বাংলাদেশের গণমাধ্যম এখন এক অজানা ভয়ের মধ্যে দিনপার করছে বলে অভিযোগ সাংবাদিকদের৷
কারাগারে থাকা সাংবাদিকরা জামিনও পাচ্ছেন না৷ছবি: AFP
বিজ্ঞাপন
এখন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলা নেই, কিন্তু আগের মামলাগুলোর সমাধানও হয়নি৷ কারাগারে থাকা সাংবাদিকরা জামিনও পাচ্ছেন না৷
এই এক বছরে গণমাধ্যমে কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে? জানতে চাইলে দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এক অজানা ভয় পেয়ে বসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের মনে৷ অনেকে চাকরি হারাচ্ছেন বা আগে হারিয়েছেন৷ কারণ দৃশ্যমান নয়৷ এজেন্সির দাপট নেই, অন্যদের খবরদারি আছে অতি কৌশলে৷ আর মব সন্ত্রাসের ভয়ে অনেক কিছুই লেখা যাচ্ছে না, বলা যাচ্ছে না৷ এই হচ্ছেপরিবর্তনের অবস্থা৷ তবে এই মুহূর্তে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে মামলা হচ্ছে না৷ শুরুতে অনেক মামলা হয়েছে, অনেকে কারাগারেও আছেন৷ খুব যে নাটকীয় পরিবর্তন হয়েছে, সেটাও বলা যাবে না৷ আগের থেকে এখনকার অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে৷''
জুলাই-আগস্টের উত্তাল দিনগুলি
02:56
This browser does not support the video element.
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা হচ্ছে না
এখন কোন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা হচ্ছে না বলে মনে করেন সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আলমগীর৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমি মনে করি, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা আরও বেশি খর্ব হয়েছে৷ শেখ হাসিনার আমলে এক ধরনের ভীতি ছিল৷ এখন সরকারের কোন ভীতি নেই৷ সরকার কিন্তু বলছে না, এই লেখো, কেন লিখলে? কোন এজেন্সিও মিডিয়ার উপর খবরদারি করছে না৷ কিন্তু মিডিয়া নিজেই সেন্সরশিপ আরোপ করছে৷ তার কারণও আছে৷ এখানে মব ভায়লেন্সের কারণে সংবাদমাধ্যমের উপর এক ধরনের কর্তৃত্ব আরোপ করা হচ্ছে৷ এরা সরকারেরই সমর্থন একটা গোষ্ঠী৷ তারা উগ্র ডানপন্থি৷ এরা প্রতিটি সেক্টরে স্বৈরাচারের দোসর খুঁজছে৷ যারা সরকারকে প্রশ্ন করছে, তাদেরকে স্বৈরাচারের দোসর ট্যাগ দিয়ে চাকরিচ্যুতির হুমকি দিচ্ছে, তাদের চাকরিও যাচ্ছে৷ উপদেষ্টা মোস্তফা সারওয়ার ফারুকীকে প্রশ্ন করার কারণে ৩-৪ জন সাংবাদিকের চাকরিও গেছে৷ মব এর আগে বিভিন্ন হাউজের সামনে গিয়ে গরু জবাই করেছে৷ তারা জিয়াফত করে প্রেশার তৈরি করছে৷ ফলে প্রকৃত সাংবাদিকতা হচ্ছে না৷ যেটা হচ্ছে সেটা দৈনন্দিন রিপোর্ট হচ্ছে৷ বড় ধরনের কোন ইনভেস্টিগেশন (অনুসন্ধান) হচ্ছে না৷ গোপালগঞ্জে ৫ জন মারা গেল, তাদের নিয়ে মিডিয়া কোন মানবিক রিপোর্ট করল না৷ পোস্টমর্টেম ছাড়া তাদের লাশ দাফন করা হয়েছে, পরে তোলা হল৷ কয়েকদিন কারফিউ রাখা হলো মিডিয়া তো প্রশ্ন করল না?''
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আন্দোলনকারীদের মধ্যে হতাশা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আন্দোলনকারীদের যে প্রত্যাশা ছিলো সেই প্রত্যাশা কতটা পূরণ হয়েছে? নতুন যে বাংর্লাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তারা, সেই স্বপ্ন কী পূরণ হয়েছে? জানতে দেখুন এই ছবিঘরটি৷
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
উমামা ফাতেমা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র
‘‘জুলাই আন্দোলনের সময় একটা পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিলাম, এ দেশটা স্বাধীন হবে, দেশটা এক ধরনের পরিবর্তন এর মধ্য দিয়ে যাবে৷ আমরা ওই সময় নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন রাজনৈতিক রূপান্তরের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সে রূপান্তরের স্বপ্নটা আমরা এখনো বাস্তবায়িত হতে দেখিনি, আমি আশাবাদী আমাদের যে জনগণ অভ্যুত্থান করেছে সে জনগণ অবশ্যই সংগঠিতভাবে সামনের দিনে পরিবর্তনগুলো আনবে৷’’
ছবি: DW
অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী
আন্দোলনে প্রত্যাশা ছিল স্বৈরাচারের অবসান, বাকস্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, কিন্তু বাস্তবে পাওয়া গেল স্বজনপ্রীতি, স্বচ্ছতার অভাব এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা৷ আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডও প্রত্যাশাকে ক্ষুণ্ণ করেছে৷ আরেকটা কথা যেটা না বললেই নয় সেটা হলো এখনো পরিস্থিতি উন্নয়নের সুযোগ আছে যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সচেষ্ট হয৷ সেটা করতে হলে সবার আগে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে৷
ছবি: DW
হাসান রোবায়েত,কবি
একটা ইনসাফভিত্তিক, ভয়ডরহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রত্যাশা ছিল৷ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং আচরণের মধ্যে দিয়েই এসব পূরণ হবে৷ তার কিছু নমুনাও শুরু হয়েছে৷
ছবি: DW
আদিবা সায়মা খান, শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
অভ্যুত্থানে নারীরা রাজপথে নেমেছিলাম নাগরিক হিসাবে৷ একটি বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্রের জন্য আন্দোলনে নেমেছিল, যেখানে প্রশাসনিক সংস্কার হবে, মেধাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে এবং নিরাপদ রাষ্ট্র হবে৷ কিন্তু আমরা প্রত্যাশার কোন কিছুই তেমন দেখতে পাচ্ছি না৷ জাতীয় নিরাপত্তা নেই৷ নারীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে৷ খুনিদের শাস্তি হয়নি৷ এমনকি ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলাকারীদেরও দৃষ্টান্তমূলক কোন শাস্তি হয়নি৷
ছবি: DW
ইসরাত জাহান ইমু, শিক্ষার্থী ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
জুলাইয়ের ১৭ তারিখ পর্যন্ত কোটার সংস্কার ছাড়া আন্দোলনে অন্য কোনো প্রত্যাশা ছিলো না৷ পরে যখন আমরা আন্দোলন করি তখন আমাদের প্রত্যাশা ছিল আওয়ামী লীগ যে দমন-পীড়নমূলক কাঠামো তৈরি করে গিয়েছে সেটা ভেঙে নতুন ব্যবস্থা তৈরি হবে৷ কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের জায়গা দখল করেছে অন্য শক্তি৷ আমরা ভেবেছিলাম যে নতুন যে রাষ্ট্রীয় কাঠামো তৈরি হবে সেখানে নারীদের নিরাপত্তা বা নারীদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হবে৷
ছবি: DW
সাবরিনা আফরোজ সেবন্তি, শহীদ মাহামুদুর রহমান সৈকতের বোন
‘‘জুলাই আন্দোলনে প্রত্যাশা ছিল একটা নতুন বৈষম্যহীন বাংলাদেশ পাব৷ নতুন যে সরকার আসবে সে কোন অন্যায় মেনে নেবে না, একটা বিপ্লবী ভূমিকা পালন করবে কিন্তু দুঃখজনকভাবে সে প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না৷’’
ছবি: DW
সরদার নাদিম মাহমুদ শুভ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক
আমাদের আকাঙ্খা ছিলো ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার পতন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত৷ চাওয়া ছিল রাজনৈতিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা৷ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের দলীয়করণ বন্ধসহ সব প্রতিষ্ঠানকে নিরপেক্ষকরণ ও শিক্ষাব্যবস্থাকে কর্মমুখী করা৷ কিন্তু সত্য যে গণঅভ্যুত্থানের পর এই সরকার জনগণের চাওয়া পূরণ করতে পারেনি৷ তারা আমাদের যে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখিয়েছিল তা প্রায় দিবাস্বপ্ন রয়ে গেছে৷
ছবি: DW
বেলাল হোসেন, আন্দোলনে আহত
‘‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলাম দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে৷ কিন্তু বাংলাদেশে এখনো ফ্যাসিবাদ রয়ে গেছে৷ আমরা যারা জুলাই আন্দোলনে আহত তাদের জুলাই সনদপত্র এখনো পর্যন্ত দেওয়া হয়নি৷ আগে গাড়ি চালাতাম৷ এখন আমার একটা চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেই কাজ করতে পারি না৷ আগস্টের পরে অনেকেই অনেক আশ্বাস দিয়েছিল তার একটাও বাস্তবায়ন হয় নাই৷’’
ছবি: DW
ফারহানা শারমিন শুচি, উদ্যোক্তা
‘‘জুলাই আন্দোলনে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিলো অন্যায় ও দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ, বৈষম্যহীন, এবং বিদেশি আধিপত্যবিহীন একটা সমাজ এবং রাষ্ট্র, যেখানে দেশের আপামর জনসাধারণ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে তাদের প্রাপ্য সব মৌলিক অধিকার সমানভাবে ভোগ করবে৷ রাষ্ট্র বিভিন্ন রকম সংস্কার এবং তার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের সেই অধিকার নিশ্চিত করবে৷ সত্যিকার অর্থে সে প্রত্যাশার কিছুই পূরণ হয়নি৷’’
ছবি: DW
9 ছবি1 | 9
‘মব ভায়লেন্স'কে যত ভয়
গত এপ্রিলে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করার পর তিন সাংবাদিক চাকরি হারিয়েছেন৷ তিন প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সে সময় ডয়চে ভেলেকে বলেছিলেন, মূলত মব-সহিংসতার ভয়েই তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা' নিয়েছেন তারা৷
তিন সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতিতে নিজেদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করে তখন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘‘মাস মার্ডার ডিনায়ালের একটা সূক্ষ্ম চেষ্টা থেকে প্রেস কনফারেন্সে যে কথাগুলা বলেছেন তিনজন সাংবাদিক, সেই কথাগুলা জুলাই দেখেছে এমন যেকোনো সেনসিটিভ মানুষকেই আহত করতে পারে৷ যে মা তার সন্তান হারিয়েছে মাত্র আট মাস আগে, যে সন্তান খুনির গুলিতে আহত হয়েছে, যে বোন- যে ভাই শহিদ হওয়ার হাত থেকে বেঁচে এসেছে, তাদের বুকে শেলের মতো বিঁধেছে সাংবাদিক তিন জনের কথা৷''
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘কেউ একজন হুমকি দিলো আর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়ে ফেললো - সেটা তো ঠিক না৷ এভাবে স্বাধীন সাংবাদিকতা হবে না বরং ওই আগের মতো তোষণের সাংবাদিকতা হবে৷''
গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতা (বর্তমানে এনসিপি নেতা) হাসনাত আব্দুল্লাহ কয়েকজনকে নিয়ে সময় টিভির বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে দেখা করেন এবং টিভি স্টেশনের ১০ জনের নামের একটি তালিকা দিয়ে তাদের চাকরিচ্যুত করতে চাপ দেন বলে অভিযোগ ওঠে৷ পরবর্তী সময়ে সেই তালিকার পাঁচজনকে ডেকে পদত্যাগ করতে বলার পর তারা তাতে অস্বীকৃতি জানালে একই দিন হোয়াটসঅ্যাপে তাদের অব্যাহতিপত্র পাঠানো হয়৷ তবে সিটি গ্রুপে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও সেখানে গিয়ে ভয় দেখানো বা তালিকা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ৷
কয়েকদিন আগে বিএনপির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তৈরি করায় দৈনিক যুগান্তরের একজন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে৷
সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ দিপু ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আসলে সেই অর্থে গণমাধ্যম স্বাধীন হয়নি৷ মুখে মুখে স্বাধীন৷ বাস্তবে কাঠামোটা যদি পরাধীন থাকে বা আগের নিয়মে থাকে তাহলে আমি যে স্বাধীন তার নিশ্চয়তা কোথায়? দেখবেন, মিডিয়া সংকুচিত৷ বিদ্যমান যে চ্যানেলগুলো আছে, সেখানে সবাই একই মতাদর্শের কথা বলছেন৷ সেখানে ভিন্নমতের কেউ নেই৷ মালিকরা তাদের ডাকতে সাহস পাচ্ছে না৷ গত ১৫ বছরে যারা আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিল তাদের ডাকা হচ্ছে না৷ হয় তারা মবের ভয়ে আসছে না, অথবা মালিকরা মবের ভয়ে তাদের ডাকতে সাহস পাচ্ছে না৷ পরিবর্তনের পর চ্যানেলগুলো যেভাবে আক্রান্ত হয়েছে, সংবাদপত্রের সামনে গরু জবাই হয়েছে ফলে সবাই সংকুচিত৷ এখনও মব সংস্কৃতি বন্ধ করা যায়নি৷ মুখে মুখে স্বাধীনতার কথা শেখ হাসিনাও বলতেন, এখনও তাই দেখছি৷ কিন্তু বাস্তবে আগের অবস্থা ফিরে আসবে না তার নিশ্চয়তা কি? ফলে কার্যকরভাবে গণমাধ্যম স্বাধীন হয়েছে সেটা বলা যাবে না৷''
বিজ্ঞাপন
এখনও কারাগারে ১৩ সাংবাদিক
জুলাই অভ্যুত্থানে খুন ও খুনের চেষ্টার মামলায় আসামি করা হয়েছে ২৬৬ জন সাংবাদিককে৷ তাদের মধ্যে ১৩ জন আছেন কারাগারে৷
গত ৪ মে মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের আলোচনায় সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, ‘‘বর্তমানে ২৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা অথবা সহিংসতা সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগে মামলা চলছে৷ এটা কীভাবে সম্ভব? এটা আমাদের জন্য অসম্মানের৷ এটার অর্থ এই নয় যে, কেউ দোষ করেননি৷ দোষ করে থাকলে সঠিকভাবে মামলা করে শাস্তি দেন এবং আমরা কোনোভাবেই তার পাশে দাঁড়াবো না, যদি সত্যিকার অর্থে সমাজের বিরুদ্ধে বা জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের বিরুদ্ধে তার অবস্থান সেরকম থাকে৷ কিন্তু আজকে ছয় থেকে সাত মাস হয়েছে, তারা এসব মামলায় পড়েছেন৷ একটি কদমও এগোয়নি তদন্তের ব্যাপারে৷''
তিনি আরও বলেন, ‘‘আইন উপদেষ্টা বলেনছেন,‘ আমাদের কিছু করার নেই, জনগণের অধিকার আছে মামলা করার' মেনে নিলাম মামলা করার অধিকার৷ কিন্তু কোনো আইনের যদি অপপ্রয়োগ হয়, তাহলে কি সরকার কিছু করবে না? সেখানেই আমার বড় প্রশ্ন- যাদের নামে মামলা হয়েছে, সেসব সাংবাদিক একটা ভয়ের মধ্যে থাকেন৷ তারা ‘মব সন্ত্রাসের' ভয়ে থাকেন৷ এ রকম দু-একটা ঘটনা ঘটেছে৷''
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের কিছু আলোচিত ঘটনা ও বক্তব্য
২০২৪ সালের ৮ আগস্ট শপথ গ্রহণের পর থেকে বেশ কিছু ঘটনা এবং বক্তব্যের কারণে আলোচনা-সমালোচনায় থেকেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া৷ তার কয়েকটি নিয়ে আজকের ছবিঘর...
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
হেলিকপ্টারে চড়ে উত্তরবঙ্গ সফর
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুইয়াঁর উত্তরবঙ্গ সফর ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়৷ বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী তখন ফেসবুকে অনেকে দাবি করেন, উপদেষ্টা মাত্র ছয় দিনে ২৮ বার হেলিকপ্টারে চড়েছেন। একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী কটাক্ষ করে লিখেন, ‘‘নয় কিলো রাস্তা, উনি চাইলে রকেটে চড়েও যেতে পারতো।”
ছবি: Daniel Roland/AFP/Getty Images
আসিফ মাহমুদের ব্যাখ্যা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০০ টাকার কম্বল বিতরণ করতে ৬ দিনে ২৮ বার হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করার সমালোচনার জবাবে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘‘ছয় দিনে ২২টি উপজেলা ভ্রমণের সিদ্ধান্ত হয়, যা গাড়িতে কাভার করা অসম্ভব।’’ দীর্ঘ সেই পোস্টে উপদেষ্টা আরো বলেন, “বিগত দুই দিনের সফরে ঢাকা থেকে যাওয়া-আসাসহ মোট ছয় বার হেলিকপ্টারে যাতায়াত” করেছেন তিনি।
ছবি: Sazzad Hossain/DW
বাবার ঠিকাদারি
গত এপ্রিলে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন এক সংবাদকর্মী। ‘বাবার ভুলের জন্য’ ক্ষমা চেয়ে ফেসবুকে আসিফ মাহমুদ লেখেন, যে-কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স করতেই পারে, ‘‘তবে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট।’’ তিনি জানান, ‘‘আজ বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে।’’
ছবি: Sazzad Hossain/DW
এপিএস কাণ্ড
এর আগে আসিফ মাহমুদের বন্ধু ও সহকারি একান্ত সচিব মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে৷ সমালোচনা শুরু হলে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তবে আসিফ মাহমুদ দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে অব্যাহতির সম্পর্ক অস্বীকার করে বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘‘তার এপিএস স্থায়ী চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বর্তমান পদ থেকে পদত্যাগ করার আবেদন আগেই করেছিলেন। সেটিই মঞ্জুর করা হয়েছে।’’
ছবি: Rajib Dhar/AP/picture alliance
বিমানবন্দরে ম্যাগাজিন-বিড়ম্বনা
২৯ জুন ভোরে ‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে’ অংশ নিতে মরক্কোয় গেছেন আসিফ মাহমুদ৷ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ের সময় তার ব্যাগে গুলিভর্তি ম্যাগাজিন পাওয়া যায়। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘‘আমার লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র আছে।’’ পরে এ বিষয়ে তিনি দাবি করেন, ‘‘যখন সরকারি প্রটোকল বা সিকিউরিটি থাকে না, তখন নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে লাইসেন্সড অস্ত্র রাখা।’’
ছবি: Rajib Dhar/AP/picture alliance
সংবাদমাধ্যমকে চাপ দেয়া প্রসঙ্গে
ব্যাগে গুলির ম্যাগাজিন ধরা পড়ার খবর একটি সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সরিয়ে নিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়৷ পরে চাপ দিয়ে খবরটি সরিয়ে নিতে বাধ্য করার অভিযোগ অস্বীকার করে ফেসবুকে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘‘চাপ দিয়ে নিউজ সরানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ঘটনার পর আমি টিমসহ টানা ১০ ঘণ্টা ফ্লাইটে ছিলাম। ট্রানজিটে নেমেও দীর্ঘক্ষণ পর অনলাইনে এসে দেখতে পাচ্ছি যে এত কিছু ঘটেছে।’’
ছবি: Indranil Mukherjee/AFP
‘আমাদের সশস্ত্র অভ্যুত্থানের প্রস্তুতিও ছিল’
গত ২১ মার্চ আরেকটি ফেসবুক পোস্ট ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়৷ সেখানে গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুইয়াঁ লিখেছিলেন, ‘‘আমাদের সশস্ত্র অভ্যুত্থানের প্রস্তুতিও ছিল। এমনকি ৫ তারিখে যদি আমরা সফল না হতাম তাহলে আমরা অস্ত্র তুলে নেয়ার ঘোষণা দিতাম। নাহিদ ভাই ভিডিও বার্তা রেডি রেখেছিল। এমনকি আমি কী ঘোষণা দেবো সেটাও রেডি ছিল।’’
ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS
7 ছবি1 | 7
যে ১৩ জন সাংবাদিক কারাগারে আছেন তাদের মধ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টেলিভিশনের তিন সাংবাদিক- সাবেক সিইও মোজাম্মেল হক বাবু, সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ ও সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ও উপস্থাপক ফারজানা রুপার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে ডয়চে ভেলের৷ এদের মধ্যে মোজাম্মেল হক বাবু ক্যান্সারে আক্রান্ত৷ শ্যামল দত্ত স্লিপ অ্যাপনিয়া'য় (ঘুমের সময় সাময়িকভাবে দম বন্ধ হয়ে যাওয়াসহ জটিল শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ) ভুগছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার৷ এছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ কোলেস্টেরলসহ একাধিক দীর্ঘস্থায়ী রোগেও ভুগছেন তিনি৷ সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাও অসুস্থ বলে জানিয়েছেন তাদের পরিবার৷
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন কতদূর?
গত মার্চে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন তাদের সংস্কার বিষয়ক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে৷ প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘কীভাবে এই সুপারিশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব সেটাও আমরা দেখিয়ে দিয়েছি৷ এখন সরকারের দায়িত্ব এটা বাস্তবায়ন করার৷ গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যেগুলো এখনই করা সম্ভব, তা সরকার দ্রুত করে ফেলবে৷''
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কোথায় কেমন?
রিপোর্টারস উইথআউট বর্ডার- এর সদ্য প্রকাশিত র্যাংকিং অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীদের স্বাধীনতার চিত্র উঠে এসেছে। ২০২৪ সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের জন্য কোথায় কেমন ছিল চলুন জেনে নেয়া যাক আজকের ছবিঘরে
ছবি: Shamima Nasrin Lucky
শীর্ষ দশে ইউরোপের রাজত্ব
তালিকায় ৯১.৮৯ পয়েন্ট নিয়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় সারা বিশ্বে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে নরওয়ে। তালিকায় প্রথম দশটি দেশের সবগুলোই ইউরোপ মহাদেশের দেশ। ডেনমার্ক, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, সুইজ্যারল্যান্ড ও জার্মানি রয়েছে নরওয়ের পরের স্থানগুলোতে।
ছবি: Beata Zawrzel/NurPhoto/picture alliance
জার্মানি : ১১ ধাপ এগোলেও বেড়েছে হামলা
৮৩.৮৪ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে জার্মানি। এর আগে ছিল ২১ নম্বরে৷ সাংবাদিকতার স্বাধীনতার জন্য প্রশংসিত দেশটিতে ২০২৪ সালে সাংবাদিকদের ওপর ৮৯টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাগুলোর বেশিরভাগই হয়েছে ফিলিস্তিনের পক্ষে করা বিক্ষোভ ও চরম ডানপন্থিদের জমায়েত থেকে।
ছবি: Michael Kuenne/PRESSCOV via ZUMA Press/picture alliance
ইউরোপে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় যারা
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে বেলারুশ৷ রাশিয়ার মিত্র হিসেবে পরিচিত দেশটির অবস্থান ১৬৭।
ছবি: DW
দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা নেপাল
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে হিমালয় কন্যা নেপাল। ৬০.৫২ পয়েন্ট নিয়ে ১৮০টি দেশের মধ্যে ৭৪তম নেপাল। ৫২.৩৬ পয়েন্ট পেয়ে মালদ্বীপ ১০৬তম, ৩৭.২৯ নিয়ে ভুটান ১৪৭তম, ৩৫.২১ স্কোর নিয়ে শ্রীলঙ্কা ১৫০তম। ৩৩.০৯ স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থান ১৫২তে। ১৯.০৯ স্কোর নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ (১৭৮ তম) অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান।
ছবি: Narendra Shrestha/Epa/dpa/picture-alliance
ভারত ও বাংলাদেশের অবস্থান
ভারত রয়েছে ১৫৯তম স্থানে । তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম। বাংলাদেশে ২০২৪ সালে অন্তত ৬জন সাংবাদিককে কারাবরণ করতে হয়েছে৷
ছবি: Kamol Das/DW
স্থিতিশীল উত্তর অ্যামেরিকা
এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ৮১.৭ পয়েন্ট নিয়ে ক্যানাডা রয়েছে সবার ওপরে, ১৪ নম্বর অবস্থানে। আগের বছরের চেয়ে ৪ ধাপ এগিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিডিয়া মার্কেট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৪১তম স্থানে রয়েছে। ৪৯.০১ পয়েন্ট নিয়ে ১২১ নম্বর অবস্থানে রয়েছে সাংবাদিকের ওপর হামলা বা সাংবাদিক হত্যার জন্য প্রায়ই সংবাদ শিরোনামে আসা মেক্সিকো।
ছবি: Annabelle Gordon/REUTERS
শেষ দশে যারা
মাত্র ১৬. ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার সর্বনিম্ন ১৮০তম স্থানে রয়েছে আফ্রিকার দেশ ইরিত্রিয়া৷ ১৭.৪১ পয়েন্ট নিয়ে সিরিয়া আছে ১৭৯তম স্থানে৷ ১৯.৯ পয়েন্ট নিয়ে আফগানিস্তান ১৭৮, ২০.৬৬ পয়েন্ট নিয়ে উত্তর কোরিয়া ১৭৭, ২১.৩ পয়েন্ট নিয়ে ইরান ১৭৬, ২২.১ পয়েন্ট নিয়ে তুর্কমেনিস্তান ১৭৫, ২২.৩১ পয়েন্ট নিয়ে ভিয়েতনাম ১৭৪, ২৩.২১ পয়েন্ট নিয়ে বাহরাইন ১৭৩, ২৩.৩৬ পয়েন্ট নিয়ে চীন ১৭২ এবং ২৪.৪৮ পয়েন্ট নিয়ে মিয়ানমার আছে ১৭১ নম্বরে৷
ছবি: Abedin Taherkenareh/dpa/picture alliance
7 ছবি1 | 7
সাংবাদিক কামাল আহমেদের নেতৃত্বাধীন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কাজকে ‘অমূল্য' হিসেবে তুলে ধরে মুহাম্মদ ইউনূস এই প্রতিবেদন যেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য মানুষ পড়তে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন৷
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সরকার যে মিডিয়া সংস্কার কমিশন করেছিল, সেখানে আমিও ছিলাম৷ আমরা অনেক সুপারিশ করেছি৷ সেগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে অনেকটাই স্বাধীন সাংবাদিকতা সম্ভব৷ কিন্তু সেটা কতটা বাস্তবায়ন করা যাবে সেটা আমি জানি না৷ আমরা রিপোর্ট দিয়েছি, ৪-৫ মাস হয়ে গেল, ওই রিপোর্ট নিয়ে কোন নড়াচড়া দেখছি না৷ সম্প্রতি তথ্য উপদেষ্টা দুই চারটা সুপারিশের ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন৷ ফলে এই রিপোর্ট আদৌ কোনদিন আলোর মুখ দেখবে কিনা সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না৷''
সংবাদমাধ্যমের এখন দু'টি পক্ষ উল্লেখ করেন জনাব জাহিদ বলেন, ‘একপক্ষ খানিকটা নিরপেক্ষভাবেই কাজ করার চেষ্টা করছে, সরকারের তরফ থেকে কোন বাধা নেই৷ আরেকটা পক্ষ হলো, ওই সংবাদমাধ্যম যে গ্রুপের তাদের স্বার্থ নিয়ে কর্মচারী সাংবাদিকরা সাংবাদিকতা করছে৷ একেবারে সাংবাদিকতার সুস্থ যে পরিবেশ সেটা বলা যাবে না৷''