চিত্রের জেনোমর্ফ, গার্ডিয়ান্স অফ দ্য গ্যালাক্সির গ্রুট এবং স্পাইডারম্যানের চরিত্র ভিনোমের মতো জিঞ্জারব্রেডের সৃষ্টিও শোভা পাচ্ছে৷ এমন উদ্ভট শখ সম্পর্কে কারোলিন বলেন, ‘‘আমি চলচ্চিত্র-পাগল ও সায়েন্স ফিকশন অনুরাগী৷ পপ কালচারের সব কিছুই আমার পছন্দ৷ সে কারণেই হয়তো এমন সব চরিত্র বেছে নেই৷ তাছাড়া ভয়ংকর ও রহস্যজনক কোনো কিছু তৈরির একটা আলাদা রোমাঞ্চ রয়েছে৷ আমার সত্যি সেটা পছন্দ৷''

প্রতিটি প্রকল্পই এক স্কেচের মাধ্যমে শুরু হয়৷ নিজের কাজের মূলমন্ত্র ব্যাখ্যা করে কারোলিন এরিক্সসন বলেন, ‘‘প্রক্রিয়ার শুরুতে কোন্ দিকে সব সময়ে মনোযোগ দিতে হয়, সেটা আমি শিখেছি৷ কারণ শুরুতে ভুল করলে পরেও কিছু না কিছু গোলমাল হবে৷ তাই আগেভাগেই সম্ভাব্য সমস্যা কল্পনা করে ঘটার আগেই সেই সমস্যা দূর করার চেষ্টা করি৷''

জিঞ্জারব্রেড দিয়ে তৈরি কারোলিনের চরিত্ররা

04:19

This browser does not support the video element.

মূর্তিগুলিকে স্থিতিশীল করতে তিনি তার দিয়ে এক কঙ্কাল তৈরি করে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে মুড়ে দেন৷ জাপানের ‘স্পিরিটেড অ্যাওয়ে' নামের অ্যানিমে চলচ্চিত্রের ড্রাগন হাকু তাঁর অন্যতম চলমান প্রকল্প৷ মূর্তির বাইরের অংশ সব সময়ে শুদ্ধ জিঞ্জারব্রেডের তাল দিয়ে তৈরি৷ সেটা কি শিল্প, নাকি বড়সড় এক বিস্কিট? কারোলিন বলেন, ‘‘আমার মনে কখনো এমন ভাস্কর্য খাবার ইচ্ছে জাগে নি৷ আমি যেহেতু কুকি নয়, আর্ট হিসেবে সেগুলি সৃষ্টি করি, কেউ সেই ভাস্কর্য খেলে আমার কষ্ট হবে বলে মনে হয়৷''

শুরুতে তিনি জিঞ্জারবেড দিয়ে বাড়িঘর বানিয়েছেন৷ তখন থেকেই তিনি একই উপকরণ দিয়ে জীবগুলি সৃষ্টির আইডিয়া পান৷ কারোলিন এরিকসন বলেন, ‘‘এটি জিঞ্জারবেড তৈরির সাধারণ প্রণালী৷ আমি একেবারে শুরু থেকে সেটা তৈরি করি৷ অতএব খাওয়া যায়৷ স্বাদ আসলেই খুব ভালো৷''

কারোলিন এরিকসনের সর্বশেষ কৌশল হলো এমন এক জিঞ্জারব্রেডের তাল তৈরি করা, পানি যোগ করার কারণে যেটি কাদামাটির মতো সহজে পছন্দমতো আকার দেওয়া যায়৷

তিনি ধীরে ধীরে কাঠামোর উপর সেই তাল বসিয়ে একাধিকবার শুকাতে দেন৷ সেই গঠন অক্ষত থাকে৷ অবশেষে তিনি ভোজ্য রং যোগ করে ভাস্কর্যটিকে আরও জীবন্ত করে তোলেন৷ তবে সেই শিল্পকর্ম মোটেই স্থায়ী হয় না৷ কারোলিন এরিকসন বলেন, ‘‘এমন সৃষ্টি অবশ্যই চিরকালের জন্য নয়৷ খাদ্য বলে কোনো না কোনো সময় ভেঙে পড়বেই৷ মনে হয় কয়েক মাস টিকবে৷ ভেঙে পড়ার আগে মন একটু খারাপ হলেও অন্যদিকে শিল্পকর্ম স্থায়ী না হবার একটা রোমাঞ্চও রয়েছে৷ তখন সেটির আরও কদর করা হয়৷''

বাইরে ভয়ংকর হলেও ভেতরটা মিষ্টি৷ সে কারণেও কারোলিন এরিকসনের শিল্পকর্ম দর্শকদের আরও মুগ্ধ করে৷

টেওডোরা মাভ্রোপুলুস/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ