জেরুসালেমের পুরনো শহরে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়৷ শুক্রবার হারাম-আল-শরিফে প্রবেশে কড়াকড়ি নিয়ে ইসরায়েলি পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় ফিলিস্তিনিরা৷
বিজ্ঞাপন
কার গুলিতে ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন, সে বিষয়ে কোনো কিছু জানায়নি মন্ত্রণালয়৷ তবে অভিযোগের তীর উঠেছে ইসরায়েলি পুলিশের বিরুদ্ধেই৷ তবে আপাতত এ বিষয়ে নিরব থাকার অবস্থান নিয়েছে ইসরায়েল সরকার৷
জেরুসালেম ইহুদি এবং মুসলিম, উভয় ধর্মের মানুষের কাছেই একটি পবিত্র স্থান৷ কিন্তু হঠাৎ করেই জেরুসালেমের হারাম-আল-শরিফ মসজিদে প্রবেশমুখে মেটাল ডিটেক্টর স্থাপন করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ফিলিস্তিনিরা৷
ইসরায়েলি পুলিশ ঘোষণা দেয়, জেরুসালেমের পুরনো শহরে শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায় করার জন্য ৫০ বছরের কম বয়সিদের প্রবেশ করতে দেয়া হবে না৷ তবে যে কোনো বয়সের নারীদের প্রবেশ করতে দেয়া হবে বলেও জানায় ইসরায়েল৷
৫০ বছরে কত বদলে গেছে জেরুসালেম!
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেম সফর করেছেন৷ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে কণ্টকাকীর্ণ একটা ইস্যু হচ্ছে এই শহর৷ ছবিঘরে ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের সময়কার জেরুসালেমের সঙ্গে ৫০ বছর পরে এখনকার জেরুসালেমের তুলনা...
ছবি: Reuters/R. Zvulun
এখনকার জলপাই পাহাড়
পেছনে দেখা যাচ্ছে, পুরাতন নগর দেয়াল, স্বর্ণ-গম্বুজ মসজিদ, পাথরের গম্বুজ৷ দৃশ্যটি পুরাতন নগরের পূর্ব পাশে পাহাড়ের নীচের৷ এই পাহাড়ের পশ্চিম ও দক্ষিণ ঢালুতে প্রাচীন ইহুদি সমাধি৷ এক সময় এলাকাটি ছিল জলপাই বাগানে ঘেরা৷ তাই নামও হয় জলপাই পাহাড়৷ এটাই এখন পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়ে আসা ইহুদিদের সবচেয়ে প্রাচীণ সমাধি৷
ছবি: Reuters/R. Zvulun
তখনকার জলপাই পাহাড়
এখানে পেছনে যদি পুরাতন অটোমান নগর দেয়াল এবং মসজিদ না থাকতো, তাহলে দর্শকরা হয়ত বুঝতোই না যে, এটা একই জায়গা৷ ১৯৬৭ সালের ৭ জুন এই ছবিটি তোলা হয়৷ ছয় দিনের যুদ্ধ বা আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ চলাকালে এই পাহাড়ের চূড়ায় ছিল একটি ব্রিগ্রেড কমান্ডের ছাউনি৷
ছবি: Government Press Office/REUTERS
এখনকার আল-আকসা মসজিদ
রূপালি রঙের গম্বুজ এবং বিশার হলঘর বিশিষ্ট আল-আকসা মসজিদ৷ এটা টেম্পল পাহাড়ে অবস্থিত৷ মুসলমানরা এটাকে ‘হারাম আল শরীফ’ বলে থাকে৷ এটা ইহুদিদেরও সবচেয়ে পবিত্র স্থান৷ এখানে বাইবেলে উল্লেখিত দু’টি উপাসনালয় রয়েছে৷ এটা সুন্নি মুসলমানদের কাছে মক্কা ও মদিনার পর তৃতীয় পবিত্রতম স্থান৷ পুরো পাহাড়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘ বিরোধ রয়েছে৷
ছবি: Reuters/A. Awad
তখনকার আল-আকসা মসজিদ
‘আল-আকসা’ নামের অর্থ সবচেয়ে দূরের মসজিদ৷ এটা জেরুসালেমের সবচেয়ে বড় মসজিদও৷ ১৯৬৭ সালে জেরুসালেম জয়ের পর এই এলাকার উপর ইসরায়েল কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে৷ তখন নেতারা একমত হয়েছিলেন যে, ‘ওয়াকফ’ নামে ইসলাম ধর্মীয় একটি ট্রাস্ট দ্বারা টেম্পল মাউন্ট পরিচালিত হবে৷
ছবি: Reuters/
এখনকার দামেস্ক গেট
ঐতিহাসিক এই গেট ‘দামেস্ক গেট’ নামে পরিচিত৷ কারণ, এই গেট থেকে উত্তরের রাস্তা দামেস্কের দিকে গেছে৷ পূর্ব জেরুসালেম এবং একটি ব্যস্ত আরব বাজারে ঢুকতে এটা ফিলিস্তিনিদের প্রধান প্রবেশদ্বার৷ গত দুই বছরে এটা ফিলিস্তিনিদের আক্রমণের ক্ষেত্র হয়ে উঠছে৷
ছবি: Reuters/R. Zvulun
তখনকার দামেস্ক গেট
আজকে আমরা যে গেট দেখি, এটা ১৫৩৭ সালে অটোমান সুলতান মহামতি সুলেইমান নির্মাণ করেছিলেন, যা ১৯৬৭ সালেও প্রায় একই রকম ছিল৷ পুরাতন শহর এবং এর বিভিন্ন অংশে প্রবেশের দ্বার ৭টি৷
ছবি: Reuters/
এখনকার পুরাতন শহর
জেরুসালেমের প্রাণবন্ত পুরাতন শহর৷ ১৯৮১ সালে ইউনেস্কো এটাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে৷ এটা বিভিন্ন ধর্মের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান৷ পাথরের গম্বুজ, আল-আকসা মসজিদ, টেম্পল পাহাড়, ইহুদিদের পশ্চিম দেয়াল এবং খ্রিষ্টানদের একটি পবিত্র চার্চ এখানে অবস্থিত৷ ব্যস্ত ও বর্ণময় এই শহর কেনাকাটা, খাবার-দাবার এবং ভ্রমণের জন্য খুবই আকর্ষণীয়৷
ছবি: Reuters/A. Awad
তখনকার পুরাতন শহর
১৯৬৭ সালের জুলাই মাসে এই ছবি নেয়া হয়৷ কিন্তু ৫০ বছর পরেও পুরাতন শহরে একই জিনিস৷ একেবারেই বদলায়নি৷ এই ছবিতে ছেলেরা ‘ব্যাগেল’ নামের তিলের পেস্টি নিয়ে এদিক ওদিক ঘুরছে৷ এই দৃশ্য পুরাতন শহরে এখনো দেখা যায়৷
ছবি: Reuters/Fritz Cohen/Courtesy of Government Press Office
এখনকার পশ্চিম দেয়াল
জেরুজালেমের পুরাতন শহরে অবস্থিত চুনাপাথরের এই প্রাচীণ দেয়ালটি টেম্পল মাউন্টের পশ্চিমের দেয়াল৷ ইহুদিদের নিকট এটা সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান৷ তারা এখানে প্রার্থণা করতে আসে৷ কখনো কখনো দেয়ালের ফাটলে চিরকুট রাখতে আসে৷ এখানে পুরুষ-নারীর জন্য পৃথক সেকশন রয়েছে৷ তবে সারা বছরই এটা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে৷ অবশ্য প্রবেশের পূর্বে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা তল্লাশী পার হতে হয়৷
ছবি: Reuters/R. Zvulun
তখনকার পশ্চিম দেয়াল
পশ্চিম দেয়ালের আরেক নাম ‘ওয়েইলিং ওয়াল’ বা ক্রন্দনের দেয়াল৷ অবশ্য ইহুদিরা এটাকে মর্যাদাহানিকর শব্দ হিসাবে বিবেচনা করে৷ তারা এই শব্দ ব্যবহারও করে না৷ প্রার্থণার জন্য দেয়ালের দিকে জড়ো হওয়া এই মানুষদের ছবিটি ১৯৬৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর তোলা হয়েছে৷
ছবি: Reuters/Fritz Cohen/Government Press Office
10 ছবি1 | 10
সাধারণত শুক্রবারের প্রার্থনায় হারাম শরিফে হাজার হাজার মুসলিম নামাজের জন্য জড়ো হন৷ ইহুদিদের কাছে এই মসজিদ এলাকা মাউন্ট টেম্পল নামে পরিচিত৷
ইসরায়েলি পুলিশের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে মুসলিম নেতারা জুম্মার নামাজের জন্য নিজ নিজ এলাকার মসজিদের বদলে এই মসজিদে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান৷ আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিপুল পরিমাণ ফিলিস্তিনি জড়ো হন মসজিদ এলাকায়৷
অধিকৃত পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি সেনাদের চেকপয়েন্টে জড়ো হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয় ফিলিস্তিনিদের৷
ডয়চে ভেলের প্রতিনিধি তানিয়া ক্রেমার জেরুসালেম থেকে জানিয়েছেন, দুপুরের আগে থেকেই শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সংঘর্ষ ও সহিংসতা শুরু হয়৷ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চেকপয়েন্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ, ফিরিয়ে দেয় জেরুসালেমমুখী ফিলিস্তিনিদের৷
কড়াকড়ির ফলে এক হাজারেরও কম মুসল্লি জড়ো হতে পেরেছেন হারাম-আল-শরিফে৷ অন্য সপ্তাহের তুলনায় এ সংখ্যা একেবারেই কম৷
গত রবিবার মসজিদের প্রবেশমুখে মেটাল ডিটেক্টোর বসানোর পর থেকে মুসল্লিরা হারাম-আল-শরিফের বাইরে রাস্তাতেই নামাজ পড়ছেন৷
বৃহস্পতিবারও ইসরায়েলি পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জেরুসালেমে অন্তত ২০ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছিলেন৷
গত ১৪ জুলাই মসজিদের প্রবেশপথে দুই পুলিশ অফিসারকে গুলি করে মেরে ফেলে তিন বন্দুকধারী৷ পুলিশের পালটা গুলিতে হামলাকারীরাও নিহত হয়৷ ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ বলছে, এ কারণেই মসজিদে এত কড়াকড়ি৷
সূত্রমতে, ইসরায়েলের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থাও মসজিদের প্রবেশমুখে মেটাল ডিটেক্টর বসানোর বিষয়ে দ্বিধায় ছিল৷ পুলিশ এ বিষয়ে অনড় থাকলেও সেনাবাহিনী এবং শিন বেট সিকিউরিটি সার্ভিস এই সিদ্ধান্ত অপ্রয়োজনীয় বলে মত দিয়েছিল৷
তবে বৃহস্পতিবার এক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু মেটাল ডিটেক্টর না সরানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং পুলিশকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দেন৷
মক্কা এবং মদিনার পর হারাম আল-শরিফকেই তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান হিসেবে মনে করে মুসলিমরা৷
এডিকে/ডিজি (রয়টার্স, এপি)
ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাত কোন পথে?
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি এলাকা জুড়ে যে সহিংসতার ঢেউ চলেছে, তা-তে দু’পক্ষেই হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে৷ সেই সঙ্গে বাড়ছে ক্ষোভ, অবিশ্বাস ও মারমুখি ভাব৷ এই প্রবণতা চলতে থাকলে একটি তৃতীয় ইন্তিফাদার সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে৷
ছবি: picture alliance/ZUMA Press/M. Abu Turk
একটি পবিত্র স্থান
পুরনো জেরুসালেমের প্রাচীন অংশে আল-আকসা মসজিদ; ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ পড়ছেন ফিলিস্তিনিরা৷ ইসরায়েলিদের কাছে এই স্থানটি হল টেম্পল মাউন্ট৷ মাস খানেক আগে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে গুজব ছড়ায় যে, ইসরায়েল প্রাঙ্গণটি দখল করে নেওয়ার কথা ভাবছে৷ সেই থেকেই দাঙ্গা-হাঙ্গামার শুরু৷ ১৭ই জুলাই, ২০১৫-র ছবি৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Gharabli
একটানা আক্রমণ
বিশেষ করে জেরুসালেমে ইসরায়েলিদের ওপর ছুরি আক্রমণের ঘটনা বাড়ায় ইসরায়েলি সরকার চিন্তিত৷ প্রধানত জেরুসালেমবাসী ফিলিস্তিনি কিশোররাই এই সব আক্রমণ চালাচ্ছে ও নিরাপত্তা কর্মীদের গুলিতে প্রাণ হারাচ্ছে৷ তাদের কবর দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় আবার দাঙ্গা বাঁধছে৷ অক্টোবরের সূচনায় বেথলেহেমের কাছে একটি উদ্বাস্তু শিবিরে এক ১৩ বছর বয়সি ফিলিস্তিনি কিশোর এভাবে প্রাণ হারায়৷ বেথলেহেমে দাঙ্গার ছবি, ৫ই অক্টোবর, ২০১৫৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Coex
অন্যত্র, সর্বত্র
গাজা স্ট্রিপের দক্ষিণে খান ইউনুসেও একই দৃশ্য৷ ইসরায়েলি সৈন্যদের সঙ্গে সংঘাতে ১৫ বছর বয়সি মোহাম্মেদ আল-রেকেব প্রাণ হারানোর পর তাকে গোরস্তানে নিয়ে যাওয়ার সময় আত্মীয়স্বজন শোকার্ত৷ ৯ই অক্টোবর, ২০১৫-র ছবি৷
ছবি: Reuters/I. Abu Mustafa
গাজা স্ট্রিপে
২২ বছর বয়সি জিহাদ আল-ওবাইদের সমাধি অনুষ্ঠানে যোগদান করে আল-কাসাম ব্রিগেডের জঙ্গিরা৷ জিহাদ প্রাণ হারান গাজা স্ট্রিপের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে, সীমান্তের কাছে, ইসরায়েলি সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে৷ ছবিটি তোলা ১০ই অক্টোবর, ২০১৫ তারিখে৷ ১৫ই অক্টোবর অবধি এই ‘তৃতীয় ইন্তিফাদায়’ এ যাবৎ প্রাণ হারিয়েছেন সাতজন ইসরায়েলি ও অন্তত ৩০ জন ফিলিস্তিনি; দু’পক্ষে আহত হয়েছেন অগণিত মানুষ৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Khatib
বিজয় চিহ্ন
পশ্চিম জর্ডানের হেব্রনে মোহাম্মেদ ফারেস আল-জাবারিকে গোরস্তানে নিয়ে যাওয়ার সময় ইসরায়েলি সৈন্যদের সঙ্গে দাঙ্গা বাঁধে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের৷ আগুনের সামনে দাঁড়িয়ে ভিক্টরি সাইন দেখাচ্ছেন এক ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী৷ ছবিটি ১০ই অক্টোবর, ২০১৫-র৷
ছবি: Getty Images/AFP/H. Bader
বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, দাঙ্গা
পশ্চিম জর্ডানের নাবলুসে হাওয়ারা চেকপয়েন্টে ইসরায়েলি সৈন্যদের দিকে ঢিল ছুঁড়ছে ফিলিস্তিনি কিশোর ও তরুণেরা৷ ১১ই অক্টোবর, ২০১৫-র ছবি৷
ছবি: Reuters/A. Talat
যাত্রীবাহী বাসে আক্রমণ
১২ই অক্টোবর, ২০১৫-র ঘটনা৷ পুলিশের বিবৃতি অনুযায়ী জনৈক আরব একটি যাত্রাবাহী বাসের মধ্যে এক ইসরায়েলি সৈন্যকে ছুরিকাঘাত করার ও বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে৷ অপর এক সৈন্যের গুলিতে আততায়ী নিহত হয়৷ ছবিতে পুলিশ কর্মকর্তারা বাসটির বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/O. Ziv
ইসরায়েলি সরকার নিরুপায়
ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে হাজার চারেক পুলিশ ছাড়াও তিন’শ সৈন্য পথে নামানো হয়েছে৷ অস্থায়ী চেকপয়েন্ট সৃষ্টি করে গাড়ি ও ড্রাইভারদের পরীক্ষা করা হচ্ছে৷ ছবিতে পূর্ব জেরুসালেমের জাবাল মুকাবর এলাকায় কংক্রিটের ব্লক বসানোর কাজ চলেছে বুধবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০১৫ তারিখে৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/S. Scheiner
আরো একটি মৃতদেহ
পূর্ব জেরুসালেমের ‘ওল্ড সিটির’ প্রবেশমুখে দামাস্কাস গেটে বুধবার আরো একটি ছুরি আক্রমণের ঘটনা ঘটে৷ দৃশ্যত পশ্চিম জর্ডানের হেব্রন থেকে আগত এক ২০ বছর বয়সি ফিলিস্তিনি তরুণ এক নিরাপত্তা কর্মীকে আক্রমণ করে ও নিরাপত্তা কর্মীদের গুলিতে নিহত হয়৷ ছবিতে নিহত আততায়ীর লাশ অকুস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷