জেপিসি নিয়ে সরকারও বিরোধী পক্ষের পাঞ্জা কষা
২৫ নভেম্বর ২০১০নির্ধারিত ১৩ই ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে সংসদ, বলেছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী পবন বনশাল৷ টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবিতে বিরোধীপক্ষ যেমন মরিয়া তেমনি সরকারও তা না মানতে অনড়৷ এটা যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে এক প্রেস্টিজের লড়াই৷ ফলে আজ নিয়ে ১০দিন সংসদে কোন কাজকর্ম হয়নি৷আজও অধিবেশন শুরু হতে না হতেই সংসদের উভয় সভায় হৈ হট্টগোলের ছবিটা একই রকম৷ নিম্নকক্ষ লোকসভার স্পিকার মীরাকুমারের মন্তব্য অধিবেশন চলতে দেবার জন্য আবেদন রেখেছি৷ বলেছি ঐ ইস্যু নিয়ে সংসদে আলোচনা হোক৷
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী পবন বনশাল সংসদের অধিবেশন অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি রাখার সম্ভাবনা খারিজ করে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সরকার বিরোধীপক্ষকে বোঝাবার চেষ্টা করে যাচ্ছে৷ কিন্ত অধিবেশন চলবে নির্ধারিত তারিখ অর্থাৎ ১৩ই ডিসেম্বর অবধি৷ তাঁর মতে, যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবির পেছনে বিরোধীপক্ষের উদ্দেশ্য অন্য৷ তারা চাইছে প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের তলব করতে৷ সেটা মানা যায়না, বলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী পবন বনশাল৷ অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম, পারিনি৷এখনও চেষ্টা করছি দেখা যাক৷
জেপিসি কী ? জেপিসি হলো যৌথ সংসদীয় কমিটি৷ কোন বিশেষ কারণে গঠিত দেশের সবথেকে ক্ষমতাশালী তদন্ত প্যানেল৷ জেপিসি গঠিত হয় সংসদের উভয় সভার সাংসদ নিয়ে৷ কমিটির চেয়ারম্যান হন শাসক দলের কোন সাংসদ৷ এই কমিটি তার ক্ষমতাবলে প্রধানমন্ত্রী থেকে মন্ত্রী , আমলা বা যে-কোন ব্যক্তিকে তলব করতে পারে৷ সেটা কোন সরকারই চায়না৷ চাওয়া মানে দোষ কিছুটা কবুল করা৷ অতীতে মোট চারবার যৌথ সংসদীয় কমিটি হয়৷ বফর্স, শেয়ার কেলেঙ্কারি এক ও দুই এবং কোকাকোলায় কীটনাশক ইস্যুতে৷ কিন্তু কোনটাতেই তেমন কিছু হয়নি৷
এই যে দিনের পর দিন সংসদ অচল করে রাখা হচ্ছে,এতে জনগণের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে প্রতি মিনিটে ২৬ হাজার টাকা অর্থাৎ গত ১০দিনে হয়েছে ৬১ কোটি টাকা৷এবিষয়ে সুশীল সমাজ কী বলছে ? বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক অমূল্য গাঙ্গুলী ডয়েচে ভেলেকে বল্লেন, আমাদের দেশের সাংসদ ও বিধায়করা সংসদে ও বিধানসভায় মাঝেমধ্যে যে আচরণ করেন, তাতে মনে হয় সংসদীয় আচার আচরণ এরা রপ্ত করেননি৷ তার একটা কারণ সাংসদদের একটা অংশের ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড আছে৷ সংসদের বর্তমান অচলাবস্থা কাটাতে উনি দুপক্ষের মধ্যে একটা আপোষের কথা বলেন৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক