1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জেল খাটা থেকে বেঁচে গেলেন নাদিয়া

২৬ আগস্ট ২০১০

পপতারকা নাদিয়া বেনেইসাকে জেলে যেতে হচ্ছে না৷ এইডস ছড়ানোর দায়ে তাঁকে দুই বছরের সাজা দিয়ে আজ রায় দিয়েছে আদালত৷ তবে সেই দণ্ডাদেশ আবার স্থগিত থাকবে৷ ফলে কারাভোগ করতে হবে না জার্মান এই সঙ্গীতশিল্পীকে৷

জেনেশুনে এইডস ছড়িয়েছেন নাদিয়াছবি: picture-alliance/dpa

নাদিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল গুরুতর৷ জেনেশুনে এইডস ছড়িয়েছেন তিনি৷ অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে আদালতেও৷ তবে নাদিয়া ক্ষমা চেয়েছিলেন৷ আর প্রতিপক্ষের আইনজীবীও লঘু শাস্তিতে অনাপত্তি জানিয়েছিলেন৷ এই সব বিষয় বিবেচনায় করেই, আজ বৃহস্পতিবার রায় দিয়েছে ডার্মস্টাটের আদালত৷ তিনটি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ২৮ বছর বয়সি নাদিয়াকে৷ একটি হল, শারীরিক ক্ষতিসাধন৷ অন্য দুটি হল, ক্ষতি সাধনের চেষ্টা৷ রায় হল - দুই বছরের কারাদণ্ড, তবে স্থগিত থাকবে তা৷ তাঁকে এখন ৩০০ ঘণ্টা সেবামূলক কাজ করতে হবে, যেতে হবে কাউন্সেলিং-এ৷ এর মানে হলো, এই ধরনের অপরাধ প্রথমবারের মতো করায় নাদিয়া করুণা পেলেন৷ একই অপরাধ পরে করলে নাদিয়াকে ঐ দণ্ডও ভোগ করতে হবে৷ আর তাঁর ক্রিমিনাল রেকর্ডে এর দাগ মুছবে না, কোনোদিনই৷

নাদিয়া বেনেইসাকে জেলে যেতে হচ্ছে নাছবি: picture-alliance/dpa

নাদিয়া নিজে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত৷ আর অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক গড়ে তিনি তা ছড়িয়েছেন অন্য এক ব্যক্তির দেহে৷ এই অপরাধের সাজা হতে পারত ১০ বছর কারাবাস৷ কিন্তু শুনানিতে নাদিয়া নিজেই স্বীকার করেন অপরাধের কথা৷ বলেন, ‘‘আমি খুবই দুঃখিত৷ যদি সেই ঘটনা ঘটার আগে ফিরে যেতে পারতাম, তাহলে এটা হতে দিতাম না৷ কিন্তু তা তো আর সম্ভব নয়৷''

নাদিয়ার ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তাঁর আইনজীবী আদালতে আবেদন রেখেছিলেন - তাঁকে যেন সাজা দিলেও, তা স্থগিত রাখা হয়৷ তা মেনে নিয়েছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীও৷ তিনি সুপারিশ করেছিলেন, দুই বছরের সাজা এবং তা স্থগিতাদেশসহ৷ আদালত এই কথা রেখেছেন৷ রায়ের পর নাদিয়া সাংবাদিকদের বললেন, ‘‘বড় ভুল করেছি আমি৷ এই ভুলের বোঝা আমাকে বাকি জীবনেও টেনে যেতে হবে৷''

১৯৯৯ সালে এইচআইভি'তে আক্রান্ত হন নাদিয়া৷ সেই অবস্থাতেই তিনজনের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়েন তিনি, তাঁদের নিজের অবস্থার কথা না বলেই৷ এর একজনের মধ্যে সঞ্চারিত হয় এইডস৷ কেন এমনটা করলেন - জানতে চাওয়া হলে নাদিয়ার উত্তর এলো, ‘‘ভয়, ভয়েই কাউকে বলতে পারিনি৷ আমি এইচআইভি আক্রান্ত, এটা জানার পর সবাই যদি আমায় এড়িয়ে চলে ?''

এই ঘটনার জন্য নাদিয়াকে অনেকে প্রতারক বলে অভিহিত করলেও, এইডসবিরোধী সংগঠনগুলো নাদিয়ার পক্ষেই দাঁড়িয়েছে৷ তারা বলছে, নিরাপদ যৌন সম্পর্ক নিরাপদ রাখার দায়িত্ব, যে এইডস আক্রান্ত তার একার নয়৷ তাই শুধু নাদিয়াকে দোষ দেওয়া যায় না, দায় আছে অন্য পক্ষেরও৷ নাদিয়ার ধারণা, ১৭ বছর বয়সে রক্ত পরীক্ষার সময় তাঁর দেহে এইচআইভি সংক্রমণ ঘটে৷

ফ্রাঙ্কফুর্টে বসবাসরত নাদিয়ার মা জার্মান হলেও বাবা মরক্কোর৷ অন্য তিন তরুণীর সঙ্গে নাদিয়া ২০০০ সালে গড়ে তুলেছিলেন ‘নো এঞ্জেলস' ব্যান্ড৷ এটি শুরুতেই বেশ জনপ্রিয়তা পায়৷ তবে তিন বছরের মাথায় ভেঙে যায় এই ব্যান্ড৷ ২০০৭ সালে ব্যান্ডটি নতুন করে আবার যাত্রা শুরু করলেও আগের জনপ্রিয়তায় পৌঁছতে পারেনি৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ