1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন

৯ জুন ২০১৫

অনেক বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে৷ তবে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে প্রত্যাশিতভাবেই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়া প্রসঙ্গ৷ বাভারিয়ায় শেষ হওয়া সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়েও কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে৷

G7 Gipfel Schloss Elmau Outreach Konferenz Merkel Bank
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler

এবারের জি সেভেন সম্মেলনও পড়েছিল বিক্ষোভের মুখে৷ সাতটি শিল্পোন্নত দেশ বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতবিনিময় করে বড় বড় সমস্যা সমাধান করার অঙ্গীকার করলেও বিপুল অঙ্কের অর্থের অপচয় ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হয় না – এমন ক্ষোভ থেকেই জি সেভেন বিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলেন বিক্ষোভকারীরা৷ বাভারিয়ান শ্লস এলমাউ-এর সামনে সম্মেলনের প্রথম দিনে অনেকেই এসেছিলেন ‘'জি-৭ নরকে যাও' লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে৷ কিন্তু সোমবার সম্মেলনের শেষ দিনে খুব একটা বিক্ষোভ দেখা যায়নি৷ কালো পোশাক পরা স্থানীয় এক বিক্ষোভকারী জানালেন, তাঁর ধারণা, অনেকে ক্লান্ত হয়ে পড়ায় ঘরে ফিরে গেছেন৷

ইউক্রেন সংকটে ভূমিকার জন্য রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যে আলোচনা হবে এমন ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল৷ এক সাক্ষাৎকারে ক্যানাডার প্রদানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার বলেছিলেন, ‘‘ভ্লাদিমির পুটিন থাকতে রাশিয়া আর জি-৭-এ ফেরার যোগ্যতা রাখে বলে আমি মনে করিনা৷ পুটিন ওখানে (জি-৭) এসে বসতে চাইলে ক্যানাডা কঠোরভাবে বিরোধিতা করবে৷'' রাশিয়াকে এখনই জি-সেভেনে ফেরানোর প্রস্তাব একেবারেই ওঠেনি৷ বরং সম্মেলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আঙ্গেলা ম্যার্কেল জানিয়েছেন, ক্রাইমিয়া ‘দখল' করে নেয়ায় রাশিয়ার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত তা-ও বলবৎ থাকবে৷ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট, যুক্তরাজ্য, ইটালি, ফ্রান্স, জাপান এবং ক্যানাডা – অর্থাৎ স্বাগতিক জার্মানি ছাড়া সম্মেলনের বাকি ছয় দেশের প্রতিনিধিরাও এ বিষয়ে অভিন্নমত ছিলেন৷

ছবি: Reuters/C. Hartmann

চলতি শতক শেষ হবার আগে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ এবং জীবাস্ম জ্বালানি ব্যবহার কমানোর মাধ্যমে বিশ্ব উষ্ণায়ণ ২ ডিগ্রির নীচে রাখার লক্ষ্যমাত্রাও স্থির করা হয়েছে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোতে তেল, গ্যাস এবং কয়লার পরিবর্তে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার বাড়াতে ১০০ বিলিয়ন ডলার (৯০ বিলিয়ন ইউরো) বরাদ্দের অঙ্গীকার আগেই করেছিল জি-৭৷ এ সম্মেলনেও সেই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হয়েছে৷

উন্নয়নশীল দেশগুলোর অপুষ্টি আর ক্ষুধায় আক্রান্ত অন্তত ৫০ কোটি মানুষকে ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত করার অঙ্গীকারের কথাও শোনা গেছে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে৷ ওবামা-ম্যার্কেলরা অবশ্য এই লক্ষ্য পূরণের জন্য অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা দেননি৷

এসিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ