জেলা প্রশাসকদের সজাগ থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
২৬ জুলাই ২০১০রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জেলা প্রশাসকদের তিনদিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা৷ প্রধানমন্ত্রী জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে এবং ‘নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারাকারীদের' বিরুদ্ধে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন, প্রথম আলো সহ সব পত্রিকাই তাকে প্রাধান্য দিয়েছে৷ দ্বিতীয়ত, পবিত্র রমজান মাসের সুযোগ নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যা'তে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম বাড়াতে না পারে, জেলা প্রশাসকদের সে'বিষয়ে সজাগ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ জনকণ্ঠের প্রতিবেদনের সূচনায় রয়েছে, ‘ওরা গণতন্ত্র ধ্বংস ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাতের অপচেষ্টা চালাতে পারে: ডিসি'দের প্রধানমন্ত্রী'৷
ডিসি'রা কি বলেছেন
জনকণ্ঠের বিবরণ অনুযায়ী ‘কাজের শ্লথগতির জন্য মাঠ প্রশাসনে সমন্বয়হীনতা ও আদালত অবমাননার খড়্গকে দায়ী করেছেন জেলা প্রশাসকরা'৷ সমকালের উদ্ধৃতি অনুযায়ী ডিসি'দের অভিযোগ: ‘কথায় কথায় আদালত অবমাননা হয়৷ মনে হয় আমরা অপরাধী৷... আমরা আর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে চাই না৷' ইত্তেফাকের বিবরণে ডিসি'দের অপর একটি দাবী বিশেষ করে তুলে ধরা হয়েছে৷ ডিসি'রা পুলিশ সুপারদের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা চান৷ এছাড়া তাঁরা ভ্রাম্যমান আদালত, দ্রুত বিচার, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন ও বাজার নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অধিকতর ক্ষমতা চেয়েছেন, বলে জানিয়েছে ইত্তেফাক৷
ট্রাইব্যুনালের বিচারের কাজ শুরু হচ্ছে
জামায়াতের চার নেতার আটক আবেদনের শুনানি আজ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে৷ সকাল সাড়ে দশটায়৷ মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মোহাম্মদ কামারুজ্জামান এবং আব্দুল কাদের মোল্লা'কে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের খবর সব পত্রিকায়৷ কালের কণ্ঠ জানাচ্ছে, শীঘ্রই জামায়াতের আরেক নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকেও গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করতে যাচ্ছে তদন্ত সংস্থা৷ যুগান্তরের বিবরণ অনুযায়ী চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, পল্লবী বা কেরানীগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলা নিয়ে তাঁরা ভাবছেন না৷ তাদের মূল দৃষ্টি একাত্তরে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দিকে৷
প্রশ্নপত্র ফাঁস
প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা পড়েছে৷ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি৷ রবিবার কমিটির প্রধান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে কমিটির রিপোর্ট জমা দেন৷ পরে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের তার সারসংক্ষেপ জানান৷ কালের কণ্ঠের বিবরণ অনুযায়ী শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, কমিটির বিবেচনায় মূলত বিজি প্রেস থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে৷ কমিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১১ জনকে সরাসরি চিহ্নিত করেছে৷ এই এগারো জনের মধ্যে ছয় জন বিজি প্রেসের, একজন সরকারি কর্ম কমিশন বা পিএসসি'র এবং অন্য চারজন রংপুরের বাসিন্দা, বলে সমকালের খবর৷ ১১জনের মধ্যে ৯ জন ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার, বলে জানাচ্ছে জনকণ্ঠ৷ আরো প্রায় শ'দুয়েককে সন্দেহভাজন অপরাধী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ ‘কিন্তু পেছনে আছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক,' জানাচ্ছে জনকণ্ঠ৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম