জি-২০ বৈঠকে আসবেন না চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। রোববার এনিয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বিজ্ঞাপন
রোববার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জি-২০ বৈঠকে আসতে পারবেন না বলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা নিয়ে তিনি হতাশ। বাইডেন জানিয়েছেন, জি-২০-তে দেখা না হলেও অদূর ভবিষ্যতে শিয়ের সঙ্গে তার দেখা হবে। কিন্তু কোথায় এবং কবে দেখা হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি বাইডেন।
বাইডেন জমানায় প্রথম অ্যামেরিকা-চীন বৈঠক
জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর আলাস্কায় প্রথমবার মুখোমুখি আলোচনায় অ্যামেরিকা ও চীন। সেই বৈঠক ছিল রীতিমতো উত্তপ্ত।
ছবি: Frederic J. Brown/AFP/Getty Images
অভিযোগের বন্যা
সাধারণত দুই দেশের মধ্যে বৈঠকে কূটনৈতিক সৌজন্যের আবহ থাকে। কিন্তু অ্যামেরিকা ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে গেছে। ফলে সাধারণ কূটনীতির ব্যকরণ মেনে বৈঠক হয়নি।
ছবি: Frederic J. Brown/AFP/Getty Images
অ্যামেরিকার অভিযোগ
মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, শিনজিয়াং, হংকং, তাইওয়ান নিয়ে চীনের নীতিতে অ্যামেরিকা খুবই উদ্বিগ্ন। অ্যামেরিকা কিছুতেই চীনের নীতি মানতে পারছে না।
ছবি: Frederic J. Brown/AFP/Getty Images
উইগুর প্রসঙ্গ
ব্লিংকেন উইগুরদের দুরবস্থার কথাও তোলেন। তিনি জানিয়েছেন, চীন উইগুর মুসলিমদের প্রতি যে ব্যবহার করছে, তাতে অ্যামেরিকা উদ্বিগ্ন। জাতিসংঘের মতে, ১০ লাখ উইগুরকে শিবিরে রেখেছে চীন। তাদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে। উপরের ছবিটি চীনে উইগুর শিবিরের।
ছবি: AFP/G. Baker
দক্ষিণ চীন সাগর
দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের অবস্থানেও অ্যামেরিকা খুশি নয়, সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন ব্লিংকেন।
ছবি: Getty Images/AFP
চীনের অভিযোগ
চীনের সেন্ট্রাল ফরেন অফিস কমিশনের ডিরেক্টর ইয়াং জিয়েছির অভিযোগ, অ্যামেরিকা ঠান্ডা যুদ্ধের মানসিকতা নিয়ে চলছে। তারা জাতীয় সুরক্ষার নামে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যার প্রভাব দুই দেশের বাণিজ্যে পড়ছে। চীনকে আক্রমণ করার জন্য তারা কিছু দেশকে উসকানি দিচ্ছে।
ছবি: Frederic J. Brown/AFP/Getty Images
হস্তক্ষেপ নয়
চীন জানিয়ে দিয়েছে, তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনো হস্তক্ষেপ তারা মানবে না। শিনজিয়াং, হংকং বা তাইওয়ান নিয়ে অ্যামেরিকার হস্তক্ষেপের চেষ্টা তাই মানা হবে না। উপরের ছবিটা হংকংয়ের। গণতন্ত্রপন্থি নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ।
ছবি: Tyrone Siu/REUTERS
6 ছবি1 | 6
বাইডেন বলেছেন, ''আমি হতাশ। কিন্তু আমার সঙ্গে তার দেখা দ্রুত দেখা হবে।'' কিন্তু এবিষয়ে আর কোনো কথা বলেননি বাইডেন। বস্তুত, শি আসবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এবিষয়ে একাধিকবার প্রশ্ন করা হলেও এখনো পর্যন্ত তারা কোনো স্পষ্ট উত্তর দেয়নি। চীনের তরফেও এখনও স্পষ্ট কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, শি জিনপিং জি-২০ বৈঠকে আসবেন না। তার জায়গায় চীনের প্রিমিয়ার লি কিয়াং বৈঠকে যোগ দেবেন।
৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতে জি-২০ বৈঠক চলবে। বাইডেন আসবেন ৭ তারিখ। ১১ তারিখ তিনি ভারত থেকে ভিয়েতনাম যাবেন। এপ্রসঙ্গে বাইডেন জানিয়েছেন, ভারত এবং ভিয়েতনাম দুই দেশই ''ভারত এবং ভিয়েতনাম দুই দেশের সঙ্গেই অ্যামেরিকার সমন্বয় বাড়াতে হবে। কারণ এই দুই দেশই অ্যামেরিকার সসঙ্গে সখ্য বাড়াতে চায়।''
যুবরাজ সালমান আসবেন না?
পাকিস্তানের খবরের কাগজ দ্য নেশন সোমবার সূত্র উদ্ধৃত করে লিখেছে, জি-২০ বৈঠকে নাও আসতে পারেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তবে এবষয়েও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো পর্যন্ত কোনো তথ্য দেয়নি।