1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জিপিএস ছাড়াই ন্যাভিগেশন

মার্টিন রিবে/এসবি১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অজানা শহরে পথ খুঁজে পেতে জিপিএস ন্যাভিগেশন সফটওয়্যার পথচারী ও গাড়িচালকদের জন্য মুশকিল আসান হয়ে উঠেছে৷ কিন্তু সিগনাল না পেলে সেটি অচল৷ জার্মান বিজ্ঞানীরা এই সমস্যার এক অভিনব সমাধান খুঁজে পেয়েছেন৷

Symbolbild Mobilität mit Smartphone-Unterstützung
ছবি: Fotolia/Syda Productions

জিপিএস নেই? ন্যাভিগেশন করুন অ্যাপের সাহায্যে!

04:22

This browser does not support the video element.

সব মোবাইল ব্যবহারকারীরই এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে৷ স্টেশনের মধ্যে ন্যাভিগেশন-অ্যাপ কাজ করছে না৷ দোকানের মধ্যেও জিপিএস-সিগনাল হয় দুর্বল অথবা অস্পষ্ট থাকে৷ মেট্রো স্টেশন, বিমানবন্দর বা মিউজিয়ামেও জিপিএস-সিগনাল নিয়ে সমস্যা হয়৷

অবস্থান নির্ণয়ের নতুন এক পদ্ধতি এই সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে আসছে৷ জার্মানির ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউট-এর বিজ্ঞানীরা যে কোনো রকম মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ওয়াইফাই ব্যবহার করে অবস্থান শনাক্ত করার এক প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন৷ নতুন এই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এমনকি সিগনালেরও প্রয়োজন নেই৷ অর্থাৎ চার-দেয়ালের মধ্যেও ন্যাভিগেশেন সম্ভব৷ ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউট-এর স্টেফেন মায়ার বলেন, ‘‘ওয়াইফাই বা ব্লুটুথ সিগনাল ব্যবহার করা হয়৷ প্রত্যেকটি ট্রান্সমিটারের সিগনালের একটা নির্দিষ্ট ব্যাস রয়েছে এবং বাড়িঘরের মধ্যে সিগনালের শক্তিরও এক নির্দিষ্ট প্যাটার্ন রয়েছে৷ সেটা আগে থেকেই রেকর্ড করা হয়৷ দুটির ফারাক তুলনা করে অবস্থান নির্ণয় করা হয়৷''

সবার আগে ওয়াইফাই রুটার বা হটস্পট-এর শক্তি পরিমাপ করতে হয়৷ ঘরের বিভিন্ন অংশে গিয়ে সেই কাজ করতে হয়৷ কারণ প্রতিটি কোণেই সিগনালের শক্তি আলাদা হয়৷ সেই পরিমাপের ভিত্তিতে পরে আবার সেই নির্দিষ্ট পয়েন্ট খুঁজে পাওয়া যায়৷ স্টেফেন মায়ার বলেন, ‘‘একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে আমি একাধিক উৎস থেকে বিভিন্ন ক্ষমতার সিগনাল পাই৷ এ যেন সেই নির্দিষ্ট পয়েন্টের আঙুলের ছাপ৷ পরে তা শনাক্ত করা সম্ভব৷''

এই সব ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট' একটি ডেটা ব্যাংকে জমা করে সেই তথ্য একটি মোবাইল ফোনে ভরা হয়৷ ফলে ফোন সেই তথ্যের ভিত্তিতে নিজস্ব অবস্থান নির্ণয় করতে পারে৷ মোবাইল ফোন তখন তথ্যভাণ্ডারের ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট'-এর সঙ্গে সেই জায়গার ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট' মিলিয়ে দেখে৷ দুইয়ের মধ্যে তুলনা করে ডিভাইসটি তার অবস্থান নির্ণয় করতে পারে৷ ২ মিটারের বেশি ভুলভ্রান্তি ঘটে না৷ স্টেফেন মায়ার বলেন, ‘‘ডিভাইস চারিদিক থেকে সিগনাল পেয়ে একটা প্যাটার্ন চিনে নেয়৷ তারপর ডেটা ব্যাংকে রাখা প্যাটার্নের সঙ্গে সেটার তুলনা করে৷ তখন আমি বুঝতে পারি, আমি সেই জায়গার কাছাকাছি আছি৷''

নতুন এই প্রযুক্তি সেই সব জায়গায় কাজে লাগানো যায়, যেখানে অবস্থান সংক্রান্ত নিখুঁত তথ্যের প্রয়োজন রয়েছে৷ যেমন কোনো মিউজিয়ামে এই অ্যাপ দর্শকদের এক ঘর থেকে অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে আশেপাশের দ্রষ্টব্য সম্পর্কে তথ্য দিতে পারবে৷ কাফেটেরিয়ার কাছে এলে দর্শক মেনু কার্ড সম্পর্কে তথ্য পেয়ে যাচ্ছেন৷ প্রবেশদ্বারের কাছে এলে মিউজিয়াম দর্শনের সময় ও টিকিটের দাম জানা যায়৷ কিন্তু নতুন এই ন্যাভিগেশন অ্যাপ-এর ক্ষমতা আরও বেশি৷ স্টেফেন মায়ার বলেন, ‘‘কোনো বিমানবন্দরে আমি জানতে চাই, বিমানে চড়ার গেট কতদূর? সেখানে যেতে কত সময় লাগবে? ট্রেনের মধ্যে আমি নিজের অবস্থান, কোথায় ট্রেন থামবে, লোকাল ট্রেন ধরতে কোথায় যাব, এ সব জানতে চাই৷

বহুতল ভবনেও এই ন্যাভিগেশন সফটওয়্যার কাজ করে৷ ফলে গ্লোবাল পোজিশনিং সফটওয়্যার জিপিএস-এর তুলনায় এর বাড়তি সুবিধা রয়েছে৷ সবুজ বিন্দু বাড়ির মধ্যে অবস্থান দেখায়৷ অ্যাপ ব্যবহারকারী বাড়ির অন্য তলায় গেলে সেই বিন্দু সঙ্গে যায়৷ বাড়ির ত্রিমাত্রিক খোলসের মধ্যে অনায়াসে নিজের অবস্থান বোঝা যায়৷ এর জন্য মোবাইল নেটওয়ার্কে তথ্যের কোনো আদানপ্রদানের প্রয়োজন নেই৷ ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউটের স্টেফেন মায়ার বলেন, ‘‘সিস্টেম-কে ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে হয় না৷ তা সত্ত্বেও ডিভাইস তার অবস্থান বুঝতে পারে৷ বাইরে থেকে কেউ সেই তথ্যের অপব্যবহার করতে পারে না৷''

সাধারণ স্যাটেলাইট ন্যাভিগেশন সফটওয়্যারের সম্পূরক হিসেবে কাজ করতে পারে নতুন এই অ্যাপ৷ ঘরে-বাইরে সব জায়গায় তার সদ্ব্যবহার সম্ভব৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ