পূর্ব জেরুসালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছে মুসলিম বিশ্বের বৃহত্তম জোট অরগ্যানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন৷ তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছে৷
বিজ্ঞাপন
সম্মেলনে আজকের বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন ওআইসি’র দেশগুলো৷ এর আগে পূর্ব জেরুসালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট৷ মুসলিম বিশ্বের বৃহত্তম জোটের এই শীর্ষ সম্মেলনে সংস্থার বেশিরভাগ সদস্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা অংশ নিচ্ছেন৷ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদও এতে যোগ দিয়েছেন৷
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা থাকবে না৷ তিনি বলেন, তাঁর দেশের মানুষ শান্তি আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা থাকুক তা চায় না৷ অন্যদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান আরব দেশের নেতাদের যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷ পাশাপাশি পূর্ব জেরুসালেমকে পিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানান তিনি৷ বলেন, ‘‘ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে ইসরায়েলকে তার সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বৈধতা দেয়া হবে৷ অর্থাৎ এতদিন ধরে দুর্নীতি, অবরোধ, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, বাড়িঘর গুড়িয়ে দেয়া, সহিংসতা, হত্যাসহ যেসব অপরাধ তারা করেছে, তার সব কিছুর বৈধতা পেয়ে যাবে৷''
ট্রাম্পের জেরুসালেম সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
সারা বিশ্বে হাজার হাজার মুসলিম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷ পথবিক্ষোভে মার্কিন ও ইসরায়েলি পতাকা পোড়ানো হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Gharabli
জার্মানি
রবিবার বার্লিনের ব্রান্ডেনবুর্গ তোরণে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের একটি প্রধানত মুসলিম জনতা ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রদর্শন করে৷ বিক্ষোভকারীদের হাতে ফিলিস্তিনি ও তুর্কি পতাকা ছিল৷ বিক্ষোভে একটি ইসরায়েলি পতাকাও পোড়ানো হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী হাইকো মাস পরে বলেন যে, জার্মানিতে ইহুদি বিদ্বেষের কোনো স্থান নেই৷
ছবি: Getty Images/S. Gallup
তুরস্ক
ট্রাম্পের ঘোষণার পর পরই তুরস্কে প্রতিবাদ শুরু হয়ে যায়৷ ছবিতে বিক্ষোভকারীরা ইস্তানবুলে মার্কিন ও ইসরায়েলি পতাকায় আগুন ধরাচ্ছে৷
ছবি: Reuters/O. Orsal
মিশর
ছবিতে কায়রোয় সিন্ডিকেট অফ জার্নালিস্টস-এর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি প্রতিকৃতি দাহ করছেন; ছবির গায়ে লেখা আছে, ‘ট্রাম্প, সাংবাদিকরা আপনাকে বলছে, জেরুসালেম আরব’৷ পরে পুলিশ আটজন বিক্ষোভকারীকে নিষিদ্ধকৃত মুসলিম ব্রাদারহুড সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের দায়ে গ্রেপ্তার করে৷
ছবি: Reuters/M. A. E. Ghany
লেবানন
লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনী রবিবার বৈরুতে মার্কিন দূতাবাসের কাছে বিক্ষোভকারীদের রোখার জন্য কাঁদানে গ্যাস ও জলের কামান ব্যবহার করে৷ হেজবুল্লাহ সংগঠন উত্তরোত্তর প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. Hussein
ইরাক
ইরাকের শিয়াপন্থি মুসলিমরাও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জেরুসালেম সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে পথে নেমেছেন, যেমন এখানে দক্ষিণ ইরাকের বসরা শহরে৷
ছবি: Reuters/E. al-Sudani
ইরান
ইরানের রাজধানী তেহরানে বিপুল বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছে এবং আগামীতেও হবে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে৷ ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি রবিবার বলেন যে, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার ‘‘আগুনে তেল ঢেলেছে৷’’
ছবি: picture-alliance/AA/Stringer
পাকিস্তান
পাকিস্তানের করাচিতে শিয়াপন্থি বিক্ষোভকারীরা মার্কিন কনস্যুলেটের দিকে যাবার পথে মার্কিন ও ইসরায়েলি পতাকা পদদলিত করছেন৷
ছবি: Reuters/A. Soomro
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর
শ্রীনগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে বুদগাম শহরে বিক্ষোভকারীরা জুম্মার নামাজের পর মিছিল করেন ও ইসরায়েলের পতাকা পোড়ান (ছবি)৷ তাদের মুখে ‘অ্যামেরিকা নিপাত যাও’ ও ‘ইসরায়েল নিপাত যাও’ ধ্বনি শোনা যায়৷
ছবি: picture alliance/dpa/AP Photo/D. Yasin
মালয়েশিয়া
কুয়ালা লামপুরে শুক্রবারের নামাজের পর সহস্রাধিক মুসলিম ট্রাম্পের জেরুসালেম সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর উদ্দেশ্যে মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে যাত্রা করেন৷ ক্রীড়ামন্ত্রী জামালুদ্দিন স্বয়ং তাদের নেতৃত্ব দেন৷ জনতা ‘ইসলাম দীর্ঘজীবী হোক’ ধ্বনি দেয়৷
ছবি: Reuters
ইন্দোনেশিয়া
ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইন্দোনেশিয়ায় চার দিন ধরে প্রতিবাদ চলেছে৷ জাকার্তার মার্কিন দূতাবাসের সামনে মার্কিন ও ইসরায়েলি পতাকা পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে৷ এছাড়া ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতিকৃতি দাহ করা হয়৷
ছবি: Reuters/Beawiharta
ব্রাজিল
রবিবার ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরে ফিলিস্তিনি ফ্রন্ট নামধারী একটি আন্দোলন ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রদর্শন করে৷
ছবি: picture-alliance/ZUMA Wire/C. Faga
11 ছবি1 | 11
৫৭টি দেশের জোটের সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ‘কঠোর বার্তা' দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক দেশ তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু৷
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, কিছু আরব দেশ জেরুসালেম ইস্যুতে জোড়ালো ভাবে কোনো সাড়া দিচ্ছে না৷ তুরস্ক বলছে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত পুরো বিশ্বকে এমন এক সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে ঠেলে দেবে, যেখান থেকে উদ্ধারের কোনো উপায় থাকবে না৷ ওআইসি-র এই জরুরি বৈঠকটি ডেকেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান৷
ওআইসি-এর ঘোষণায় আসতে পারে – যে কোনো মুসলিম দেশকে জেরুসালেম ইস্যুতে আপোস করা চলবে না৷ ইসরায়েলিদের জেরুসালেম নিয়ে এমন কূটকৌশল ব্যর্থ করতে মুসলিম বিশ্বের আন্তরিক চাপ অব্যাহত রাখতে হবে৷ জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা এবং এ সংক্রান্ত সব ধরনের সিদ্ধান্তের কঠোর বিরোধিতা করতে হবে মুসলিম দেশগুলোকে৷
এছাড়া ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ন্যায্য আন্দোলনকে সফল করতে এবং দখলদার ইসরাইলকে শায়েস্তা করতে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শক্তিশালী সামরিক জোট গড়ারও সিদ্ধান্ত আসতে পারে এই বৈঠক থেকে৷
নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পালন করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৬ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন যে, ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস তেল আভিভ থেকে জেরুসালেমে স্থানান্তরিত করা হবে৷ এরপরই পুরো মুসলিম বিশ্ব ক্ষোভে ফেটে পড়ে৷
এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)
বিতর্কিত শহর জেরুসালেম
জেরুসালেম বিশ্বের প্রাচীনতম ও সবচেয়ে বিতর্কিত শহরগুলির অন্যতম৷ ইহুদি, মুসলিম ও খ্রিষ্টান, তিনটি ধর্মের মানুষের কাছে জেরুসালেম একটি পবিত্র শহর৷ এ কারণে জেরুসালেম নিয়ে বিরোধ ও বিতর্ক লেগেই আছে৷
ছবি: picture-alliance/Zumapress/S. Qaq
রাজা ডেভিডের শহর
ওল্ড টেস্টামেন্টের বিবরণ অনুযায়ী, জুডাহ ও ইসরায়েলের রাজা ডেভিড যীশুখ্রিষ্টের জন্মের প্রায় এক হাজার বছর আগে জেবুসাইটদের কাছ থেকে জেরুসালেম জয় করেন৷ ডেভিড জেরুসালেমকে তার রাজধানী করেন ও জেরুসালেম তাঁর রাজ্যের ধর্মীয় কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়৷ বাইবেলে কথিত আছে যে, ডেভিডের পুত্র রাজা সলোমন জেরুসালেমে ইসরায়েলের দেবতা ইয়াওয়েহ’র প্রথম মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন ও জেরুসালেম ইহুদি ধর্মের প্রাণকেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়৷
ছবি: Imago/Leemage
পারস্যের শাসনে
নব্য ব্যাবিলোনিয়ান রাজা দ্বিতীয় নেবুচাডনেজার (বাম থেকে তৃতীয়) খ্রিষ্টপূর্ব ৫৯৭ ও ৫৮৬ সালে জেরুসালেম জয় করেন বলে বাইবেলে আছে৷ তিনি রাজা জেহোইয়াকিম (ডান থেকে পঞ্চম) ও অন্যান্য সম্ভ্রান্ত ইহুদিদের বন্দি করে ব্যাবিলনে পাঠান ও ইয়াওয়েহ’র মন্দিরটি ধ্বংস করেন৷ পারস্যের রাজা সাইরাস দ্য গ্রেট ব্যাবিলন দখল করার পর নির্বাসিত ইহুদিদের জেরুসালেমে ফেরার ও মন্দিরটি পুনরায় গড়ে তোলার অনুমতি দেন৷
ছবি: picture-alliance/Mary Evans Picture Library
রোমক ও বাইজান্টাইন আমল
খ্রিষ্টজন্মের ৬৩ বছর পরে জেরুসালেম রোমক শাসনে আসে, কিন্তু জনগণের মধ্যে প্রতিরোধ অব্যাহত থাকায় তার তিন বছর পরেই প্রথম ইহুদি-রোমক যুদ্ধের অবতারণা ঘটে৷ চার বছর যুদ্ধের পর রোমকরা জয়ী হয় ও ইহুদিদের মন্দিরটি পুনরায় ধ্বংস করা হয়৷ রোমক আর বাইজান্টাইনরা মিলে প্রায় ৬০০ বছর ধরে জেরুসালেম শাসন করে৷
ছবি: Historical Picture Archive/COR
আরব বিজয়
বৃহত্তর সিরিয়ায় ইসলামের জয়ের পর মুসলিম সেনাবাহিনী জেরুসালেমে পৌঁছায়৷ (ছবিতে) খলিফা উমরের আদেশে ৬৩৭ সালে দীর্ঘ অবরোধের পর জেরুসালেমের পতন ঘটে৷ মুসলিম শাসন চলাকালীন বিভিন্ন গোষ্ঠীর শাসকরা শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে সংঘাত চালান৷ জেরুসালেম একধিকবার অবরুদ্ধ ও বিজিত হয়৷
ছবি: Selva/Leemage
ক্রুসেড
১০৭০ সাল থেকে মুসলিম নেতারা ক্রমেই খ্রিষ্টান জগতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেন৷ শেষমেষ পোপ দ্বিতীয় আর্বান ক্রুসেডের ডাক দেন৷ ২০০ বছরের মধ্যে মোট পাঁচটি ক্রুসেড জেরুসালেম জয়ের জন্য যাত্রা করে৷ কিন্তু ১২৪৪ সালে ক্রুসেডাররা শহরটির নিয়ন্ত্রণ হারায় ও জেরুসালেম পুনরায় মুসলিম শাসনে আসে৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
অটোমান ও ব্রিটিশ আমল
অটোমানরা মিশর ও আরব জয় করার পর ১৫৩৫ সালে জেরুসালেম একটি অটোমান জেলার প্রশাসনিক কার্যালয়ে পরিণত হয়৷ অটোমান শাসনের প্রথম কয়েক দশকে শহরটির প্রভূত উন্নতি ঘটে৷ ১৯১৭ সালে অটোমান সৈন্যদের বিরুদ্ধে ব্রিটেনের জয়ের পর ফিলিস্তিন ব্রিটিশ শাসনে আসে ও জেরুসালেম বিনাযুদ্ধে ব্রিটিশদের হাতে চলে যায়৷
ছবি: Gemeinfrei
বিভক্ত শহর
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেন তার ফিলিস্তিনি সনদ ছেড়ে দেয়৷ অপরদিকে জাতিসংঘ হলোকস্ট থেকে যেসব ইহুদি বেঁচেছেন, তাদের জন্য একটি স্বদেশ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে দেশবিভাগের সিদ্ধান্ত নেয়৷ অতঃপর কিছু আরব দেশ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে ও অংশত জেরুসালেম দখল করে৷ ১৯৬৭ সাল অবধি জেরুসালেমের পশ্চিমাংশ ইসরায়েল ও পুবের অংশ জর্ডানের দখলে ছিল৷
ছবি: Gemeinfrei
পূর্ব জেরুসালেম ইসরায়েলের হাতে ফিরল
১৯৬৭ সালের ছয় দিনের এক যুদ্ধে ইসরায়েল মিশর, জর্ডান ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়৷ সাইনেয়াই, গাজা স্ট্রিপ, পশ্চিম তীর, গোলান হাইটস ও পূর্ব জেরুসালেমের দখল করে নেয় ইসরায়েল৷ ইসরায়েলের প্যারাট্রুপার সৈন্যরা ১৯৪৯ সাল যাবৎ প্রথমবারের মতো ইহুদিদের জেরুসালেমের ‘ওয়েলিং ওয়াল’-এ দাঁড়ায়৷ পূর্ব জেরুসালেমকে সরকারিভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে যোগ না করা হলেও, সামগ্রিক প্রশাসনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷
জেরুসালেমে মুসলিমদের পবিত্র স্থানগুলি মুসলিমদের জন্য খোলা৷ টেম্পল মাউন্ট একটি স্বশাসিত মুসলিম প্রশাসনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত৷ মুসলিমরা ডোম অফ দ্য রক ও তার সংলগ্ন আল-আকসা মসজিদটি দর্শন করতে পারেন ও সেখানে নামাজ পড়তে পারেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Gharabli
জেরুসালেম নিয়ে বিরোধ
আজ অবধি জেরুসালেমের পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ মর্যাদা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তির পথে অন্তরায় হয়ে রয়েছে৷ ১৯৮০ সালে ইসরায়েল গোটা জেরুসালেমকে তার ‘‘চিরন্তন ও অবিভাজনযোগ্য রাজধানী’’ বলে ঘোষণা করে৷ ১৯৮৮ সালে জর্ডান পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমের উপর তার দাবি পরিত্যাগ করার পর ফিলিস্তিন রাজ্য ঘোষিত হয়৷ ফিলিস্তিন রাজ্যও জেরুসালেমকে তাদের রাজধানী বলে গণ্য করে৷