1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জিন-পরিবর্তিত ভুট্টার চাষ

ইউডিথ হার্টল/এসি১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডুপন্ট এবং ডাও কেমিকাল কোম্পানির সৃষ্ট পাইওনিয়ার ১৫০৭ ভুট্টার বীজ যে ইউরোপে অনুমোদন পাবে, তা প্রায় নিশ্চিত৷ অথচ বহু জার্মানই কিন্তু জিন-প্রকৌশলকে শয়তানের কারখানা বলে মনে করেন৷

ছবি: Kerry Skyring

জার্মান ভাষায় সহজ করে বলা হয় ‘গেনমাইজ' বা ‘জিন ভুট্টা', ৮৮ শতাংশ জার্মান যার বিরুদ্ধে, বলছে গ্রিনপিস সংগঠন৷ এর কারণ, ‘‘জিন-প্রকৌশলের মাধ্যমে পরিবর্তিত'', এই কথাগুলি দেখলেই এ দেশে অধিকাংশ মানুষের বিতৃষ্ণা হয়৷ জিন-প্রকৌশল তাঁদের কাছে ক্ষতিকর, বিপজ্জনক, একটা ভীতিকর ব্যাপার৷ আর সেই ভীতিতে ইন্ধন যোগাতে আছেন বহু রাজনীতিক ও বিশারদরা৷

এমনকি পরিবেশ সংরক্ষণবাদী সবুজ দল এবং বাভেরিয়ার রক্ষণশীল সিএসইউ দলও জিন-প্রকৌশলের এই সম্ভাব্য অথচ অপ্রমাণিত ঝুঁকি সম্পর্কে একমত৷ চারদিকে ‘জিন ভুট্টার' চাষ হলে তার মাঝে অরগ্যানিক, অর্থাৎ পরিবেশসম্মত ভাবে চাষ করা অসম্ভব হয়ে উঠবে বলেই তাদের ধারণা৷ কাজেই অরগ্যানিক চাষীদের পক্ষে সেটা একটা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সমতুল হবে৷ – ওদিকে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল পর্যন্ত ‘জিন ভুট্টার' সপক্ষে মত প্রকাশ করেছেন৷

চ্যান্সেলর ম্যার্কেল ‘জিন ভুট্টার' সপক্ষে মত প্রকাশ করেছেনছবি: Reuters

সিএসইউ দৃশ্যত পরিবেশবাদীদের নয়, বরং বাভেরিয়ার রক্ষণশীল চাষীদেরই রক্ষা করতে ব্যস্ত – যদিও সেই চাষীরা বিপুল পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করে থাকে, যে কীটনাশক যাবতীয় উদ্ভিদ বিনষ্ট করার ক্ষমতা রাখে, যার রেশ পরে পাঁউরুটি কিংবা ময়দাতেও পাওয়া যায়; যে কীটনাশকের অতি ক্ষীণ রেশও সম্ভবত মানবদেহের কোষগুলির পক্ষে ক্ষতিকর৷ বাভেরিয়ায় এমন সব কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, যা মাটি ও পানিকে দূষিত করে, মৌমাছি এবং অন্যান্য কল্যাণকর কীটপতঙ্গ বিনাশ করে৷ অথচ বাভেরিয়ার সিএসইউ শাসকদলের যত চিন্তা, তা ঐ জিন-প্রকৌশল নিয়ে৷

কিন্তু পাইওনিয়ার ১৫০৭ ভুট্টার দানায় আসলে কী আছে? আছে বাসিলুস থুরিঙ্গেনসিস ব্যাকটেরিয়ার দু'টি বাড়তি জিন৷ বলতে কি, অরগ্যানিক পন্থায় কীটনাশের একটি জনপ্রিয় পন্থা হলো এই ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার৷ জিন-প্রকৌশলের মাধ্যমে ঢোকানো দু'টি জিনের একটির কাজ হলো এমন একটি পদার্থের সৃষ্টি করা, যা ‘কর্ন বোরার' নামের কীটের শূকগুলিকে মেরে ফেলতে সক্ষম – অথচ অপরাপর কীটপতঙ্গের কোনো ক্ষতি করে না৷ এর ফলে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার কমে বৈ বাড়ে না৷

থেকে যাচ্ছে জিন-প্রকৌশল থেকে মানুষ অথবা পরিবেশের যাতে কোনো ক্ষতি ঘটার ঝুঁকি নেই, তার নিরপেক্ষ সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ ও পরিবেশন৷ অপরদিকে বীজধানের উপর কয়েকটি সংস্থার একচেটিয়া অধিকারের ফলে চাষীরা ঐ কোম্পানিগুলির উপর নির্ভর হয়ে পড়লেও চলবে না৷ এ সব নিশ্চিত করা হবে রাজনীতির কাজ৷ অপরদিকে এ-ও সত্য যে, কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে জিন-প্রকৌশলের মধ্যে বিপুল সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে৷ অকারণ ভীতির ফলে সেই সম্ভাবনাটুকু যাচাই না করেই নাকচ করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ