1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জীবিত প্রাণীর মাংস

আন্দ্রেয়াস নয়হাউস/এসবি৪ আগস্ট ২০১৫

প্রাণীহত্যা না করেই যদি মাংস খাওয়া যেত? খাদ্য সমস্যা ছাড়াও অর্থনীতি ও পরিবেশের জন্যও সেটা বিশাল পদক্ষেপ হতে পারতো৷ নেদারল্যান্ডস-এর এক বিজ্ঞানী ঠিক সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে তুলছেন৷

Harzer Rotvieh oder Harzer Rote Höhenvieh
ছবি: picture-alliance/dpa

হ্যামবার্গারের মাংস এখনো আসল গরু থেকেই আসছে৷ মার্ক পস্ট-এর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে আর এমনটা হবে না৷ তিনি মাংস উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে চান৷ প্রাণী থেকে নয়, ভবিষ্যতে ল্যাবেই মাংস তৈরি হবে৷ মার্ক বলেন, ‘‘এর ফলে কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমবে – যেটা ভালো কথা৷ অর্থাৎ এটা পরিবেশের জন্য ভালো এবং উৎপাদনের জন্য অনেক কম উপকরণের প্রয়োজন হবে৷ ফলে কম সম্পদ দিয়ে মাংস উৎপাদন বাড়ানো যাবে, গোটা বিশ্বের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা যাবে৷''

নেদারল্যান্ডসের মাসত্রিখট শহরে পস্ট তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে দিয়েছেন৷ আসলে তিনি একজন চিকিৎসক৷ হৃদযন্ত্র ও শিরা-ধমনীর রোগ নিয়ে তিনি কাজ করেন৷ ২০০৪ সাল থেকে গরুর পেশির কোষ থেকে মাংস ‘ব্রিডিং'-এর আইডিয়া নিয়ে কাজ করছেন তিনি৷ এক টুকরো স্টেক বা জীবন্ত গরু থেকেই তিনি ও তাঁর টিম স্টেম সেল নিয়েছেন৷ গরু জবাইও করতে হয়নি৷ সামান্য কয়েকটি কোষই যথেষ্ট৷ গবেষকরা তা দিয়ে ১০ টনেরও বেশি মাংস তৈরি করতে পারেন৷

দেখতে সাধারণ কিমার মতো৷ তবে ২০১৩ সালে তা দিয়ে প্রথম বার্গার তৈরি হয় – তবে বিক্রির জন্য নয়৷ করলে দাম পড়তো আড়াই লাখ ইউরো৷ মার্ক পস্ট বলেন, ‘‘আমি শুধু দেখাতে চেয়েছিলাম, যে এটা করা সম্ভব৷ প্রযুক্তি কোনো অন্তরায় নয়৷ তাছাড়া অনেক কারণেই এটা করা উচিত৷''

২০১৩ সালে লন্ডনে এক চমকপ্রদ পরীক্ষামূলক ভোজনের সময় এই দামী বার্গার নিয়ে একটা সমস্যা দেখা গিয়েছিল৷ মার্ক বলেন, ‘‘অস্ট্রিয়ার ফিউচার ফুড স্টুডিওর হানি রুৎসলার খেয়ে দেখেছেন৷ তিনি বলেন, মাংস বটে৷ বেশ ভালো টেক্সচার, কিন্তু ফ্যাট না থাকায় বড্ড শুকনা৷''

পস্ট অবশ্যই স্বাদে উন্নতি আনতে চান৷ তাই তিনি আরও কোষ ব্রিড করছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ফ্যাট টিস্যু তৈরির একটি নমুনা এখানে আছে৷ এই স্প্যাগেটি ফ্যাট সেল দিয়ে তৈরি৷''

মার্ক মনে করেন, সাত বছর পর রেস্তোরাঁয় কৃত্রিম মাংসের বার্গার পাওয়া যাবে৷ স্টেক এবং মুরগির মতো অন্যান্য মাংসও এভাবে তৈরি হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার ব্যক্তিগত স্বপ্ন হলো, কোনো এক সময়ে – ধরুন ২০, ৩০ বা ৪০ বছরে আমরা আর প্রাণীজাত মাংস খাবো না৷ তখন পিছন ফিরে তাকালে এই সময়কে বর্বরদের যুগ মনে হতে পারে, যারা প্রাণীহত্যা করতো এবং মাংসের চাহিদা মেটাতে প্রাণীদের ব্যবহার করতো৷''

গোটা বিশ্বে মাংসের চাহিদা আরও বাড়তে থাকলে মার্ক পস্ট-এর প্রত্যাশার অনেক আগেই ল্যাবে তৈরি মাংস বাজারে আসতে পারে৷ পরিবেশের জন্য সেটা হবে এক বড় সুখবর

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ