1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জি-টোয়েন্টি: মতবিরোধে পূর্ণ এক সম্মেলন

৫ জুলাই ২০১৭

৭ জুলাই হামবুর্গে মিলিত হচ্ছেন জি-টোয়েন্টি নেতারা৷ তাঁরা এমন এক সময়ে এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন, যখন তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ তুঙ্গে রয়েছে৷ অতীতে জি-টোয়েন্টির কোনো সম্মেলনে এই অবস্থা হয়নি৷

Deutschland  G20 Gipfel
ছবি: picture alliance/AP Photo/M.Schreiber

জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে গত ১২ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মেলন আয়োজনের অভিজ্ঞতা ভালোই রয়েছে তাঁর৷ ২০০৭ সালে জার্মানির বাল্টিক সি রিসর্ট হাইলিগেনডামে জি-সেভেন বৈঠকের আয়োজন করা হয়৷ ২০১৫ সালে বাভারিয়ার এলমাওতে সি-সেভেনের আরেকটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়৷ এখন হামবুর্গে আয়োজিত হচ্ছে বড় ধরনের আরেকটি বৈঠক, জি-টোয়েন্টি সামিট, যার সভাপতিত্বের দায়িত্বে বর্তমানে রয়েছে জার্মানি৷ বিশ্বের বিশটি ধনী এবং উন্নয়নশীল দেশের প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন৷

হামবুর্গের এই সম্মেলনেটি চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ৷ ম্যার্কেল নিজেই স্বীকার করেছেন সেকথা৷ তিনি বলেন, ‘‘চলতি বছর বিশেষভাবে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে জি-টোয়েন্টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ আমি এখানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর কথা বলবো: সন্ত্রাসবাদ, জলবায়ু পরিবর্তন, সংরক্ষণবাদ–  এসবই আমাদের অ্যাজেন্ডায় রয়েছে৷ বিশ্ব বর্তমানে এক অস্থির অবস্থার মধ্যে রয়েছে, ঐক্যের অভাব স্পষ্ট৷'’

তিন ক্ষমতাধর পুরুষ

বিশ্বে ঐক্যের অভাব স্পষ্ট করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন এবং তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান৷ আর এই তিন নেতাই জি-টোয়েন্টি বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন এবং এটাও পরিষ্কার যে, তিন নেতাই বৈঠকে নিজেদের অ্যাজেন্ডা এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন৷ এর্দোয়ান চাচ্ছেন হামবুর্গে জি-টোয়েন্টির পাশাপাশি তুর্কিদের সঙ্গে সমাবেশ করতে, যা জার্মানি ইতোমধ্যে ‘না’ করে দিয়েছে৷ তা সত্ত্বেও তিনি অন্য কোনোভাবে সমাবেশের আয়োজন করেন কিনা তা দেখার বিষয় রয়েছে৷

ট্রাম্প এই বৈঠককে পুটিনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সরাসরি সাক্ষাতের সুযোগ হিসেবে নিচ্ছেন৷ তাঁদের মধ্যে আলোচনার বিষয় অনেক৷ ইউক্রেন সংকট, সিরিয়া যুদ্ধের পাশাপাশি রাশিয়ার উপরে নানা নিষেধাজ্ঞা এবং মার্কিন নির্বাচনে সেদেশের প্রভাব বিস্তারের বিষয় তো রয়েছেই৷

জলবায়ু নিয়ে বিতর্ক

জি-টোয়েন্টি সামিটে ট্রাম্পের কাছে আলোচনার অবশ্য আরো বিষয় রয়েছে৷ স্টিলের বাড়াবাড়ি রকমের উৎপাদনের বিরুদ্ধে উদ্যোগ নেয়ার চেষ্টা করবেন তিনি, এমনকি এজন্য নিষেধাজ্ঞার দিকেও যেতে পারেন৷ আর এটাও পরিষ্কার যে, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার যে ঘোষণা ট্রাম্প দিয়েছেন, তার নড়চড় হবে না৷ ম্যার্কেল এই প্রসঙ্গে বলেছেন যে, ‘‘যেহেতু প্যারিস চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সেহেতু আমরা হামবুর্গে আলোচনা সহজ হবে আশা করতে পারি না৷''

তিনি বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে ব্যবধান স্পষ্ট এবং সেটা আমি লুকাতে গেলে তা অসততা হবে৷ আমি সেটা করবো না৷ কেউ যদি মনে করে যে, বিচ্ছিন্নতাবাদ আর সংরক্ষণবাদের মাধ্যমে এই সমস্যার (জলবায়ু পরির্বতন) মোকাবিলা করা যাবে, তাহলে সে বড় ভুল করবে৷''

হামবুর্গে জি-টোয়েন্টি: হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

01:05

This browser does not support the video element.

আরো যা আছে আলোচনায়

জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াই, নারী নীতি এবং স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আলোচনা হবে সম্মেলনে৷ এসব বিষয়ে অবশ্য ঐক্মত্যে পৌঁছানোর ব্যাপারে আশাবাদী ম্যার্কেল৷ শরণার্থী নীতি নিয়ে আলোচনাতেও মতবিরোধ তেমন একটা হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে৷ পাশাপাশি মুক্তবাণিজ্য নিয়েও জোটের একটি শক্ত অবস্থান চান ম্যার্কেল৷

যদিও সম্মেলনে আফ্রিকার উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে নেই, তবে আলোচনায় থাকছে আফ্রিকাও৷ আফ্রিকায় উন্নয়ন সহায়তা অব্যাহত রেখেই বিভিন্ন খাতে সরকারি এবং বেসরকারী তরফ থেকে বিনিয়োগ বাড়ানোর পক্ষে জি-টোয়েন্টির সভাপতিত্বকারী দেশ জার্মানি৷ এটা সম্ভব হলে ইউরোপের উপর শরণার্থীদের চাপ কমবে বলেও আশা করা হচ্ছে৷

উল্লেখ্য, হামবুর্গ সম্মেলন কভার করতে বিশ্বের ৬৫টি দেশের প্রায় পাঁচ হাজার সাংবাদিক অ্যাক্রেডিটেশন সম্পন্ন করেছেন৷ এই সম্মেলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেও শহরটিতে হাজির হচ্ছেন বেশ কয়েক হাজার প্রতিবাদকারী৷ আর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে বিশ হাজারের মতো পুলিশ সদস্য৷ সবমিলিয়ে সপ্তাহান্তে এই বৈঠকের দিকেই নজর থাকবে গোটা বিশ্বের৷

সাবিনা কিনকার্ৎস/এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ