1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মশা ছেড়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ

Sanjiv Burman২১ আগস্ট ২০২০

প্রাণঘাতী রোগ বহনকারী মশার সংখ্যা কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা কিস-এ আগামী বছর জিন বদলে দেওয়া মশা ছাড়া হবে৷ এজন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷

Stechmücke auf Hautoberfläche
ছবি: picture-alliance/dpa/Center for Disease Control/J. Gathany

তবে জেনেটিক্যালি মোডিফায়েড মশা ছাড়ার এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে আসছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী অক্সিটেক বায়োটেকনোলজি নামের একটি কোম্পানি তাদের ল্যাবে সৃষ্ট কয়েক কোটি মশা উন্মুক্ত করবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি৷ সংখ্যাটি ৭৫ কোটি বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সিএনএন৷

জিন পরিবর্তন করা এসব পুরুষ মশা রক্তের জন্য কামড়ানো ক্ষতিকর স্ত্রী মশার সঙ্গে মিলিত হবে৷ এর ফলে নতুন জন্ম নেয়া স্ত্রী মশা প্রকৃতিতে আর বেঁচে থাকতে পারবে না, লার্ভা পর্যায়েই সেগুলোর মৃত্যু ঘটবে ৷ এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই জিকা, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভারসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতি রোগ বহনকারী এডিস ইজিপ্টাই মশার বিস্তার ঠেকানো যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ এরইমধ্যে কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ ও ব্রাজিলে এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে এপিকে জানিয়েছেন অক্সিটেক এর বিজ্ঞানী কেভিন গরম্যান৷ তিনি বলেন, ‘‘ আমরা গত কয়েক বছরে  এমন কয়েক শত কোটি মশা ছেড়েছি৷ পরিবেশ বা মানুষের উপরে এর কোনো সম্ভাব্য ক্ষতি নেই৷''

কিন্তু তারপরও ক্ষতির আশঙ্কায় অনেকেই এই ধরনের উদ্যোগের সমালোচনা করছেন৷ এর ফলে পরিবেশে প্রাকৃতিক ভারসাম্যের ব্যাঘাত ঘটবে বলে মনে করেন তারা৷

ফ্লোরিডা কিস এনভায়রনমেন্ট কোয়ালিশন নামের একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের পরিচালক ব্যারি রেবলেছেন, এর ফলে আসলেই কী ঘটবে সে সম্পর্কে কারো কোনো ধারণাই নেই৷ প্রকৃতিতে জিন পরিবর্তন করা পুরুষ মশা প্রাকৃতিক মশার সঙ্গে মিলনে কেমন আচরণ করবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে বলে মনে করেন ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের মশাবাহিত রোগ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ম্যাক্স মরেনো৷

সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৯-১০ সালে ফ্লোরিডা কিস-এ ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ে৷ এরপর থেকেই এই রোগ বহনকারী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ৷ ওষুধ ছিটানো কিংবা মশাখেকো মাছ ছেড়েও তেমন একটা ফল পাওয়া যায়নি৷ এজন্য প্রতিবছর ১০ লাখ ডলারেরও বেশি ব্যয় করে আসছে তারা৷  

এনএস/এফএস (এপি, সিএনএন)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ