জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের জন্য এই জি-টোয়েন্টি শীর্ষবৈঠক খুব সহজ হবে না৷ বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য ছাড়াও ট্রাম্প, পুটিনের মতো মহারথীদের সাক্ষাত গোটা জি-টোয়েন্টিকে অকিঞ্চিৎকর করে তুলতে পারে৷
বিজ্ঞাপন
একদিকে বিশ্ববরেণ্য নেতৃবৃন্দের বৈঠক, অন্যদিকে জি-টোয়েন্টি বিরোধীদের প্রতিবাদ ও মাঝে হাজার হাজার পুলিশ৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই পুঁজিবাদ বিরোধীদের সবচেয়ে উগ্র অংশ, তথাকথিত ‘ব্ল্যাক ব্লক' পথে নামে কালো পোশাক ও মুখোশ পরা প্রায় হাজার খানেক আন্দোলনকারী৷ সব মিলিয়ে প্রায় ছয় হাজার মানুষের এই মিছিল রুখতে গিয়ে অন্তত ৭৬ জন পুলিশ আহত হন৷
জলবায়ু পরিবর্তন...
জলবায়ু পরিবর্তনও বিশ্বের উষ্ণায়ন এমন একটি প্রসঙ্গ, যেখানে জি-টোয়েন্টির একক সদস্যদেশগুলির মনোভাবে যত না মিল, তার চেয়ে বেশি অমিল পরিলক্ষিত হয়৷ আরো বড় কথা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন সংশ্লিষ্ট অধিবেশনটিতে উপস্থিত থাকবেন না৷ ট্রাম্প আর পুটিন ঠিক সেই সময় দ্বিপাক্ষিক আলাপ-আলোচনায় ব্যস্ত থাকবেন – যার একটি অর্থ এও হতে পারে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তনের প্রসঙ্গটিকে শীর্ষবৈঠকের চূড়ান্ত ঘোষণা থেকে পুরোপুরি বাদ দিতে চায়৷
জি-টোয়েন্টি শীর্ষবৈঠকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে মতপার্থক্য শুধু জলবায়ু প্রসঙ্গ নিয়ে নয়, বিশ্ব বাণিজ্য বা অভিবাসন প্রসঙ্গেও ‘নানা ভাষা, নানা মত'৷ এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র সার্বজনীন ঐকমত্যে পৌঁছনোর প্রচেষ্টা পুরোপুরি জলাঞ্জলি দিতে পারে বলে কিছু কূটনীতিকের আশঙ্কা৷
জি-টোয়েন্টিতে প্রতিবাদের যত কারণ, ধরন
কখনো শিক্ষার্থীরা, কখনো রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট, কখনও বা পরিবেশবাদীরা৷ হামবুর্গের জি-টোয়েন্টি সম্মেলন ঘিরে প্রতিবাদে মুখর অসংখ্য প্রতিবাদকারী৷ তাদের কয়েকজনকে নিয়েই এই ছবিঘর৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Roessler
ট্রাম্পের রাস্তায় বাধা দেয়ার পরিনাম
ট্রাম্প যাবেন শোয়ানেনভিক রাস্তা দিয়ে৷ তাই সে রাস্তাটি ব্লক করেছিলেন প্রতিবাদকারীরা৷ কিন্তু পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে জলকামান দিয়ে পানি ছুড়ে৷ পানিতে অনেক প্রতিবাদকারী ভিজে একাকার হয়েছেন৷ পরবর্তীতে তাদের এভাবে রোদে দাঁড়িয়ে কাপড় শুকাতে দেখা গেছে৷
ছবি: DW/A. Islam
পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই
পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া প্রতিবাদকারীদের ব্যানার এটি৷ পুলিশের কড়া অবস্থান সত্ত্বেওকয়েকশতহামবুর্গের কেন্দ্রীয় রেলস্টেশন থেকে একটি প্রতিবাদ ব়্যালি নিয়ে সেন্ট পাউলির দিকে যেতে সক্ষম হয়৷
ছবি: DW/A. Islam
নো জি-টোয়েন্টি
জি-টোয়েন্টি চান না এই প্রতিবাদকারী৷ তাই ছাতাতে লিখে দিয়েছেন সেই কথা৷ পাশে আরেকজন দেখাচ্ছেন শান্তির প্রতীক৷
ছবি: DW/A. Islam
তোমাদের সমাধান আমাদের সমস্যা
শুক্রবার এক প্রতিবাদ ব়্যালিতে অংশ নেন অনেক শিক্ষার্থী৷ তাদেরই একজনের হাতে ছিল এই ব্যানার৷ আপনি কি তাঁর সঙ্গে একমত?
ছবি: DW/A. Islam
বন্ধুদের সঙ্গে ব়্যালিতে
তাঁর বন্ধুরা নাকি সবাই ‘ব্যাড কিডস’! এমনই দাবি প্রতিবাদে অংশ নেয়া এই শিক্ষার্থীর৷ এর মাধ্যমে তিনি কি কোনো প্রেসিডেন্টকে ইঙ্গিত করছেন তিনি?
ছবি: DW/A. Islam
চেহারা দেখাতে মানা
হামবুর্গে জি-টোয়েন্টি প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেয়া কেউ কেউ নিজেদের চেহারা বা পরিচয় প্রকাশে আগ্রহী হননি৷ ছবি তুলতে গেলে তেমন একজন ছাতা মেলে ধরেন৷
ছবি: DW/A. Islam
ওয়ান্টেড তালিকায় বিশ্ব নেতারা
জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে অংশ নেয়াদের কয়েকজনকে ওয়ানটেড তালিকায় ফেলেছেন প্রতিবাদকারীরা৷ এর কারণও অবশ্য লেখা আছে ব্যানারে৷
ছবি: DW/A. Islam
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান
মানবতার খাতিরে ‘‘ফ্যাসিস্ট অ্যামেরিকার’’ বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন এই প্রতিবাদকারীরা৷ তাদের মতো আরো অনেককে দেখা গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে৷ বিশেষ করে প্যারিস জলবায়ু এগ্রিমেন্ট থেকে সরে আসায় তাঁর অনেক সমালোচনা হচ্ছে৷
ছবি: DW/A. Islam
পোশাকে প্রতিবাদ
প্রতিবাদকারীরা তাদের পোশাকেও জি-টোয়েন্টি বিরোধী স্টিকার এঁটে দিয়েছেন৷ শুক্রবার একটি প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রতিবাদকারী৷
ছবি: DW/A. Islam
পুলিশের সতর্ক অবস্থান
তবে হামবুর্গে পুলিশের সতর্ক অবস্থানের কারণে প্রতিবাদকারীরা বড় ধরনের সহিংস কোনো ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটাতে পারেনি৷ গতকাল একটি বিক্ষোভ সহিংস হয়ে উঠলে পুলিশ জলকামান ও মরিচের গুড়া ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়৷ হামবুর্গে বর্তমানে ২০ হাজারের মতো পুলিশ অবস্থান করছে৷ শহরের মধ্যে রাস্তাঘাট কার্যত ফাঁকা রাখা হয়েছে৷
ছবি: DW/A. Islam
10 ছবি1 | 10
‘নানা গোলযোগ'
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকটের ফলে বিশ্ব যে এখন ব্যাপক গোলযোগের মধ্য দিয়ে চলেছে, এ মন্তব্য স্বয়ং শীর্ষবৈঠকের আমন্ত্রণকর্ত্রী আঙ্গেলা ম্যার্কেলের৷ বৈঠকের নির্ঘণ্টে গুরুত্ব পাচ্ছে অর্থ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত নীতি, ডিজিটাল বিশ্বের অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ, আফ্রিকার জন্য বিনিয়োগ কর্মসূচি বা নারী অধিকারের সম্প্রসারণ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এসবের গুরুত্ব রাশিয়া ও চীনের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাতের চেয়ে অনেক কম৷
বৃহস্পতিবার ওয়ারশ-তে ট্রাম্পকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয় ও তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘স্থিতিশীলতা হানিকর ভূমিকার' কথা বলেন৷ কিন্তু দৃশ্যত ট্রাম্প পুটিনের সঙ্গে কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলার পরিকল্পনা করছেন না বা করেননি৷ তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টার গত সপ্তাহে রিপোর্টারদের যা জানিয়েছেন৷ অর্থাৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হ্যাকিং-এর প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হবে কিনা, তা অজ্ঞাত৷
জার্মানিতে জি-টোয়েন্টির অতিথিরা যেখানে থাকবেন
শুক্রবার জার্মানির হামবুর্গে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী জি-টোয়েন্টির শীর্ষ সম্মেলন৷ সারা দুনিয়া থেকে আসা অতিথিদের জন্য প্রায় নয় হাজার হোটেলরুম প্রয়োজন পড়বে৷
ছবি: picture alliance/dpa/M. Scholz
হামবুর্গ সেনেটের অতিথিশালা
নিরাপত্তার খাতিরে বিশ্বের শীর্ষ নেতারা কোথায় থাকবেন তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি৷ তবে ইতিমধ্যে বেশ কিছু অনুমান প্রকাশিত হয়েছে৷ যেমন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামবুর্গ সেনেটের অতিথিশালায় থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে৷ অতীতে সেখানকার অতিথি হয়েছেন প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানা সহ বিখ্যাত অনেক ব্যক্তি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Perrey
পার্ক হায়াৎ
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ও ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই হোটেলে থাকতে পারেন৷ সম্মেলনের সময় হোটেলগুলো দূর্গ হয়ে ওঠবে৷ চারদিকে থাকবে পুলিশি পাহারা৷ সম্মেলনে নিরাপত্তা দিতে প্রায় ২০ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে৷
ছবি: Park Hyatt
দ্য ওয়েস্টিন
হামবুর্গ শহরের নতুন আকর্ষণ ‘এলবফিলহারমোনি’-তেই অবস্থিত এই হোটেল৷ এখান থেকে এলবে নদীর দারুণ সব দৃশ্য দেখা যায়৷ শোনা যাচ্ছে, সৌদি আরবের প্রতিনিধি দল সেখানে অবস্থান করবেন৷ সেটি সত্যি হলে সম্মেলন উপলক্ষ্যে যে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে তা দেখতে সৌদি প্রতিনিধিদের বেশি দূরে যেতে হবে না৷ শুধু কয়েক তলা নীচে নামলেই চলবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Marks
রাইশসহোফ হোটেল হামবুর্গ
হামবুর্গের প্রধান রেলস্টেশনের কাছে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক ভবনে গড়ে ওঠা হোটেলটি ২০১৫ সালে পুনঃসংস্কার করা হয়৷ সেখানে রুম আছে ২৭৮টি৷ ব্রাজিল, ব্রিটেন, ভিয়েতনাম ও ভারতের প্রতিনিধিদের সেখানে থাকার কথা৷
ছবি: picture alliance/dpa/C. Charisius
গ্র্যান্ড এলিজে
১৯৮৫ সালে নির্মিত এই হোটেলে ৫১১টি রুম আছে৷ সম্মেলনের সময় এর কয়েকটিতে চীনা অতিথিরা থাকতে পারেন৷ সব অতিথিকে একই চোখে দেখায় বিশ্বাস করে এই হোটেলের কর্তৃপক্ষ৷ ফলে স্টেফি গ্রাফ কিংবা ক্লিফ রিচার্ড যে-ই ঐ হোটেলে যান না কেন তাঁদেরকে সাধারণ অতিথিদের সমানই অর্থ দিতে হয়৷ ভিআইপি বলে তাদের জন্য আলাদা কোনো ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা নেই৷
ছবি: Grand Elysée
সোফিটেল হামবুর্গ আল্টার ওয়াল
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান সম্ভবত এই হোটেলে থাকবেন৷ হোটেলটির সাজসজ্জায় ফরাসি শিল্পের ছোঁয়া পাওয়া যায়৷
ছবি: Sofitel Hamburg
ফেয়ামন্ট হোটেল ফিয়ার ইয়ারেসসাইটেন
কোনো বিশ্বনেতা শেষ পর্যন্ত এই হোটেলে থাকবেন তা এখনও জানা যায়নি৷ তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ট্রাম্প আর পুটিনকে ‘না’ বলেছে৷ যদিও গত বছরের ডিসেম্বরে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এই হোটেলে ছিলেন৷
ছবি: Fairmont Hotel Vier Jahreszeiten
ম্যুভেনপিক হোটেল হামবুর্গ
আগে ছিল লাল ইটের তৈরি একটি পানির টাওয়ার৷ ১৯১০ সালে তৈরি টাওয়ারটি পরে হোটেলে পরিণত করা হয়৷ ১৭ তলায় অবস্থিত টাওয়ার সুট থেকে হামবুর্গের ৩৬০ ডিগ্রি দৃশ্য দেখা যায়৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ ও তাঁর স্ত্রী এই হোটেলে থাকতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Marks
হোটেল অ্যাটল্যান্টিক কেম্পিনস্কি
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল থাকবেন এই হোটেলে৷ জি-টোয়েন্টি সম্মেলন চলাকালীন আপনি যদি এই হোটেলগুলোর একটিতে থাকতে চান (যদি এখনও রুম খালি থাকে) তাহলে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি অর্থ দিতে হতে পারে৷
ছবি: picture alliance/Arco Images GmbH/R. Erl
9 ছবি1 | 9
অন্যান্য প্রসঙ্গ
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে ট্রাম্পের আলাপ-আলোচনায় উত্তর কোরিয়ার প্রসঙ্গটি নিশ্চয় করে স্থান পাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ পুটিনের সঙ্গে সাক্ষাতেও প্রসঙ্গটি আলোচিত হবার সম্ভাবনা আছে৷
সৌদি আরবের নেতৃত্বধীন একাধিক উপসাগরীয় দেশ যে কাতারকে কূটনৈতিক বিচারে একঘরে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ট্রাম্প সে বিষয়ে হামবুর্গে স্পষ্ট বক্তব্য রাখবেন, বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে৷
শীর্ষবৈঠকের সভাপতি জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ইতিপূর্বেই বলেছেন যে, তিনি যে কোনো মূল্যে একটি অর্থহীন, মোলায়েম চূড়ান্ত ঘোষণা কামনা করেন না৷ মূল্য বলতে যদি এই শীর্ষবৈঠকের ৩০ কোটি ইউরো খরচ বোঝায়, তাহলে হামবুর্গের দশম জি-টোয়েন্টিতে এখনও অনেক কাঠখড় পোড়ানো বাকি৷
ছবিতে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের প্রতিবাদ
জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের আগেই শুরু হয়ে গেছে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ৷ হামবুর্গের রাস্তাঘাট ও নদীতে বিভিন্ন গ্রুপ এরই মধ্যে নানান সৃজনশীল উপায়ে প্রতিবাদ শুরু করে দিয়েছেন, যা চলবে সম্মেলন শেষ হওয়া পর্যন্ত৷
ছবি: Reuters/F. Bimmer
রাবারের তৈরি মানবমূর্তি
গেল রবিবার আন্তর্জাতিক সংগঠন অক্সফামের একটি প্রতিবাদের ভাষা ছিল এমনই৷ ধনী-গরিবের মাঝে বৈষম্য কমানোর ডাক দিয়ে এই মূর্তিগুলো বানায় তারা, যা দেখে বুঝতে কোনো সমস্যা হয়নি যে কাদের উদ্দেশ্যে এই আহ্বান৷
ছবি: Reuters/F. Bimmer
সন্ধ্যায় বেড়ানো?
পার্কে বেড়াবেন? হামবুর্গের এন্টেনভের্ডার পার্কে একটি ক্যাম্পকে এরই মধ্যে তুলে দিয়েছে পুলিশ৷ গেল কয়েক সপ্তাহ ধলে এই ক্যাম্পিংয়ের প্রস্তুতি চলছিল৷ পুলিশ মনে করছে, প্রায় এক লাখ প্রতিবাদকারী এই ইভেন্টটিতে যোগ দিতে পারেন৷ এদের মধ্যে অন্তত ৮,০০০ বামপন্থি উগ্রবাদী থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Marks
নদীতে নৌবহর
ব্যানার ও রঙীন জ্যাকেট পড়ে আলস্টার নদীতে নৌবহর সাজিয়েছে প্রতিবাদকারীরা৷ নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে অনেকেই সমর্থন দিয়েছেন বিভিন্ন এনজিও-র এই প্রতিবাদে৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Macdougall
জনগণের ক্ষমতা
প্রতিবাদকারীরা অনেক প্ল্যাকার্ড ইংরেজিতে লিখে এনেছেন৷ কারণ, তাঁরা চান তাদের বার্তাগুলো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাক৷ বেশিরভাগ বার্তাই পরিবেশ সুরক্ষার জন্য তৈরি৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Macdougall
জম্বি সেজে প্রতিবাদ
হামবুর্গ শহরের কোনো গলিতে হঠাৎ দেখা হয়ে যেতে পারে কোনো জম্বির সঙ্গে৷ প্রতিবাদকারীদের অনেকেই জম্বি সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন শহরজুড়ে৷ তবে এটি শুধুই প্রতিবাদের একরকম শৈল্পিক ভাষা৷ এর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কোনো সম্পর্ক নেই৷
ছবি: DW/A. Drechsel
প্রতিবাদ ক্যাম্প বিতর্ক
শহরে প্রতিবাদ ক্যাম্প করতে দিচ্ছে না জার্মান পুলিশ, যা নিয়ে বিতর্ক চলছে৷ হামবুর্গে এরই মধ্যে পুলিশবাহিনীর অতিরিক্ত ২০,০০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, সঙ্গে রয়েছে ২৮টি হেলিকপ্টার, বাহিনীর ১৮৫টি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর, ৪০টি জলকামান এবং প্রায় ৩,০০০ টহল গাড়ি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Sabrowsky
সবার জন্য শান্তির বার্তা
সম্মেলনকেন্দ্রে যাওয়ার পথে ভবনের দেয়ালে বড় করে শান্তির বার্তা প্রকাশ করেছে একটি নার্সিং হোম৷ সেখানে লেখা হয়েছে, আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে স্বাগত জানাই৷