জেরুসালেমের প্রাচীন অংশে অবস্থিত ইহুদিদের ‘ওয়েলিং ওয়াল' বা মুসলিমদের আল-বুরাক প্রাকারের কাছে একটি পরিকল্পিত মেট্রো স্টেশনের নাম নাকি রাখা হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে৷
বিজ্ঞাপন
ইসরায়েলের পরিবহণ মন্ত্রী ইস্রায়েল কাটৎস বলেছেন, তিনি এই পন্থায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাতে চান, কেননা ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন৷
জেরুসালেমের পুরনো শহরে নীচে একটি পাতাল রেলের পরিকল্পনা কাটৎসের মস্তিষ্কপ্রসূত৷ এই পাতাল রেল পূর্ব জেরুসালেমের তলা দিয়ে ওয়েস্টার্ন ওয়াল অবধি যাবে ও তার টার্মিনাস হবে ঐ ‘ট্রাম্প স্টেশন' – বুধবার কাট্জ তাঁর এই প্রস্তাব ঘোষণা করেন৷
কাটৎস একটি বিবৃতিতে বলেন: ‘‘আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে ওয়েস্টার্ন ওয়াল স্টেশনটির নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, (এর কারণ তাঁর) জেরুসালেমকে ইহুদি জনগণ ও ইসরায়েল রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবার সাহসী ও ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত৷''
ট্রাম্পের জেরুসালেম সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
সারা বিশ্বে হাজার হাজার মুসলিম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷ পথবিক্ষোভে মার্কিন ও ইসরায়েলি পতাকা পোড়ানো হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Gharabli
জার্মানি
রবিবার বার্লিনের ব্রান্ডেনবুর্গ তোরণে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের একটি প্রধানত মুসলিম জনতা ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রদর্শন করে৷ বিক্ষোভকারীদের হাতে ফিলিস্তিনি ও তুর্কি পতাকা ছিল৷ বিক্ষোভে একটি ইসরায়েলি পতাকাও পোড়ানো হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী হাইকো মাস পরে বলেন যে, জার্মানিতে ইহুদি বিদ্বেষের কোনো স্থান নেই৷
ছবি: Getty Images/S. Gallup
তুরস্ক
ট্রাম্পের ঘোষণার পর পরই তুরস্কে প্রতিবাদ শুরু হয়ে যায়৷ ছবিতে বিক্ষোভকারীরা ইস্তানবুলে মার্কিন ও ইসরায়েলি পতাকায় আগুন ধরাচ্ছে৷
ছবি: Reuters/O. Orsal
মিশর
ছবিতে কায়রোয় সিন্ডিকেট অফ জার্নালিস্টস-এর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি প্রতিকৃতি দাহ করছেন; ছবির গায়ে লেখা আছে, ‘ট্রাম্প, সাংবাদিকরা আপনাকে বলছে, জেরুসালেম আরব’৷ পরে পুলিশ আটজন বিক্ষোভকারীকে নিষিদ্ধকৃত মুসলিম ব্রাদারহুড সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের দায়ে গ্রেপ্তার করে৷
ছবি: Reuters/M. A. E. Ghany
লেবানন
লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনী রবিবার বৈরুতে মার্কিন দূতাবাসের কাছে বিক্ষোভকারীদের রোখার জন্য কাঁদানে গ্যাস ও জলের কামান ব্যবহার করে৷ হেজবুল্লাহ সংগঠন উত্তরোত্তর প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. Hussein
ইরাক
ইরাকের শিয়াপন্থি মুসলিমরাও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জেরুসালেম সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে পথে নেমেছেন, যেমন এখানে দক্ষিণ ইরাকের বসরা শহরে৷
ছবি: Reuters/E. al-Sudani
ইরান
ইরানের রাজধানী তেহরানে বিপুল বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছে এবং আগামীতেও হবে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে৷ ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি রবিবার বলেন যে, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার ‘‘আগুনে তেল ঢেলেছে৷’’
ছবি: picture-alliance/AA/Stringer
পাকিস্তান
পাকিস্তানের করাচিতে শিয়াপন্থি বিক্ষোভকারীরা মার্কিন কনস্যুলেটের দিকে যাবার পথে মার্কিন ও ইসরায়েলি পতাকা পদদলিত করছেন৷
ছবি: Reuters/A. Soomro
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর
শ্রীনগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে বুদগাম শহরে বিক্ষোভকারীরা জুম্মার নামাজের পর মিছিল করেন ও ইসরায়েলের পতাকা পোড়ান (ছবি)৷ তাদের মুখে ‘অ্যামেরিকা নিপাত যাও’ ও ‘ইসরায়েল নিপাত যাও’ ধ্বনি শোনা যায়৷
ছবি: picture alliance/dpa/AP Photo/D. Yasin
মালয়েশিয়া
কুয়ালা লামপুরে শুক্রবারের নামাজের পর সহস্রাধিক মুসলিম ট্রাম্পের জেরুসালেম সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর উদ্দেশ্যে মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে যাত্রা করেন৷ ক্রীড়ামন্ত্রী জামালুদ্দিন স্বয়ং তাদের নেতৃত্ব দেন৷ জনতা ‘ইসলাম দীর্ঘজীবী হোক’ ধ্বনি দেয়৷
ছবি: Reuters
ইন্দোনেশিয়া
ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইন্দোনেশিয়ায় চার দিন ধরে প্রতিবাদ চলেছে৷ জাকার্তার মার্কিন দূতাবাসের সামনে মার্কিন ও ইসরায়েলি পতাকা পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে৷ এছাড়া ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতিকৃতি দাহ করা হয়৷
ছবি: Reuters/Beawiharta
ব্রাজিল
রবিবার ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরে ফিলিস্তিনি ফ্রন্ট নামধারী একটি আন্দোলন ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রদর্শন করে৷
ছবি: picture-alliance/ZUMA Wire/C. Faga
11 ছবি1 | 11
ট্রাম্প ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি বিরোধে বহু বছরের মার্কিন নীতি পালটে দিয়ে এ মাসের সূচনায় জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন – ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ ও সমালোচনার অবতারণা ঘটে৷ এ যাবৎ যুক্তরাষ্ট্র তথা বিশ্বের অধিকাংশ দেশের অবস্থান ছিল এই যে, ভবিষ্যৎ শান্তি আলাপ-আলোচনার অঙ্গ হিসেবে জেরুসালেমের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে৷ ট্রাম্প সেই অবস্থানকে বিপন্ন করছেন, বলে প্রায় সব বিশ্বশক্তির তরফ থেকে অভিযোগ ওঠে৷
বিরোধ শুধু পূর্বজেরুসালেমকে নিয়েই নয়৷ টেম্পল মাউন্টে ইহুদিদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায়, ‘ওয়েস্টার্ন ওয়াল' বা ‘ওয়েলিং ওয়াল' হলো ইহুদিদের প্রার্থনা করার পবিত্রতম স্থান৷ অপরদিকে টেম্পল মাউন্ট বা মুসলিমদের হরম-এশ-শরিফ ও তার আল-আকসা মসজিদ মুসলিমদের কাছে অনুরূপ পবিত্র৷
পরিকল্পনা অনুযায়ী কাটৎসের পাতাল রেল চার্চ অফ দ্য হোলি সেপালচার, যেখানে যিশুখ্রিষ্টকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল বলে কথিত আছে, সেই গির্জার কাছ দিয়েও যাবে৷
বিভাজন ও নিন্দা
নামকরণের কথা পরে, কিন্তু জেরুসালেমের পাতাল রেল যদি তৈরি হয়, তবে তা ট্রাম্পের স্বীকৃতির মতোই নতুন করে নিন্দা ও বিভাজনের সৃষ্টি করবে৷ ফিলিস্তিন মুক্তি সংগঠন পিএলও-র কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ওয়াসেল আবু ইউসুফ ‘‘ইসরায়েলের চরমপন্থি সরকারের'' বিরুদ্ধে ‘‘জেরুসালেম শহরে নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টির আপ্রাণ প্রচেষ্টার'' অভিযোগ করেছেন৷
বিতর্কিত শহর জেরুসালেম
জেরুসালেম বিশ্বের প্রাচীনতম ও সবচেয়ে বিতর্কিত শহরগুলির অন্যতম৷ ইহুদি, মুসলিম ও খ্রিষ্টান, তিনটি ধর্মের মানুষের কাছে জেরুসালেম একটি পবিত্র শহর৷ এ কারণে জেরুসালেম নিয়ে বিরোধ ও বিতর্ক লেগেই আছে৷
ছবি: picture-alliance/Zumapress/S. Qaq
রাজা ডেভিডের শহর
ওল্ড টেস্টামেন্টের বিবরণ অনুযায়ী, জুডাহ ও ইসরায়েলের রাজা ডেভিড যীশুখ্রিষ্টের জন্মের প্রায় এক হাজার বছর আগে জেবুসাইটদের কাছ থেকে জেরুসালেম জয় করেন৷ ডেভিড জেরুসালেমকে তার রাজধানী করেন ও জেরুসালেম তাঁর রাজ্যের ধর্মীয় কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়৷ বাইবেলে কথিত আছে যে, ডেভিডের পুত্র রাজা সলোমন জেরুসালেমে ইসরায়েলের দেবতা ইয়াওয়েহ’র প্রথম মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন ও জেরুসালেম ইহুদি ধর্মের প্রাণকেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়৷
ছবি: Imago/Leemage
পারস্যের শাসনে
নব্য ব্যাবিলোনিয়ান রাজা দ্বিতীয় নেবুচাডনেজার (বাম থেকে তৃতীয়) খ্রিষ্টপূর্ব ৫৯৭ ও ৫৮৬ সালে জেরুসালেম জয় করেন বলে বাইবেলে আছে৷ তিনি রাজা জেহোইয়াকিম (ডান থেকে পঞ্চম) ও অন্যান্য সম্ভ্রান্ত ইহুদিদের বন্দি করে ব্যাবিলনে পাঠান ও ইয়াওয়েহ’র মন্দিরটি ধ্বংস করেন৷ পারস্যের রাজা সাইরাস দ্য গ্রেট ব্যাবিলন দখল করার পর নির্বাসিত ইহুদিদের জেরুসালেমে ফেরার ও মন্দিরটি পুনরায় গড়ে তোলার অনুমতি দেন৷
ছবি: picture-alliance/Mary Evans Picture Library
রোমক ও বাইজান্টাইন আমল
খ্রিষ্টজন্মের ৬৩ বছর পরে জেরুসালেম রোমক শাসনে আসে, কিন্তু জনগণের মধ্যে প্রতিরোধ অব্যাহত থাকায় তার তিন বছর পরেই প্রথম ইহুদি-রোমক যুদ্ধের অবতারণা ঘটে৷ চার বছর যুদ্ধের পর রোমকরা জয়ী হয় ও ইহুদিদের মন্দিরটি পুনরায় ধ্বংস করা হয়৷ রোমক আর বাইজান্টাইনরা মিলে প্রায় ৬০০ বছর ধরে জেরুসালেম শাসন করে৷
ছবি: Historical Picture Archive/COR
আরব বিজয়
বৃহত্তর সিরিয়ায় ইসলামের জয়ের পর মুসলিম সেনাবাহিনী জেরুসালেমে পৌঁছায়৷ (ছবিতে) খলিফা উমরের আদেশে ৬৩৭ সালে দীর্ঘ অবরোধের পর জেরুসালেমের পতন ঘটে৷ মুসলিম শাসন চলাকালীন বিভিন্ন গোষ্ঠীর শাসকরা শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে সংঘাত চালান৷ জেরুসালেম একধিকবার অবরুদ্ধ ও বিজিত হয়৷
ছবি: Selva/Leemage
ক্রুসেড
১০৭০ সাল থেকে মুসলিম নেতারা ক্রমেই খ্রিষ্টান জগতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেন৷ শেষমেষ পোপ দ্বিতীয় আর্বান ক্রুসেডের ডাক দেন৷ ২০০ বছরের মধ্যে মোট পাঁচটি ক্রুসেড জেরুসালেম জয়ের জন্য যাত্রা করে৷ কিন্তু ১২৪৪ সালে ক্রুসেডাররা শহরটির নিয়ন্ত্রণ হারায় ও জেরুসালেম পুনরায় মুসলিম শাসনে আসে৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
অটোমান ও ব্রিটিশ আমল
অটোমানরা মিশর ও আরব জয় করার পর ১৫৩৫ সালে জেরুসালেম একটি অটোমান জেলার প্রশাসনিক কার্যালয়ে পরিণত হয়৷ অটোমান শাসনের প্রথম কয়েক দশকে শহরটির প্রভূত উন্নতি ঘটে৷ ১৯১৭ সালে অটোমান সৈন্যদের বিরুদ্ধে ব্রিটেনের জয়ের পর ফিলিস্তিন ব্রিটিশ শাসনে আসে ও জেরুসালেম বিনাযুদ্ধে ব্রিটিশদের হাতে চলে যায়৷
ছবি: Gemeinfrei
বিভক্ত শহর
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেন তার ফিলিস্তিনি সনদ ছেড়ে দেয়৷ অপরদিকে জাতিসংঘ হলোকস্ট থেকে যেসব ইহুদি বেঁচেছেন, তাদের জন্য একটি স্বদেশ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে দেশবিভাগের সিদ্ধান্ত নেয়৷ অতঃপর কিছু আরব দেশ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে ও অংশত জেরুসালেম দখল করে৷ ১৯৬৭ সাল অবধি জেরুসালেমের পশ্চিমাংশ ইসরায়েল ও পুবের অংশ জর্ডানের দখলে ছিল৷
ছবি: Gemeinfrei
পূর্ব জেরুসালেম ইসরায়েলের হাতে ফিরল
১৯৬৭ সালের ছয় দিনের এক যুদ্ধে ইসরায়েল মিশর, জর্ডান ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়৷ সাইনেয়াই, গাজা স্ট্রিপ, পশ্চিম তীর, গোলান হাইটস ও পূর্ব জেরুসালেমের দখল করে নেয় ইসরায়েল৷ ইসরায়েলের প্যারাট্রুপার সৈন্যরা ১৯৪৯ সাল যাবৎ প্রথমবারের মতো ইহুদিদের জেরুসালেমের ‘ওয়েলিং ওয়াল’-এ দাঁড়ায়৷ পূর্ব জেরুসালেমকে সরকারিভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে যোগ না করা হলেও, সামগ্রিক প্রশাসনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷
জেরুসালেমে মুসলিমদের পবিত্র স্থানগুলি মুসলিমদের জন্য খোলা৷ টেম্পল মাউন্ট একটি স্বশাসিত মুসলিম প্রশাসনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত৷ মুসলিমরা ডোম অফ দ্য রক ও তার সংলগ্ন আল-আকসা মসজিদটি দর্শন করতে পারেন ও সেখানে নামাজ পড়তে পারেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Gharabli
জেরুসালেম নিয়ে বিরোধ
আজ অবধি জেরুসালেমের পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ মর্যাদা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তির পথে অন্তরায় হয়ে রয়েছে৷ ১৯৮০ সালে ইসরায়েল গোটা জেরুসালেমকে তার ‘‘চিরন্তন ও অবিভাজনযোগ্য রাজধানী’’ বলে ঘোষণা করে৷ ১৯৮৮ সালে জর্ডান পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমের উপর তার দাবি পরিত্যাগ করার পর ফিলিস্তিন রাজ্য ঘোষিত হয়৷ ফিলিস্তিন রাজ্যও জেরুসালেমকে তাদের রাজধানী বলে গণ্য করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Jensen
10 ছবি1 | 10
পাতাল রেল প্রকল্পের জন্য জেরুসালেমের পুরনো শহরের নীচে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার প্রয়োজন পড়বে, অতীতে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি, উভয় তরফের কর্মকর্তারাই যার সোচ্চার বিরোধিতা করেছেন৷ গতবছর ওয়েস্টার্ন ওয়ালের ইতিমধ্যেই খুঁড়ে বার করা একটি অংশকে ইহুদি মহিলা ও পুরুষদের একত্রে প্রার্থনার এলাকায় পরিণত করার পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে হয়, কেননা ইসরায়েলি প্রত্নতত্ত্ববিদরা সুপ্রাচীন শহরটির অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার বিপদ সম্পর্কে সাবধান করে দেন৷
পরিবহণ মন্ত্রীর সমর্থন সত্ত্বেও, ‘ট্রাম্প স্টেশন' সুদ্ধ কোনো চূড়ান্ত পাতাল রেলকে বিভিন্ন সরকারি যোজনা পরিষদের অনুমোদন পেতে হবে – সেই সঙ্গে প্রায় ৭০ কোটি ডলার অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন পড়বে৷ কবে এই প্রকল্প সবুজ সংকেত পাবে, ইসরায়েলি পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র তার কোনো নির্ধিষ্ট তারিখ দিতে অস্বীকার করেন৷