1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিয়ে মতপার্থক্য

এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন দূতাবাস জেরুসালেমে স্থানান্তরের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, তাঁর দেশও একই সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত৷ তবে সেই জেরুসালেম হবে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের যৌথ রাজধানী৷

গাব্রিয়েল ও শুলৎস
ছবি: Imago/photothek/T. Koehler

জার্মানির বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েল ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত সম্পর্ক যে একেবারেই মধুর নয়, তা কারো অজানা নয়৷ গত বছর গাব্রিয়েল-এর ইসরায়েল সফরে নেতানিয়াহু তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেই অস্বীকার করেছিলেন৷ গাব্রিয়েল ইসরায়েলের বর্তমান সরকারের বিরোধী কিছু গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করায় তাঁর এই গোঁসা৷

এবার অবশ্য সে রকম কোনো অঘটন ঘটেনি৷ নেতানিয়াহু গাব্রিয়েল-কে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন৷ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দুই নেতার আলোচনা হয়েছে৷ তবে এই প্রশ্নে দুই দেশের চরম মতপার্থক্যও স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ নেতানিয়াহু কার্যত দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানসূত্র থেকে অনেকটা সরে এসেছেন৷ তাঁর দাবি, যে কোনো ভবিষ্যৎ সমঝোতার আওতায় ইসরায়েল ফিলিস্তিনি এলাকার সীমান্তে সামরিক নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখবে৷ এছাড়া নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনেক বিষয়েও ইসরায়েল সিদ্ধান্ত নেবে৷ অর্থাৎ ফিলিস্তিনি এলাকা পুরোপুরি সার্বভৌম হতে পারবে না৷

অন্যদিকে জার্মানি ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি স্থায়ী অঙ্গীকারের পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থনে অবিচল রয়েছে৷ ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সমঝোতার আওতায় জেরুসালেম শহরের উপর দুই পক্ষেরই অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, জার্মানি এমনটাই ধরে নিচ্ছে৷ সে ক্ষেত্রে সেই শহরে দুই রাষ্ট্রের জন্যই জার্মান দূতাবাস প্রতিষ্ঠা করা হবে – বলেন গাব্রিয়েল৷ অর্থাৎ মধ্যপ্রাচ্যের প্রশ্নে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে জার্মানি তথা ইউরোপের মতপার্থক্যও আবার স্পষ্ট করে দিলেন তিনি৷

ইসরায়েল সফরে এসে গাব্রিয়েল তাঁর স্বভাবসিদ্ধ তীর্যক ভাষায় বললেন, ইসরায়েলের সরকার যে এখনো দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানসূত্রের উল্লেখ করছেন, তাতে তিনি সন্তুষ্ট৷ ভবিষ্যৎ সমাধানসূত্র নিয়ে বর্তমানে যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, তার ফলে ইউরোপে নৈরাশ্য দেখা যাচ্ছে৷

এই প্রসঙ্গে গাব্রিয়েল ইউরোপে ইসরায়েলের বর্তমান ভাবমূর্তির কথাও মনে করিয়ে দেন৷ তেল আভিভ শহরে এক ভাষণে ইসরায়েলের বর্তমান সরকারি নীতির পরিণামের উল্লেখ করেন৷ তাঁর মতে, ইউরোপের অনেক মানুষ ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের আচরণকে গ্রহণযোগ্য মনে করেন না৷ সেই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের সরকারের প্রতি সমর্থনের কারণ ব্যাখ্যা করা কঠিন হয়ে উঠছে৷ গাব্রিয়েল বলেন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহযোগী হিসেবে ইসরায়েলকে স্পষ্ট করে দিতে হবে, যে সে দেশ এখনো দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানসূত্রের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ কিনা৷

রামাল্লাহ শহরে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনার পরিবেশ ছিল অনেক বেশি অনুকূল৷ গাব্রিয়েল আব্বাস ও ফিলিস্তিনিদের সম্পর্কে বলেন, তারা যে বর্তমান প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সমঝোতার জন্য প্রস্তুত, তা সত্যি প্রশংসার যোগ্য৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ