1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জেলখানায় সন্দেহভাজন জঙ্গির মৃত্যুতে হতভম্ব জার্মানি

১৩ অক্টোবর ২০১৬

জেলখানায় এক সন্দেহভাজন জঙ্গির আত্মহত্যার খবরে হতভম্ব জার্মানি৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনার দ্রুত এবং বিস্তৃত ব্যাখ্যা চেয়েছে৷ সিরীয় নাগরিকটির বিরুদ্ধে জার্মানিতে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ ছিল৷

 জার্মানিতে সন্দেহভাজন জঙ্গি জাবের আলবকর
ছবি: Polizei Sachsen

জার্মানির বিচার মন্ত্রণালয় বুধবার রাতে নিশ্চিত করেছে যে সিরীয় নাগরিক জাবের আল বকরকে লাইপজিগের একটি কারাকক্ষে মৃত পাওয়া গেছে৷ তার মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা বলেও প্রাথমিকভাবে জানা গেছে৷ এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় লিখেছে, ‘‘বারো অক্টোবর বিকেলে জাবের আল বকর, যিনি একটি সিরিজ হামলার পরিকল্পনা করছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল, লাইপসিগের কারেকশনাল হাসপাতালের ডিটেনশন সেন্টারে তিনি আত্মহত্যা করেছেন৷'' বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে মন্ত্রণালয়৷

আল বকরের আত্মহত্যার খবরে প্রচন্ড চাপে পড়েছে স্যাক্সনির পুলিশ বিভাগ, কেননা, আল বকর আত্মহত্যা করতে পারেন, এমন আভাষ পুলিশ আগেই পেয়েছিল এবং তাকে এ কারণে নজরদারির মধ্যেও রাখা হয়েছিল৷ এর আগে শনিবার কেমনিৎসে অভিযান চালিয়ে আল বকরকে গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছিল জার্মানির পূর্বের এই রাজ্যের পুলিশ৷ পরবর্তীতে কয়েক সিরীয় নাগরিকের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় পুলিশ৷

এদিকে, জেলে আল বকরের আত্মহত্যার খবরে বেজায় চটেছেন জার্মানির রাজনীতিবিদরা৷ জার্মানির সবুজ দলের কো-চেয়ারম্যান চেম ওয়েজদেমির বিস্ময় প্রকাশ করে টুইটারে লিখেছেন, ‘‘কারাগারে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রহরী থাকা সত্ত্বেও তিনি কিভাবে আত্মহত্যা করেন? আমি এই ঘটনায় স্তব্ধ হয়ে গেছি৷''

জার্মানির হেসে রাজ্যের পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভল্ফগাং গ্রিলিশ টুইটারে লিখেছেন, ‘‘স্যাক্সনির পুলিশ, প্রসিকিউটর এবং আইন শৃঙ্খলারক্ষকারীদের কোথায় ভুল হচ্ছে? আমি এটা বিশ্বাস করতে পারছি না৷''

জার্মানির জনপ্রিয় ‘স্ট্যার্ন' ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক ফিলিপ জেসন টুইটারে জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন একজন জঙ্গির নজরদারির মধ্যে থাকা একটি সেলের মধ্যে আত্মহত্যা জার্মানিতে সম্ভব নয়৷

উল্লেখ্য, গত সোমবার আল বকরকে বেধে রেখে তিন সিরীয় নাগরিক পুলিশকে জানায়৷ সেই তিন ব্যক্তি প্রথমে তাকে থাকতে দিয়েছিল৷ কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই টের পায় যে পুলিশ তাকে খুঁজছে৷ এর আগে, শনিবার আল বকরের সেমনিৎসের অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ঘরে তৈরি এক ধরনের বিস্ফোরক খুঁজে পায়৷ গতবছর নভেম্বর প্যারিস হামলার সময় এবং এ বছর মার্চে ব্রাসেলসে হামলায় একই ধরণের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

এআই / এসিবি (ডিপিএ, আরটিএল, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ